ডা. আরিফা শারমিন মায়া
প্রসব-পরবর্তী সময়ে কোনো কারণ ছাড়া জ্বর এলে ডেঙ্গু ধরে নিতে হবে। এ সময় রোগীর ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কম বা বেশি–দুটোই ক্ষতিকর। তাই অবশ্যই রোগীকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দিতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি তিন গুণ বেড়ে যায়। আর যদি ডেঙ্গু হেমোরেজিক হয়, সে ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যুর হার বেড়ে যায় ৪৫০ গুণ। সময়মতো রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা পেলে এই মারাত্মক জটিলতা বা মৃত্যুহার ১ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব।প্রায় ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর তেমন উপসর্গ থাকে না। উপসর্গের ধরন অনুযায়ী একে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
গ্রুপ এ
যাঁদের সাধারণ জ্বরের মতো থাকে কিন্তু অন্য কোনো উপসর্গ থাকে না, তাঁদের বাসায় চিকিৎসা নিতে বলা হয় এবং বমি, তলপেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা, রক্ত পড়া ইত্যাদি বিপদচিহ্ন থাকলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলা হয়।
গ্রুপ বি
মডারেট বা মাঝারি ডেঙ্গু। তাঁদের কারও বিপদচিহ্নের সঙ্গে হালকা রক্তপাত থাকতে পারে আবার না-ও পারে। কারও আবার তেমন কিছুই থাকে না। তবে হৃৎপিণ্ড ও কিডনির রোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অথবা রোগী গর্ভবতী হলে তাঁদের এই গ্রুপের আওতায় ধরা হয়; অর্থাৎ প্রসবের তারিখ যা-ই থাক, গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু হলে প্রটোকল অনুসারে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।
গ্রুপ সি
সিভিয়ার বা জটিল ডেঙ্গু জ্বর। এই পর্যায়ে রোগীর লক্ষণীয় মাত্রায় রক্তপাত হতে পারে, শক বা অজ্ঞান হতে পারে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। এই গ্রুপের রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসাব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে সেবা দিতে হবে।
উপসর্গ
উচ্চ তাপমাত্রা, হাড় ভেঙে যাওয়ার মতো ব্যথার অনুভূতি। কিন্তু ভাইরাসের গঠন পরিবর্তনের কারণে উপসর্গের ধরনও বদলে যায়। এ সময় খুব জ্বর না থাকলেও পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া ও বমি থাকতে পারে।
রোগনির্ণয়
রোগীর উপসর্গের সঙ্গে রক্তের কিছু পরীক্ষা করাতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, রক্তে হেমাটোক্রিট যদি ২০ শতাংশ বেড়ে যায়, পালস প্রেশার যদি কমে যায়, শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ ৫ হাজারের নিচে নেমে আসে, রক্তের অণুচক্রিকা বা প্লাটিলেট ১ লাখের নিচে থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে রোগীর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যাকে বলে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার। গর্ভাবস্থায় রক্তরসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এইচসিটি কম থাকে আবার প্রেশার একটু বেশি থাকে। সে জন্য পরপর কয়েকটি পরীক্ষা করাতে হয়।
গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গুর প্রভাব
মনে রাখতে হবে, একান্ত প্রয়োজন না হলে কোনো ধরনের সার্জিক্যাল ইন্টারভেনশনে বা অপারেশনে যাওয়া উচিত হবে না।
ডা. আরিফা শারমিন মায়া, জেনারেল গাইনি ও প্রসূতি এবং ফিটোমেটারনাল মেডিসিন, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, কনসালট্যান্ট, গাইনি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
প্রসব-পরবর্তী সময়ে কোনো কারণ ছাড়া জ্বর এলে ডেঙ্গু ধরে নিতে হবে। এ সময় রোগীর ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কম বা বেশি–দুটোই ক্ষতিকর। তাই অবশ্যই রোগীকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দিতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি তিন গুণ বেড়ে যায়। আর যদি ডেঙ্গু হেমোরেজিক হয়, সে ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যুর হার বেড়ে যায় ৪৫০ গুণ। সময়মতো রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা পেলে এই মারাত্মক জটিলতা বা মৃত্যুহার ১ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব।প্রায় ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর তেমন উপসর্গ থাকে না। উপসর্গের ধরন অনুযায়ী একে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
গ্রুপ এ
যাঁদের সাধারণ জ্বরের মতো থাকে কিন্তু অন্য কোনো উপসর্গ থাকে না, তাঁদের বাসায় চিকিৎসা নিতে বলা হয় এবং বমি, তলপেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা, রক্ত পড়া ইত্যাদি বিপদচিহ্ন থাকলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলা হয়।
গ্রুপ বি
মডারেট বা মাঝারি ডেঙ্গু। তাঁদের কারও বিপদচিহ্নের সঙ্গে হালকা রক্তপাত থাকতে পারে আবার না-ও পারে। কারও আবার তেমন কিছুই থাকে না। তবে হৃৎপিণ্ড ও কিডনির রোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অথবা রোগী গর্ভবতী হলে তাঁদের এই গ্রুপের আওতায় ধরা হয়; অর্থাৎ প্রসবের তারিখ যা-ই থাক, গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু হলে প্রটোকল অনুসারে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।
গ্রুপ সি
সিভিয়ার বা জটিল ডেঙ্গু জ্বর। এই পর্যায়ে রোগীর লক্ষণীয় মাত্রায় রক্তপাত হতে পারে, শক বা অজ্ঞান হতে পারে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। এই গ্রুপের রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসাব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে সেবা দিতে হবে।
উপসর্গ
উচ্চ তাপমাত্রা, হাড় ভেঙে যাওয়ার মতো ব্যথার অনুভূতি। কিন্তু ভাইরাসের গঠন পরিবর্তনের কারণে উপসর্গের ধরনও বদলে যায়। এ সময় খুব জ্বর না থাকলেও পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া ও বমি থাকতে পারে।
রোগনির্ণয়
রোগীর উপসর্গের সঙ্গে রক্তের কিছু পরীক্ষা করাতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, রক্তে হেমাটোক্রিট যদি ২০ শতাংশ বেড়ে যায়, পালস প্রেশার যদি কমে যায়, শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ ৫ হাজারের নিচে নেমে আসে, রক্তের অণুচক্রিকা বা প্লাটিলেট ১ লাখের নিচে থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে রোগীর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যাকে বলে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার। গর্ভাবস্থায় রক্তরসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এইচসিটি কম থাকে আবার প্রেশার একটু বেশি থাকে। সে জন্য পরপর কয়েকটি পরীক্ষা করাতে হয়।
গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গুর প্রভাব
মনে রাখতে হবে, একান্ত প্রয়োজন না হলে কোনো ধরনের সার্জিক্যাল ইন্টারভেনশনে বা অপারেশনে যাওয়া উচিত হবে না।
ডা. আরিফা শারমিন মায়া, জেনারেল গাইনি ও প্রসূতি এবং ফিটোমেটারনাল মেডিসিন, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, কনসালট্যান্ট, গাইনি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, ইদানীং আশপাশের অনেকে হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। কেউ কেউ এটাকে সিজনাল অ্যালার্জি হিসেবে ধরে নিচ্ছেন। আবার অনেকের ধারণা, বয়সের কারণে হয়তো এসব লেগে থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই সাধারণ উপসর্গগুলো দেখা দিলে তাৎক্ষণিক আরাম পেতে কী করা জরুরি, তা কি আমরা জানি? আবার কখন চিকিৎসা...
৬ ঘণ্টা আগেসোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে কিশোরীদের মধ্যে বিষণ্নতার হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা অনেক বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটায় এবং এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
৬ ঘণ্টা আগে৭০ বছরেও আপনি শারীরিকভাবে কতটা সুস্থ থাকবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করে মধ্য়বয়সে কী খাচ্ছেন তার ওপর। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকদের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় এমনই এক তথ্য উঠে এসেছে।
৬ ঘণ্টা আগেখাবার কেবল শরীরের জ্বালানি নয়, এটি মনেরও খাদ্য। আমাদের প্রতিদিনের খাবার শুধু পেট ভরায় না, এর সরাসরি প্রভাব পড়ে আবেগ, মনোভাব, মানসিক স্থিতি ও একাগ্রতার ওপর। একটা ভালো খাবার যেমন মুখে হাসি এনে দিতে পারে, তেমনি খাওয়ার অনুপযোগী কিছুদিনের আনন্দ কেড়ে নিতে পারে। তাই খাবার হওয়া চাই শরীর ও মনের সঙ্গে...
৬ ঘণ্টা আগে