ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র–ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০২৪ সালের আসর। ইতিমধ্যে এ বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া দেশগুলো শুরু করেছে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা। ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যেও শুরু হয়েছে আলোচনা। বিশ্বকাপ জয়ের দৌড়ে কত দূরে যাবে প্রিয় দল? এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা এ সময় সাধারণত সেমিফাইনালিস্ট বা ফাইনালিস্ট দল কারা হবে তা নিয়েও করেন ভবিষ্যদ্বাণী করেন।
সম্প্রতি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ–২০২৪ আসরের চার সেমি ফাইনালিস্ট নিয়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খানের এমন এক ভবিষ্যদ্বাণী ফটোকার্ড আকারে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার বরাত দিয়ে দাবি করা হচ্ছে, এবারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলবে ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ।
ফটোকার্ডটি নিয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে দেখা গিয়েছে পক্ষে–বিপক্ষে মত।
ভবিষ্যদ্বাণীটি নিয়ে নাহিদুল ইসলাম নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘দেশপ্রেম থাকার কারণেই হয়তো তিনি বাংলাদেশের নাম বলেছেন। এটা তিনিও জানেন যে, বাংলাদেশের সোনার ছেলেরা হয়তো একটা বা দুইটা ম্যাচ জিততে পারে। আর আমাদের লর্ড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সহসভাপতি ফর্ম যদি ধরে রাখেন তাহলে নেপালের সঙ্গেও হারবে।’
রাজপুত্র আরিফ লিখেছেন, ‘এটা দেশের প্রতি ভালোবাসা, দেশটাকে তো আর সবার সামনে ছোট করা যায় না। ধন্যবাদ স্যার, যারা আপনাকে এমন প্রেডিকশন দেওয়ার জন্য কথা বলতাছে, আমি মনে করি আসলে এদের ভেতরে দেশপ্রেম বলে কিছু নেই।’
পারভেজ আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নামটা মনে হয় বলেছেন নিজে বাংলাদেশি হিসেবে। যোগ্যতার বিচারে নয়।’
আবার মনিরুল ইসলাম নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ফটোকার্ডটি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘তিনি বুদ্ধিমান। তিনি জানেন, শেষে যদি বাংলাদেশের নাম না নেওয়া হয় তাহলে তার ধারাভাষ্যকার এর চাকরিটা হারাতে হবে। তাই তিনি ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও হয়তো চাকরি বাঁচাতে বাংলাদেশের নাম সেরা চার এর তালিকায় যোগ করেছেন।’ (বানান ও ভাষা অপরিবর্তিত)
আতাহার আলী খান কী এই ভবিষ্যদ্বাণী দিয়েছেন?
আসন্ন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা চার নিয়ে আতাহার আলী খান কি এমন ভবিষ্যৎ করেছেন? ফটোকার্ডটির সত্যতা যাচাইয়ে আতাহার আলী খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গত মঙ্গলবার (৭ মে) একটি পোস্ট পাওয়া যায়।
পোস্টটিতে বলা হয়, আসন্ন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪–এর জন্য আমি কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করিনি। আমার অজ্ঞাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কী হচ্ছে, তা নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই।
আতাহার আলী খানের এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, আসন্ন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য তিনি কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করেননি।
ভাইরাল ফটোকার্ডটির উৎস কী?
প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ফেসবুকে ‘Pakistan Cricket Sarcasm’ নামের একটি ফেসবুক পেজে প্রথম পোস্টটি পাওয়া যায়। গত সোমবার (৬ মে) পেজটিতে আতাহার আলী খানের নামে ভাইরাল ভবিষ্যদ্বাণীর ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটিতে আজ শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৪৫ হাজারের বেশি রিয়েকশন পড়েছে। কমেন্ট পড়েছে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি।
পেজটি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এটি পাকিস্তান থেকে পরিচালিত একটি ট্রল পেজ। এটি থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্যঙ্গাত্মক কনটেন্ট প্রতিনিয়ত পোস্ট করা হয়। স্পষ্টতই, আতাহার আলী খানের নামে পেজটি থেকে ভাইরাল হওয়া ভবিষ্যদ্বাণীর ফটোকার্ডটিও এমনই একটি কনটেন্ট।
আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র–ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০২৪ সালের আসর। ইতিমধ্যে এ বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া দেশগুলো শুরু করেছে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা। ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যেও শুরু হয়েছে আলোচনা। বিশ্বকাপ জয়ের দৌড়ে কত দূরে যাবে প্রিয় দল? এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা এ সময় সাধারণত সেমিফাইনালিস্ট বা ফাইনালিস্ট দল কারা হবে তা নিয়েও করেন ভবিষ্যদ্বাণী করেন।
সম্প্রতি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ–২০২৪ আসরের চার সেমি ফাইনালিস্ট নিয়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খানের এমন এক ভবিষ্যদ্বাণী ফটোকার্ড আকারে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার বরাত দিয়ে দাবি করা হচ্ছে, এবারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলবে ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ।
ফটোকার্ডটি নিয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে দেখা গিয়েছে পক্ষে–বিপক্ষে মত।
ভবিষ্যদ্বাণীটি নিয়ে নাহিদুল ইসলাম নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘দেশপ্রেম থাকার কারণেই হয়তো তিনি বাংলাদেশের নাম বলেছেন। এটা তিনিও জানেন যে, বাংলাদেশের সোনার ছেলেরা হয়তো একটা বা দুইটা ম্যাচ জিততে পারে। আর আমাদের লর্ড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সহসভাপতি ফর্ম যদি ধরে রাখেন তাহলে নেপালের সঙ্গেও হারবে।’
রাজপুত্র আরিফ লিখেছেন, ‘এটা দেশের প্রতি ভালোবাসা, দেশটাকে তো আর সবার সামনে ছোট করা যায় না। ধন্যবাদ স্যার, যারা আপনাকে এমন প্রেডিকশন দেওয়ার জন্য কথা বলতাছে, আমি মনে করি আসলে এদের ভেতরে দেশপ্রেম বলে কিছু নেই।’
পারভেজ আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নামটা মনে হয় বলেছেন নিজে বাংলাদেশি হিসেবে। যোগ্যতার বিচারে নয়।’
আবার মনিরুল ইসলাম নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ফটোকার্ডটি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘তিনি বুদ্ধিমান। তিনি জানেন, শেষে যদি বাংলাদেশের নাম না নেওয়া হয় তাহলে তার ধারাভাষ্যকার এর চাকরিটা হারাতে হবে। তাই তিনি ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও হয়তো চাকরি বাঁচাতে বাংলাদেশের নাম সেরা চার এর তালিকায় যোগ করেছেন।’ (বানান ও ভাষা অপরিবর্তিত)
আতাহার আলী খান কী এই ভবিষ্যদ্বাণী দিয়েছেন?
আসন্ন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা চার নিয়ে আতাহার আলী খান কি এমন ভবিষ্যৎ করেছেন? ফটোকার্ডটির সত্যতা যাচাইয়ে আতাহার আলী খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গত মঙ্গলবার (৭ মে) একটি পোস্ট পাওয়া যায়।
পোস্টটিতে বলা হয়, আসন্ন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪–এর জন্য আমি কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করিনি। আমার অজ্ঞাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কী হচ্ছে, তা নিয়ে আমার কোনো ধারণা নেই।
আতাহার আলী খানের এই মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, আসন্ন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য তিনি কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করেননি।
ভাইরাল ফটোকার্ডটির উৎস কী?
প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ফেসবুকে ‘Pakistan Cricket Sarcasm’ নামের একটি ফেসবুক পেজে প্রথম পোস্টটি পাওয়া যায়। গত সোমবার (৬ মে) পেজটিতে আতাহার আলী খানের নামে ভাইরাল ভবিষ্যদ্বাণীর ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটিতে আজ শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৪৫ হাজারের বেশি রিয়েকশন পড়েছে। কমেন্ট পড়েছে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি।
পেজটি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এটি পাকিস্তান থেকে পরিচালিত একটি ট্রল পেজ। এটি থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্যঙ্গাত্মক কনটেন্ট প্রতিনিয়ত পোস্ট করা হয়। স্পষ্টতই, আতাহার আলী খানের নামে পেজটি থেকে ভাইরাল হওয়া ভবিষ্যদ্বাণীর ফটোকার্ডটিও এমনই একটি কনটেন্ট।
দুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
২ দিন আগেহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
২ দিন আগেকাছ থেকে টিভি দেখলে চোখের ক্ষতি হয় বলে ধারণা প্রচলিত আছে। এই কারণে বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানকে টেলিভিশনের খুব কাছাকাছি বসে দেখতে দেন না। কিন্তু এই ধারণার কি বাস্তব ভিত্তি আছে? এ বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে তা জানার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ
৩ দিন আগে