Ajker Patrika

ভারতে পালাচ্ছেন মিয়ানমার সেনারা

আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭: ২৯
ভারতে পালাচ্ছেন মিয়ানমার সেনারা

মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র বাহিনী এবং জান্তা সরকারের মধ্যে সংঘর্ষের তীব্রতা বেড়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পালিয়ে জান্তার শত শত সদস্য প্রবেশ করছেন ভারতের মিজোরাম রাজ্যে। এই পরিস্থিতি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবগত করে মিয়ানমার জান্তার সদস্যদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর তাগিদ দিয়েছে মিজোরাম সরকার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। বলা হয়েছে, সংঘর্ষের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রায় ৬০০ সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছেন। ভারত সরকারের সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি জান্তা বাহিনীর ক্যাম্পগুলো দখল করায় জান্তা সদস্যরা মিজোরামের লংটলাই জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের আসাম রাইফেলস ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিলংয়ে অনুষ্ঠিত উত্তর-পূর্ব কাউন্সিলের অধিবেশনে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মধ্যে জরুরি আলোচনা হতে পারে। ভারতের সরকারি সূত্রগুলো বলেছে, আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাসদস্যদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে মিজোরাম।

মিয়ানমারের জান্তা সদস্যদের আশ্রয় নেওয়ার ফলে রাজ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং অঞ্চলটির স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব কাউন্সিলের অধিবেশনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা।

তিনি বলেন, ‘মানুষ মিয়ানমার থেকে আমাদের দেশে আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে আসছে এবং আমরা মানবিক কারণে তাদের সাহায্য করছি। মিয়ানমারের সৈন্যরা আসছে, আশ্রয় খুঁজছে। আগে আমরা তাদের আকাশপথে ফেরত পাঠাতাম। প্রায় ৪৫০ সেনাসদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

গত বছরের অক্টোবরে উত্তর মিয়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী—মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ) জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াই শুরু করে। পর্যায়ক্রমে কয়েকটি শহর ও সামরিক ঘাঁটিও দখল করে তারা। এতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন জান্তা সেনারা। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমার জান্তা সরকার এবারই সবচেয়ে বড় পরীক্ষার সম্মুখীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত