শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ
তারাগঞ্জে নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ চলছে। বই নিতে শিক্ষার্থীরা হাস্যোজ্জ্বল মুখে বিদ্যালয়ে গেলেও টাকা দিতে না পারায় বই না পেয়ে অনেকের মুখ মলিন হয়েছে।
বিনা মূল্যে বই বিতরণের কথা থাকলেও উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে টাকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের বই দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নানা অজুহাতে শিক্ষকেরা এ টাকা আদায় করছেন।
তারাগঞ্জ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৯৫৬ জন। আর ৩২টি মাধ্যমিক, নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ১২ হাজার ৮৫০ শিক্ষার্থী। নতুন বছরের শুরু থেকে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
অভিযোগ উঠেছে, শ্রেণি ভেদে বই দেওয়ার সময় টাকা নেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে না বই। কোনো কোনো শিক্ষার্থী অর্ধেক টাকা দিলে তাদের দু-একটি করে বই হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
ফাজিলপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলে, ‘নতুন বইয়ের জন্য স্কুলে গেলে স্যাররা টাকা চায়। টাকা দিতে না পারায় প্রথমে আমাকে বই দেয়নি। পরে বাড়ি থেকে ৬০০ টাকা নিয়ে গিয়ে স্যারকে দিলে বই দেয়।’
একই অভিযোগ করে তারাগঞ্জ ও/এ মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী। সে বলে, ‘বই দেওয়ার সময় নানা যুক্তি দেখিয়ে স্যাররা টাকা আদায় করছে। টাকা জমা না করা পর্যন্ত বই দেয় না।’
উপজেলার পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া অনন্ত ২০ শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছরের শুরুতে স্কুলগুলো নানা অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা দাবি করে। সেই টাকা আদায়ের উত্তম মাধ্যম হলো নতুন বই বিতরণ। বইয়ের জন্য অনেক শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে দেয়। কোনো কোনো শিক্ষার্থীর টাকা জোগাড় করতে সময় লাগলে তারা পরে বই সংগ্রহ করে। বছরের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এটি এক ধরনের ব্যবসা।
টাকা ছাড়া বই না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফাজিলপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো বই দিয়ে কোনো টাকা নিচ্ছি না। রসিদ দিয়ে সেশন ফি নিচ্ছি। এতে দোষের কী?’
একই দাবি করে তারাগঞ্জ ও/এ মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমরা কোনো টাকা নেই না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সেশন চার্জ ব্যাংকে জমা নেওয়া হয়। হাতে কোনো টাকা নেওয়া হয় না। সেশন ফি না নিলে প্রতিষ্ঠান চালাব কী দিয়ে?’
এ বিষয়ে গতকাল শনিবার জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা বেগম জানান, এ রকম অভিযোগ কেউ করেননি। শিক্ষার্থীদের সরকার বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য বই দিয়েছে। বই বিতরণে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তারাগঞ্জে নতুন বছরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ চলছে। বই নিতে শিক্ষার্থীরা হাস্যোজ্জ্বল মুখে বিদ্যালয়ে গেলেও টাকা দিতে না পারায় বই না পেয়ে অনেকের মুখ মলিন হয়েছে।
বিনা মূল্যে বই বিতরণের কথা থাকলেও উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে টাকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের বই দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নানা অজুহাতে শিক্ষকেরা এ টাকা আদায় করছেন।
তারাগঞ্জ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৯৫৬ জন। আর ৩২টি মাধ্যমিক, নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ১২ হাজার ৮৫০ শিক্ষার্থী। নতুন বছরের শুরু থেকে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
অভিযোগ উঠেছে, শ্রেণি ভেদে বই দেওয়ার সময় টাকা নেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে না বই। কোনো কোনো শিক্ষার্থী অর্ধেক টাকা দিলে তাদের দু-একটি করে বই হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
ফাজিলপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলে, ‘নতুন বইয়ের জন্য স্কুলে গেলে স্যাররা টাকা চায়। টাকা দিতে না পারায় প্রথমে আমাকে বই দেয়নি। পরে বাড়ি থেকে ৬০০ টাকা নিয়ে গিয়ে স্যারকে দিলে বই দেয়।’
একই অভিযোগ করে তারাগঞ্জ ও/এ মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী। সে বলে, ‘বই দেওয়ার সময় নানা যুক্তি দেখিয়ে স্যাররা টাকা আদায় করছে। টাকা জমা না করা পর্যন্ত বই দেয় না।’
উপজেলার পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া অনন্ত ২০ শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছরের শুরুতে স্কুলগুলো নানা অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা দাবি করে। সেই টাকা আদায়ের উত্তম মাধ্যম হলো নতুন বই বিতরণ। বইয়ের জন্য অনেক শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে দেয়। কোনো কোনো শিক্ষার্থীর টাকা জোগাড় করতে সময় লাগলে তারা পরে বই সংগ্রহ করে। বছরের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এটি এক ধরনের ব্যবসা।
টাকা ছাড়া বই না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফাজিলপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো বই দিয়ে কোনো টাকা নিচ্ছি না। রসিদ দিয়ে সেশন ফি নিচ্ছি। এতে দোষের কী?’
একই দাবি করে তারাগঞ্জ ও/এ মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমরা কোনো টাকা নেই না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সেশন চার্জ ব্যাংকে জমা নেওয়া হয়। হাতে কোনো টাকা নেওয়া হয় না। সেশন ফি না নিলে প্রতিষ্ঠান চালাব কী দিয়ে?’
এ বিষয়ে গতকাল শনিবার জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা বেগম জানান, এ রকম অভিযোগ কেউ করেননি। শিক্ষার্থীদের সরকার বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য বই দিয়েছে। বই বিতরণে টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে