ডা. মির্জা শরীফুজ্জামান
নারীরা পুরুষের তুলনায় প্রায় ৪ গুণ বেশি থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ থাইরয়েডের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে। আক্রান্ত বেশির ভাগ মানুষই জানে না যে তাদের থাইরয়েডজনিত সমস্যা রয়েছে। ফলে চিকিৎসা না হওয়ায় তৈরি হচ্ছে নানা রকম জটিলতা।
থাইরয়েড গ্রন্থি গলার সামনের দিকে অবস্থিত প্রজাপতি আকৃতির হরমোন গ্রন্থি। এটি থাইরক্সিন ও ট্রাই আয়োডো থাইরোনিন নামের হরমোন তৈরি করে। এই হরমোনগুলো শরীরের যাবতীয় বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। তাই শরীরের প্রায় সব অঙ্গের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এই গ্রন্থি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
থাইরয়েডজনিত রোগ
থাইরয়েড গ্রন্থিতে ত্রুটি দেখা দিলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য-সমস্যা তৈরি হতে পারে। সম্মিলিতভাবে এগুলো থাইরয়েড রোগ নামে পরিচিত।
হরমোন তৈরি ও রক্তে এর পরিমাণসংক্রান্ত
গ্রন্থির গঠন ও আকৃতিবিষয়ক
থাইরয়েড নোডুলস: এগুলো থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা পিণ্ড। যদিও বেশির ভাগ নোডুলস বিপজ্জনক বা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। কিছু নোডুলসে ক্যানসার হতে পারে।
অন্যান্য
প্রদাহজনিত রোগ, জন্মগত ত্রুটি ইত্যাদি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ শতাংশ হাইপো থাইরয়েড, দেড় থেকে ২ শতাংশ হাইপার থাইরয়েডজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। এ ছাড়া প্রায় ৭ শতাংশ নারী ও দেড় শতাংশ পুরুষ গলগণ্ড রোগে আক্রান্ত।
থাইরয়েড রোগের কারণ
থাইরয়েড রোগের লক্ষণ
সাধারণত কারণ অনুযায়ী এই রোগের লক্ষণ ভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
রোগনির্ণয়
থাইরয়েড রোগ নির্ণয়ের জন্য সাধারণত রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তের হরমোন লেভেল পরীক্ষা করা হয়। এগুলো এফটিথ্রি, এফটিফোর ও টিএইচ নামে পরিচিত।
এ ছাড়া প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অটো অ্যান্টিবডি, থাইরয়েড সিন্টিগ্রাফি, আলট্রাসনোগ্রাম ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। আর ক্যানসার সন্দেহ হলে এফএনএসি পরীক্ষা করা হয়।
চিকিৎসা
থাইরয়েড অবস্থার ধরন ও তীব্রতার ওপর নির্ভর করে চিকিৎসাপদ্ধতি নির্ধারিত হয়। হাইপোথাইরয়েডিজমের চিকিৎসায় সাধারণত লেভোথাইরক্সিনের মতো সিনথেটিক থাইরয়েড হরমোন ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসক রোগের তীব্রতা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডোজ নির্ধারণ করবেন। হাইপার থাইরয়েড রোগীর ক্ষেত্রে অ্যান্টি-থাইরয়েড ড্রাগ, রেডিও আয়োডিন থেরাপি অথবা অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। থাইরয়েড নোডুলসের ক্ষেত্রে চিকিৎসা নোডুলসের আকার ও বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে। পর্যবেক্ষণ, থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণের ওষুধ বা অস্ত্রোপচার করা যেতে পারে। থাইরয়েডাইটিসের চিকিৎসার লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করা এবং এতে প্রদাহবিরোধী ওষুধ বা হরমোন থেরাপি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
বিশেষ অবস্থায় থাইরয়েড রোগীর চিকিৎসা
গর্ভাবস্থায় থাইরয়েডজনিত রোগ মা ও শিশু দুজনকে ঝুঁকিতে ফেলে। ফলে গর্ভপাত বা ভূমিষ্ঠ শিশুর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এ জন্য থাইরয়েডের রোগীরা গর্ভধারণের আগে এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট তথা হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং গর্ভাবস্থায় নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকুন।শিশুর জন্মের পর থাইরয়েড পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
ডা. মির্জা শরীফুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক এন্ডোক্রাইনোলজি ও মেটাবলিজম বিভাগ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
নারীরা পুরুষের তুলনায় প্রায় ৪ গুণ বেশি থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ থাইরয়েডের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে। আক্রান্ত বেশির ভাগ মানুষই জানে না যে তাদের থাইরয়েডজনিত সমস্যা রয়েছে। ফলে চিকিৎসা না হওয়ায় তৈরি হচ্ছে নানা রকম জটিলতা।
থাইরয়েড গ্রন্থি গলার সামনের দিকে অবস্থিত প্রজাপতি আকৃতির হরমোন গ্রন্থি। এটি থাইরক্সিন ও ট্রাই আয়োডো থাইরোনিন নামের হরমোন তৈরি করে। এই হরমোনগুলো শরীরের যাবতীয় বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। তাই শরীরের প্রায় সব অঙ্গের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এই গ্রন্থি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
থাইরয়েডজনিত রোগ
থাইরয়েড গ্রন্থিতে ত্রুটি দেখা দিলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য-সমস্যা তৈরি হতে পারে। সম্মিলিতভাবে এগুলো থাইরয়েড রোগ নামে পরিচিত।
হরমোন তৈরি ও রক্তে এর পরিমাণসংক্রান্ত
গ্রন্থির গঠন ও আকৃতিবিষয়ক
থাইরয়েড নোডুলস: এগুলো থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা পিণ্ড। যদিও বেশির ভাগ নোডুলস বিপজ্জনক বা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। কিছু নোডুলসে ক্যানসার হতে পারে।
অন্যান্য
প্রদাহজনিত রোগ, জন্মগত ত্রুটি ইত্যাদি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ শতাংশ হাইপো থাইরয়েড, দেড় থেকে ২ শতাংশ হাইপার থাইরয়েডজনিত সমস্যায় আক্রান্ত। এ ছাড়া প্রায় ৭ শতাংশ নারী ও দেড় শতাংশ পুরুষ গলগণ্ড রোগে আক্রান্ত।
থাইরয়েড রোগের কারণ
থাইরয়েড রোগের লক্ষণ
সাধারণত কারণ অনুযায়ী এই রোগের লক্ষণ ভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
রোগনির্ণয়
থাইরয়েড রোগ নির্ণয়ের জন্য সাধারণত রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তের হরমোন লেভেল পরীক্ষা করা হয়। এগুলো এফটিথ্রি, এফটিফোর ও টিএইচ নামে পরিচিত।
এ ছাড়া প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অটো অ্যান্টিবডি, থাইরয়েড সিন্টিগ্রাফি, আলট্রাসনোগ্রাম ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। আর ক্যানসার সন্দেহ হলে এফএনএসি পরীক্ষা করা হয়।
চিকিৎসা
থাইরয়েড অবস্থার ধরন ও তীব্রতার ওপর নির্ভর করে চিকিৎসাপদ্ধতি নির্ধারিত হয়। হাইপোথাইরয়েডিজমের চিকিৎসায় সাধারণত লেভোথাইরক্সিনের মতো সিনথেটিক থাইরয়েড হরমোন ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসক রোগের তীব্রতা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডোজ নির্ধারণ করবেন। হাইপার থাইরয়েড রোগীর ক্ষেত্রে অ্যান্টি-থাইরয়েড ড্রাগ, রেডিও আয়োডিন থেরাপি অথবা অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। থাইরয়েড নোডুলসের ক্ষেত্রে চিকিৎসা নোডুলসের আকার ও বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে। পর্যবেক্ষণ, থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণের ওষুধ বা অস্ত্রোপচার করা যেতে পারে। থাইরয়েডাইটিসের চিকিৎসার লক্ষণগুলো পর্যবেক্ষণ করা এবং এতে প্রদাহবিরোধী ওষুধ বা হরমোন থেরাপি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
বিশেষ অবস্থায় থাইরয়েড রোগীর চিকিৎসা
গর্ভাবস্থায় থাইরয়েডজনিত রোগ মা ও শিশু দুজনকে ঝুঁকিতে ফেলে। ফলে গর্ভপাত বা ভূমিষ্ঠ শিশুর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এ জন্য থাইরয়েডের রোগীরা গর্ভধারণের আগে এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট তথা হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং গর্ভাবস্থায় নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকুন।শিশুর জন্মের পর থাইরয়েড পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
ডা. মির্জা শরীফুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক এন্ডোক্রাইনোলজি ও মেটাবলিজম বিভাগ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৩ দিন আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
৪ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
৪ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৬ দিন আগে