অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
খাবার সামনে থাকলে আর ক্ষুধা পেলে খাওয়া যেতেই পারে। তাই বলে কি যত ইচ্ছা খাওয়া যায়? পরিমাণমতো খাবার খেতে হয়। অনেকে ডায়েটিং করে স্লিম হয়, রোগা হয়। আসলে তারা রুগ্ণ হয়ে যায়। নানান পুষ্টি উপকরণের অভাব ঘটে দেহে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা হয় দুর্বল, নানান রোগ ভর করে শরীরের ওপর। যাদের এমন ডায়েটিং করার উপদেশ দেওয়া—এরা পরে আবার বেশি খাওয়া শুরু করে। একে বলে বিঞ্জিং। সব বাউন্স করে উল্টো স্থূল হতে শুরু করে। তাই পরিমিত সুষম খাবার খেলে শরীর থাকে সুস্থ। তবে কিছু খাবার নিয়ন্ত্রিত হয় অসুখ হলে। যেমন কিডনি রোগের একপর্যায়ে এটি হতে পারে। কখন খাচ্ছেন, কী খাচ্ছেন অনেকে তা খেয়াল করেন না। কিন্তু এখন থেকে খেয়াল করে এই পাঁচ অভ্যাস বাদ দিন।
১. বেলার খাবার বাদ দেওয়া: সকালে খুব খেয়েছেন তাই দুপুরে খেলেন না, সেটা খুব খারাপ। যেকোনো বেলার খাবার বাদ দেওয়া হলে শরীর হবে খারাপ। অনেকে সকালের নাশতা না খেয়ে দুপুরে খান ভরপেট। এটিও ভালো নয়। আবার অনেক সারা দিন না খেয়ে বিকেলে বা সন্ধ্যায় শিঙাড়া-সমুচা-চা খেয়ে বাড়িতে এসে রাতে খান ভরপেট। এ প্রক্রিয়াও ভালো নয়। সারা দিন অল্প অল্প করে খেতে হবে এই নিয়ম। কোনো বেলা খুব খাওয়া, অন্য বেলা না খেয়ে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। এতে আদতে ক্ষতি হয়।
২. দ্রুত খাওয়া: অনেকের অভ্যাস দ্রুত খাবার খাওয়া। হাতে সময় নেই তাই দ্রুত খাওয়া হলো। এরপর শুরু হবে বুকজ্বলা। ভালো করে চিবিয়ে খাবার খাওয়া হয় না। তাই হজম হয় না ঠিকমতো।
৩. প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া: ভাত বা রুটি শর্করাজাতীয় খাবার। তাই প্রসেস করা খাবার খাওয়া হলো অনেক। তাতে শরীরে জমল প্রোটিন আর ফ্যাট। স্বাস্থ্যের বারোটা বাজানো হয়ে গেল। খাদ্যের বিপাক কর্ম হয়ে গেল এলোমেলো। এর পরে বয়স হলে হার্ট অ্যাটাক আর স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
৪. মনোযোগ দিয়ে না খাওয়া: বন্ধুদের সঙ্গে খেতে বসেছেন। খাচ্ছেন আর আড্ডা চলছে। কিন্তু কী পরিমাণ খেলেন খবর নেই। কারণ, সব সুস্বাদু রেজালা, কারি, রোস্ট, গোশতের ছড়াছড়ি। আবার খাসির চর্বি ভাজা, গলদা চিংড়ি। এতে কোলেস্টেরল বাড়ছে। আর তাই এদিকে হার্টের কান্না শুরু হয়েছে। বিষয়টি খুব স্বাস্থ্যকর নয়।
৫. আনন্দের সঙ্গে না খাওয়া: কাজ করতে করতে খাওয়া অনেকের অভ্যাস। কাজ করা হচ্ছে যে টেবিলে সেখানেই খাওয়া, মুখে কী ঢুকছে, কী তার পরিমাণ—খেয়াল নেই। অভ্যাসের ফলে খাওয়ার আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা হলো। আর খাবারের পরিমাণের ওপর লাগামও থাকল না। এটাও খারাপ অভ্যাস। বাদ দিন।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী,সাবেক অধ্যক্ষ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
খাবার সামনে থাকলে আর ক্ষুধা পেলে খাওয়া যেতেই পারে। তাই বলে কি যত ইচ্ছা খাওয়া যায়? পরিমাণমতো খাবার খেতে হয়। অনেকে ডায়েটিং করে স্লিম হয়, রোগা হয়। আসলে তারা রুগ্ণ হয়ে যায়। নানান পুষ্টি উপকরণের অভাব ঘটে দেহে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা হয় দুর্বল, নানান রোগ ভর করে শরীরের ওপর। যাদের এমন ডায়েটিং করার উপদেশ দেওয়া—এরা পরে আবার বেশি খাওয়া শুরু করে। একে বলে বিঞ্জিং। সব বাউন্স করে উল্টো স্থূল হতে শুরু করে। তাই পরিমিত সুষম খাবার খেলে শরীর থাকে সুস্থ। তবে কিছু খাবার নিয়ন্ত্রিত হয় অসুখ হলে। যেমন কিডনি রোগের একপর্যায়ে এটি হতে পারে। কখন খাচ্ছেন, কী খাচ্ছেন অনেকে তা খেয়াল করেন না। কিন্তু এখন থেকে খেয়াল করে এই পাঁচ অভ্যাস বাদ দিন।
১. বেলার খাবার বাদ দেওয়া: সকালে খুব খেয়েছেন তাই দুপুরে খেলেন না, সেটা খুব খারাপ। যেকোনো বেলার খাবার বাদ দেওয়া হলে শরীর হবে খারাপ। অনেকে সকালের নাশতা না খেয়ে দুপুরে খান ভরপেট। এটিও ভালো নয়। আবার অনেক সারা দিন না খেয়ে বিকেলে বা সন্ধ্যায় শিঙাড়া-সমুচা-চা খেয়ে বাড়িতে এসে রাতে খান ভরপেট। এ প্রক্রিয়াও ভালো নয়। সারা দিন অল্প অল্প করে খেতে হবে এই নিয়ম। কোনো বেলা খুব খাওয়া, অন্য বেলা না খেয়ে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। এতে আদতে ক্ষতি হয়।
২. দ্রুত খাওয়া: অনেকের অভ্যাস দ্রুত খাবার খাওয়া। হাতে সময় নেই তাই দ্রুত খাওয়া হলো। এরপর শুরু হবে বুকজ্বলা। ভালো করে চিবিয়ে খাবার খাওয়া হয় না। তাই হজম হয় না ঠিকমতো।
৩. প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া: ভাত বা রুটি শর্করাজাতীয় খাবার। তাই প্রসেস করা খাবার খাওয়া হলো অনেক। তাতে শরীরে জমল প্রোটিন আর ফ্যাট। স্বাস্থ্যের বারোটা বাজানো হয়ে গেল। খাদ্যের বিপাক কর্ম হয়ে গেল এলোমেলো। এর পরে বয়স হলে হার্ট অ্যাটাক আর স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
৪. মনোযোগ দিয়ে না খাওয়া: বন্ধুদের সঙ্গে খেতে বসেছেন। খাচ্ছেন আর আড্ডা চলছে। কিন্তু কী পরিমাণ খেলেন খবর নেই। কারণ, সব সুস্বাদু রেজালা, কারি, রোস্ট, গোশতের ছড়াছড়ি। আবার খাসির চর্বি ভাজা, গলদা চিংড়ি। এতে কোলেস্টেরল বাড়ছে। আর তাই এদিকে হার্টের কান্না শুরু হয়েছে। বিষয়টি খুব স্বাস্থ্যকর নয়।
৫. আনন্দের সঙ্গে না খাওয়া: কাজ করতে করতে খাওয়া অনেকের অভ্যাস। কাজ করা হচ্ছে যে টেবিলে সেখানেই খাওয়া, মুখে কী ঢুকছে, কী তার পরিমাণ—খেয়াল নেই। অভ্যাসের ফলে খাওয়ার আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা হলো। আর খাবারের পরিমাণের ওপর লাগামও থাকল না। এটাও খারাপ অভ্যাস। বাদ দিন।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী,সাবেক অধ্যক্ষ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৫ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে