ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সদর দপ্তরের বন্দিশালা ‘আয়নাঘরে’ মানুষকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগে সরকার পতনের পর আয়নাঘর থেকে বেশ কয়েকজন বন্দী মুক্তি পেয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি আয়নাঘরের ভেতরের দৃশ্য।
১৪ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি টানেল সদৃশ জায়গায় অনেক হাড়গোড় পড়ে আছে। ‘মুহাম্মদ মোস্তাকিম’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে আজ বুধবার ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করা হয়, ‘না জানি কত মায়ের সন্তান এখানে শেষ হয়েছে। আয়নাঘরের আন্ডারগ্রাউন্ড।’
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটিতে দৃশ্যমান স্থানটি ‘আয়নাঘরের’ নয়।
ভিডিওটি থেকে কিছু কি–ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে হুবহু ভিডিওটি পাওয়া যায়। চলতি বছরের গত ১৭ জুন ‘অ্যাকিলিস ডট বিসি (Achilles.bc)’ নামের একটি টিকটক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিওটি সম্পর্কে টিকটক পোস্টটিতে বলা হয়, এটি ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত একটি টানেল।
এই সূত্রে পরবর্তী অনুসন্ধানে জানা যায়, স্থানটির নাম ‘দ্য ক্যাটাকম্বস অব প্যারিস’ বা ফরাসি ভাষায় এটি ‘ক্যাটাকম্বস দ্যা প্যারিস’ নামেও পরিচিত। ১৮ শতকের শেষদিকে ক্যাটাকম্বস অব প্যারিসের নির্মাণ শুরু হয়। এখানে ছয় মিলিয়নেরও বেশি মানুষের দেহাবশেষ রয়েছে। প্যারিসের প্রাচীন পাথরের খনিগুলোর মধ্যে সংযোগ প্রদানের উদ্দেশ্যে এবং একই সঙ্গে শহরের ওপর কবরস্থানের চাপ কমাতে মৃতদেহ সমাধিস্থ করতে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
এ ছাড়া বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল ২৪–এর ওয়েবসাইটে আয়নাঘর থেকে বন্দীদের মুক্তি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন থেকে আয়নাঘরের বেশ কিছু ছবিও পাওয়া যায়। ছবিগুলোর সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওটির কোনো মিল পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সদর দপ্তরের বন্দিশালা ‘আয়নাঘরে’ মানুষকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগে সরকার পতনের পর আয়নাঘর থেকে বেশ কয়েকজন বন্দী মুক্তি পেয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি আয়নাঘরের ভেতরের দৃশ্য।
১৪ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি টানেল সদৃশ জায়গায় অনেক হাড়গোড় পড়ে আছে। ‘মুহাম্মদ মোস্তাকিম’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে আজ বুধবার ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করা হয়, ‘না জানি কত মায়ের সন্তান এখানে শেষ হয়েছে। আয়নাঘরের আন্ডারগ্রাউন্ড।’
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটিতে দৃশ্যমান স্থানটি ‘আয়নাঘরের’ নয়।
ভিডিওটি থেকে কিছু কি–ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে হুবহু ভিডিওটি পাওয়া যায়। চলতি বছরের গত ১৭ জুন ‘অ্যাকিলিস ডট বিসি (Achilles.bc)’ নামের একটি টিকটক অ্যাকাউন্টে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিওটি সম্পর্কে টিকটক পোস্টটিতে বলা হয়, এটি ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত একটি টানেল।
এই সূত্রে পরবর্তী অনুসন্ধানে জানা যায়, স্থানটির নাম ‘দ্য ক্যাটাকম্বস অব প্যারিস’ বা ফরাসি ভাষায় এটি ‘ক্যাটাকম্বস দ্যা প্যারিস’ নামেও পরিচিত। ১৮ শতকের শেষদিকে ক্যাটাকম্বস অব প্যারিসের নির্মাণ শুরু হয়। এখানে ছয় মিলিয়নেরও বেশি মানুষের দেহাবশেষ রয়েছে। প্যারিসের প্রাচীন পাথরের খনিগুলোর মধ্যে সংযোগ প্রদানের উদ্দেশ্যে এবং একই সঙ্গে শহরের ওপর কবরস্থানের চাপ কমাতে মৃতদেহ সমাধিস্থ করতে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
এ ছাড়া বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল ২৪–এর ওয়েবসাইটে আয়নাঘর থেকে বন্দীদের মুক্তি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন থেকে আয়নাঘরের বেশ কিছু ছবিও পাওয়া যায়। ছবিগুলোর সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওটির কোনো মিল পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
দুর্বৃত্তরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে নির্মমভাবে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের মারধর করছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগেচাঁদা না দেওয়ায় দোকানিকে কয়েকজন মিলে মারধর—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে দোকানে এক ব্যক্তিকে তিন–চার মিলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে দেখা যায়।
২ দিন আগেহাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা রোগীও মারামারিতে যোগ দিয়েছেন— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে। একটি কক্ষে হাসপাতালের পেইনবেডের মতো দেখতে বিছানায় দুজনকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সেখানে হাতাতাতি লাগে।
২ দিন আগেকাছ থেকে টিভি দেখলে চোখের ক্ষতি হয় বলে ধারণা প্রচলিত আছে। এই কারণে বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানকে টেলিভিশনের খুব কাছাকাছি বসে দেখতে দেন না। কিন্তু এই ধারণার কি বাস্তব ভিত্তি আছে? এ বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে তা জানার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ
৩ দিন আগে