যুক্তরাষ্ট্রের ১১ শতাংশ শিশুর মধ্যেই মনোযোগের সমস্যা: গবেষণা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭: ৩০

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি দশ শিশুর মধ্যে একটিই অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডারে  (এডিএইচডি) ভোগে। অর্থাৎ দেশটির ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১১ শতাংশ শিশুর মধ্যেই অতিচঞ্চলতা ও অমনযোগের সমস্যা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ স্ট্যাটিসটিকসের প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। 

 ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মার্কিন পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী নমুনা সদস্যদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে এবং ফোনে পরিচালিত সাক্ষাৎকার থেকে এই প্রতিবেদনের উপাত্ত নেওয়া হয়েছিল। 

এডিএইচডি হলো একটি মানসিক স্বাস্থ্যগত জটিলতা। এ ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের বিকাশ এবং ক্রিয়াকলাপের পার্থক্যের কারণে শিশুরা অমনোযোগী, অত্যধিক সক্রিয় এবং আবেগপ্রবণ হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এডিএইচডিতে আক্রান্ত কোনো শিশুর সঙ্গে মুখোমুখি কথা বললেও সে শোনে না, কাজ এবং অন্যান্য কার্যক্রম গুছিয়ে করা তার জন্য কঠিন হতে পারে, বসে থাকার সময়টাতেও সে অস্থির থাকে এবং অতিরিক্ত কথা বলে। 

অবশ্য বেশির ভাগ শিশুর মধ্যেই এই ধরনের আচরণ লক্ষ্য করা যায়। তবে এডিএইচডি আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অনেক প্রকট হয়। 

আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে শৈশবেই এর লক্ষণ দেখা যায়। তবে এটি কৈশোর এবং পরবর্তী জীবনেও প্রভাব ফেলতে পারে। শিশুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই লক্ষণগুলো পরিবর্তিত হতে থাকে। গবেষকেরা বলছেন, মেয়েদের তুলনায় ছেলে শিশুদের মধ্যে এডিএইচডি আক্রান্তের হার বেশি। যেদিকে মেয়েদের মধ্যে এ জাতীয় রোগে আক্রান্তের হার ৮ শতাংশ, ছেলেদের মধ্যে তা ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। ১২ বছর বা এর বেশি বয়সের কিশোরদের মধ্যে এডিএইচডি শনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 

এডিএইচডিতে আক্রান্ত হওয়ার জন্য কোনো একক কারণ না পাওয়া গেলেও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর পেছনে জিনগত কারণ থাকতে পারে। এডিএইচডিতে আক্রান্ত শিশুদের বাবা–মা বা কোনো আত্মীয়স্বজনের মধ্যে এ রোগ থাকতে পারে। এডিএইচডির কোনো প্রতিকার নেই, তবে চিকিৎসার মাধ্যমে মাত্রা কমিয়ে শিশুর স্বাভাবিক কাজ করার সক্ষমতা বিকাশ করা সম্ভব। এর চিকিৎসা হতে পারে—ওষুধ সেবন, থেরাপি (পারিবারিক, মনস্তাত্ত্বিক বা আচরণগত), বাবা–মায়ের প্রশিক্ষণ এবং শিশুদের শ্রেণিকক্ষের থাকার ব্যবস্থা করা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত