ডা. মো. আরমান বিন আজিজ
চোখে ছানি পড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে একটি স্বাভাবিক পরিবর্তন। যেকোনো বয়সেই চোখের ছানির সমস্যা হতে পারে। তবে বয়স্ক ব্যক্তিদের এই রোগ বেশি হয়। যখন চোখে ছানি পড়বে, তখন আপনার চারপাশের সবকিছুই ম্লান হয়ে আসবে, সবকিছুই অস্পষ্ট বা কুয়াশাচ্ছন্ন দেখবেন। সাধারণত আমরা যাকে চোখে ‘পর্দা পড়া’ বলে থাকি, সেটিই ছানি পড়া। সারা বিশ্বে অন্ধত্বের অন্যতম কারণ এটি। চোখের ছানি দুই ধরনের—অর্জিত ও জন্মগত। শিশুদের ক্ষেত্রে ছানি রোগের কারণে চোখ ট্যারা হয়ে যেতে পারে।
চোখে ছানি পড়ার লক্ষণ
ছানি রোগ কেন হয়
বয়সজনিত কারণে লেন্সের গঠনগত পরিবর্তন ছানি রোগের প্রধান কারণ। এ ছাড়া চোখের আঘাত, ঘন ঘন চোখের প্রদাহ, অপুষ্টি, অনিয়ন্ত্রিত স্টেরয়েড বা হরমোন থেরাপি, ধূমপান ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ইত্যাদি ছানি রোগের কারণ।
প্রতিরোধে করণীয়
বয়সজনিত পরিবর্তনের কারণে চোখে ছানি হয় বলে এটি প্রতিরোধে তেমন কিছু করার নেই। তবে নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, চোখের প্রদাহের দ্রুত চিকিৎসা, অনিয়ন্ত্রিত হরমোনজাতীয় ওষুধ ও ধূমপান বর্জনের মাধ্যমে ছানি রোগের আশঙ্কা কমিয়ে আনা যায়।
চিকিৎসা
ছানি পড়লে একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অস্বচ্ছ লেন্সের বদলে কৃত্রিম লেন্স বসিয়ে দেওয়া হয়। সময়মতো অস্ত্রোপচার না করলে অন্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আশার কথা, ছানি পড়া ছাড়া চোখের রেটিনা ও ভিট্রিয়াসে যদি আর কোনো সমস্যা না থাকে, তাহলে অপারেশনের মাধ্যমে আবার আগের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা অনেকাংশেই সম্ভব।
ছানি দূর করার সহজ উপায়
আপনার চোখের সার্বিক সুস্থ থাকা কিছু পুষ্টির ওপর নির্ভর করে। ভিটামিন এ, সি, ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারটিনয়েড, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এগুলো আপনার চোখের দৃষ্টি সাবলীল রাখতে সাহায্য করবে। খাদ্যাভ্যাসে কিছু পুষ্টিকর খাবার রাখলে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার চোখের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারবে।
নিয়মিত রসুন, কাঁচা সবজির সালাদ, যেকোনো সবুজ শাক, বিশেষ করে পালং ও কচুশাক, দুধ, কাজুবাদাম, গ্রিন টি, গমের কচি চারা, জাম বা বেরিজাতীয় ফল, পেঁপে এবং ভিটামিন সি-জাতীয় ফলমূল খেতে হবে। তাতে চোখ সুস্থ থাকবে। ছানি পড়ার আশঙ্কা কমে যাবে।
লেখক: সাবেক ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও প্রশিক্ষক, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
চোখে ছানি পড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে একটি স্বাভাবিক পরিবর্তন। যেকোনো বয়সেই চোখের ছানির সমস্যা হতে পারে। তবে বয়স্ক ব্যক্তিদের এই রোগ বেশি হয়। যখন চোখে ছানি পড়বে, তখন আপনার চারপাশের সবকিছুই ম্লান হয়ে আসবে, সবকিছুই অস্পষ্ট বা কুয়াশাচ্ছন্ন দেখবেন। সাধারণত আমরা যাকে চোখে ‘পর্দা পড়া’ বলে থাকি, সেটিই ছানি পড়া। সারা বিশ্বে অন্ধত্বের অন্যতম কারণ এটি। চোখের ছানি দুই ধরনের—অর্জিত ও জন্মগত। শিশুদের ক্ষেত্রে ছানি রোগের কারণে চোখ ট্যারা হয়ে যেতে পারে।
চোখে ছানি পড়ার লক্ষণ
ছানি রোগ কেন হয়
বয়সজনিত কারণে লেন্সের গঠনগত পরিবর্তন ছানি রোগের প্রধান কারণ। এ ছাড়া চোখের আঘাত, ঘন ঘন চোখের প্রদাহ, অপুষ্টি, অনিয়ন্ত্রিত স্টেরয়েড বা হরমোন থেরাপি, ধূমপান ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ইত্যাদি ছানি রোগের কারণ।
প্রতিরোধে করণীয়
বয়সজনিত পরিবর্তনের কারণে চোখে ছানি হয় বলে এটি প্রতিরোধে তেমন কিছু করার নেই। তবে নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, চোখের প্রদাহের দ্রুত চিকিৎসা, অনিয়ন্ত্রিত হরমোনজাতীয় ওষুধ ও ধূমপান বর্জনের মাধ্যমে ছানি রোগের আশঙ্কা কমিয়ে আনা যায়।
চিকিৎসা
ছানি পড়লে একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অস্বচ্ছ লেন্সের বদলে কৃত্রিম লেন্স বসিয়ে দেওয়া হয়। সময়মতো অস্ত্রোপচার না করলে অন্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আশার কথা, ছানি পড়া ছাড়া চোখের রেটিনা ও ভিট্রিয়াসে যদি আর কোনো সমস্যা না থাকে, তাহলে অপারেশনের মাধ্যমে আবার আগের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা অনেকাংশেই সম্ভব।
ছানি দূর করার সহজ উপায়
আপনার চোখের সার্বিক সুস্থ থাকা কিছু পুষ্টির ওপর নির্ভর করে। ভিটামিন এ, সি, ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারটিনয়েড, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এগুলো আপনার চোখের দৃষ্টি সাবলীল রাখতে সাহায্য করবে। খাদ্যাভ্যাসে কিছু পুষ্টিকর খাবার রাখলে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার চোখের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারবে।
নিয়মিত রসুন, কাঁচা সবজির সালাদ, যেকোনো সবুজ শাক, বিশেষ করে পালং ও কচুশাক, দুধ, কাজুবাদাম, গ্রিন টি, গমের কচি চারা, জাম বা বেরিজাতীয় ফল, পেঁপে এবং ভিটামিন সি-জাতীয় ফলমূল খেতে হবে। তাতে চোখ সুস্থ থাকবে। ছানি পড়ার আশঙ্কা কমে যাবে।
লেখক: সাবেক ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও প্রশিক্ষক, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, ইদানীং আশপাশের অনেকে হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। কেউ কেউ এটাকে সিজনাল অ্যালার্জি হিসেবে ধরে নিচ্ছেন। আবার অনেকের ধারণা, বয়সের কারণে হয়তো এসব লেগে থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই সাধারণ উপসর্গগুলো দেখা দিলে তাৎক্ষণিক আরাম পেতে কী করা জরুরি, তা কি আমরা জানি? আবার কখন চিকিৎসা...
৬ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে কিশোরীদের মধ্যে বিষণ্নতার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটায় এবং এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
৬ ঘণ্টা আগে৭০ বছরেও আপনি শারীরিকভাবে কতটা সুস্থ থাকবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করে মধ্য়বয়সে কী খাচ্ছেন তার ওপর। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকদের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে।
৬ ঘণ্টা আগেখাবার কেবল শরীরের জ্বালানি নয়, এটি মনেরও খাদ্য। আমাদের প্রতিদিনের খাবার শুধু পেট ভরায় না, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবেগ, মনোভাব, মানসিক স্থিতি ও একাগ্রতার ওপর। একটা ভালো খাবার যেমন মুখে হাসি এনে দিতে পারে, তেমনি খাওয়ার অনুপযোগী কিছুদিনের আনন্দ কেড়ে নিতে পারে। তাই খাবার হওয়া চাই শরীর ও মনের সঙ্গে...
৬ ঘণ্টা আগে