মো. ইকবাল হোসেন
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। এই ঈদে খাবারের বৈচিত্র্য ও পরিমাণ দুটোই বেশি থাকে। ঈদের আয়োজনের একটা বড় অংশজুড়ে থাকে গরু বা খাসির মাংস। সাধারণত এগুলো লাল মাংস বা রেডমিট হিসেবে পরিচিত।
লাল মাংস কি আসলেই খারাপ
সাধারণত গরু, খাসি, মহিষ, ভেড়া ইত্যাদি প্রাণীর মাংস রেডমিট হিসেবে চিহ্নিত। মায়োগ্লোবিন নামের উপাদানের উপস্থিতির কারণে এসব প্রাণীর মাংস লাল দেখায়। মায়োগ্লোবিন কিন্তু খুবই উপকারী। এটি আমাদের কোষে অক্সিজেন সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। তবে রেডমিটে সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে বলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।
রেডমিট আমাদের প্রথম শ্রেণির প্রোটিনের চাহিদার পাশাপাশি আয়রন, জিংক, ভিটামিন বি১২, রিবোফ্লাভিন, থায়ামিন, নায়াসিন এবং ফসফরাসের খুব ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত। এতে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তাই রেডমিট থেকে শুধু চর্বিটা বাদ দিতে পারলে এটি স্বাস্থ্যবান্ধব মাংস হয়ে যাবে। ফলে নিয়ম মেনে রেডমিট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আবার গরু কিংবা খাসির মাংসের কোনো অংশে চর্বি বেশি এবং কোনো অংশে কম থাকে। গরুর পেছনের পায়ের রানে সবচেয়ে কম চর্বি থাকে। সামনের পায়েও তুলনামূলক কম চর্বি থাকে। তবে গরুর বুক, পিঠ, গর্দান এবং ঝুঁটির মাংসে তুলনামূলকভাবে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। তাই মাংস বাছাইয়ে একটু সতর্ক থাকতে হবে।
ঈদ আয়োজনে রেডমিট
একটি পরিবার মানে অনেকগুলো মানুষের বসবাস। তাদের অনেকেরই বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে। কারও হয়তো ডায়াবেটিস আছে, কারও হৃদ্রোগ তো কারও উচ্চ রক্তচাপ, ইউরিক অ্যাসিড কিংবা কিডনি রোগও থাকতে পারে কারও কারও। এমন ব্যক্তিদের জন্য ঈদে মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে।
কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে
কিডনির রোগীদের জন্য খাবারে ভিন্নতা আনতে হবে। এ ধরনের রোগীদের প্রথম শ্রেণির প্রোটিনের পরিমাণ ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কম দিতে হয়। তাই কিডনির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি মাংস খাবেন খুবই কম পরিমাণে। লাল মাংসে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। সে জন্য গরু ও খাসির মাংস না খেয়ে চামড়া ছাড়া মুরগির মাংস খাওয়া ভালো কিডনির রোগীদের। গরু বা খাসির মাংস যদি খেতেই হয়, তাহলে সেটা কম লবণ দিয়ে রান্না করে ঝোল ছাড়া খেতে হবে। মাংস দিয়ে তৈরি অন্যান্য খাবারও সীমিত পরিমাণে খেতে হবে। এর বাইরে ডাল ও বীজ বা দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন দিয়ে তৈরি খাবার বন্ধ করে দিতে হবে।
হৃদ্রোগ
হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য গরু ও খাসির মাংস খাওয়া বন্ধ করা ভালো। খেতে হলে গরু বা খাসির মাংসের গায়ে যে চর্বি লেগে থাকে, সেটা বাদ দিয়ে রান্না করে ঝোল ছাড়া পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যাবে। এ ছাড়া চামড়া ছাড়া মুরগি বা হাঁসের মাংস খাওয়া যাবে পরিমিত পরিমাণে।
উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল
কারও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে বা রক্তে কোলেস্টেরল বেশি থাকলেও গরু কিংবা খাসির মাংস না খাওয়াই ভালো। তবে উৎসবের দিন হিসেবে খেতে চাইলে অল্প পরিমাণে খাবেন। যেসব মাংসের গায়ে কোনো চর্বি লেগে থাকে না, তেমন মাংস খাবেন। তবে ঝোল বাদ দিয়ে মাংস খাবেন। এতে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বাড়ার ঝুঁকি কম থাকবে।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিসের রোগীদের মিষ্টি জাতীয় খাবারের পাশাপাশি, তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার কম খেতে হবে। তেল-চর্বি ও ক্যালরিবহুল খাবার খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়। লাল মাংসে চর্বির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সেটা পরিমিত পরিমাণে খাবেন। বেশির ভাগ আক্রান্ত ব্যক্তিরই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এবং কোলেস্টেরল বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে মাংস খাওয়ার বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
ইউরিক অ্যাসিড
যাঁদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি তাঁরা গরুর মাংস খাবেন না। তবে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে পরিমিত পরিমাণে গরুর মাংস খাওয়া যাবে।
ঝুঁকি কমানোর ১০ উপায়
কোরবানির সময় মাংস খাওয়া কিংবা না খাওয়ার বিষয়টি খুব আবেগময়। আবার শরীরের অবস্থাটাও বাস্তবতা। ঈদের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি জেনে নিন। প্রয়োজনে ঈদের খাবারদাবারের বিষয়ে চিকিৎসক কিংবা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
যে ১০টি শর্ত মনে রাখবেন
১. মাংসের গায়ে লেগে থাকা চর্বি বাদ দিয়ে রান্না করুন।
২. ছোট আকারের গরু বা খাসির মাংস খান। তাতে চর্বির পরিমাণ কম থাকে।
৩. মাংসের ঝোল খাবেন না।
৪. পরিমাণে কম খাবেন।
৫. মাংস খাবেন দুপুরে বা তার আগে, রাতে নয়।
৬. খাওয়ার পরে বিশ্রামে থাকুন।
৭. মাংস ছোট ছোট টুকরো করে কেটে রান্না করুন।
৮. রান্না মাংসের চেয়ে গ্রিল করা মাংস খাওয়া ভালো।
৯. মাংস রান্নার সময় পটাশিয়ামসমৃদ্ধ কোনো সবজি যোগ করুন, যেমন টমেটো। খাওয়ার সময় এক টুকরো লেবু নিন। এগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
১০. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান।
মো. ইকবাল হোসেন, সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম
দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। এই ঈদে খাবারের বৈচিত্র্য ও পরিমাণ দুটোই বেশি থাকে। ঈদের আয়োজনের একটা বড় অংশজুড়ে থাকে গরু বা খাসির মাংস। সাধারণত এগুলো লাল মাংস বা রেডমিট হিসেবে পরিচিত।
লাল মাংস কি আসলেই খারাপ
সাধারণত গরু, খাসি, মহিষ, ভেড়া ইত্যাদি প্রাণীর মাংস রেডমিট হিসেবে চিহ্নিত। মায়োগ্লোবিন নামের উপাদানের উপস্থিতির কারণে এসব প্রাণীর মাংস লাল দেখায়। মায়োগ্লোবিন কিন্তু খুবই উপকারী। এটি আমাদের কোষে অক্সিজেন সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। তবে রেডমিটে সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে বলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।
রেডমিট আমাদের প্রথম শ্রেণির প্রোটিনের চাহিদার পাশাপাশি আয়রন, জিংক, ভিটামিন বি১২, রিবোফ্লাভিন, থায়ামিন, নায়াসিন এবং ফসফরাসের খুব ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত। এতে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তাই রেডমিট থেকে শুধু চর্বিটা বাদ দিতে পারলে এটি স্বাস্থ্যবান্ধব মাংস হয়ে যাবে। ফলে নিয়ম মেনে রেডমিট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আবার গরু কিংবা খাসির মাংসের কোনো অংশে চর্বি বেশি এবং কোনো অংশে কম থাকে। গরুর পেছনের পায়ের রানে সবচেয়ে কম চর্বি থাকে। সামনের পায়েও তুলনামূলক কম চর্বি থাকে। তবে গরুর বুক, পিঠ, গর্দান এবং ঝুঁটির মাংসে তুলনামূলকভাবে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। তাই মাংস বাছাইয়ে একটু সতর্ক থাকতে হবে।
ঈদ আয়োজনে রেডমিট
একটি পরিবার মানে অনেকগুলো মানুষের বসবাস। তাদের অনেকেরই বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে। কারও হয়তো ডায়াবেটিস আছে, কারও হৃদ্রোগ তো কারও উচ্চ রক্তচাপ, ইউরিক অ্যাসিড কিংবা কিডনি রোগও থাকতে পারে কারও কারও। এমন ব্যক্তিদের জন্য ঈদে মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে।
কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে
কিডনির রোগীদের জন্য খাবারে ভিন্নতা আনতে হবে। এ ধরনের রোগীদের প্রথম শ্রেণির প্রোটিনের পরিমাণ ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কম দিতে হয়। তাই কিডনির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি মাংস খাবেন খুবই কম পরিমাণে। লাল মাংসে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। সে জন্য গরু ও খাসির মাংস না খেয়ে চামড়া ছাড়া মুরগির মাংস খাওয়া ভালো কিডনির রোগীদের। গরু বা খাসির মাংস যদি খেতেই হয়, তাহলে সেটা কম লবণ দিয়ে রান্না করে ঝোল ছাড়া খেতে হবে। মাংস দিয়ে তৈরি অন্যান্য খাবারও সীমিত পরিমাণে খেতে হবে। এর বাইরে ডাল ও বীজ বা দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন দিয়ে তৈরি খাবার বন্ধ করে দিতে হবে।
হৃদ্রোগ
হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য গরু ও খাসির মাংস খাওয়া বন্ধ করা ভালো। খেতে হলে গরু বা খাসির মাংসের গায়ে যে চর্বি লেগে থাকে, সেটা বাদ দিয়ে রান্না করে ঝোল ছাড়া পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যাবে। এ ছাড়া চামড়া ছাড়া মুরগি বা হাঁসের মাংস খাওয়া যাবে পরিমিত পরিমাণে।
উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল
কারও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে বা রক্তে কোলেস্টেরল বেশি থাকলেও গরু কিংবা খাসির মাংস না খাওয়াই ভালো। তবে উৎসবের দিন হিসেবে খেতে চাইলে অল্প পরিমাণে খাবেন। যেসব মাংসের গায়ে কোনো চর্বি লেগে থাকে না, তেমন মাংস খাবেন। তবে ঝোল বাদ দিয়ে মাংস খাবেন। এতে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বাড়ার ঝুঁকি কম থাকবে।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিসের রোগীদের মিষ্টি জাতীয় খাবারের পাশাপাশি, তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার কম খেতে হবে। তেল-চর্বি ও ক্যালরিবহুল খাবার খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়। লাল মাংসে চর্বির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সেটা পরিমিত পরিমাণে খাবেন। বেশির ভাগ আক্রান্ত ব্যক্তিরই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা এবং কোলেস্টেরল বেশি থাকে। সে ক্ষেত্রে মাংস খাওয়ার বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
ইউরিক অ্যাসিড
যাঁদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি তাঁরা গরুর মাংস খাবেন না। তবে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে পরিমিত পরিমাণে গরুর মাংস খাওয়া যাবে।
ঝুঁকি কমানোর ১০ উপায়
কোরবানির সময় মাংস খাওয়া কিংবা না খাওয়ার বিষয়টি খুব আবেগময়। আবার শরীরের অবস্থাটাও বাস্তবতা। ঈদের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি জেনে নিন। প্রয়োজনে ঈদের খাবারদাবারের বিষয়ে চিকিৎসক কিংবা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
যে ১০টি শর্ত মনে রাখবেন
১. মাংসের গায়ে লেগে থাকা চর্বি বাদ দিয়ে রান্না করুন।
২. ছোট আকারের গরু বা খাসির মাংস খান। তাতে চর্বির পরিমাণ কম থাকে।
৩. মাংসের ঝোল খাবেন না।
৪. পরিমাণে কম খাবেন।
৫. মাংস খাবেন দুপুরে বা তার আগে, রাতে নয়।
৬. খাওয়ার পরে বিশ্রামে থাকুন।
৭. মাংস ছোট ছোট টুকরো করে কেটে রান্না করুন।
৮. রান্না মাংসের চেয়ে গ্রিল করা মাংস খাওয়া ভালো।
৯. মাংস রান্নার সময় পটাশিয়ামসমৃদ্ধ কোনো সবজি যোগ করুন, যেমন টমেটো। খাওয়ার সময় এক টুকরো লেবু নিন। এগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
১০. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান।
মো. ইকবাল হোসেন, সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম
আমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ ঘণ্টা আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
২ ঘণ্টা আগেঅবস্থা এমন হয়েছে যে শিশুর যেকোনো জ্বর দেখা দিলেই অভিভাবকেরা ডেঙ্গু জ্বর কি না, তা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। সব শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও চিকিৎসা এক রকম নয় এবং সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই।
২ ঘণ্টা আগেঘুম থেকে উঠেই যে ক্লান্তি আর অলসতা বোধ হয়, তাকে বলে মর্নিং ফ্যাটিগ। পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া সত্ত্বেও এটি ঘটতে পারে। ‘জার্নাল অব পেইন অ্যান্ড সিম্পটম ম্যানেজমেন্ট’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সকালের ক্লান্তির সঙ্গে সম্পর্কিত পরিবর্তনযোগ্য ঝুঁকির কারণগুলো হলো...
২ ঘণ্টা আগে