অনলাইন ডেস্ক
পৃথিবীতে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। আর বিজ্ঞানীরা এই রোগ প্রতিরোধের উপায় বের করতে বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্মৃতিভ্রংশ রোগ প্রতিরোধ বা বিলম্বিত করতে সাহায্য করে সংগীত। এসব তথ্য নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণায় বলা হয়, বাদ্যযন্ত্র বাজালে মানুষের স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
ডিমেনশিয়াকে এককথায় বুদ্ধিবৈকল্য বলা যেতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত মানুষেরা ধারাবাহিক ও যৌক্তিক চিন্তার সক্ষমতা হারায়। আলঝেইমার বা স্মৃতিভ্রংশ এক ধরনের ডিমেনশিয়া। আলঝেইমার আক্রান্তরা মূলত স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের এক দল গবেষক ৪০ বছরের বেশি বয়সী ১ হাজার ১০৭ জন সুস্থ মানুষের ডেটা বিশ্লেষণ করে এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বাদ্যযন্ত্র বাজানো, নিয়মিত গান গাওয়া ও সংগীত শোনার অভ্যাসের সঙ্গে তাঁদের বৌদ্ধিক সক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, যারা নিয়মিত বাদ্যযন্ত্র বাজান, তাঁদের সক্রিয় স্মৃতি ও বুঝে কাজ করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে অধিকতর কর্মক্ষমতা লক্ষ্য করা গেছে। গান গাওয়ারও একই প্রভা দেখা গেছে। তবে শুধু গান শোনার অভ্যাসের ক্ষেত্রে সমান প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।
ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের বৌদ্ধিক মনোবিজ্ঞানী অ্যান করবেট বলেন, ‘মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের ওপর সংগীতের প্রভাব নিয়ে অনেকগুলো গবেষণা করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে, আমরা মনে করি, বাদ্যযন্ত্র বাজালে মস্তিষ্কের তৎপরতা ও স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি হয়, যা কগনিটিভ রিজার্ভ বা কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে সচেতনতা বোঝায়।’
মস্তিষ্কের বুড়িয়ে যাওয়াকে বাধা দেয় কগনিটিভ রিজার্ভ। এই ধারণা অনুযায়ী, জীবনযাপন পদ্ধতি ও কর্ম তৎপরতা ওপর ভিত্তি করে মানুষের কগনিটিভ রিজার্ভ তৈরি হয়। যাদের কগনিটিভ রিজার্ভ বেশি, তাঁদের আলঝেইমারের মতো স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম।
গবেষণায় সংগীতের সঙ্গে রোগটির একটি সম্পর্ক দেখানো হলেও অন্যান্য নিয়ামকও এতে প্রভাব ফেলে। যাদের উপার্জন বেশি তাঁরা সংগীতের তালিম নেওয়ার পাশাপাশি উন্নতমানের খাবার গ্রহণের সুযোগও পান। খাদ্যাভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকলাপ উন্নয়নে সাহায্য করে।
যেকোনো বাদ্যযন্ত্র বাজানোর মাধ্যমে মস্তিষ্কের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পায়। এই তথ্য এর আগের অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। করবেট বলেন, যদিও এই সম্পর্ক (মস্তিষ্কের সঙ্গে সংগীতের) অনুসন্ধানের জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। তবে গবেষণার ফলাফল ইঙ্গিত দেয়, জনস্বাস্থ্যের জন্য সংগীত শিক্ষার প্রচার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এর ফলে বয়স্করাও সংগীত চর্চায় উৎসাহিত হবেন।
যদি নতুন করে কোনো বাদ্যযন্ত্র শিখতে চান, তাহলে হারমোনিয়াম, কিবোর্ড বা পিয়ানো শিখতে পারেন। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কিবোর্ড বাজায়, তারা স্মৃতিভিত্তিক কাজগুলোতে ভালো দক্ষতা দেখায়।
এই গবেষণায় একজন অংশগ্রহণকারী ছিলেন যুক্তরাজ্যের কর্নওয়াল শহরের ৭৮ বছর বয়সী স্টুয়ার্ট ডগলাস। তিনি একটি ব্যান্ডে অ্যাকর্ডিয়ন (এক ধরনের বাদ্যযন্ত্র) বাজাতেন। তাঁর মতে, প্রতিদিন কোনো বাদ্যযন্ত্র বাজালে বৃদ্ধ বয়সেও মস্তিষ্ক প্রখর থাকে।
ডগলাস বলেন, ‘আমরা নিয়মিত মেমোরি ক্যাফেতে (স্মৃতিভ্রংশ রোগীদের জন্য ক্যাফে) বাদ্যযন্ত্র বাজাই। তাই স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া লোকেদের ওপর আমাদের সংগীতের প্রভাব দেখেছি ও বয়স্ক সংগীতশিল্পী হিসেবে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই যে, বার্ধক্যে আমাদের মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে সংগীত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
তথ্যসূত্র: সায়েন্স এলার্ট
পৃথিবীতে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। আর বিজ্ঞানীরা এই রোগ প্রতিরোধের উপায় বের করতে বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্মৃতিভ্রংশ রোগ প্রতিরোধ বা বিলম্বিত করতে সাহায্য করে সংগীত। এসব তথ্য নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণায় বলা হয়, বাদ্যযন্ত্র বাজালে মানুষের স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
ডিমেনশিয়াকে এককথায় বুদ্ধিবৈকল্য বলা যেতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত মানুষেরা ধারাবাহিক ও যৌক্তিক চিন্তার সক্ষমতা হারায়। আলঝেইমার বা স্মৃতিভ্রংশ এক ধরনের ডিমেনশিয়া। আলঝেইমার আক্রান্তরা মূলত স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের এক দল গবেষক ৪০ বছরের বেশি বয়সী ১ হাজার ১০৭ জন সুস্থ মানুষের ডেটা বিশ্লেষণ করে এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের বাদ্যযন্ত্র বাজানো, নিয়মিত গান গাওয়া ও সংগীত শোনার অভ্যাসের সঙ্গে তাঁদের বৌদ্ধিক সক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, যারা নিয়মিত বাদ্যযন্ত্র বাজান, তাঁদের সক্রিয় স্মৃতি ও বুঝে কাজ করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে অধিকতর কর্মক্ষমতা লক্ষ্য করা গেছে। গান গাওয়ারও একই প্রভা দেখা গেছে। তবে শুধু গান শোনার অভ্যাসের ক্ষেত্রে সমান প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি।
ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের বৌদ্ধিক মনোবিজ্ঞানী অ্যান করবেট বলেন, ‘মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের ওপর সংগীতের প্রভাব নিয়ে অনেকগুলো গবেষণা করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে, আমরা মনে করি, বাদ্যযন্ত্র বাজালে মস্তিষ্কের তৎপরতা ও স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি হয়, যা কগনিটিভ রিজার্ভ বা কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে সচেতনতা বোঝায়।’
মস্তিষ্কের বুড়িয়ে যাওয়াকে বাধা দেয় কগনিটিভ রিজার্ভ। এই ধারণা অনুযায়ী, জীবনযাপন পদ্ধতি ও কর্ম তৎপরতা ওপর ভিত্তি করে মানুষের কগনিটিভ রিজার্ভ তৈরি হয়। যাদের কগনিটিভ রিজার্ভ বেশি, তাঁদের আলঝেইমারের মতো স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম।
গবেষণায় সংগীতের সঙ্গে রোগটির একটি সম্পর্ক দেখানো হলেও অন্যান্য নিয়ামকও এতে প্রভাব ফেলে। যাদের উপার্জন বেশি তাঁরা সংগীতের তালিম নেওয়ার পাশাপাশি উন্নতমানের খাবার গ্রহণের সুযোগও পান। খাদ্যাভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকলাপ উন্নয়নে সাহায্য করে।
যেকোনো বাদ্যযন্ত্র বাজানোর মাধ্যমে মস্তিষ্কের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পায়। এই তথ্য এর আগের অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। করবেট বলেন, যদিও এই সম্পর্ক (মস্তিষ্কের সঙ্গে সংগীতের) অনুসন্ধানের জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন। তবে গবেষণার ফলাফল ইঙ্গিত দেয়, জনস্বাস্থ্যের জন্য সংগীত শিক্ষার প্রচার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এর ফলে বয়স্করাও সংগীত চর্চায় উৎসাহিত হবেন।
যদি নতুন করে কোনো বাদ্যযন্ত্র শিখতে চান, তাহলে হারমোনিয়াম, কিবোর্ড বা পিয়ানো শিখতে পারেন। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কিবোর্ড বাজায়, তারা স্মৃতিভিত্তিক কাজগুলোতে ভালো দক্ষতা দেখায়।
এই গবেষণায় একজন অংশগ্রহণকারী ছিলেন যুক্তরাজ্যের কর্নওয়াল শহরের ৭৮ বছর বয়সী স্টুয়ার্ট ডগলাস। তিনি একটি ব্যান্ডে অ্যাকর্ডিয়ন (এক ধরনের বাদ্যযন্ত্র) বাজাতেন। তাঁর মতে, প্রতিদিন কোনো বাদ্যযন্ত্র বাজালে বৃদ্ধ বয়সেও মস্তিষ্ক প্রখর থাকে।
ডগলাস বলেন, ‘আমরা নিয়মিত মেমোরি ক্যাফেতে (স্মৃতিভ্রংশ রোগীদের জন্য ক্যাফে) বাদ্যযন্ত্র বাজাই। তাই স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া লোকেদের ওপর আমাদের সংগীতের প্রভাব দেখেছি ও বয়স্ক সংগীতশিল্পী হিসেবে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই যে, বার্ধক্যে আমাদের মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে সংগীত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
তথ্যসূত্র: সায়েন্স এলার্ট
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
১ দিন আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
১ দিন আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২ দিন আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
২ দিন আগে