অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী
ইতালিয়ান সোসাইটি অব ইন্টারনাল মেডিসিন কিছু স্বাস্থ্য পরামর্শ দিল আর তা এল এর সভাপতি জিওরগিও সাস্তির মাধ্যমে। আর এ সোসাইটি পৃথিবীর প্রাচীনতম মেডিকেল সোসাইটিও বটে।
পরামর্শ
১. টেবিলে থাকা খাবারের পরিমাণ নজরে আনুন। আমাদের ডায়েটিং করার দরকার নেই; কিন্তু দেখতে হবে আনুপাতিক খাবারের পরিমাণ যেন পরিমিত হয়।
যা-ই খান, পরিমিত খান।
২. নিজের দেহের ওজন পরখ করে দেখুন। সপ্তায় এক দিন দেহের ওজন মাপুন আর মেপে নিন কোমরের মাপ। পুরুষের কোমরের মাপ ৯৪ সেন্টিমিটার আর নারীদের যেন ৮০ সেন্টিমিটারের বেশি না হয়। তলপেটে মেদ আর অতিভার দেহ এবং স্থূলতা হলো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ফ্যাটি লিভার, হৃদ্রোগ আর ক্যানসারের বড় ঝুঁকি।
৩. সুস্বাস্থ্য নির্মাণে এক্সট্রা ভার্জিন স্যাচুরেটেড চর্বি খাওয়া কমান। যেমন লাল মাংস, পনির ইত্যাদি। বাড়ান ফল, সবজি, হোল গ্রেইন, ডাল ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস। বাড়ান অল্প পরিমাণ দামি খাবার বাদাম, বীজ, অলিভ তেল।
বীজে আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। লবন আর নোনা খাবার খাওয়া কমান। চিনি বা মিষ্টি, কোমল পানীয় গ্রহণ কমান। প্রচুর পানি পান করুন।
৫. এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ তেল গ্রহণ উপকারী, যদিও আমাদের দেশে সাধারণের মধ্যে এর তেমন প্রচলন নেই। এই তেল ব্যয়বহুল, তবে এর আছে হিতকরী গুণ। এটি বাড়ায় ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল আর কমায় মন্দ কোলেস্টেরল এলডিএল। বার্ধক্যের ওপর আছে ইতিবাচক প্রভাব। আর এতে প্রভাব পড়ে আলঝেইমার রোগ, বৌদ্ধিক অধোগতির ওপর।
৬. শরীর চলমান হবে ব্যায়ামে। সপ্তায় অন্তত ১৫০ মিনিট দ্রুত হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানোর মতো ব্যায়াম করুন। দড়ি লাফ বাড়তি ক্যালরি ঝরায় আর হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, পেশির শক্তি বাড়ায়, রক্তচাপ ও রক্তের সুগার কমায় আর বাড়ায় ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল।
৭. রক্তের সুগার মেপে ডায়াবেটিসের মাত্রা জেনে নিন।
৮. রক্তচাপ নিয়মিত মাপতে হবে। রক্তচাপ ১৪০/৯০ হলে পরামর্শ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে।
৯. ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ছাড়ুন। আর অবশ্যই সব ধরনের তামাকজাত পণ্য ব্যবহার ছাড়ুন।
১০. ওষুধ দেওয়া হলে খাবেন নিয়মিত, চিকিৎসকের পরামর্শমতো। অ্যান্টিবায়োটিক আর পেইনকিলার খাবেন না নিজে নিজে।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
ইতালিয়ান সোসাইটি অব ইন্টারনাল মেডিসিন কিছু স্বাস্থ্য পরামর্শ দিল আর তা এল এর সভাপতি জিওরগিও সাস্তির মাধ্যমে। আর এ সোসাইটি পৃথিবীর প্রাচীনতম মেডিকেল সোসাইটিও বটে।
পরামর্শ
১. টেবিলে থাকা খাবারের পরিমাণ নজরে আনুন। আমাদের ডায়েটিং করার দরকার নেই; কিন্তু দেখতে হবে আনুপাতিক খাবারের পরিমাণ যেন পরিমিত হয়।
যা-ই খান, পরিমিত খান।
২. নিজের দেহের ওজন পরখ করে দেখুন। সপ্তায় এক দিন দেহের ওজন মাপুন আর মেপে নিন কোমরের মাপ। পুরুষের কোমরের মাপ ৯৪ সেন্টিমিটার আর নারীদের যেন ৮০ সেন্টিমিটারের বেশি না হয়। তলপেটে মেদ আর অতিভার দেহ এবং স্থূলতা হলো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ফ্যাটি লিভার, হৃদ্রোগ আর ক্যানসারের বড় ঝুঁকি।
৩. সুস্বাস্থ্য নির্মাণে এক্সট্রা ভার্জিন স্যাচুরেটেড চর্বি খাওয়া কমান। যেমন লাল মাংস, পনির ইত্যাদি। বাড়ান ফল, সবজি, হোল গ্রেইন, ডাল ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস। বাড়ান অল্প পরিমাণ দামি খাবার বাদাম, বীজ, অলিভ তেল।
বীজে আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। লবন আর নোনা খাবার খাওয়া কমান। চিনি বা মিষ্টি, কোমল পানীয় গ্রহণ কমান। প্রচুর পানি পান করুন।
৫. এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ তেল গ্রহণ উপকারী, যদিও আমাদের দেশে সাধারণের মধ্যে এর তেমন প্রচলন নেই। এই তেল ব্যয়বহুল, তবে এর আছে হিতকরী গুণ। এটি বাড়ায় ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল আর কমায় মন্দ কোলেস্টেরল এলডিএল। বার্ধক্যের ওপর আছে ইতিবাচক প্রভাব। আর এতে প্রভাব পড়ে আলঝেইমার রোগ, বৌদ্ধিক অধোগতির ওপর।
৬. শরীর চলমান হবে ব্যায়ামে। সপ্তায় অন্তত ১৫০ মিনিট দ্রুত হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানোর মতো ব্যায়াম করুন। দড়ি লাফ বাড়তি ক্যালরি ঝরায় আর হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, পেশির শক্তি বাড়ায়, রক্তচাপ ও রক্তের সুগার কমায় আর বাড়ায় ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল।
৭. রক্তের সুগার মেপে ডায়াবেটিসের মাত্রা জেনে নিন।
৮. রক্তচাপ নিয়মিত মাপতে হবে। রক্তচাপ ১৪০/৯০ হলে পরামর্শ করুন চিকিৎসকের সঙ্গে।
৯. ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ছাড়ুন। আর অবশ্যই সব ধরনের তামাকজাত পণ্য ব্যবহার ছাড়ুন।
১০. ওষুধ দেওয়া হলে খাবেন নিয়মিত, চিকিৎসকের পরামর্শমতো। অ্যান্টিবায়োটিক আর পেইনকিলার খাবেন না নিজে নিজে।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
দেশে মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। এই রোগটি ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। অথচ তা নিয়ে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। সামাজিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে না পারলে রোগটির বিস্তার আরও ভয়াবহ হতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেরোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
২ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
২ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগে