অনলাইন ডেস্ক
মশা থেকে মানুষের শরীরে ম্যালেরিয়ার জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার ধরন আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। ব্যাকটেরিয়ার এই ধরনটি তাঁরা দৈবক্রমেই আবিষ্কার করেন।
বিবিসি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষিত এক ঝাঁক মশার ভেতর ম্যালেরিয়ার জীবাণু তৈরি বন্ধ হওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে ব্যাকটেরিয়ার এই ধরনটির সন্ধান পান বিজ্ঞানীদের একটি দল।
গবেষকেরা বলছেন, খুঁজে পাওয়া নতুন ধরনের এই ব্যাকটেরিয়া প্রাকৃতিক পরিবেশে পাওয়া যায়। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন প্রাণঘাতী রোগ ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় নতুন একটি অস্ত্র হিসেবে এই ব্যাকটেরিয়াকে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে আশা করছেন গবেষকেরা।
ম্যালেরিয়ায় এখনো বিশ্বে প্রতি বছর ৬ লাখ লোক মারা যায়। নতুন আবিষ্কৃত এই ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহারে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করার সম্ভাবনা নিয়ে এরই মধ্যে পরীক্ষা–নিরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে।
স্পেনে ওষুধ কোম্পানি জিএসকের পরিচালিত একটি গবেষণাগারে বিজ্ঞানীরা হঠাৎ করে লক্ষ্য করেন, গবেষণার প্রয়োজনে আটকে রাখা এক ঝাঁক মশার শরীরে ম্যালেরিয়ার জীবাণু তৈরি হচ্ছে না।
জিএসকের ওই ওষুধ তৈরির গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া ড. জ্যানেট রদ্রিগেজ বলেন, ‘আমরা দেখলাম, মশার ওই কলোনিতে সংক্রমণ (ম্যালেরিয়া জীবাণুর) কমতে শুরু করেছে, এবং বছরের শেষ নাগাদ দেখা গেল, তাদের মধ্যে ম্যালেরিয়া জীবাণুর সংক্রমণ একদম শূন্যে নেমে গেছে।’
বিজ্ঞানীদের ওই দলটি ২০১৪ সালে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার নমুনা ডিপ-ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখেন। এর দুই বছর পর সেই নমুনায় কী ঘটল তা খুঁটিয়ে দেখেন।
এরপর আরও কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখেন, নতুন খুঁজে পাওয়া টিসি-ওয়ান ব্যাকটেরিয়া সাধারণ প্রাকৃতিক পরিবেশেই অবস্থান করছে। একই সঙ্গে এটি মশার অন্ত্রনালিতে ম্যালেরিয়ার জীবাণুর বিকাশ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়।
রদ্রিগেজ আরও বলেন, ‘টিসি-ওয়ান ব্যাকটেরিয়া কোনো মশার শরীরে ঢুকলে মৃত্যু পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। আমরা প্রমাণ পেয়েছি, ওই ব্যাকটেরিয়াই মশাগুলোর দেহে সংক্রমণ হ্রাসে কাজ করেছে।’
বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্সে প্রকাশিত নতুন তথ্যে দেখা গেছে, নতুন আবিষ্কৃত এই ব্যাকটেরিয়া মশার দেহে ম্যালেরিয়া জীবাণুর পরিমাণ ৭৩ শতাংশ কমিয়ে দিতে সক্ষম। এই ব্যাকটেরিয়াটি হারমেন নামের অণু নিঃসৃত করে। এটি মশার অন্ত্রনালিতে ম্যালেরিয়ার জীবাণু তৈরির প্রক্রিয়া আটকে দেয়।
জিএসকের বিজ্ঞানীদের দল এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা যৌথ গবেষণায় দেখেছেন, ব্যাকটেরিয়ার নিঃসৃত হারমেনে চিনি মিশিয়ে মুখ দিয়ে অথবা ত্বকের ভেতর দিয়ে মশার শরীরে ঢোকানো সম্ভব। মশা যেখানে বসে সেখানে এই হারমেন ছড়িয়ে দিয়ে এটি পরীক্ষা করা সম্ভব।
‘ম্যালেরিয়া নো মোর’ নামে একটি দাতা সংস্থার কর্মকর্তা গ্যারেথ জেনকিন্স বলেন, ‘নতুন এই আবিষ্কার সত্যিই আশাব্যঞ্জক। নতুন নতুন আবিষ্কার এবং সৃজনশীল গবেষণা অব্যাহত রাখা গেলে আমাদের জীবদ্দশাতেই ম্যালেরিয়ার হুমকি নির্মূল করা সম্ভব।’
মশা থেকে মানুষের শরীরে ম্যালেরিয়ার জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার ধরন আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। ব্যাকটেরিয়ার এই ধরনটি তাঁরা দৈবক্রমেই আবিষ্কার করেন।
বিবিসি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ল্যাবরেটরিতে সংরক্ষিত এক ঝাঁক মশার ভেতর ম্যালেরিয়ার জীবাণু তৈরি বন্ধ হওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে ব্যাকটেরিয়ার এই ধরনটির সন্ধান পান বিজ্ঞানীদের একটি দল।
গবেষকেরা বলছেন, খুঁজে পাওয়া নতুন ধরনের এই ব্যাকটেরিয়া প্রাকৃতিক পরিবেশে পাওয়া যায়। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন প্রাণঘাতী রোগ ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় নতুন একটি অস্ত্র হিসেবে এই ব্যাকটেরিয়াকে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে আশা করছেন গবেষকেরা।
ম্যালেরিয়ায় এখনো বিশ্বে প্রতি বছর ৬ লাখ লোক মারা যায়। নতুন আবিষ্কৃত এই ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহারে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করার সম্ভাবনা নিয়ে এরই মধ্যে পরীক্ষা–নিরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে।
স্পেনে ওষুধ কোম্পানি জিএসকের পরিচালিত একটি গবেষণাগারে বিজ্ঞানীরা হঠাৎ করে লক্ষ্য করেন, গবেষণার প্রয়োজনে আটকে রাখা এক ঝাঁক মশার শরীরে ম্যালেরিয়ার জীবাণু তৈরি হচ্ছে না।
জিএসকের ওই ওষুধ তৈরির গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া ড. জ্যানেট রদ্রিগেজ বলেন, ‘আমরা দেখলাম, মশার ওই কলোনিতে সংক্রমণ (ম্যালেরিয়া জীবাণুর) কমতে শুরু করেছে, এবং বছরের শেষ নাগাদ দেখা গেল, তাদের মধ্যে ম্যালেরিয়া জীবাণুর সংক্রমণ একদম শূন্যে নেমে গেছে।’
বিজ্ঞানীদের ওই দলটি ২০১৪ সালে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার নমুনা ডিপ-ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখেন। এর দুই বছর পর সেই নমুনায় কী ঘটল তা খুঁটিয়ে দেখেন।
এরপর আরও কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখেন, নতুন খুঁজে পাওয়া টিসি-ওয়ান ব্যাকটেরিয়া সাধারণ প্রাকৃতিক পরিবেশেই অবস্থান করছে। একই সঙ্গে এটি মশার অন্ত্রনালিতে ম্যালেরিয়ার জীবাণুর বিকাশ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়।
রদ্রিগেজ আরও বলেন, ‘টিসি-ওয়ান ব্যাকটেরিয়া কোনো মশার শরীরে ঢুকলে মৃত্যু পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। আমরা প্রমাণ পেয়েছি, ওই ব্যাকটেরিয়াই মশাগুলোর দেহে সংক্রমণ হ্রাসে কাজ করেছে।’
বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্সে প্রকাশিত নতুন তথ্যে দেখা গেছে, নতুন আবিষ্কৃত এই ব্যাকটেরিয়া মশার দেহে ম্যালেরিয়া জীবাণুর পরিমাণ ৭৩ শতাংশ কমিয়ে দিতে সক্ষম। এই ব্যাকটেরিয়াটি হারমেন নামের অণু নিঃসৃত করে। এটি মশার অন্ত্রনালিতে ম্যালেরিয়ার জীবাণু তৈরির প্রক্রিয়া আটকে দেয়।
জিএসকের বিজ্ঞানীদের দল এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা যৌথ গবেষণায় দেখেছেন, ব্যাকটেরিয়ার নিঃসৃত হারমেনে চিনি মিশিয়ে মুখ দিয়ে অথবা ত্বকের ভেতর দিয়ে মশার শরীরে ঢোকানো সম্ভব। মশা যেখানে বসে সেখানে এই হারমেন ছড়িয়ে দিয়ে এটি পরীক্ষা করা সম্ভব।
‘ম্যালেরিয়া নো মোর’ নামে একটি দাতা সংস্থার কর্মকর্তা গ্যারেথ জেনকিন্স বলেন, ‘নতুন এই আবিষ্কার সত্যিই আশাব্যঞ্জক। নতুন নতুন আবিষ্কার এবং সৃজনশীল গবেষণা অব্যাহত রাখা গেলে আমাদের জীবদ্দশাতেই ম্যালেরিয়ার হুমকি নির্মূল করা সম্ভব।’
ব্যথা উপশম এবং প্রদাহ কমানোর জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকারের কথা বলতে গেলে অ্যাসপিরিনের মতো ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধের তুলনায় লবঙ্গ কম নয়। এটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে বলে অনেকে মত দিচ্ছেন এখন। লবঙ্গ একটি ছোট্ট, কিন্তু শক্তিশালী মসলা। এটি শত শত বছর ধরে বিশ্বব্যাপী রান্নার কাজে...
১ দিন আগে৩-৪ মাস আগে থেকে আমার মাসিক চলাকালীন স্তনের পাশে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। আমার বয়স ৩৩ বছর। এর আগে কখনো এমন সমস্যা হয়নি। আমার একটি সন্তান আছে। তার বয়স ৭ বছর। অর্থাৎ আমার ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের বিষয় নেই এখন। হঠাৎ করে ব্যথা হওয়ায় কী করব বুঝতে পারছি না...
১ দিন আগেকাঁধে ব্যথার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম রোটেটর কাফ সিনড্রোম। এর একটি অংশ হলো ফ্রোজেন শোল্ডার...
১ দিন আগেঅনেকের ধারণা, শুধু গরমকালে পানিশূন্যতা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শীতকালেও ডিহাইড্রেশন বা শরীরে পানির অভাব হতে পারে। শীতের শুরুতে আমরা নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হই, যেমন ত্বক বা চুলের সমস্যা এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা। এর মধ্যে অন্যতম পানিশূন্যতা, যা শীতকালে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়।
১ দিন আগে