Ajker Patrika

বাংলাদেশের মতো মিয়ানমার সীমান্তেও কাঁটাতারের বেড়া দেবে ভারত

আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১১: ৩১
বাংলাদেশের মতো মিয়ানমার সীমান্তেও কাঁটাতারের বেড়া দেবে ভারত

মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে জান্তার শত শত সদস্য প্রবেশ করছেন ভারতের মিজোরাম রাজ্যে। তাঁদের এই অবাধে ভারতে প্রবেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে নরেন্দ্র মোদি সরকার। বাংলাদেশের মতো মিয়ানমার সীমান্তেও কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এ কথা জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

ভারতীয় গণমাধ্যম মিন্টের এক প্রতিবেদনে খবরটি জানান হয়। গতকাল শনিবার আসাম পুলিশ কমান্ডোদের পাসিং আউট প্যারেডে এই ঘোষণা দেন অমিত শাহ। যে ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম বা এফএমআর অনুযায়ী মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্তবর্তী মানুষ বিনা ভিসায় একে অন্যের দেশে যাতায়াত করতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও আপাতত বন্ধ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

অমিত শাহ বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত উন্মুক্ত। নরেন্দ্র মোদির সরকার ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তের মতো মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পূর্ণ সীমানায় আমরা বেড়া নির্মাণ করব।’

ভারত সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম চুক্তি বন্ধ করা নিয়েও আলোচনা করছে বলে তিনি জানান। অমিত শাহ বলেন, সরকার এখন দুই দেশের মধ্যে এই অবাধ চলাচল বন্ধ করবে।

সীমান্তে বেড়া দেওয়ার অমিত শাহের ঘোষণা এসেছে এমন সময়ে, যখন মিয়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোণঠাসা হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে আশ্রয়ের আশায় পালিয়ে আসছে শত শত জান্তা সদস্য। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, সংঘর্ষের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রায় ৬০০ সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছেন।

পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি জান্তা বাহিনীর ক্যাম্পগুলো দখল করায় জান্তা সদস্যরা মিজোরামের লংটলাই জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের আসাম রাইফেলস ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবগত করে মিয়ানমার জান্তার সদস্যদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর তাগিদ দিয়েছে মিজোরাম সরকার।

উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে উত্তর মিয়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী—মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ) জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই শুরু করে। পর্যায়ক্রমে কয়েকটি শহর ও সামরিক ঘাঁটিও দখল করে তারা। এতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন জান্তা সেনারা। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমার জান্তা সরকার এবারই সবচেয়ে বড় পরীক্ষার সম্মুখীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত