বিজেপি নেতা ও তেলেঙ্গানার বিধায়ক টি রাজা সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ১৫ মিনিটের জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দিতে বলেছেন, যাতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর যে কথিত নির্যাতন চলছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করে পরিস্থিতি পরিষ্কার (ক্লিয়ার) করতে পারেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের পতাকাও টেনে ছিঁড়ে ফেলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল রোববার দক্ষিণ গোয়ার কুরচোরেমে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান। তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদের গোশামহল কেন্দ্রের বিধায়ক টি রাজা সিং বলেছেন, গোয়ায় হিন্দু জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে এবং দাবি করেছেন, ‘যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে, সেখানেই হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করা হয়েছে।’
রাজা টি সিং বলেন, ‘আমি এই রাজ্যের গভর্নরের একটি বক্তব্য পড়ছিলাম। তিনি বলেছেন, গোয়ায় মুসলিম জনসংখ্যার শতাংশ, অথচ ১০-১৫ বছর আগে ৩ শতাংশ ছিল। এখন বেড়ে ১২ শতাংশে পৌঁছেছে। এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের বিবেচনা ও চিন্তা করা উচিত...।’
রাজা সিং আরও দাবি করেন, ‘আগামী ২০-২৫ বছর যদি হিন্দুরা “হাম দো হামারে দো” নীতি অনুসরণ করে, তাহলে তারা পাকিস্তানের হিন্দুদের মতোই পরিস্থিতি এবং নির্যাতনের শিকার হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়তে থাকে এবং তাদের সাংসদ সংখ্যা ৩০০ হয়ে যায়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কোন সম্প্রদায় থেকে আসবেন? তাদের থেকেই হবে, তাই না? ...আর যেসব দেশে তাদের (মুসলিমদের) প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে হিন্দুদের কী অবস্থা হয়েছে... ইতিহাস তার সাক্ষী।’
বিরোধী দল কংগ্রেস গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের কাছে রাজা সিংয়ের গোয়া সফর বাতিলের আবেদন জানিয়েছিল এবং তাঁকে ‘বিতর্কিত ব্যক্তি, যার ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং সাম্প্রদায়িক উসকানির ইতিহাস রয়েছে’ বলে অভিহিত করেছিল। শুক্রবার কংগ্রেস বলেছিল, এই সফর গোয়ার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে এবং শান্তিপূর্ণ গন্তব্য হিসেবে গোয়ার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে পারে।
গোয়ার কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি গিরীশ বলেছিলেন, ‘গোয়া বিশ্বব্যাপী তার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য পরিচিত। টি রাজা সিংয়ের মতো কাউকে আমন্ত্রণ জানিয়ে—যিনি ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন—বিজেপি এই প্রিয় ঐতিহ্য বিপন্ন করছে।’
রোববার ৪৮ মিনিটের বক্তৃতায় রাজা সিং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্যে যোগ দিন এবং লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সবাইকে একত্রিত হতে হবে।’
রাজা সিং বাংলাদেশ প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি দাবি করে বলেন যে প্রতিবেশী দেশে হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছে এবং তাদের দোকান লুট করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘তারা সাহায্যের জন্য আবেদন করছে। আমি বলতে চাই যে জঙ্গি (বজরং দলের অনুসারী) বাংলাদেশের হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত। মোদিজি, কেবল ১৫ মিনিটের জন্য দরজা খুলে দিন, আমরা কাজটি করব।’
মঞ্চে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে রাজা সিং বলেন, ‘যারা ভারতের বিরুদ্ধে যাবে, তারা একই পরিণতির শিকার হবে।’ এ সময় তিনি একটি তলোয়ারও বের করেন এবং বলেন, ‘এই তলোয়ার কেবল খাপের মধ্যে পুরে রাখার জন্য নয়। এটি প্রতিটি হিন্দুর বাড়িতে থাকা উচিত।’
বিজেপি নেতা ও তেলেঙ্গানার বিধায়ক টি রাজা সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ১৫ মিনিটের জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দিতে বলেছেন, যাতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর যে কথিত নির্যাতন চলছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করে পরিস্থিতি পরিষ্কার (ক্লিয়ার) করতে পারেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের পতাকাও টেনে ছিঁড়ে ফেলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল রোববার দক্ষিণ গোয়ার কুরচোরেমে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি এই আহ্বান জানান। তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদের গোশামহল কেন্দ্রের বিধায়ক টি রাজা সিং বলেছেন, গোয়ায় হিন্দু জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে এবং দাবি করেছেন, ‘যেখানে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে, সেখানেই হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করা হয়েছে।’
রাজা টি সিং বলেন, ‘আমি এই রাজ্যের গভর্নরের একটি বক্তব্য পড়ছিলাম। তিনি বলেছেন, গোয়ায় মুসলিম জনসংখ্যার শতাংশ, অথচ ১০-১৫ বছর আগে ৩ শতাংশ ছিল। এখন বেড়ে ১২ শতাংশে পৌঁছেছে। এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের বিবেচনা ও চিন্তা করা উচিত...।’
রাজা সিং আরও দাবি করেন, ‘আগামী ২০-২৫ বছর যদি হিন্দুরা “হাম দো হামারে দো” নীতি অনুসরণ করে, তাহলে তারা পাকিস্তানের হিন্দুদের মতোই পরিস্থিতি এবং নির্যাতনের শিকার হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়তে থাকে এবং তাদের সাংসদ সংখ্যা ৩০০ হয়ে যায়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কোন সম্প্রদায় থেকে আসবেন? তাদের থেকেই হবে, তাই না? ...আর যেসব দেশে তাদের (মুসলিমদের) প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে হিন্দুদের কী অবস্থা হয়েছে... ইতিহাস তার সাক্ষী।’
বিরোধী দল কংগ্রেস গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের কাছে রাজা সিংয়ের গোয়া সফর বাতিলের আবেদন জানিয়েছিল এবং তাঁকে ‘বিতর্কিত ব্যক্তি, যার ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং সাম্প্রদায়িক উসকানির ইতিহাস রয়েছে’ বলে অভিহিত করেছিল। শুক্রবার কংগ্রেস বলেছিল, এই সফর গোয়ার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে এবং শান্তিপূর্ণ গন্তব্য হিসেবে গোয়ার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে পারে।
গোয়ার কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি গিরীশ বলেছিলেন, ‘গোয়া বিশ্বব্যাপী তার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য পরিচিত। টি রাজা সিংয়ের মতো কাউকে আমন্ত্রণ জানিয়ে—যিনি ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন—বিজেপি এই প্রিয় ঐতিহ্য বিপন্ন করছে।’
রোববার ৪৮ মিনিটের বক্তৃতায় রাজা সিং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্যে যোগ দিন এবং লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সবাইকে একত্রিত হতে হবে।’
রাজা সিং বাংলাদেশ প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি দাবি করে বলেন যে প্রতিবেশী দেশে হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছে এবং তাদের দোকান লুট করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘তারা সাহায্যের জন্য আবেদন করছে। আমি বলতে চাই যে জঙ্গি (বজরং দলের অনুসারী) বাংলাদেশের হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য লড়াই করতে প্রস্তুত। মোদিজি, কেবল ১৫ মিনিটের জন্য দরজা খুলে দিন, আমরা কাজটি করব।’
মঞ্চে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে রাজা সিং বলেন, ‘যারা ভারতের বিরুদ্ধে যাবে, তারা একই পরিণতির শিকার হবে।’ এ সময় তিনি একটি তলোয়ারও বের করেন এবং বলেন, ‘এই তলোয়ার কেবল খাপের মধ্যে পুরে রাখার জন্য নয়। এটি প্রতিটি হিন্দুর বাড়িতে থাকা উচিত।’
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে সারা বিশ্বের ক্যাথলিক সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন দেশ গভীর শোক প্রকাশ করেছে। ভারত সরকার তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। বিশ্বের উল্লেখযোগ্য প্রায় সকল রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেহাওয়াইয়ে ভ্রমণে গিয়ে মার্কিন সীমান্তরক্ষীদের হাতে দেহ তল্লাশি ও রাতভর আটকের শিকার হয়েছেন দুই জার্মান কিশোরী। পর্যাপ্ত সময়ের জন্য হোটেল বুকিং না থাকায় তাদের সন্দেহজনক মনে করে এই ব্যবস্থা নেয় যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি)।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল প্রায় চার বছরের পুরোনো একটি মামলায় ভারতের প্রতিযোগিতা কমিশন তথা সিসিআই-এর সঙ্গে নিষ্পত্তিতে পৌঁছেছে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভির বাজারে গুগল অনৈতিক ও প্রতিযোগিতাবিরোধী ব্যবসায়িক চর্চা করছে, এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই নিষ্পত্তি হয়েছে। গুগল,
৮ ঘণ্টা আগেভারতের সড়ক নিরাপত্তা সংকট অত্যন্ত ভয়াবহ। চলমান এই সমস্যা প্রতিদিন বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ২০২৩ সালে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। জানা গেছে, সে বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে ১ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর অর্থ প্রতিদিন ৪৭৪ জন বা প্রতি তিন মিনিটে প্রায় একজন মারা গেছেন।
৮ ঘণ্টা আগে