কারও কারও করোনা দীর্ঘদিন থাকার কারণ খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪, ১৯: ২০
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৪, ১৯: ২৭

করোনায় আক্রান্ত হলে সাধারণত দুই সপ্তাহের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যান বেশির ভাগ মানুষ। কারও কারও ক্ষেত্রে এর কিছু বেশি সময়ও লাগে। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন, আক্রান্ত হওয়ার দীর্ঘদিন পরও যাদের শরীরে করোনার উপসর্গগুলো রয়ে গেছে। অনেক দিন ধরেই এর কারণ জানার চেষ্টা করছিলেন গবেষকেরা। অবশেষে কারণটি খুঁজে পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষায়। সম্প্রতি নেচার ইমিউনোলজিতে এই সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয়েছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ করোনার মূল কারণ হিসেবে শরীরে আয়রনের ঘাটতিকে চিহ্নিত করেছেন ক্যামব্রিজ গবেষকেরা। তাঁদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আয়রনের ঘাটতি শুধু শরীরের প্রদাহ এবং রক্তস্বল্পতাই বাড়ায় না—এটি করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর স্বাস্থ্যকর লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদনকেও বাধাগ্রস্ত করে।

সম্প্রতি জানা গেছে, আক্রান্ত হওয়ার দীর্ঘদিন পরও যারা করোনার উপসর্গ বহন করছেন তাঁদের মস্তিষ্কে এক ধরনের গুমোট অবস্থা থেকে শুরু করে আইকিউ লেবেল বা জ্ঞান-বুদ্ধি কমে যাওয়ার প্রমাণও পাওয়া গেছে।

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা বলছে, কোভিড ভাইরাসে আক্রান্ত প্রতি ১০ জনের মধ্যে আয়রন ঘাটতির কারণে অন্তত ৩ জন দীর্ঘ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, শুধুমাত্র আমেরিকায় প্রতি বছর গড়ে ৩০ লাখ মানুষ আয়রন ঘাটতি বা অ্যানিমিয়ার চিকিৎসা নেন।

গবেষণাটির সহ-লেখক হ্যাল ড্রেকস্মিথ জানান, শরীরে যখন সংক্রমণ হয়, তখন এটি রক্ত প্রবাহ থেকে আয়রন অপসারণ করে প্রতিক্রিয়া জানায়। আর যখন এটি দীর্ঘ সময় ধরে ঘটে তখন আয়রনের অভাবের ফলে শরীরে অক্সিজেন প্রবাহে জটিলতার সৃষ্টি হয় এবং এটি বিপাক ও শক্তি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

গবেষণায় এক বছরের বেশি সময় ধরে রক্তের নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে—গুরুতর কিংবা হালকা কোভিড উভয় ক্ষেত্রেই রোগীদের রক্তের মধ্যে একই ধরনের ব্যাপার ঘটে।

গবেষক ড. আইমি হ্যানসন জানিয়েছেন, কয়েক মাস পরও যাদের শরীরে করোনা থেকে গিয়েছিল তাঁদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের শুরুতেই শরীরের আয়রন ও এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল এবং এটি পুনরুদ্ধার করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে।

এ অবস্থায় আয়রন সাপ্লিমেন্ট দিয়ে বিষয়টির মোকাবিলার চেষ্টা জটিল হতে পারে বলেও মত দিয়েছেন হ্যানসন। তবে দীর্ঘ কোভিড চিকিৎসা উন্নত করার উপায় হিসাবে নতুন তথ্য ব্যবহার করে বিশেষজ্ঞরা আয়রনের স্তরের ওপর প্রভাব কমাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আক্রমণাত্মক প্রদাহ নিয়ন্ত্রণের দিকে নজর দিচ্ছেন। হ্যানসন বলেন, ‘বিষয়টি এমন নয় যে, রোগীদের শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন নেই, আসলে এটি ভুল জায়গায় আটকে আছে।’

হ্যানসন আরও বলেন, ‘আয়রনকে পুনরুদ্ধার এবং এটিকে রক্তের প্রবাহে ফিরিয়ে আনার একটি উপায় দরকার আমাদের। যেখানে এটি লোহিত রক্তকণিকার জন্য আরও কার্যকর হয়ে ওঠে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত