ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম
শীতকালে তাপমাত্রা কমার প্রভাব পড়ে আমাদের জীবনযাত্রার ওপর। লেপের উষ্ণতা ছেড়ে সকালবেলা শরীরচর্চার জন্য ঘুম থেকে উঠতে চায় না কেউই। সেই সঙ্গে আছে পিঠা-পুলির মতো শীতের বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের প্রলোভন। ফলে এ সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের হাত থেকে বাঁচতে পরামর্শগুলো মেনে চলুন।
শরীরচর্চা
ডায়াবেটিসের রোগীদের প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ঘাম ঝরিয়ে জোরে জোরে হাঁটতে হবে অথবা ব্যায়াম করতে হয়। শীতকালে সকালে ঘুম থেকে উঠতে যদি কষ্ট হয় কিংবা যাঁদের শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা আছে, তাঁরা বিকেলে অথবা সকালেও হাঁটতে পারেন। হাঁটা বা শরীরচর্চা শরীরের ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়াবে। এর ফলে কম ওষুধেই ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অনেক সময় ওষুধ বা ইনসুলিন ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে।
খাবার-দাবার
ডায়াবেটিসের রোগীদের শর্করাজাতীয় খাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। তিন বেলার খাবার ভেঙে অল্প অল্প করে ছয় বেলা খেতে হবে। চিনি, মিষ্টি, গুড় খুব দ্রুত রক্তে মিশে যায় এবং ব্লাডসুগার বাড়ায় বলে এগুলো এড়িয়ে যেতে হবে। যদি শীতের পিঠা বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ও ইনসুলিনের ডোজ একটু বাড়িয়ে দিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া চিনির বিকল্প যে আর্টিফিশিয়াল সুইটনার আছে, সেগুলো দিয়েও মিষ্টিজাতীয় খাবার বানিয়ে খেতে পারেন। শীতকালীন সবজির মধ্যে আলু পরিমাণমতো খেলে বা এড়িয়ে চলে অন্য সবজিগুলো খেতে পারবেন।
এক দিন চার বেলা ডায়াবেটিস মেপে লিখে রাখা উচিত। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিন। তিন মাস পরপর ল্যাবে ডায়াবেটিস ও কিছু রুটিন পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম খেতে ডায়াবেটিসের রোগীদের কোনো বাধা নেই। কিডনির সমস্যা থাকলে ডাল এবং চিনিজাতীয় খাবার পরিমাণমতো খাবেন। যাঁদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে তাঁরা ফুলকপি, বাঁধাকপি রান্না করে খেতে সমস্যা নেই। শীতকালে বিভিন্ন সবজি পাওয়া যায়। ভাত-ডালসহ যেকোনো ধরনের শর্করা কম খেয়ে সবজি দিয়ে তৈরি খাবার বেশি পরিমাণে খেতে পারেন। যথাযথ খাদ্যতালিকার জন্য পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
পর্যাপ্ত ঘুমান
পর্যাপ্ত ঘুম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হয়। রাতজাগা যাবে না।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
শীতকালে তাপমাত্রা কমার প্রভাব পড়ে আমাদের জীবনযাত্রার ওপর। লেপের উষ্ণতা ছেড়ে সকালবেলা শরীরচর্চার জন্য ঘুম থেকে উঠতে চায় না কেউই। সেই সঙ্গে আছে পিঠা-পুলির মতো শীতের বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের প্রলোভন। ফলে এ সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের হাত থেকে বাঁচতে পরামর্শগুলো মেনে চলুন।
শরীরচর্চা
ডায়াবেটিসের রোগীদের প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ঘাম ঝরিয়ে জোরে জোরে হাঁটতে হবে অথবা ব্যায়াম করতে হয়। শীতকালে সকালে ঘুম থেকে উঠতে যদি কষ্ট হয় কিংবা যাঁদের শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির সমস্যা আছে, তাঁরা বিকেলে অথবা সকালেও হাঁটতে পারেন। হাঁটা বা শরীরচর্চা শরীরের ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়াবে। এর ফলে কম ওষুধেই ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অনেক সময় ওষুধ বা ইনসুলিন ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে।
খাবার-দাবার
ডায়াবেটিসের রোগীদের শর্করাজাতীয় খাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। তিন বেলার খাবার ভেঙে অল্প অল্প করে ছয় বেলা খেতে হবে। চিনি, মিষ্টি, গুড় খুব দ্রুত রক্তে মিশে যায় এবং ব্লাডসুগার বাড়ায় বলে এগুলো এড়িয়ে যেতে হবে। যদি শীতের পিঠা বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ও ইনসুলিনের ডোজ একটু বাড়িয়ে দিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া চিনির বিকল্প যে আর্টিফিশিয়াল সুইটনার আছে, সেগুলো দিয়েও মিষ্টিজাতীয় খাবার বানিয়ে খেতে পারেন। শীতকালীন সবজির মধ্যে আলু পরিমাণমতো খেলে বা এড়িয়ে চলে অন্য সবজিগুলো খেতে পারবেন।
এক দিন চার বেলা ডায়াবেটিস মেপে লিখে রাখা উচিত। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিন। তিন মাস পরপর ল্যাবে ডায়াবেটিস ও কিছু রুটিন পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম খেতে ডায়াবেটিসের রোগীদের কোনো বাধা নেই। কিডনির সমস্যা থাকলে ডাল এবং চিনিজাতীয় খাবার পরিমাণমতো খাবেন। যাঁদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে তাঁরা ফুলকপি, বাঁধাকপি রান্না করে খেতে সমস্যা নেই। শীতকালে বিভিন্ন সবজি পাওয়া যায়। ভাত-ডালসহ যেকোনো ধরনের শর্করা কম খেয়ে সবজি দিয়ে তৈরি খাবার বেশি পরিমাণে খেতে পারেন। যথাযথ খাদ্যতালিকার জন্য পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
পর্যাপ্ত ঘুমান
পর্যাপ্ত ঘুম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হয়। রাতজাগা যাবে না।
লেখক: হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ব্যথা উপশম এবং প্রদাহ কমানোর জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকারের কথা বলতে গেলে অ্যাসপিরিনের মতো ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধের তুলনায় লবঙ্গ কম নয়। এটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে বলে অনেকে মত দিচ্ছেন এখন। লবঙ্গ একটি ছোট্ট, কিন্তু শক্তিশালী মসলা। এটি শত শত বছর ধরে বিশ্বব্যাপী রান্নার কাজে...
১ দিন আগে৩-৪ মাস আগে থেকে আমার মাসিক চলাকালীন স্তনের পাশে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। আমার বয়স ৩৩ বছর। এর আগে কখনো এমন সমস্যা হয়নি। আমার একটি সন্তান আছে। তার বয়স ৭ বছর। অর্থাৎ আমার ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের বিষয় নেই এখন। হঠাৎ করে ব্যথা হওয়ায় কী করব বুঝতে পারছি না...
১ দিন আগেকাঁধে ব্যথার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম রোটেটর কাফ সিনড্রোম। এর একটি অংশ হলো ফ্রোজেন শোল্ডার...
১ দিন আগেঅনেকের ধারণা, শুধু গরমকালে পানিশূন্যতা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শীতকালেও ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানির অভাব হতে পারে। শীতের শুরুতে আমরা নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হই, যেমন ত্বক বা চুলের সমস্যা এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা। এর মধ্যে অন্যতম পানিশূন্যতা, যা শীতকালে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়।
১ দিন আগে