দেরি হওয়ার আগেই কানের যত্ন নিন

ডা. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ পাভেল,
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৩, ১০: ০২
Thumbnail image

শ্রবণ বা শোনা স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য খুবই জরুরি। আমরা যদি ঠিকমতো শুনতে না পাই, তাহলে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর এ সমস্যা শুধু ভুক্তভোগীর হবে এমন নয়। বক্তা ও শ্রোতা—দুজনারই সমস্যা হয়। তাই স্বাভাবিক জীবনযাপনে দুই দিক থেকে দেখতে গেলে, শুনতে পারার ক্ষমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০৫০ সালের মধ্যে শ্রবণ সমস্যা অনেক বেড়ে যাবে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা।

বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান
শ্রবণপ্রতিবন্ধী বা শ্রবণ হ্রাসসহ শ্রুতিহীন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পৃথিবীতে আনুমানিক ৪৭৫ মিলিয়ন মানুষ কানে কম শোনার সমস্যা নিয়ে বেঁচে আছে। সঠিক ও সময়োপযোগী ব্যবস্থা না নিলে ২০৩০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৬৪০ মিলিয়ন। তাই ভবিষ্যতের এই বিপুলসংখ্যক শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া ঠেকাতে যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় পুনর্বাসন এবং যোগাযোগ সরঞ্জাম সহজভাবে নিশ্চিত করা জরুরি।

শ্রবণক্ষমতা ভালো রাখতে

  • অযথা কান চুলকাবেন না।
  • অযথা হর্ন বাজাবেন না।
  • যেখানে-সেখানে কানের চিকিৎসা করাবেন না।
  • হেডফোনে উচ্চ স্বরে গান বাজাবেন না।
  • ঠান্ডা সর্দির চিকিৎসা নিয়ে গাফিলতি করবেন না।
  • প্রতিবছর কমপক্ষে একবার কান পরীক্ষা করাবেন।

কানে ব্যথা হলে করণীয়
কানে বিভিন্ন কারণে ব্যথা হতে পারে। ধূমপান, ধোঁয়া, ধুলাবালু থেকে নাক বন্ধ বা নাক দিয়ে তরল পদার্থ বের হলে কান ব্যথা হয়। শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য চুলকানি ও খোঁচাখুঁচি থেকে কান ব্যথা হতে পারে। শীতে ছত্রাকজনিত সংক্রমণ বেড়ে গিয়ে কান ব্যথা হতে পারে।

প্রতিরোধ

  • কান চুলকাবেন না।
  • ঠান্ডাজাতীয় খাবার খাবেন না এবং ঠান্ডা লাগাবেন না।
  • টক খাবার বেশি করে খাবেন।
  • ঠান্ডা লাগলে দ্রুত চিকিৎসা নেবেন এবং নাক উল্টোভাবে টানবেন না।
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবেন।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করবেন।

ঘরোয়া চিকিৎসা

  • ঘর গরম রাখুন। ভোরে ও সন্ধ্যায় মোটা কাপড় পরুন।
  • কান ব্যথা হলে কানের পেছনে গরম সেঁক দিন। যথেষ্ট আরাম পাবেন।
  • সাধারণ প্যারাসিটামল বা ব্যথার ওষুধ খেতে পারেন।
  • কান বন্ধ থাকলে নাকে অ্যান্টিহিস্টামিন ড্রপ দিতে পারেন।
  • বন্ধ কান খোলার জন্য চুইংগাম চিবান অথবা মুখ বন্ধ করে বাতাস দিয়ে গাল ফোলান।
  • শিশুদের কানে ব্যথা প্রচণ্ড হলে ড্রপ ব্যবহার করতে হতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিকও লাগতে পারে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই নাক, কান ও গলারোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডা. মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ পাভেল, নাক, কান, গলারোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, ডিএলও, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত