প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসনবিরোধী নীতির অংশ হিসেবে তৃতীয় দফায় ১১২ ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল রোববার পাঞ্জাবের অমৃতসরের শ্রীগুরু রাম দাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসীদের নিয়ে অবতরণ করে একটি মার্কিন সামরিক বিমান। এ সময় অভিবাসীদের হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরানো ছিল।
গতকাল ফেরত আসা ১১২ অভিবাসীর মধ্যে একজন জতিন্দর সিং। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে আটক থাকার সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং পর্যাপ্ত খাবার পাননি। তাঁর পাগড়ি খুলে ডাস্টবিনে ফেলা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
২৩ বছর বয়সী জতিন্দর জানান, অমৃতসরে কর্মসংস্থানের অভাব। তাই বিদেশে স্থায়ী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অপরাধে তাঁকে আটক করা হয়। এরপর দুই সপ্তাহ একটি আটককেন্দ্রে রাখা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, আটককেন্দ্রে থাকার সময় জোর করে তাঁর পাগড়ি খুলে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখ আমি বাড়ি থেকে বের হই। এরপর নভেম্বরের ২৭ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাই। কিন্তু পৌঁছেই আটক হই। আটকের পর তারা আমাকে পাগড়ি খুলতে বাধ্য করে। যদিও আমি আপত্তি করেছিলাম; কিন্তু তারা আমার কোনো কথা শোনেনি।’
জতিন্দর আরও বলেন, ‘আটককেন্দ্রে থাকার সময় খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়েছিল। খাবার হিসেবে শুধু লেস চিপস ও ফ্রুটি জুস দেওয়া হতো।’
জতিন্দর সিং অভিযোগ করেন, ফেরত পাঠানোর সময় সামরিক বিমানে টানা ৩৬ ঘণ্টা হাতকড়া ও শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘নভেম্বরে এক এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। এর জন্য ৫০ লাখ রুপিও নেয়। আমার পরিবার ১.৩ একর জমি বিক্রি করে এবং আমার দুই বিবাহিত বোনের গয়না বিক্রি করে এই টাকা সংগ্রহ করে।’
তিনি জানান, ওই এজেন্ট প্রথমে পানামার জঙ্গল পাড়ি দিয়ে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পরিকল্পনা করেছিল। তবে সীমান্ত পেরোনোর পরপরই মার্কিন সীমান্তরক্ষীরা তাঁকে ধরে ফেলে।
দেশে ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করা হয়েছে, তা নিয়ে দেশটিতে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্ডার প্যাট্রল কর্মকর্তারা ভারতীয়দের হাতকড়া পরিয়ে এবং পা শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। বিমান থেকে নামানোর সময় দেখে মনে হচ্ছিল, কোনো কুখ্যাত অপরাধীকে আনা হচ্ছে।
শিখধর্মীয় সংগঠন শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির (এসজিপিসি) প্রধান হরজিন্দর সিং ধামী মার্কিন কর্তৃপক্ষের এই আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের যুবকদের পাগড়ি খুলে নেওয়া হয়েছে, এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।’
গতকাল ফেরত আসা ১১২ জন অভিবাসীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৪ জন হরিয়ানার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে ৩৩ জন গুজরাটের, ৩১ জন পাঞ্জাবের, ২ জন উত্তর প্রদেশের এবং ১ জন করে হিমাচল ও উত্তরাখন্ডের নাগরিক।
এর আগে গত শনিবার রাতেও একটি মার্কিন সামরিক বিমানে ১১৯ জন ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে ৬৭ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার, ৮ জন গুজরাটের, ৩ জন উত্তর প্রদেশের, ২ জন করে গোয়া, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের এবং ১ জন করে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক।
ফেরত পাঠানো এসব অভিবাসীর কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, ভ্রমণকালে তাঁদের হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরানো হয়েছিল। অমৃতসরে পৌঁছানোর পর খোলা হয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর এ প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহগুলোতেও চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রতি ১৫ দিন পর সামরিক বিমানের ফ্লাইটে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হবে, যত দিন পর্যন্ত না সবাই দেশে ফিরে আসে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তাই আরও অনেককে ফেরত পাঠানো হতে পারে।
৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান ১০৪ ভারতীয়কে নিয়ে অবতরণ করে। তাঁদের মধ্যে ৩৩ জন করে ছিলেন হরিয়ানা ও গুজরাটের, ৩০ জন পাঞ্জাবের, ৩ জন করে মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশের এবং ২ জন চণ্ডীগড়ের।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসনবিরোধী নীতির অংশ হিসেবে তৃতীয় দফায় ১১২ ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল রোববার পাঞ্জাবের অমৃতসরের শ্রীগুরু রাম দাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসীদের নিয়ে অবতরণ করে একটি মার্কিন সামরিক বিমান। এ সময় অভিবাসীদের হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরানো ছিল।
গতকাল ফেরত আসা ১১২ অভিবাসীর মধ্যে একজন জতিন্দর সিং। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রে আটক থাকার সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং পর্যাপ্ত খাবার পাননি। তাঁর পাগড়ি খুলে ডাস্টবিনে ফেলা হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
২৩ বছর বয়সী জতিন্দর জানান, অমৃতসরে কর্মসংস্থানের অভাব। তাই বিদেশে স্থায়ী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অপরাধে তাঁকে আটক করা হয়। এরপর দুই সপ্তাহ একটি আটককেন্দ্রে রাখা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, আটককেন্দ্রে থাকার সময় জোর করে তাঁর পাগড়ি খুলে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের ১২ তারিখ আমি বাড়ি থেকে বের হই। এরপর নভেম্বরের ২৭ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাই। কিন্তু পৌঁছেই আটক হই। আটকের পর তারা আমাকে পাগড়ি খুলতে বাধ্য করে। যদিও আমি আপত্তি করেছিলাম; কিন্তু তারা আমার কোনো কথা শোনেনি।’
জতিন্দর আরও বলেন, ‘আটককেন্দ্রে থাকার সময় খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়েছিল। খাবার হিসেবে শুধু লেস চিপস ও ফ্রুটি জুস দেওয়া হতো।’
জতিন্দর সিং অভিযোগ করেন, ফেরত পাঠানোর সময় সামরিক বিমানে টানা ৩৬ ঘণ্টা হাতকড়া ও শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘নভেম্বরে এক এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। এর জন্য ৫০ লাখ রুপিও নেয়। আমার পরিবার ১.৩ একর জমি বিক্রি করে এবং আমার দুই বিবাহিত বোনের গয়না বিক্রি করে এই টাকা সংগ্রহ করে।’
তিনি জানান, ওই এজেন্ট প্রথমে পানামার জঙ্গল পাড়ি দিয়ে মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পরিকল্পনা করেছিল। তবে সীমান্ত পেরোনোর পরপরই মার্কিন সীমান্তরক্ষীরা তাঁকে ধরে ফেলে।
দেশে ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করা হয়েছে, তা নিয়ে দেশটিতে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্ডার প্যাট্রল কর্মকর্তারা ভারতীয়দের হাতকড়া পরিয়ে এবং পা শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। বিমান থেকে নামানোর সময় দেখে মনে হচ্ছিল, কোনো কুখ্যাত অপরাধীকে আনা হচ্ছে।
শিখধর্মীয় সংগঠন শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির (এসজিপিসি) প্রধান হরজিন্দর সিং ধামী মার্কিন কর্তৃপক্ষের এই আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের যুবকদের পাগড়ি খুলে নেওয়া হয়েছে, এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।’
গতকাল ফেরত আসা ১১২ জন অভিবাসীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৪ জন হরিয়ানার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে ৩৩ জন গুজরাটের, ৩১ জন পাঞ্জাবের, ২ জন উত্তর প্রদেশের এবং ১ জন করে হিমাচল ও উত্তরাখন্ডের নাগরিক।
এর আগে গত শনিবার রাতেও একটি মার্কিন সামরিক বিমানে ১১৯ জন ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে ৬৭ জন পাঞ্জাবের, ৩৩ জন হরিয়ানার, ৮ জন গুজরাটের, ৩ জন উত্তর প্রদেশের, ২ জন করে গোয়া, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানের এবং ১ জন করে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিক।
ফেরত পাঠানো এসব অভিবাসীর কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, ভ্রমণকালে তাঁদের হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরানো হয়েছিল। অমৃতসরে পৌঁছানোর পর খোলা হয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর এ প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহগুলোতেও চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। প্রতি ১৫ দিন পর সামরিক বিমানের ফ্লাইটে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হবে, যত দিন পর্যন্ত না সবাই দেশে ফিরে আসে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তাই আরও অনেককে ফেরত পাঠানো হতে পারে।
৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান ১০৪ ভারতীয়কে নিয়ে অবতরণ করে। তাঁদের মধ্যে ৩৩ জন করে ছিলেন হরিয়ানা ও গুজরাটের, ৩০ জন পাঞ্জাবের, ৩ জন করে মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশের এবং ২ জন চণ্ডীগড়ের।
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুইঝৌ প্রদেশে নির্মাণাধীন হুয়াজিয়াং গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন সেতুটি চলতি বছরের জুনে চালু হবে। নদীর পানিস্তর থেকে সেতুটি প্রায় ২ হাজার ৫১ ফুট ওপরে থাকবে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু ফ্রান্সের মিলাউ ভায়াডাক্টের চেয়ে এই সেতুটি প্রায় ৯৪৭ ফুট বেশি উঁচু হবে।
১০ মিনিট আগেপেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলান্তা হুমালা ও তাঁর স্ত্রী নাদিন হেরেদিয়াকে অর্থপাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজধানী লিমার একটি আদালত। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ২০০৬ ও ২০১১ সালের নির্বাচনী প্রচার চালানোর জন্য হুমালা ভেনেজুয়েলার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ এবং ব্রাজিলের
৩৭ মিনিট আগেজার্মানির বার্লিনে প্যালিয়েটিভ কেয়ারে নিযুক্ত এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ১৫ জন রোগীকে হত্যার অভিযোগে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৪০ বছর বয়সী এই চিকিৎসক মারাত্মক ওষুধের মিশ্রণ ব্যবহার করে ওই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছেন, সমতা নিশ্চিতের জন্য তৈরি করা ব্রিটিশ আইনে ‘নারী’ তারাই যাদের ‘জৈবিক লিঙ্গ নারী’ অর্থাৎ যারা শারীরিকভাবে নারী। তবে আদালত বলেছেন, এই রায়ে ট্রান্সজেন্ডাররা কোনো সমস্যায় পড়বেন না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে