ডা. মো. আরমান হোসেন রনি
ক্যানসার শব্দটির সঙ্গে কমবেশি আমরা সবাই পরিচিত। এটি শরীরের যেকোনো অঙ্গে হতে পারে। চোখের যেকোনো অংশে ক্যানসার হতে পারে। চোখের চারপাশের সুস্থ কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেলে টিউমার হয়ে চোখে ক্যানসার হতে পারে। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি—চোখের ক্যানসার এ দুই ধরনের হতে পারে।
প্রাইমারি ক্যানসার: চোখের প্রাইমারি ক্যানসার শুধু চোখের কিছু অংশে প্রাথমিকভাবে বিকশিত হয়। সাধারণত শিশুদের মধ্যে রেটিনোব্লাস্টোমা ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কোরয়ডাল মেলানোমা, চোখের পাতায় ম্যালিগন্যান্ট টিউমার ইত্যাদি হয়ে থাকে। রেটিনোব্লাস্টোমা হলো চোখের এমন একটি ক্যানসার, যা সাধারণত ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের বেশি হয়। এ রোগে চোখের রেটিনার কোষগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তবে আশার কথা, সময়মতো চিকিৎসার মাধ্যমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায়।
কোরয়ডাল মেলানোমা প্রাপ্তবয়স্কদের চোখের ক্যানসারের প্রাথমিক রূপ। প্রতি মিলিয়নে পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক এ রোগে আক্রান্ত হন।
সেকেন্ডারি ক্যানসার: এটি শরীরের অন্য কিছু অংশে শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত চোখের ওপরেও প্রভাব ফেলে। সাধারণত পুরুষদের ফুসফুসের ক্যানসার ও নারীদের স্তন ক্যানসার থেকে হয়। এ ছাড়া প্রোস্টেট, কিডনি এবং থাইরয়েড থেকেও চোখের ক্যানসার হতে পারে।
রোগের কারণ
চোখের ক্যানসারের মূল কারণ খুব স্পষ্ট নয়। তবে পারিবারিক ইতিহাস, অত্যধিক অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসা, চোখের মণির নীল রং ইত্যাদি চোখের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
উপসর্গ
চোখের ক্যানসারের যেসব লক্ষণ দেখা যায়, সেগুলো প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে বিপরীত। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ঝাপসা দৃষ্টি, আইরিশের রং পরিবর্তন, আলোর ঝলকানি, অস্পষ্ট রেখা, ভাসমান বস্তু দেখা, চোখের আইরিশের কালো দাগ, চোখ ফুলে যাওয়া, চোখে ব্যথা এবং লাল হওয়া সাধারণ লক্ষণ।
চিকিৎসা
এ রোগের চিকিৎসা করা যায় তিনটি উপায়ে—অপারেশন, কেমো ও রেডিওথেরাপি। ক্যানসারের ধরন, আকার ও তীব্রতা এবং রোগীর স্বাস্থ্য, বয়স ও ফিটনেসের ওপর চিকিৎসার পদ্ধতি নির্ভর করে।
চোখের ক্যানসার প্রাণঘাতী রোগ। এ রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত নিরাময় সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করালে ক্যানসার সেরে যেতে পারে কিংবা একে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
ডা. মো. আরমান হোসেন রনি, কনসালট্যান্ট (চক্ষু), দীন মোহাম্মদ আই হসপিটাল, সোবহানবাগ, ঢাকা
ক্যানসার শব্দটির সঙ্গে কমবেশি আমরা সবাই পরিচিত। এটি শরীরের যেকোনো অঙ্গে হতে পারে। চোখের যেকোনো অংশে ক্যানসার হতে পারে। চোখের চারপাশের সুস্থ কোষ অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেলে টিউমার হয়ে চোখে ক্যানসার হতে পারে। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি—চোখের ক্যানসার এ দুই ধরনের হতে পারে।
প্রাইমারি ক্যানসার: চোখের প্রাইমারি ক্যানসার শুধু চোখের কিছু অংশে প্রাথমিকভাবে বিকশিত হয়। সাধারণত শিশুদের মধ্যে রেটিনোব্লাস্টোমা ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে কোরয়ডাল মেলানোমা, চোখের পাতায় ম্যালিগন্যান্ট টিউমার ইত্যাদি হয়ে থাকে। রেটিনোব্লাস্টোমা হলো চোখের এমন একটি ক্যানসার, যা সাধারণত ছয় বছরের কম বয়সী শিশুদের বেশি হয়। এ রোগে চোখের রেটিনার কোষগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তবে আশার কথা, সময়মতো চিকিৎসার মাধ্যমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায়।
কোরয়ডাল মেলানোমা প্রাপ্তবয়স্কদের চোখের ক্যানসারের প্রাথমিক রূপ। প্রতি মিলিয়নে পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ক এ রোগে আক্রান্ত হন।
সেকেন্ডারি ক্যানসার: এটি শরীরের অন্য কিছু অংশে শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত চোখের ওপরেও প্রভাব ফেলে। সাধারণত পুরুষদের ফুসফুসের ক্যানসার ও নারীদের স্তন ক্যানসার থেকে হয়। এ ছাড়া প্রোস্টেট, কিডনি এবং থাইরয়েড থেকেও চোখের ক্যানসার হতে পারে।
রোগের কারণ
চোখের ক্যানসারের মূল কারণ খুব স্পষ্ট নয়। তবে পারিবারিক ইতিহাস, অত্যধিক অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসা, চোখের মণির নীল রং ইত্যাদি চোখের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
উপসর্গ
চোখের ক্যানসারের যেসব লক্ষণ দেখা যায়, সেগুলো প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে বিপরীত। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ঝাপসা দৃষ্টি, আইরিশের রং পরিবর্তন, আলোর ঝলকানি, অস্পষ্ট রেখা, ভাসমান বস্তু দেখা, চোখের আইরিশের কালো দাগ, চোখ ফুলে যাওয়া, চোখে ব্যথা এবং লাল হওয়া সাধারণ লক্ষণ।
চিকিৎসা
এ রোগের চিকিৎসা করা যায় তিনটি উপায়ে—অপারেশন, কেমো ও রেডিওথেরাপি। ক্যানসারের ধরন, আকার ও তীব্রতা এবং রোগীর স্বাস্থ্য, বয়স ও ফিটনেসের ওপর চিকিৎসার পদ্ধতি নির্ভর করে।
চোখের ক্যানসার প্রাণঘাতী রোগ। এ রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত নিরাময় সম্ভব। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করালে ক্যানসার সেরে যেতে পারে কিংবা একে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
ডা. মো. আরমান হোসেন রনি, কনসালট্যান্ট (চক্ষু), দীন মোহাম্মদ আই হসপিটাল, সোবহানবাগ, ঢাকা
একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, ইদানীং আশপাশের অনেকে হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। কেউ কেউ এটাকে সিজনাল অ্যালার্জি হিসেবে ধরে নিচ্ছেন। আবার অনেকের ধারণা, বয়সের কারণে হয়তো এসব লেগে থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই সাধারণ উপসর্গগুলো দেখা দিলে তাৎক্ষণিক আরাম পেতে কী করা জরুরি, তা কি আমরা জানি? আবার কখন চিকিৎসা...
৫ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে কিশোরীদের মধ্যে বিষণ্নতার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটায় এবং এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
৫ ঘণ্টা আগে৭০ বছরেও আপনি শারীরিকভাবে কতটা সুস্থ থাকবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করে মধ্য়বয়সে কী খাচ্ছেন তার ওপর। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকদের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগেখাবার কেবল শরীরের জ্বালানি নয়, এটি মনেরও খাদ্য। আমাদের প্রতিদিনের খাবার শুধু পেট ভরায় না, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবেগ, মনোভাব, মানসিক স্থিতি ও একাগ্রতার ওপর। একটা ভালো খাবার যেমন মুখে হাসি এনে দিতে পারে, তেমনি খাওয়ার অনুপযোগী কিছুদিনের আনন্দ কেড়ে নিতে পারে। তাই খাবার হওয়া চাই শরীর ও মনের সঙ্গে...
৫ ঘণ্টা আগে