Ajker Patrika

গাম্বিয়ায় শিশু মৃত্যুর সঙ্গে ভারতীয় কাশির সিরাপকে জড়িয়ে ওষুধশিল্পের ক্ষতি করেছে ডব্লিউএইচও: দিল্লি

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬: ৫১
গাম্বিয়ায় শিশু মৃত্যুর সঙ্গে ভারতীয় কাশির সিরাপকে জড়িয়ে ওষুধশিল্পের ক্ষতি করেছে ডব্লিউএইচও: দিল্লি

কাশির সিরাপ খেয়ে গাম্বিয়ায় ৬৬ জন শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে ভারতের মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি করা চারটি কাশির সিরাপের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে গত অক্টোবরে অভিযোগ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে সম্প্রতি ভারত সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ওই চারটি সিরাপ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সব নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য মেনেই সিরাপগুলো তৈরি করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলেছে, অভিযোগ উত্থাপন করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আজ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়ে বলেছে, আফ্রিকার দেশগুলোতে জেনেরিক ওষুধের প্রধান সরবরাহকারী দেশ হচ্ছে ভারত।

গত ১৩ ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রেগুলেশন এবং প্রিকোয়ালিফিকেশন বিভাগের পরিচালক রজেরিও গাসপারকে সম্বোধন করে একটি চিঠি লিখেছেন ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার জেনারেল ড. ভিজি সোমানি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেই চিঠির অনুলিপি সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত অক্টোবরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতীয় কাশির সিরাপের ওপর সতর্কতা জারি করলে ভারত ওই সব সিরাপ নিয়ে তদন্ত শুরু করে। সিরাপগুলোর নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেগুলোতে কোনো দূষিত যৌগ উপাদান নেই। পরীক্ষার ফলাফল ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল দ্বারা আরও অধিকতর পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গত অক্টোবরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল, কাশির সিরাপগুলোর নমুনা তারা পরীক্ষা করেছে এবং সিরাপগুলোতে অগ্রহণযোগ্য পরিমাণে ডাইথাইলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া গেছে।

ড. ভিজি সোমানির লেখা চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অক্টোবরের বিবৃতিটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। এতে ভারতের ওষুধশিল্পের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত