সৌগত বসু, ঢাকা
প্লাস্টিক-দূষণ বিশ্বজুড়েই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর কারণে হচ্ছে নানা শারীরিক সমস্যা। বাংলাদেশে প্লাস্টিক দূষণ দিনে দিনে আরও প্রকট হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, দেশে খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিদিন মানুষের শরীরে ১৭৩ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম মাইক্রোপ্লাস্টিক ঢুকছে। আর শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে গড়ে দিনে শরীরে ঢুকছে ১৭৩ দশমিক ৪টি প্লাস্টিক কণা।
আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি প্রকাশিত সাময়িকী এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি গবেষণা নিবন্ধটি গত এপ্রিলে প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ১০৯টি দেশের তথ্যের ওপর গবেষণাটি করেছেন। খাবারে মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণের মাত্রা নির্ণয়ে তাঁরা জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ফাও) প্রধান খাদ্য বিভাগের মাধ্যমে ফল, শাকসবজি, প্রোটিন খাদ্য, শস্য, দুগ্ধজাত পণ্য, পানীয়, চিনি এবং লবণ ও মসলার দৈনিক গ্রহণের পরিমাণ হিসাব করেছেন। মাইক্রোপ্লাস্টিকের ভর ও ঘনত্বের সঙ্গে কণার সংখ্যা তুলনা করে খাদ্যে প্লাস্টিক কণার মাত্রা ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে এই কণা গ্রহণের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম কম হওয়ায় গত ৫০ বছরে বিশ্বজুড়ে হু হু করে প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার বেড়েছে। এ কারণেই প্লাস্টিক ছোট ছোট কণায় বিভক্ত হয়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক হিসেবে আমাদের আশপাশের পরিবেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সমুদ্রতল থেকে শুরু করে গহিন বন ও খাদ্যশৃঙ্খল—সর্বত্রই প্লাস্টিক ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বাড়ছে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগ, অ্যালার্জি, এন্ডোক্রাইন-ডিসঅর্ডার, ক্যানসার, মানব প্রজননে ব্যাঘাতসহ নানা শারীরিক সমস্যা।
গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতে খাবারের সঙ্গে মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণের মাত্রা ৬৯ দশমিক ১ মিলিগ্রাম আর পাকিস্তানে ৩১ মিলিগ্রাম। এসব দেশে শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে প্লাস্টিক কণা গ্রহণের মাত্রাও একই।
গবেষণায় বলা হয়, খাবারের মাধ্যমে প্লাস্টিক কণা গ্রহণের ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো, যেমন ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং ফিলিপাইন শীর্ষে রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার মানুষ প্রতি মাসে প্রায় ১৫ গ্রাম মাইক্রোপ্লাস্টিক খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করে। এর বেশির ভাগই সামুদ্রিক উৎস থেকে আসা খাবার। যুক্তরাষ্ট্রে খাবারের মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণের মাত্রা তুলনামূলক কম, প্রতি মাসে প্রায় ২ দশমিক ৪ গ্রাম।
শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণের ক্ষেত্রে চীন ও মঙ্গোলিয়া যৌথভাবে শীর্ষে আছে। এ দুই দেশের নাগরিকেরা প্রতি মাসে শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে ২৮ লাখের বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা গ্রহণ করে। এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে যৌথভাবে রয়েছে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড। যুক্তরাষ্ট্র এই তালিকারও নিচের দিকে রয়েছে, প্রতি মাসে প্লাস্টিক কণা গ্রহণের মাত্রা ১০ হাজার ৫০০।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৯৩ শতাংশ প্লাস্টিক বোতলেই রয়েছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই প্লাস্টিকের পুরোনো বোতলে দিনের পর দিন পানি পান ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। প্লাস্টিক ব্যবহারে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০০২ সালে বাংলাদেশ পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা আজ পর্যন্ত পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। বিশ্বে যে পরিমাণ প্লাস্টিক-দূষণ হয়, তার ২ দশমিক ৪৭ শতাংশই হয় বাংলাদেশে।
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক বেলাল হোসেইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই গবেষণা থেকে বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশে কী পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যবহার হচ্ছে। পাটের ব্যাগ ব্যবহারের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। মানুষ প্লাস্টিক বলতে শুধু পলিথিন বোঝে। কিন্তু এখন সবকিছুতে প্লাস্টিক ব্যবহার হচ্ছে। দুধ থেকে শুরু করে বাজারে পাওয়া সব পণ্য প্লাস্টিক মোড়কজাত হচ্ছে। এর থেকে প্লাস্টিক কণা মিশছে খাবারে।
অধ্যাপক বেলাল হোসেইন বলেন, মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে লিভারের রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বাড়ছে। মাইক্রোপ্লাস্টিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে নিতে পারে, প্রজনন স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। হৃদ্রোগীদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকিও দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
প্লাস্টিক-দূষণ বিশ্বজুড়েই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর কারণে হচ্ছে নানা শারীরিক সমস্যা। বাংলাদেশে প্লাস্টিক দূষণ দিনে দিনে আরও প্রকট হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, দেশে খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে প্রতিদিন মানুষের শরীরে ১৭৩ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম মাইক্রোপ্লাস্টিক ঢুকছে। আর শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে গড়ে দিনে শরীরে ঢুকছে ১৭৩ দশমিক ৪টি প্লাস্টিক কণা।
আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি প্রকাশিত সাময়িকী এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি গবেষণা নিবন্ধটি গত এপ্রিলে প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ১০৯টি দেশের তথ্যের ওপর গবেষণাটি করেছেন। খাবারে মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণের মাত্রা নির্ণয়ে তাঁরা জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ফাও) প্রধান খাদ্য বিভাগের মাধ্যমে ফল, শাকসবজি, প্রোটিন খাদ্য, শস্য, দুগ্ধজাত পণ্য, পানীয়, চিনি এবং লবণ ও মসলার দৈনিক গ্রহণের পরিমাণ হিসাব করেছেন। মাইক্রোপ্লাস্টিকের ভর ও ঘনত্বের সঙ্গে কণার সংখ্যা তুলনা করে খাদ্যে প্লাস্টিক কণার মাত্রা ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে এই কণা গ্রহণের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম কম হওয়ায় গত ৫০ বছরে বিশ্বজুড়ে হু হু করে প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার বেড়েছে। এ কারণেই প্লাস্টিক ছোট ছোট কণায় বিভক্ত হয়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক হিসেবে আমাদের আশপাশের পরিবেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সমুদ্রতল থেকে শুরু করে গহিন বন ও খাদ্যশৃঙ্খল—সর্বত্রই প্লাস্টিক ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বাড়ছে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগ, অ্যালার্জি, এন্ডোক্রাইন-ডিসঅর্ডার, ক্যানসার, মানব প্রজননে ব্যাঘাতসহ নানা শারীরিক সমস্যা।
গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতে খাবারের সঙ্গে মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণের মাত্রা ৬৯ দশমিক ১ মিলিগ্রাম আর পাকিস্তানে ৩১ মিলিগ্রাম। এসব দেশে শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে প্লাস্টিক কণা গ্রহণের মাত্রাও একই।
গবেষণায় বলা হয়, খাবারের মাধ্যমে প্লাস্টিক কণা গ্রহণের ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো, যেমন ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং ফিলিপাইন শীর্ষে রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার মানুষ প্রতি মাসে প্রায় ১৫ গ্রাম মাইক্রোপ্লাস্টিক খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করে। এর বেশির ভাগই সামুদ্রিক উৎস থেকে আসা খাবার। যুক্তরাষ্ট্রে খাবারের মাধ্যমে মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণের মাত্রা তুলনামূলক কম, প্রতি মাসে প্রায় ২ দশমিক ৪ গ্রাম।
শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে মাইক্রোপ্লাস্টিক গ্রহণের ক্ষেত্রে চীন ও মঙ্গোলিয়া যৌথভাবে শীর্ষে আছে। এ দুই দেশের নাগরিকেরা প্রতি মাসে শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে ২৮ লাখের বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা গ্রহণ করে। এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে যৌথভাবে রয়েছে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড। যুক্তরাষ্ট্র এই তালিকারও নিচের দিকে রয়েছে, প্রতি মাসে প্লাস্টিক কণা গ্রহণের মাত্রা ১০ হাজার ৫০০।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৯৩ শতাংশ প্লাস্টিক বোতলেই রয়েছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একই প্লাস্টিকের পুরোনো বোতলে দিনের পর দিন পানি পান ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। প্লাস্টিক ব্যবহারে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০০২ সালে বাংলাদেশ পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা আজ পর্যন্ত পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। বিশ্বে যে পরিমাণ প্লাস্টিক-দূষণ হয়, তার ২ দশমিক ৪৭ শতাংশই হয় বাংলাদেশে।
ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক বেলাল হোসেইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই গবেষণা থেকে বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশে কী পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যবহার হচ্ছে। পাটের ব্যাগ ব্যবহারের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। মানুষ প্লাস্টিক বলতে শুধু পলিথিন বোঝে। কিন্তু এখন সবকিছুতে প্লাস্টিক ব্যবহার হচ্ছে। দুধ থেকে শুরু করে বাজারে পাওয়া সব পণ্য প্লাস্টিক মোড়কজাত হচ্ছে। এর থেকে প্লাস্টিক কণা মিশছে খাবারে।
অধ্যাপক বেলাল হোসেইন বলেন, মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে লিভারের রোগ ও ক্যানসারের ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বাড়ছে। মাইক্রোপ্লাস্টিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে নিতে পারে, প্রজনন স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। হৃদ্রোগীদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকিও দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
আমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
৭ ঘণ্টা আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
৭ ঘণ্টা আগেঅবস্থা এমন হয়েছে যে শিশুর যেকোনো জ্বর দেখা দিলেই অভিভাবকেরা ডেঙ্গু জ্বর কি না, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। সব শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা এক রকম নয় এবং সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই।
৭ ঘণ্টা আগেঘুম থেকে উঠেই যে ক্লান্তি আর অলসতা বোধ হয়, তাকে বলে মর্নিং ফ্যাটিগ। পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া সত্ত্বেও এটি ঘটতে পারে। ‘জার্নাল অব পেইন অ্যান্ড সিম্পটম ম্যানেজমেন্ট’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সকালের ক্লান্তির সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকির কারণগুলো হলো...
৭ ঘণ্টা আগে