অনলাইন ডেস্ক
ওজন কমানোর ইনজেকশন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। পাশাপাশি এটি লাখ লাখ প্রাপ্তবয়স্কের হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে সাহায্য করবে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণা দেখা গেছে, যারা ওজন কমানোর জন্য ওয়েগোভি ও ওজেম্পিক জাতীয় ওষুধ সেবন করেন তাঁদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা কার্ডিওভাসকুলার রোগসহ মৃত্যুর ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়। এসব ওষুধে সেমাগ্লুটাইডের মতো সক্রিয় উপাদান থাকে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকদের নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদনটি ইউরোপীয় কংগ্রেস অব ওবেসিটিতে (ইসিও) উপস্থাপন করা হয়।
সেমাগ্লুটাইডের মতো সক্রিয় উপাদান গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে দেখা গেছে। এই উপাদান গ্রহণের পর যাদের কিছুটা স্থূলতা রয়েছে বা যাদের অল্প পরিমাণে ওজন কমেছে, তাঁদেরও হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কার্ডিওভাসকুলার আউটকামস রিসার্চের পরিচালক ও গবেষণার প্রধান লেখক অধ্যাপক জন ডিনফিল্ড বলেছেন, হৃদ্রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধটি নিয়মিত সেবন করা উচিত। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যে লাখ লাখ মানুষ ওষুধটি সেবন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এ দেশে স্থূলতার সমস্যা দিন দিন বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, চমৎকার ওষুধটি হৃদ্যন্ত্রের চিকিৎসায় বড় পরিবর্তন আনবে। ওজন কমানোর বাইরেও হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখার একটি বিকল্প পদ্ধতি হতে পারে সেমাগ্লুটাইড।
গবেষণাটিকে ৪১টি দেশজুড়ে ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ১৭ হাজার ৬০৪ প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাদের আগে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাঁদের গড়ে ৪০ মাস ব্যাপী প্রতি সপ্তাহে ২ দশমিক ৫ মিলিগ্রামের সেমাগ্লুটাইড অথবা প্লাসিবো ডোজ দেওয়া হয়। তুলনা করার জন্য বিশেষ করে স্বাস্থ্য গবেষণায় অনেক সময় প্লাসিবো বা একই মোড়কে অকার্যকর উপাদান দেওয়া হয়।
গবেষণায় ৮ হাজার ৮০৩ জন অংশগ্রহণকারীকে সেমাগ্লুটাইড ডোজ দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ৫৬৯ জনের (৬ দশমিক ৫ শতাংশ) মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের মতো হৃৎপিণ্ডের সমস্যা দেখা যায়। আর ৮ হাজার ৮০১ জনকে প্লাসিবোর ডোজ দেওয়া হয়, যাদের মধ্যে ৭০১ জনের (৮ শতাংশ) মধ্যে হৃৎপিণ্ডের সমস্যা দেখা যায়। সুতরাং সেমাগ্লুটাইড ডোজ হৃদ্রোগের সমস্যা কমায়।
২০২৩ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউট (এনএইচএস) ওজন কমানোর জন্য ওয়েগোভি ব্র্যান্ডের আওতায় সেমাগ্লুটাইড উপাদান গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে।
ডিনফিল্ড বলেন, নব্বইয়ের দশকে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ স্ট্যাটিনের আবিষ্কারকে হৃদ্রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। সেমাগ্লুটাইডকে হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতির ক্ষেত্রে একইভাবে যুগান্তকারী হিসেবে দেখা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন এক শ্রেণির ওষুধ রয়েছে যা বার্ধক্যজনিত অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে।’ ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন অনুসারে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ৭৬ লাখ মানুষের হৃদ্রোগ বা সংবহনজনিত রোগ রয়েছে।
একই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ওপর ভিত্তি করে আরেকটি গবেষণায় দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাদের সেমাগ্লুটাইডের ডোজ দেওয়া হয়, চার মাস মেয়াদে তাঁদের ওজন গড়ে ১০ দশমিক ২ শতাংশ কমে ও কোমরের মেদ গড়ে ৭ দশমিক ৭ সেমি (সেন্টিমিটার) কমে। আর প্লাসিবো গ্রুপের সদস্যদের ওজন ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ও কোমরের মেদ কমে গড়ে ১ দশমিক ৩ সেমি।
পৃথক একটি গবেষণায় দেখা যায়, ওজন কমানোর নতুন ওষুধ ‘রিটাট্রুটাইড’ বাজারে পাওয়া অন্যান্য ওষুধের তুলনায় বেশি কার্যকর হতে পারে।
সপ্তাহে একটি ডোজ নিলে এটি ক্ষুধা কমায় ও শক্তি উৎপাদনে শরীরকে বেশি চর্বি খরচে উদ্দীপিত করে। তবে এটি এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে।
রিটাট্রুটাইড নিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, এমন ৩৩৮ জন অংশগ্রহণকারীর শরীরের ওজন ২৪ শতাংশ কমে যায়। গবেষকেরা বলেন, ওজেম্পিক বা ওয়েগোভি শুধু ক্ষুধা কমায়। তাই ওজন কমানোর জন্য রিটাট্রুটাইড বেশি কার্যকর।
ওজন কমানোর অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করেন গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নাভিদ সাত্তার। তিনি বলেন, ‘পাঁচ বা দশ বছর আগে আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি যে ওষুধ ওজন কমাতে পারবে। যদি আমরা রেটাট্রুটাইড নিয়ে আরও পরীক্ষা–নিরীক্ষা করি তাহলে এটি শরীরের ওজন প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারবে।’
ওজন কমানোর ইনজেকশন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। পাশাপাশি এটি লাখ লাখ প্রাপ্তবয়স্কের হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে সাহায্য করবে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণা দেখা গেছে, যারা ওজন কমানোর জন্য ওয়েগোভি ও ওজেম্পিক জাতীয় ওষুধ সেবন করেন তাঁদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা কার্ডিওভাসকুলার রোগসহ মৃত্যুর ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়। এসব ওষুধে সেমাগ্লুটাইডের মতো সক্রিয় উপাদান থাকে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকদের নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদনটি ইউরোপীয় কংগ্রেস অব ওবেসিটিতে (ইসিও) উপস্থাপন করা হয়।
সেমাগ্লুটাইডের মতো সক্রিয় উপাদান গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে দেখা গেছে। এই উপাদান গ্রহণের পর যাদের কিছুটা স্থূলতা রয়েছে বা যাদের অল্প পরিমাণে ওজন কমেছে, তাঁদেরও হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কার্ডিওভাসকুলার আউটকামস রিসার্চের পরিচালক ও গবেষণার প্রধান লেখক অধ্যাপক জন ডিনফিল্ড বলেছেন, হৃদ্রোগের চিকিৎসার জন্য ওষুধটি নিয়মিত সেবন করা উচিত। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যে লাখ লাখ মানুষ ওষুধটি সেবন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এ দেশে স্থূলতার সমস্যা দিন দিন বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, চমৎকার ওষুধটি হৃদ্যন্ত্রের চিকিৎসায় বড় পরিবর্তন আনবে। ওজন কমানোর বাইরেও হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখার একটি বিকল্প পদ্ধতি হতে পারে সেমাগ্লুটাইড।
গবেষণাটিকে ৪১টি দেশজুড়ে ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ১৭ হাজার ৬০৪ প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাদের আগে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাঁদের গড়ে ৪০ মাস ব্যাপী প্রতি সপ্তাহে ২ দশমিক ৫ মিলিগ্রামের সেমাগ্লুটাইড অথবা প্লাসিবো ডোজ দেওয়া হয়। তুলনা করার জন্য বিশেষ করে স্বাস্থ্য গবেষণায় অনেক সময় প্লাসিবো বা একই মোড়কে অকার্যকর উপাদান দেওয়া হয়।
গবেষণায় ৮ হাজার ৮০৩ জন অংশগ্রহণকারীকে সেমাগ্লুটাইড ডোজ দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ৫৬৯ জনের (৬ দশমিক ৫ শতাংশ) মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের মতো হৃৎপিণ্ডের সমস্যা দেখা যায়। আর ৮ হাজার ৮০১ জনকে প্লাসিবোর ডোজ দেওয়া হয়, যাদের মধ্যে ৭০১ জনের (৮ শতাংশ) মধ্যে হৃৎপিণ্ডের সমস্যা দেখা যায়। সুতরাং সেমাগ্লুটাইড ডোজ হৃদ্রোগের সমস্যা কমায়।
২০২৩ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউট (এনএইচএস) ওজন কমানোর জন্য ওয়েগোভি ব্র্যান্ডের আওতায় সেমাগ্লুটাইড উপাদান গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে।
ডিনফিল্ড বলেন, নব্বইয়ের দশকে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ স্ট্যাটিনের আবিষ্কারকে হৃদ্রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। সেমাগ্লুটাইডকে হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতির ক্ষেত্রে একইভাবে যুগান্তকারী হিসেবে দেখা যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন এক শ্রেণির ওষুধ রয়েছে যা বার্ধক্যজনিত অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে।’ ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন অনুসারে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ৭৬ লাখ মানুষের হৃদ্রোগ বা সংবহনজনিত রোগ রয়েছে।
একই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ওপর ভিত্তি করে আরেকটি গবেষণায় দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাদের সেমাগ্লুটাইডের ডোজ দেওয়া হয়, চার মাস মেয়াদে তাঁদের ওজন গড়ে ১০ দশমিক ২ শতাংশ কমে ও কোমরের মেদ গড়ে ৭ দশমিক ৭ সেমি (সেন্টিমিটার) কমে। আর প্লাসিবো গ্রুপের সদস্যদের ওজন ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ও কোমরের মেদ কমে গড়ে ১ দশমিক ৩ সেমি।
পৃথক একটি গবেষণায় দেখা যায়, ওজন কমানোর নতুন ওষুধ ‘রিটাট্রুটাইড’ বাজারে পাওয়া অন্যান্য ওষুধের তুলনায় বেশি কার্যকর হতে পারে।
সপ্তাহে একটি ডোজ নিলে এটি ক্ষুধা কমায় ও শক্তি উৎপাদনে শরীরকে বেশি চর্বি খরচে উদ্দীপিত করে। তবে এটি এখনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে।
রিটাট্রুটাইড নিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, এমন ৩৩৮ জন অংশগ্রহণকারীর শরীরের ওজন ২৪ শতাংশ কমে যায়। গবেষকেরা বলেন, ওজেম্পিক বা ওয়েগোভি শুধু ক্ষুধা কমায়। তাই ওজন কমানোর জন্য রিটাট্রুটাইড বেশি কার্যকর।
ওজন কমানোর অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করেন গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নাভিদ সাত্তার। তিনি বলেন, ‘পাঁচ বা দশ বছর আগে আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি যে ওষুধ ওজন কমাতে পারবে। যদি আমরা রেটাট্রুটাইড নিয়ে আরও পরীক্ষা–নিরীক্ষা করি তাহলে এটি শরীরের ওজন প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারবে।’
ব্যথা উপশম এবং প্রদাহ কমানোর জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকারের কথা বলতে গেলে অ্যাসপিরিনের মতো ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধের তুলনায় লবঙ্গ কম নয়। এটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে বলে অনেকে মত দিচ্ছেন এখন। লবঙ্গ একটি ছোট্ট, কিন্তু শক্তিশালী মসলা। এটি শত শত বছর ধরে বিশ্বব্যাপী রান্নার কাজে...
৮ ঘণ্টা আগে৩-৪ মাস আগে থেকে আমার মাসিক চলাকালীন স্তনের পাশে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। আমার বয়স ৩৩ বছর। এর আগে কখনো এমন সমস্যা হয়নি। আমার একটি সন্তান আছে। তার বয়স ৭ বছর। অর্থাৎ আমার ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের বিষয় নেই এখন। হঠাৎ করে ব্যথা হওয়ায় কী করব বুঝতে পারছি না...
৮ ঘণ্টা আগেকাঁধে ব্যথার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম রোটেটর কাফ সিনড্রোম। এর একটি অংশ হলো ফ্রোজেন শোল্ডার...
৮ ঘণ্টা আগেঅনেকের ধারণা, শুধু গরমকালে পানিশূন্যতা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শীতকালেও ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানির অভাব হতে পারে। শীতের শুরুতে আমরা নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হই, যেমন ত্বক বা চুলের সমস্যা এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা। এর মধ্যে অন্যতম পানিশূন্যতা, যা শীতকালে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়।
৮ ঘণ্টা আগে