মিয়ানমারে সংঘাতে বাস্তুচ্যুত পৌনে ৩ লাখের বেশি মানুষ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১০: ০০
আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১১: ০৩

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর সঙ্গে দেশটির জাতিগত বিদ্রোহের চলমান সংঘাতের ঘটনায় সম্প্রতি ২ লাখ ৮৬ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গত বুধবার এ তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ। বলা হচ্ছে, ২০২১ সালের পর দেশটিতে এটিই সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনা।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, মিয়ানমারে জাতিগত বিদ্রোহীদের সশস্ত্র সংগঠন ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। এই সংঘর্ষ ঘনবসতিপূর্ণ শহরসহ আরও বেশ কিছু এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসার পর এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বড় ধরনের উত্তেজনা। এই উত্তেজনা ভৌগোলিকভাবেও বিস্তৃত হয়েছে।

ফারহান হক আরও বলেন, এসব ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো হলো শান, সাগাইং, কায়াহ, রাখাইন এবং দক্ষিণ চিন রাজ্য। মিয়ানমারে ২৬ অক্টোবর থেকে এ দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ অনেকাংশে বেড়ে যায়। এর পর থেকে গত বুধবার পর্যন্ত ২ লাখ ৮৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিজেদের ঘর-বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়।

অক্টোবরের শেষের দিকে চীনের সীমান্তের কাছে অবস্থিত শান রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত হামলা চালায় জাতিগত তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। জোটটির অন্যতম অংশীদার আরাকান আর্মির বিদ্রোহীরা গত সপ্তাহে পশ্চিম রাখাইন অঞ্চলে আক্রমণ আরও জোরদার করে।

ফারহান হক আরও বলেন, ‘রাখাইনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বিশেষ করে পাউকতাও এলাকা থেকে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে। পরে শহরটির প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে সেখানে ফিরতে পারছে না এই বাসিন্দারা। পাউকতাওয়ের পাঁচটি শরণার্থীশিবিরে অবস্থানরত প্রায় ২৬ হাজার রোহিঙ্গার কাছে জাতিসংঘ পৌঁছাতে পারছে না।’ 

গত অক্টোবরের শেষের দিকে মিয়ানমারের তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী একজোট হয়ে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরুর পর কয়েকটি ছোট শহর ও সেনাচৌকি দখলে নেয়। বিদ্রোহীরা এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন ১০২৭’।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত