অনলাইন ডেস্ক
এক বছরের মধ্যে বিশ্বজুড়ে হামে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণা অনুসারে, ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। হাম নির্মূল করার চেষ্টায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বহু দেশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ড. প্যাট্রিক ও’কনোর গতকাল শনিবার বার্সেলোনায় ইএসসিএমআইডি গ্লোবাল কংগ্রেসে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে ১ লাখ ৭১ হাজার ১৫৩ জন হামে আক্রান্ত ছিল। সাময়িক তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে হামে আক্রান্ত ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ৫৮২ জন এবং ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত ৯৪ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। যদিও এই সংখ্যা সম্ভবত আরও অনেক বেশি।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুসারে, এ বছর আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেক ঘটনাই ঘটেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চলে। এর মধ্যে আজারবাইজান, কিরগিজস্তান ও ইয়েমেনে সংক্রমণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি এলাকায় ১২৮ জনের হামে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালের পর এই সংখ্যা সর্বোচ্চ।
২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে হামকে নির্মূল ঘোষণা করা হয়েছিল বলে জানায় সিডিসি। এর মানে হলো, যুক্তরাষ্ট্রে কেউ হামে আক্রান্ত হয় না এবং নতুন আক্রান্ত কেবল তখনই পাওয়া যায়, যখন কেউ বিদেশে হামে আক্রান্ত হয়ে আসে। তবে এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই রোগ নির্মূল স্থিতি হুমকির মুখে পড়েছে।
হাম একটি অত্যন্ত সংক্রামক বায়ুবাহিত রোগ। এই রোগে গুরুতর স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। বিশেষত অল্প বয়স্ক এবং টিকা না দেওয়া শিশুদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ।
এই রোগের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে জ্বর, কাশি, সর্দি, চোখ দিয়ে পানি পড়া এবং লাল ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। সিডিসির মতে, যুক্তরাষ্ট্রে হামে আক্রান্ত টিকা না নেওয়া প্রতি পাঁচজনের মধ্যে প্রায় একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। হামে আক্রান্ত প্রতি ২০ শিশুর মধ্যে প্রায় একজন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হবে এবং অন্য শিশুদের মস্তিষ্কে বিপজ্জনক ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। হামে আক্রান্ত প্রতি এক হাজার শিশুর মধ্যে তিনজন শ্বাসকষ্ট ও স্নায়বিক জটিলতায় মারা যেতে পারে।
হাম থেকে ‘ইমিউন অ্যামনেসিয়া’ হতে পারে। এটি এমন একটি অবস্থা, যা কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক বছর ধরে মানুষের মধ্যে অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
গতকাল শনিবার ও’কনোর বলেন, হামের টিকা ২০০০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আনুমানিক ৫ কোটি ৭০ লাখ মৃত্যু রোধ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে শিশুরা ১২ থেকে ১৫ মাস বয়সের মধ্যে হাম, মাম্পস এবং রুবেলা (এমএমআর) থেকে রক্ষা করে এমন ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পায়। শিশুর ৪ থেকে ৬ বছর বয়সের মধ্যে দ্বিতীয় টিকা দেওয়া হয়। ভ্যাকসিনটি অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করা হয়। হামের বিরুদ্ধে এক ডোজ ৯৩ শতাংশ কার্যকর এবং দুই ডোজ ৯৭ শতাংশ কার্যকর। হামের টিকা নেওয়ার পরও মানুষ অসুস্থ হতে পারে। তবে এটি সাধারণত ঘটে না এবং এ ক্ষেত্রে সংক্রমণ হালকা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ৯৫ শতাংশ টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, তবে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে কিন্ডারগার্টেনগুলোতে টিকার আওতা কম ছিল। ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ৯৩ দশমিক ১ শতাংশ কিন্ডারগার্টেনগামী শিশুদের এমএমআর ভ্যাকসিন সিরিজ সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজারই ঝুঁকিতে রয়েছে।
গতকাল শনিবার ও’কনোর তাঁর উপস্থাপনায় বলেন, অনেক সংকটের মধ্যে হাম একটি। যুদ্ধে জর্জরিত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতেই এর ৪৫ শতাংশ প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।
এক বছরের মধ্যে বিশ্বজুড়ে হামে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলে নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণা অনুসারে, ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। হাম নির্মূল করার চেষ্টায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বহু দেশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ড. প্যাট্রিক ও’কনোর গতকাল শনিবার বার্সেলোনায় ইএসসিএমআইডি গ্লোবাল কংগ্রেসে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে ১ লাখ ৭১ হাজার ১৫৩ জন হামে আক্রান্ত ছিল। সাময়িক তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে হামে আক্রান্ত ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ৫৮২ জন এবং ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত ৯৪ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। যদিও এই সংখ্যা সম্ভবত আরও অনেক বেশি।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন অনুসারে, এ বছর আক্রান্তদের প্রায় অর্ধেক ঘটনাই ঘটেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চলে। এর মধ্যে আজারবাইজান, কিরগিজস্তান ও ইয়েমেনে সংক্রমণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি এলাকায় ১২৮ জনের হামে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালের পর এই সংখ্যা সর্বোচ্চ।
২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে হামকে নির্মূল ঘোষণা করা হয়েছিল বলে জানায় সিডিসি। এর মানে হলো, যুক্তরাষ্ট্রে কেউ হামে আক্রান্ত হয় না এবং নতুন আক্রান্ত কেবল তখনই পাওয়া যায়, যখন কেউ বিদেশে হামে আক্রান্ত হয়ে আসে। তবে এ বছর আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই রোগ নির্মূল স্থিতি হুমকির মুখে পড়েছে।
হাম একটি অত্যন্ত সংক্রামক বায়ুবাহিত রোগ। এই রোগে গুরুতর স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। বিশেষত অল্প বয়স্ক এবং টিকা না দেওয়া শিশুদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ।
এই রোগের সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে জ্বর, কাশি, সর্দি, চোখ দিয়ে পানি পড়া এবং লাল ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। সিডিসির মতে, যুক্তরাষ্ট্রে হামে আক্রান্ত টিকা না নেওয়া প্রতি পাঁচজনের মধ্যে প্রায় একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। হামে আক্রান্ত প্রতি ২০ শিশুর মধ্যে প্রায় একজন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হবে এবং অন্য শিশুদের মস্তিষ্কে বিপজ্জনক ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। হামে আক্রান্ত প্রতি এক হাজার শিশুর মধ্যে তিনজন শ্বাসকষ্ট ও স্নায়বিক জটিলতায় মারা যেতে পারে।
হাম থেকে ‘ইমিউন অ্যামনেসিয়া’ হতে পারে। এটি এমন একটি অবস্থা, যা কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক বছর ধরে মানুষের মধ্যে অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
গতকাল শনিবার ও’কনোর বলেন, হামের টিকা ২০০০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আনুমানিক ৫ কোটি ৭০ লাখ মৃত্যু রোধ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে শিশুরা ১২ থেকে ১৫ মাস বয়সের মধ্যে হাম, মাম্পস এবং রুবেলা (এমএমআর) থেকে রক্ষা করে এমন ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পায়। শিশুর ৪ থেকে ৬ বছর বয়সের মধ্যে দ্বিতীয় টিকা দেওয়া হয়। ভ্যাকসিনটি অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করা হয়। হামের বিরুদ্ধে এক ডোজ ৯৩ শতাংশ কার্যকর এবং দুই ডোজ ৯৭ শতাংশ কার্যকর। হামের টিকা নেওয়ার পরও মানুষ অসুস্থ হতে পারে। তবে এটি সাধারণত ঘটে না এবং এ ক্ষেত্রে সংক্রমণ হালকা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ৯৫ শতাংশ টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, তবে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে কিন্ডারগার্টেনগুলোতে টিকার আওতা কম ছিল। ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ৯৩ দশমিক ১ শতাংশ কিন্ডারগার্টেনগামী শিশুদের এমএমআর ভ্যাকসিন সিরিজ সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজারই ঝুঁকিতে রয়েছে।
গতকাল শনিবার ও’কনোর তাঁর উপস্থাপনায় বলেন, অনেক সংকটের মধ্যে হাম একটি। যুদ্ধে জর্জরিত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতেই এর ৪৫ শতাংশ প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।
রোগে-শোকে মানুষকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ওষুধ খেতে হয়। নিত্যপণ্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে যেখানে সাধারণ মানুষের তিনবেলা আহারের জোগান দেওয়াই কষ্টকর, সেখানে জীবন রক্ষার জন্য দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওধুষ কিনতে গিয়ে জীবন আরও ওষ্ঠাগত। দেশে এখন নিম্নআয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের মোট আয়ের ২০ শতাংশ খরচ হচ্ছে ওষুধ কিনতেই।
৭ ঘণ্টা আগেদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় ও ডাক্তারের ওপর আস্থা না থাকায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে প্রতিবছর দেশের মানুষ ৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। স্বাস্থ্যেসেবার উন্নয়ন না হলে এর পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে।
৮ ঘণ্টা আগেআমাদের দেশে শীত উপভোগ্য মৌসুম। কিন্তু অনেকের ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, গলাব্যথা, অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা যাদের আছে, তাদের এই মৌসুমে কষ্ট বেড়ে যায়।
২০ ঘণ্টা আগেত্বক অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সংক্রমণ এবং যেকোনো ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই এর যত্নে বিশেষ মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও টানটান হলে দুশ্চিন্তা করবেন না। চুলকানি হলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমিয়ে দেয়।
২০ ঘণ্টা আগে