আলমগীর আলম
আপনি কি জানেন, পুদিনা মস্তিষ্কের সুরক্ষা দিতে এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে?
সতেজ পুদিনাপাতার রস বা চা স্বাদের জন্য দুর্দান্ত। দৈনন্দিন রুটিনে মাত্র এক চামচ পুদিনাপাতার রস খেয়ে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাস রোধ করা সম্ভব।
ডিমেনশিয়া একটি জটিল রোগ। এটি মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের ক্ষতির কারণে হয়। এই ক্ষতির ফলে স্মৃতিশক্তি, চিন্তাশক্তি, ভাষা ব্যবহার এবং দৈনন্দিন কাজ করার ক্ষমতা চলে যায়।
ডিমেনশিয়া কেন হয়
আলঝেইমার রোগ: এটি ডিমেনশিয়ার সাধারণ কারণ। এই রোগে মস্তিষ্কে অ্যামিলয়েড এবং টাউ নামক বিষাক্ত পদার্থ জমে যায়। এর ফলে মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস হয়।
ভাস্কুলার ডিমেনশিয়া: স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের রক্তনালির ব্লক হওয়ার ফলে একধরনের ডিমেনশিয়া হয়।
লেভি বডি ডিমেনশিয়া: এই রোগে মস্তিষ্কের কোষে অস্বাভাবিক প্রোটিন জমে যায়।
ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়া: এই রোগে মস্তিষ্কের সামনের অংশ এবং কপালের অংশের কোষ ধ্বংস হয়।
ডিমেনশিয়ার অন্যান্য কারণের মধ্যে আছে মস্তিষ্কে আঘাত, মস্তিষ্কের টিউমার, হাইড্রোসেফালাস, বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, ভিটামিনের অভাব ইত্যাদি।
ডিমেনশিয়ার লক্ষণ
এখনো ডিমেনশিয়ার নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। তবে কিছু কিছু ওষুধ দিয়ে লক্ষণগুলো অনেকটা কমানো যায়; পাশাপাশি থেরাপি, সামাজিক যোগাযোগ এবং পরিবারের যত্নের মাধ্যমে রোগীর জীবনযাত্রার মান অনেকটা উন্নত করা যায়। যেহেতু ডিমেনশিয়ার চিকিৎসা নেই, তাই এর প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে পুদিনাপাতা হচ্ছে সহজ উপায়।
কীভাবে পুদিনা ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করতে পারে
পুদিনায় মানুষের শরীরের জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যৌগ থাকে। এগুলো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: এতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যেমন রোম্যারিনিক অ্যাসিড। এটি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো আলঝেইমার রোগ এবং ডিমেনশিয়া থেকে মুক্ত থাকতে সহায়তা করে।
মস্তিষ্কের কার্যকলাপ উন্নত করে: নিয়মিত পুদিনা সেবন মস্তিষ্কের কার্যকলাপকে উদ্দীপিত করে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মনকেও সতেজ রাখে।
প্রদাহ কমায়: দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ ডিমেনশিয়ার সঙ্গে যুক্ত। পুদিনার প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য মস্তিষ্কসহ সারা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহের গতি বাড়ায়: পুদিনা রক্তসঞ্চালন উন্নত করে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহে গতি আনে। এই বর্ধিত রক্তসঞ্চালন মস্তিষ্কের কোষগুলো সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং পুষ্টি দেয়।
কীভাবে পুদিনা খাবেন
মস্তিষ্কের প্রতিরক্ষামূলক সুবিধা পেতে প্রচুর পুদিনার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন মাত্র এক চামচ তাজা পুদিনাপাতার রস অথবা ১০ থেকে ১২টি তাজা ও শুকনা পুদিনা যথেষ্ট। চা হিসেবে খাওয়া হোক বা খাবারে—পুদিনাপাতা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে কাজ করে।
প্রতিদিনের ডায়েটে পুদিনাপাতা রাখুন। এটি ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
লেখক: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
আপনি কি জানেন, পুদিনা মস্তিষ্কের সুরক্ষা দিতে এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে?
সতেজ পুদিনাপাতার রস বা চা স্বাদের জন্য দুর্দান্ত। দৈনন্দিন রুটিনে মাত্র এক চামচ পুদিনাপাতার রস খেয়ে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাস রোধ করা সম্ভব।
ডিমেনশিয়া একটি জটিল রোগ। এটি মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের ক্ষতির কারণে হয়। এই ক্ষতির ফলে স্মৃতিশক্তি, চিন্তাশক্তি, ভাষা ব্যবহার এবং দৈনন্দিন কাজ করার ক্ষমতা চলে যায়।
ডিমেনশিয়া কেন হয়
আলঝেইমার রোগ: এটি ডিমেনশিয়ার সাধারণ কারণ। এই রোগে মস্তিষ্কে অ্যামিলয়েড এবং টাউ নামক বিষাক্ত পদার্থ জমে যায়। এর ফলে মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস হয়।
ভাস্কুলার ডিমেনশিয়া: স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের রক্তনালির ব্লক হওয়ার ফলে একধরনের ডিমেনশিয়া হয়।
লেভি বডি ডিমেনশিয়া: এই রোগে মস্তিষ্কের কোষে অস্বাভাবিক প্রোটিন জমে যায়।
ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়া: এই রোগে মস্তিষ্কের সামনের অংশ এবং কপালের অংশের কোষ ধ্বংস হয়।
ডিমেনশিয়ার অন্যান্য কারণের মধ্যে আছে মস্তিষ্কে আঘাত, মস্তিষ্কের টিউমার, হাইড্রোসেফালাস, বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, ভিটামিনের অভাব ইত্যাদি।
ডিমেনশিয়ার লক্ষণ
এখনো ডিমেনশিয়ার নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। তবে কিছু কিছু ওষুধ দিয়ে লক্ষণগুলো অনেকটা কমানো যায়; পাশাপাশি থেরাপি, সামাজিক যোগাযোগ এবং পরিবারের যত্নের মাধ্যমে রোগীর জীবনযাত্রার মান অনেকটা উন্নত করা যায়। যেহেতু ডিমেনশিয়ার চিকিৎসা নেই, তাই এর প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে পুদিনাপাতা হচ্ছে সহজ উপায়।
কীভাবে পুদিনা ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করতে পারে
পুদিনায় মানুষের শরীরের জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যৌগ থাকে। এগুলো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: এতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যেমন রোম্যারিনিক অ্যাসিড। এটি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো আলঝেইমার রোগ এবং ডিমেনশিয়া থেকে মুক্ত থাকতে সহায়তা করে।
মস্তিষ্কের কার্যকলাপ উন্নত করে: নিয়মিত পুদিনা সেবন মস্তিষ্কের কার্যকলাপকে উদ্দীপিত করে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মনকেও সতেজ রাখে।
প্রদাহ কমায়: দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ ডিমেনশিয়ার সঙ্গে যুক্ত। পুদিনার প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য মস্তিষ্কসহ সারা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহের গতি বাড়ায়: পুদিনা রক্তসঞ্চালন উন্নত করে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহে গতি আনে। এই বর্ধিত রক্তসঞ্চালন মস্তিষ্কের কোষগুলো সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং পুষ্টি দেয়।
কীভাবে পুদিনা খাবেন
মস্তিষ্কের প্রতিরক্ষামূলক সুবিধা পেতে প্রচুর পুদিনার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন মাত্র এক চামচ তাজা পুদিনাপাতার রস অথবা ১০ থেকে ১২টি তাজা ও শুকনা পুদিনা যথেষ্ট। চা হিসেবে খাওয়া হোক বা খাবারে—পুদিনাপাতা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে কাজ করে।
প্রতিদিনের ডায়েটে পুদিনাপাতা রাখুন। এটি ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
লেখক: খাদ্যপথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, ইদানীং আশপাশের অনেকে হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। কেউ কেউ এটাকে সিজনাল অ্যালার্জি হিসেবে ধরে নিচ্ছেন। আবার অনেকের ধারণা, বয়সের কারণে হয়তো এসব লেগে থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই সাধারণ উপসর্গগুলো দেখা দিলে তাৎক্ষণিক আরাম পেতে কী করা জরুরি, তা কি আমরা জানি? আবার কখন চিকিৎসা...
৩ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে কিশোরীদের মধ্যে বিষণ্নতার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটায় এবং এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
৩ ঘণ্টা আগে৭০ বছরেও আপনি শারীরিকভাবে কতটা সুস্থ থাকবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করে মধ্য়বয়সে কী খাচ্ছেন তার ওপর। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকদের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগেখাবার কেবল শরীরের জ্বালানি নয়, এটি মনেরও খাদ্য। আমাদের প্রতিদিনের খাবার শুধু পেট ভরায় না, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবেগ, মনোভাব, মানসিক স্থিতি ও একাগ্রতার ওপর। একটা ভালো খাবার যেমন মুখে হাসি এনে দিতে পারে, তেমনি খাওয়ার অনুপযোগী কিছুদিনের আনন্দ কেড়ে নিতে পারে। তাই খাবার হওয়া চাই শরীর ও মনের সঙ্গে...
৩ ঘণ্টা আগে