ডা. কাকলী হালদার
হাম অত্যন্ত ছোঁয়াচে একটি রোগ, যা মিজল্স নামের ভাইরাসের সংক্রমণে হয়। এটি সাধারণত শিশুদের বেশি হয়। শুধু মানুষের শরীরেই এ রোগ হতে পারে। হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে ভাইরাসটি প্রথমে শ্বাসনালিতে সংক্রমিত হয়। এরপর রক্তের মাধ্যমে দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এর জীবাণু বাতাসে প্রায় দুই ঘণ্টা ভেসে থাকতে পারে এবং কোনো কিছুর সঙ্গে বা কাপড়ে লেগে থাকতে পারে।
উপসর্গ
সংক্রমিত হওয়ার ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে হামের উপসর্গগুলো দেখা যায়।
জটিলতা
সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হলে রোগী নানান গুরুতর জটিলতা, যেমন এনকেফালাইটিস, কান পাকা, নিউমোনিয়া, মানসিক সমস্যা, অন্ধত্ব, খিঁচুনি, ডায়রিয়া এমনকি মৃত্যুঝুঁকিতেও পড়তে পারে। গর্ভবতীদের হাম হলে গর্ভপাত, মৃত শিশু প্রসব এবং বিভিন্ন জন্মগত সমস্যা নিয়ে শিশু জন্মগ্রহণ করতে পারে।
কম রোগ প্রতিরোধসম্পন্ন শিশু, ৫ বছরের কম বয়সী টিকাহীন শিশু, টিকাহীন ৩০ বছরের বেশি ব্যক্তি, টিকাহীন গর্ভবতী নারী, দুর্বল রোগ প্রতিরোধসম্পন্ন ব্যক্তি ও ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে এই রোগ তীব্র হওয়ার এবং জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
চিকিৎসা
হামের ভাইরাসবিরোধী সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। সাধারণত ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে হাম আপনাআপনি সেরে যায়। বেশি বেশি তরলজাতীয় ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, ভিটামিন এ-জাতীয় খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। এ ছাড়া চিকিৎসক রোগের লক্ষণ বুঝে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
প্রতিরোধ
শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ হাম। এটি ঠেকাতে দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিলে ৯৭ শতাংশ পর্য়ন্ত কার্যকর প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়। একবার সংক্রমণ হলে বা দুই ডোজ টিকা নিলে সারা জীবনের জন্য শরীরে হাম প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। বাংলাদেশে হাম-রুবেলা টিকা শিশুর ৯ ও ১৫ মাস বয়সে দেওয়া হয়। এ ছাড়া হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচিতে ৯ মাস থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের ১ ডোজ টিকা দেওয়া হয়।
ডা. কাকলী হালদার, সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাম অত্যন্ত ছোঁয়াচে একটি রোগ, যা মিজল্স নামের ভাইরাসের সংক্রমণে হয়। এটি সাধারণত শিশুদের বেশি হয়। শুধু মানুষের শরীরেই এ রোগ হতে পারে। হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে ভাইরাসটি প্রথমে শ্বাসনালিতে সংক্রমিত হয়। এরপর রক্তের মাধ্যমে দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এর জীবাণু বাতাসে প্রায় দুই ঘণ্টা ভেসে থাকতে পারে এবং কোনো কিছুর সঙ্গে বা কাপড়ে লেগে থাকতে পারে।
উপসর্গ
সংক্রমিত হওয়ার ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে হামের উপসর্গগুলো দেখা যায়।
জটিলতা
সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হলে রোগী নানান গুরুতর জটিলতা, যেমন এনকেফালাইটিস, কান পাকা, নিউমোনিয়া, মানসিক সমস্যা, অন্ধত্ব, খিঁচুনি, ডায়রিয়া এমনকি মৃত্যুঝুঁকিতেও পড়তে পারে। গর্ভবতীদের হাম হলে গর্ভপাত, মৃত শিশু প্রসব এবং বিভিন্ন জন্মগত সমস্যা নিয়ে শিশু জন্মগ্রহণ করতে পারে।
কম রোগ প্রতিরোধসম্পন্ন শিশু, ৫ বছরের কম বয়সী টিকাহীন শিশু, টিকাহীন ৩০ বছরের বেশি ব্যক্তি, টিকাহীন গর্ভবতী নারী, দুর্বল রোগ প্রতিরোধসম্পন্ন ব্যক্তি ও ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে এই রোগ তীব্র হওয়ার এবং জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
চিকিৎসা
হামের ভাইরাসবিরোধী সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। সাধারণত ১০ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে হাম আপনাআপনি সেরে যায়। বেশি বেশি তরলজাতীয় ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, ভিটামিন এ-জাতীয় খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। এ ছাড়া চিকিৎসক রোগের লক্ষণ বুঝে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
প্রতিরোধ
শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ হাম। এটি ঠেকাতে দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিলে ৯৭ শতাংশ পর্য়ন্ত কার্যকর প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়। একবার সংক্রমণ হলে বা দুই ডোজ টিকা নিলে সারা জীবনের জন্য শরীরে হাম প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। বাংলাদেশে হাম-রুবেলা টিকা শিশুর ৯ ও ১৫ মাস বয়সে দেওয়া হয়। এ ছাড়া হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচিতে ৯ মাস থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের ১ ডোজ টিকা দেওয়া হয়।
ডা. কাকলী হালদার, সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
ব্যথা উপশম এবং প্রদাহ কমানোর জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকারের কথা বলতে গেলে অ্যাসপিরিনের মতো ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধের তুলনায় লবঙ্গ কম নয়। এটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে বলে অনেকে মত দিচ্ছেন এখন। লবঙ্গ একটি ছোট্ট, কিন্তু শক্তিশালী মসলা। এটি শত শত বছর ধরে বিশ্বব্যাপী রান্নার কাজে...
১ দিন আগে৩-৪ মাস আগে থেকে আমার মাসিক চলাকালীন স্তনের পাশে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। আমার বয়স ৩৩ বছর। এর আগে কখনো এমন সমস্যা হয়নি। আমার একটি সন্তান আছে। তার বয়স ৭ বছর। অর্থাৎ আমার ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের বিষয় নেই এখন। হঠাৎ করে ব্যথা হওয়ায় কী করব বুঝতে পারছি না...
১ দিন আগেকাঁধে ব্যথার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম রোটেটর কাফ সিনড্রোম। এর একটি অংশ হলো ফ্রোজেন শোল্ডার...
১ দিন আগেঅনেকের ধারণা, শুধু গরমকালে পানিশূন্যতা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শীতকালেও ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানির অভাব হতে পারে। শীতের শুরুতে আমরা নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হই, যেমন ত্বক বা চুলের সমস্যা এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা। এর মধ্যে অন্যতম পানিশূন্যতা, যা শীতকালে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়।
১ দিন আগে