অনলাইন ডেস্ক
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় গত কয়েক দিন ধরে রেকর্ড ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় রাজ্যটিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ২০। নিহতদের মধ্যে নারী-শিশুও রয়েছে। এ ছাড়া হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। রাজ্যটিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৭ লাখ। ঘটেছে বহু ভূমিধসের ঘটনাও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত চার দিন ধরে ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত ত্রিপুরার বন্যা পরিস্থিতি বৃহস্পতিবারও ভয়াবহ অবস্থায় ছিল। এদিন দক্ষিণ ত্রিপুরায় কাদার স্রোতে চাপা পড়ে নারী, শিশুসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ ত্রিপুরার আটটি জেলার জন্যই ‘রেড অ্যালার্ট’ বজায় রেখেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় সাহায্য ও সহায়তা আরও বাড়াতে বিমানবাহিনী কাজ করছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) আরও দল সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর দুটি সি-১৩০ এবং একটি এএন-৩২ বিমান ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য কাজ করেছে। এ ছাড়া হেলিকপ্টারগুলোও দুর্গত এলাকায় পৌঁছাতে এবং আরও ত্রাণ তৎপরতা চালাতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ত্রিপুরার নদীগুলোর পানির স্তর এখনো উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি রয়ে গেছে। গোমতি, দক্ষিণ ত্রিপুরা, উনাকোটি ও পশ্চিম ত্রিপুরার মতো জেলাগুলো বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে ধলাই, খোয়াই, দক্ষিণ ত্রিপুরা, পশ্চিম ত্রিপুরা, উত্তর ত্রিপুরা ও উনাকোটি—ছয়টি জেলায় নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আট জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সব মিলিয়ে রাজ্যে ৬৫ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য গত ১৯ আগস্ট থেকে জেলা প্রশাসন ৪৫০টি ত্রাণ শিবির খুলেছে। আর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭ লাখ।
এনডিটিভি বলছে, বন্যার কারণে ত্রিপুরায় ২০৩২টি স্থানে ভূমিধস হয়েছে, যার মধ্যে ১৭৮৯টি পরিষ্কার করা হয়েছে। পুরোদমে চলছে সংস্কারকাজ। ১৯৫২টি স্থানে রাস্তায় ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৫৭৯টি স্থানে এখন পর্যন্ত ভাঙন মেরামত করে পরিষেবা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া আগরতলা থেকে সমস্ত রেল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গোমতী, দক্ষিণ ত্রিপুরা এবং অন্যান্য বন্যাদুর্গত এলাকায় টেলিযোগাযোগ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর রাজ্যের অনেক জায়গায় আজ ও আগামীকাল ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। সারা রাজ্যে আজ এবং আগামীকাল চারটি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় গত কয়েক দিন ধরে রেকর্ড ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় রাজ্যটিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ২০। নিহতদের মধ্যে নারী-শিশুও রয়েছে। এ ছাড়া হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে। রাজ্যটিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৭ লাখ। ঘটেছে বহু ভূমিধসের ঘটনাও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত চার দিন ধরে ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত ত্রিপুরার বন্যা পরিস্থিতি বৃহস্পতিবারও ভয়াবহ অবস্থায় ছিল। এদিন দক্ষিণ ত্রিপুরায় কাদার স্রোতে চাপা পড়ে নারী, শিশুসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ ত্রিপুরার আটটি জেলার জন্যই ‘রেড অ্যালার্ট’ বজায় রেখেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় সাহায্য ও সহায়তা আরও বাড়াতে বিমানবাহিনী কাজ করছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) আরও দল সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর দুটি সি-১৩০ এবং একটি এএন-৩২ বিমান ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য কাজ করেছে। এ ছাড়া হেলিকপ্টারগুলোও দুর্গত এলাকায় পৌঁছাতে এবং আরও ত্রাণ তৎপরতা চালাতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ত্রিপুরার নদীগুলোর পানির স্তর এখনো উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি রয়ে গেছে। গোমতি, দক্ষিণ ত্রিপুরা, উনাকোটি ও পশ্চিম ত্রিপুরার মতো জেলাগুলো বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে ধলাই, খোয়াই, দক্ষিণ ত্রিপুরা, পশ্চিম ত্রিপুরা, উত্তর ত্রিপুরা ও উনাকোটি—ছয়টি জেলায় নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আট জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সব মিলিয়ে রাজ্যে ৬৫ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য গত ১৯ আগস্ট থেকে জেলা প্রশাসন ৪৫০টি ত্রাণ শিবির খুলেছে। আর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭ লাখ।
এনডিটিভি বলছে, বন্যার কারণে ত্রিপুরায় ২০৩২টি স্থানে ভূমিধস হয়েছে, যার মধ্যে ১৭৮৯টি পরিষ্কার করা হয়েছে। পুরোদমে চলছে সংস্কারকাজ। ১৯৫২টি স্থানে রাস্তায় ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৫৭৯টি স্থানে এখন পর্যন্ত ভাঙন মেরামত করে পরিষেবা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
এ ছাড়া আগরতলা থেকে সমস্ত রেল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গোমতী, দক্ষিণ ত্রিপুরা এবং অন্যান্য বন্যাদুর্গত এলাকায় টেলিযোগাযোগ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর রাজ্যের অনেক জায়গায় আজ ও আগামীকাল ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। সারা রাজ্যে আজ এবং আগামীকাল চারটি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
প্রযুক্তি সংস্থা গুগলকে বিস্ময়করভাবে ২০ ডেসিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে রাশিয়ার একটি আদালত। বুধবার ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে যত টাকা আছে সব একসঙ্গে করা হলেও এই পরিমাণ অর্থ হবে না।
১ ঘণ্টা আগেকমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমরা জানি, ডোনাল্ড ট্রাম্প কে। তিনি অস্থির, প্রতিশোধপরায়ণ, অপরাধপ্রবণ। তিনি অবাধ ক্ষমতার পেছনে ছুটছেন।’
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে চাপ দিয়েছে ভারতের কেন্দ্র সরকার। এ লক্ষ্যে অধিগৃহীত জমি দ্রুত কেন্দ্র সরকারের হাতে হস্তান্তর করারও অনুরোধ জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ
৫ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ পশ্চিমবঙ্গের জেলেদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করছে। এমন আক্ষেপই প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের জেলে সম্প্রদায়। তাদের বক্তব্য, আগে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গের জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করলে তাদের ফেরত পাঠানো হতো, কিন্তু এখন তাদের আটক করা
৬ ঘণ্টা আগে