বিষণ্নতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে এর সঙ্গে দেহের এবং মস্তিষ্কের সম্পর্কগুলো আরও ভালোভাবে বোঝা জরুরি। তবে এ নিয়ে খুব বেশি গবেষণা নেই। আর যেসব গবেষণা রয়েছে তার নমুনার আকার ছোট।
এবার যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সান ফ্রান্সিসকোর (ইউসিএসএফ) একদল গবেষক ২০ হাজার ৮৮০ ব্যক্তির তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, বিষণ্নতাগ্রস্তদের দেহের তাপমাত্রা বেশি থাকে।
এই গবেষণায় ১০৬টি দেশের অংশগ্রহণকারীর তথ্য নেওয়া হয়েছে। তবে গবেষকেরা বলছেন, দেহের উচ্চ তাপমাত্রা বিষণ্নতা সৃষ্টি করছে কি না বা বিষণ্নতার কারণেই দেহের তাপমাত্রা বাড়ছে কি না, তা প্রমাণের জন্য এই নমুনা যথেষ্ট নয়।
যাই হোক, এই গবেষণা প্রমাণ করেছে, দেহের তাপমাত্রার সঙ্গে বিষণ্নতার সম্পর্ক রয়েছে। যদি দেহের তাপমাত্রা কমানোর মাধ্যমে বিষণ্নতা মোকাবিলা করা যায়, তাহলে এটি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষকে সহায়তা করতে পারে।
ইউসিএসএফের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অ্যাশলে ম্যাসন বলেন, আমাদের জানামতে, দেহের তাপমাত্রার সঙ্গে বিষণ্নতার সম্পর্ক পরীক্ষা করার জন্য এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বড় পরিসরের গবেষণা। আক্রান্ত ব্যক্তির নিজেই লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং পরিধানযোগ্য সেন্সর উভয় পদ্ধতি ব্যবহার করে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে। নমুনার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের মধ্যে বিষণ্নতার সঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা গেছে।
দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও বিষণ্নতার নানা কারণ থাকতে পারে। যেমন—বিষণ্নতা বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে, যা শরীরে অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন করে অথবা শীতলীকরণ জৈবিক ক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে, যা সঠিকভাবে কাজ না করার কারণে তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। বিষণ্নতা ও তাপমাত্রার বৃদ্ধির একটি সাধারণ কারণও থাকতে পারে। যেমন, মানসিক চাপ বা প্রদাহ দেহের তাপমাত্রা ও বিষণ্নতার লক্ষণকে আলাদাভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
ভবিষ্যতের বিভিন্ন গবেষণা এসব বিষয় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য আছে সেগুলো বিশ্লেষণ করে জানা যায়, বিষণ্নতা একটি জটিল ও বহুমুখী অবস্থা, যা সম্ভবত অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন কারণে হয়ে থাকে এবং দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বিষণ্নতা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে, হট টাব (গরম পানিতে গোসল) ও সওনা (বাষ্পস্নান) বিষণ্নতার লক্ষণ কমিয়ে দিতে পারে। সম্ভবত ঘাম দিয়ে শরীর ঠান্ডা হওয়ার মাধ্যমে মানসিক অবস্থার পরিবর্তন আসে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ম্যাসন বলেন, মজার বিষয় হলো—গরম পানি বা বাষ্প স্নানে মানুষের দেহ গরম করার ফলে ঘাম তৈরির মাধ্যমে দেহের তাপমাত্রা কমতে পারে, এটি বরফ স্নানের মতো সরাসরি মানুষকে ঠান্ডা করার চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়।
গবেষণার তথ্য থেকে জানা যায়, বিষণ্নতাগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিজ থেকে জানানো লক্ষণগুলো আরও গুরুতর হয়ে উঠছে এবং দেখা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তির দেহের গড় তাপমাত্রা বেড়ে যায়। উচ্চ বিষণ্নতা স্কোর ও দৈনিক তাপমাত্রার কম ওঠানামার মধ্যেও কিছু সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু সেটি পরিসংখ্যানগতভাবে উল্লেখযোগ্য নয়।
বিশ্বের প্রায় ৫ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতার সঙ্গে বসবাস করছে। তাই রোগটি বোঝার ও কার্যকরভাবে চিকিৎসা করার প্রচেষ্টা এখন আগের চেয়ে আরও জরুরি। আর প্রতিটি নতুন আবিষ্কার এই সমস্যা মোকাবিলার নতুন আশা দেখায়।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
বিষণ্নতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে এর সঙ্গে দেহের এবং মস্তিষ্কের সম্পর্কগুলো আরও ভালোভাবে বোঝা জরুরি। তবে এ নিয়ে খুব বেশি গবেষণা নেই। আর যেসব গবেষণা রয়েছে তার নমুনার আকার ছোট।
এবার যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সান ফ্রান্সিসকোর (ইউসিএসএফ) একদল গবেষক ২০ হাজার ৮৮০ ব্যক্তির তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, বিষণ্নতাগ্রস্তদের দেহের তাপমাত্রা বেশি থাকে।
এই গবেষণায় ১০৬টি দেশের অংশগ্রহণকারীর তথ্য নেওয়া হয়েছে। তবে গবেষকেরা বলছেন, দেহের উচ্চ তাপমাত্রা বিষণ্নতা সৃষ্টি করছে কি না বা বিষণ্নতার কারণেই দেহের তাপমাত্রা বাড়ছে কি না, তা প্রমাণের জন্য এই নমুনা যথেষ্ট নয়।
যাই হোক, এই গবেষণা প্রমাণ করেছে, দেহের তাপমাত্রার সঙ্গে বিষণ্নতার সম্পর্ক রয়েছে। যদি দেহের তাপমাত্রা কমানোর মাধ্যমে বিষণ্নতা মোকাবিলা করা যায়, তাহলে এটি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষকে সহায়তা করতে পারে।
ইউসিএসএফের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অ্যাশলে ম্যাসন বলেন, আমাদের জানামতে, দেহের তাপমাত্রার সঙ্গে বিষণ্নতার সম্পর্ক পরীক্ষা করার জন্য এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বড় পরিসরের গবেষণা। আক্রান্ত ব্যক্তির নিজেই লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং পরিধানযোগ্য সেন্সর উভয় পদ্ধতি ব্যবহার করে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে। নমুনার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের মধ্যে বিষণ্নতার সঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা গেছে।
দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও বিষণ্নতার নানা কারণ থাকতে পারে। যেমন—বিষণ্নতা বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে, যা শরীরে অতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন করে অথবা শীতলীকরণ জৈবিক ক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে, যা সঠিকভাবে কাজ না করার কারণে তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। বিষণ্নতা ও তাপমাত্রার বৃদ্ধির একটি সাধারণ কারণও থাকতে পারে। যেমন, মানসিক চাপ বা প্রদাহ দেহের তাপমাত্রা ও বিষণ্নতার লক্ষণকে আলাদাভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
ভবিষ্যতের বিভিন্ন গবেষণা এসব বিষয় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য আছে সেগুলো বিশ্লেষণ করে জানা যায়, বিষণ্নতা একটি জটিল ও বহুমুখী অবস্থা, যা সম্ভবত অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন কারণে হয়ে থাকে এবং দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বিষণ্নতা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে, হট টাব (গরম পানিতে গোসল) ও সওনা (বাষ্পস্নান) বিষণ্নতার লক্ষণ কমিয়ে দিতে পারে। সম্ভবত ঘাম দিয়ে শরীর ঠান্ডা হওয়ার মাধ্যমে মানসিক অবস্থার পরিবর্তন আসে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ম্যাসন বলেন, মজার বিষয় হলো—গরম পানি বা বাষ্প স্নানে মানুষের দেহ গরম করার ফলে ঘাম তৈরির মাধ্যমে দেহের তাপমাত্রা কমতে পারে, এটি বরফ স্নানের মতো সরাসরি মানুষকে ঠান্ডা করার চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়।
গবেষণার তথ্য থেকে জানা যায়, বিষণ্নতাগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিজ থেকে জানানো লক্ষণগুলো আরও গুরুতর হয়ে উঠছে এবং দেখা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তির দেহের গড় তাপমাত্রা বেড়ে যায়। উচ্চ বিষণ্নতা স্কোর ও দৈনিক তাপমাত্রার কম ওঠানামার মধ্যেও কিছু সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু সেটি পরিসংখ্যানগতভাবে উল্লেখযোগ্য নয়।
বিশ্বের প্রায় ৫ শতাংশ মানুষ বিষণ্নতার সঙ্গে বসবাস করছে। তাই রোগটি বোঝার ও কার্যকরভাবে চিকিৎসা করার প্রচেষ্টা এখন আগের চেয়ে আরও জরুরি। আর প্রতিটি নতুন আবিষ্কার এই সমস্যা মোকাবিলার নতুন আশা দেখায়।
তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট
ক্যাম্পিউটেড টোমোগ্রাফি। এই খটমটে নামে না চিনলেও ‘সিটি স্ক্যান’ বললে সহজে চিনে ফেলি আমরা। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে এটি। সাধারণত রোগনির্ণয়ে বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে কতটা ক্ষতি হয়েছে...
১ দিন আগেখুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন...
১ দিন আগেপেটের ফ্লু, যাকে ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসও বলা হয়, এটি পেটের এক ধরনের সংক্রমণ। এই সমস্যায় বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটব্যথা এবং ক্র্যাম্পের (পেটে মোচড় দেওয়া) মতো লক্ষণ দেখা যায়। এটি সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়। সাধারণত বেশির ভাগ পেটের ফ্লু–এর জন্য দায়ী নরোভাইরাস।
১ দিন আগেপেস্তাবাদাম। পুরো পৃথিবীতে এই বাদাম বেশ জনপ্রিয়। দুবাইয়ে পেস্তাবাদামের চকলেট বারও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মিষ্টান্ন, আইসক্রিম, বিশেষ ডিশ সাজাতে পেস্তাবাদামের ব্যবহার বেড়েছে। খাবারের সৌন্দর্য আর পুষ্টি—দুটিরই পাওয়ারহাউস এই বাদাম। অল্প খেলেই পাওয়া যায় অনেক পুষ্টি।
৩ দিন আগে