বছরজুড়ে আলোচিত যত গুজব

ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮: ০০

আর মাত্র একদিন পরেই শেষ হতে যাচ্ছে খ্রিষ্টীয় বছর ২০২৩। ২০২৪ সালের শুরুতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসা নীতি, দেশে নতুন শিক্ষাক্রম চালু, মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুসহ বিভিন্ন ঘটনায় ২০২৩ সালজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে সরব ছিলেন নেটিজেনরা। এসব নিয়ে আলোচনা–সমালোচনার মধ্যে ছড়িয়েছে ভুল, গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য। আজকের পত্রিকাসহ দেশের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর সারা বছরের কাজগুলো থেকে একনজরে দেখে নেওয়া যাক আলোচিত এমন কিছু ঘটনা।

মেট্রোরেল স্টেশনের ডিজিটাল স্ক্রিনে বাংলা নেই
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশে উদ্বোধন করা হয় মেট্রোরেল। ২০২৩ সালের প্রথম দিকেই দেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ে। ছবিগুলোতে দাবি করা হয়, মেট্রোরেল স্টেশনের ডিজিটাল স্ক্রিনগুলোতে ইংরেজি ও হিন্দিতে গন্তব্য লেখা, অথচ বাংলা নেই।

তবে দেশের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো অনুসন্ধানে দেখেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর স্টেশনের ডিজিটাল স্ক্রিনগুলোতে লেখাগুলো বাংলা ও ইংরেজিতে। ডিজিটাল স্ক্রিনগুলোতে হিন্দি ভাষা প্রদর্শনের ব্যাপারে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানায়, ভারতীয় প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান L&T Construction ঢাকার মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে বৈদ্যুতিক এবং যান্ত্রিক সিস্টেমের কাজগুলো করেছে, তাই হিন্দি ভাষা স্ক্রিনগুলোতে প্রাথমিকভাবে ডিফল্ট হিসেবে থেকে থাকতে পারে।

মাশরাফি বিন মোর্তজার সম্পত্তি ৫১০ কোটি টাকার
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে নড়াইল–২ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তজা। তাঁর মনোনয়ন পাওয়া ও জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে, ‘২০২২ সালে মাশরাফি বিন মোর্তজার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৫১০ কোটি টাকা’, এমন তথ্য।

মাশরাফির সম্পত্তি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত এ তথ্য সঠিক নয়। কিছু অনির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটের দেওয়া ভিত্তিহীন তথ্যের ওপর ভারতীয় ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিক ট্র্যাকার বাংলাদেশর শীর্ষ ১০ ধনী ক্রিকেটারের তালিকা এবং সম্পদের পরিমাণ প্রকাশ করে। সেখানে তারা ভিত্তিহীন কিছু ওয়েবসাইটের বরাতে মাশরাফি মোর্তজার সম্পদের পরিমাণ ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উল্লেখ করে। তবে ওয়েবসাইটটি পরে প্রতিবেদনটি সরিয়ে নিলেও বাংলাদেশে দাবিটি ২০২২ সালের ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালেও প্রচার হতে দেখা যায়।

বিএনপির কার্যালয়ে রহস্যময় ব্যক্তি
ঢাকায় ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। নানা ঘটনা ও সংঘর্ষের পর এ সমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করে দলটি। সেদিন সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা মিয়া আরাফি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে এসেছেন— এমন একটি খবর সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। তবে মিয়া আরেফির সঙ্গে মার্কিন সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, যা ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস নিশ্চিত করেছে।

এ ছাড়া ওই সময় মিয়া আরাফি নিজেকে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির সদস্য বলে দাবি করলেও ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাঁর কাছে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির একটি সম্মানসূচক কন্ট্রিবিউটিং মেম্বারশিপ কার্ড রয়েছে। যা ডোনেশনের মাধ্যমে যে কেউই পেতে পারে।

ইসরায়েলকে ড. ইউনূসের ১০০ কোটি টাকা সহায়তা
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী প্রতিষ্ঠান হামাস ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এরপর সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। এ সংঘাতকে ঘিরে বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জড়িয়ে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দাবি করা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাতের ঘটনায় ইসরায়েলকে নিজের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ আমেরিকার মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকার সহায়তা দিয়েছেন।

তবে দেশের ফেসবুকের থার্ড পার্টি পার্টনার বুম বাংলাদেশসহ একাধিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান অনুসন্ধানে জানিয়েছে, বানোয়াট সূত্র ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে পুরো বিষয়টি ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে সহায়তা নিয়েছে মির্জা ফখরুল
গত ২৪ আগস্ট বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। তাঁর এ সিঙ্গাপুর যাত্রাকে ঘিরে ২৭ আগস্ট সন্ধ্যা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ব্যাংক চেকের ছবি প্রচার করে দাবি করা হতে থাকে যে, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মির্জা ফখরুল ৫০ লাখ টাকার  চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে গেছেন।

তবে দেশের প্রায় সবগুলো ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানের অনুসন্ধানেই দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অর্থ সহায়তা নেওয়ার দাবিতে ভাইরাল চেকটি ভুয়া। ইন্টারনেট থেকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের প্রণোদনার চেক সম্পাদনা করে এই দাবিতে প্রচার করা হয়।

রাজনৈতিক অঙ্গনে বেড়েছে এআই, ডিপ ফেক ভিডিও
তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় মানুষের হাতে পৌঁছে গেছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এর ইতিবাচক দিক যেমন আছে তেমনি নেতিবাচক দিকও আছে। যেমন, এর অপব্যবহার বেড়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। চলতি বছর বেশ কয়েকজন রাজনীতিকের নামে ভুয়া, ডিপ ফেইক ভিডিও প্রচার হতে দেখা যায়। এর মধ্যে আছে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের ভিডিও।

গত ৩০ জুলাই একটি ওয়েব সিরিজের দৃশ্যে বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়ের মুখ বসিয়ে তৈরি করা একটি ডিপফেক ভিডিও প্রচারিত হয়। আবার ডি–আইডি নামের একটি জেনারেটিভ এআই টুল ব্যবহার করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের ভিডিও প্রচার করা হয়।

এর আগে জুন মাসে ইনস্টাগ্রাম মডেলের ভিডিও বিকৃত করে তৈরি একটি ডিপফেক ভিডিও বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার নামে প্রচার করা হয়।

দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে একাধিক ভুল তথ্য
গত ১৪ আগস্ট রাতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৩ বছর বয়সে মারা যান মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী

তাঁর মৃত্যুকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভুয়া, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে ছিল ‘সারা বিশ্বের পাঁচ জন লোক কাবা শরিফে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারবেন। তাঁদের মধ্যে আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেব একজন’, সাঈদীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের যুবরাজ বিন সালমান, সাঈদীর মৃত্যুতে কাবার ইমাম আব্দুল রহমান আল সুদাইস শোক জানিয়ে টুইট করেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে ৩ জন ব্যক্তির কাবায় গায়েবানা জানা হয়েছে এবং ৩য় ব্যক্তি মাওলানা সাঈদী ইত্যাদি।

তবে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুসন্ধানে এই দাবিগুলোর কোনোটির সত্যতা পাওয়া যায়নি।

অভিনেতা জায়েদ খানের জাতিসংঘের পুরস্কার অর্জন
দেশের বিনোদন জগতের আলোচিত নাম জায়েদ খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় নানা ইস্যুতে আলোচনায় আসেন তিনি। গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান এ অভিনেতা। এরপর তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সূত্রে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে একটি দাবি ছড়িয়ে পড়ে— জাতিসংঘের লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জায়েদ খান।

এই দাবির বিপরীতে অনুসন্ধানে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, অভিনেতা জায়েদ খানের ‘হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ার বিষয়টি সত্য হলেও এটি জাতিসংঘ কর্তৃক প্রদত্ত কোনো অ্যাওয়ার্ড নয়। হিউম্যান ফোকাস ফাউন্ডেশন ও আইপিপিডিআর নামের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জাতিসংঘের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং তাদের কার্যালয়ও জাতিসংঘের সদর দপ্তরে নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন উৎসাহিত করতে গত ২৪ মে ভিসা নীতির ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর এ ভিসা নীতি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তাঁর এ ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১০ জন বিরোধী দলীয় নেতাদের নাম উল্লেখ করে দাবি করা হয়, তাঁরা ভিসা নীতির মধ্যে পড়েছেন।

এ নিয়ে ফেসবুকের থার্ড পার্টি পার্টনার বুম বাংলাদেশ তাদের অনুসন্ধানে জানায়, ভিসা নীতি অনুযায়ী সম্প্রতি ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের ঘোষণা করলেও কারা নিষেধাজ্ঞা পাচ্ছেন তা প্রকাশ করবে না যুক্তরাষ্ট্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত নামের তালিকাটি ভিত্তিহীন।

নারীর গর্ভ থেকে সাপের বাচ্চা জন্মানো
জুলাই মাসে দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল আরেকটি ঘটনা: ভারতে এক নারী সাপের বাচ্চা জন্মদানের ভিডিও। এই ভিডিওটির ব্যাপকতা এমন ছিল যে, এটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওয়াজের মঞ্চেও জায়গা করে নেয়। এই ভিডিও নিয়ে ওয়াজ করেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা গিয়াসউদ্দিন তাহেরি। যদিও ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো এই ভিডিও নিয়ে অনুসন্ধানে এর কোনো সত্যতা পায়নি। একটি ভিত্তিহীন তথ্যকে বিভিন্ন সময়ে ধারণকৃত ভিন্ন ভিন্ন ঘটনার একাধিক ভিডিও ক্লিপ যুক্ত করে প্রচার করা হয়েছে।

ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাংলাদেশি হেনস্তার শিকার
ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের হার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশি ক্রিকেট সমর্থকদের উদ্‌যাপন করতে দেখা যায়। এই উদ্‌যাপনের প্রতিক্রিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। এই উত্তেজনার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা নিতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিডিওটি ভারতীয়রাই ট্রলের উদ্দেশ্যে তৈরি করেছেন।

নতুন শিক্ষাক্রমের ভিডিও
২০২৩ সালের শেষদিকে এসে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলতি বছর থেকে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষক প্রশিক্ষণের ভিডিও দাবি করে একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এসব ভিডিও নিয়ে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগসহ দেশের একাধিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে। এসব ভিডিও নিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভিডিওগুলোর সঙ্গে নতুন শিক্ষাক্রমের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং ভারতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার করে নতুন শিক্ষাক্রমের ভিডিও দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা [email protected]

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত