কলকাতা সংবাদদাতা
কলকাতায় জমে উঠেছে ঈদুল ফিতরের কেনাকাটা। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে ঈদের বাজারে ছুটছে ছোট থেকে বড় সকলে। এসব ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। প্রতিদিন ঈদের কেনাকাটার জন্য তিন থেকে চার বাজার বাংলাদেশি কলকাতায় যাচ্ছেন। এতে বিক্রেতারাও বেশ খুশি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ অর্থাৎ উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার, দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট, মধ্য কলকাতার নিউমার্কেট, সদর স্ট্রিট, মির্জা গালিব স্ট্রিটে জমে উঠেছে ঈদবাজার। এ ছাড়া কলকাতার ধর্মতলা চত্বর, পার্ক সার্কাস, জাকারিয়া স্ট্রিট, বড়বাজার উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বাদ যাচ্ছে না কলকাতার শপিংমলগুলোও। কোয়েস্ট শপিংমল থেকে শুরু করে সাউথ সিটি শপিংমলের কোনোটিই ফাঁকা নেই।
এসব বাজারে আসা অনেক বাংলাদেশি পর্যটক এই প্রতিবেদককে বলছেন, ‘কলকাতার এই বাজার তো এখন আমাদের জন্যই।’
চলতি সপ্তাহের শেষ ছুটি আগামীকাল। তাই এর আগেই জমজমাট হয়ে উঠেছে গোটা কলকাতার ঈদবাজার। প্রচণ্ড গরমের কারণে কলকাতার নিউমার্কেট চত্বরের ব্যবসায়ীরা ভেবেছিলেন, এবার ঈদের বাজার গ্রাহকশূণ্যতা দেখা দিতে পারে। সব আশঙ্কা মিথ্যে করে দিয়ে এবারের ঈদের বাজার জমিয়ে তুলেছেন বাংলাদেশ থেকে আসা বহু পর্যটক। কলকাতার নিউমার্কেট চত্বরের ব্যবসায়ীদের কাছে এসব বাংলাদেশি পর্যটক শুধু খরিদ্দারই নন, তাঁদের আশার আলো।
বিশেষ করে করোনার পর এবারই প্রথম ঈদের বাজার কলকাতায় জমে উঠেছে জানিয়ে নিউমার্কেটের শাড়ি জামা কাপড়ের ব্যবসায়ী বসির বলেন, ‘আমরা ভাবতেই পারিনি এবারে এমন ব্যবসা হবে।’ খুলনা থেকে ঈদবাজার করতে আসা রাভেল বলেন, ‘কলকাতায় না এসে ঈদবাজার না করলে মন ভরে না। কলকাতার বাজার দর আগের থেকে একটু চড়া হলেও বিভিন্ন ডিজাইন ও কালারের পোশাকের জন্য কলকাতায় আমাদের আসতেই হয়।’
শুধু জামাকাপড় বললে ভুল হবে। বড়বাজার চত্বরে বিভিন্ন ইমিটেশন গয়নার দোকানেও প্রবল ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে মেহতা বিল্ডিংয়ের আশপাশের চত্বর, কটন স্ট্রিট ও গড়িয়াহাট চত্বরের ফুটপাত ব্যবসায়ীরাও খুশি। নিউমার্কেটের ক্রেতারাও এখন সস্তার গড়িয়াহাটে এসে কেনাকাটা করছেন।
কলকাতায় ভ্রমণ, ব্যবসা, কাজ বা চিকিৎসার জন্য আসা বাংলাদেশিরাই ঈদের কেনাকাটার এসব বাজারে ভিড় করছেন। গড়িয়াহাটের চুরিদার ব্যবসায়ী সুশান্ত মল্লিক বলেন, ‘এবারের ঈদবাজারে সুতি চুড়িদারের চাহিদা বেশ। এসব শাড়ি কিনছেন বাংলাদেশি পর্যটক থেকে শুরু করে মেদিনীপুর, বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি উত্তর-দক্ষিণ ও ২৪ পরগনার মুসলিম সম্প্রদায়। কলকাতায় ঈদবাজারে আসা সবার চাহিদা একই।’
কলকাতা নিউমার্কেট চত্বরের ট্রাভেল ব্যবসায়ী মহীসূর বলেন, ‘এই মুহূর্তে কলকাতায় প্রতিদিনই প্রায় তিন-চার হাজার বাংলাদেশি পর্যটক আসছেন। আগামী দু-একদিনের মধ্যে পর্যটক আসার এই ঢল আরও বাড়বে। ব্যবসা গত ১০-১২ দিনে যা হয়েছে তার দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
পোশাক ব্যবসার পাশাপাশি কলকাতার ট্রাভেল ব্যবসায়ীরাও বেশ খুশি। যদিও আরও বেশি বাংলাদেশি পর্যটকের আগমনের ব্যাপারে তাঁরা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরও সদর্থক ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন।
মধ্য কলকাতার নিউমার্কেট ও ধর্মতলা এলাকার ব্যবসা অনেকটাই নির্ভর করে বাংলাদেশ থেকে আসা পর্যটকদের ওপরে। এই এলাকার ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সভাপতি মনতোষ সাহা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি নানারকম অভিনব কর্মসূচি নিয়েছি, যেটা আমরা সবসময় করি। এরপরও অনেক সময় নিউমার্কেট চত্বরে অনেকের পকেটমানি হচ্ছে বা জিনিসপত্র খোয়া যাচ্ছে। তাই এরই মধ্যে কলকাতা সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি সংগঠনের উদ্যোগে বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।’
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেলা ১২টা থেকে ৩টা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভিড় হালকা হলেও বিকেল ৪ টা-সাড়ে ৪টার পর থেকে জমজমাট হয়ে ওঠে কলকাতার সমস্ত জামাকাপড়, জুতো, কসমেটিক্সের বাজার। এসব বাজার কলকাতার গড়িয়াহাট থেকে শ্যামবাজার ও ধর্মতলা পর্যন্ত বিস্তৃত। এসব বাজারের ব্যবসায়ীরা কলকাতার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে ক্রেতাদের জন্য শরবত ও ইফতারির ব্যবস্থাও রাখছেন।
সন্ধ্যার পর ঈদবাজারে হরেক রকমের খাবারের পসরা বসে জাকারিয়া স্ট্রিটে। সেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি সুস্বাদু খাবারের লোভে অন্যান্য সম্প্রদায়ের সব মানুষ ভিড় করছে। এক কথায়, কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণে এখন ভোটের বাজারের চাইতেও ঈদের বাজার সরগরম।
কলকাতায় জমে উঠেছে ঈদুল ফিতরের কেনাকাটা। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে ঈদের বাজারে ছুটছে ছোট থেকে বড় সকলে। এসব ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। প্রতিদিন ঈদের কেনাকাটার জন্য তিন থেকে চার বাজার বাংলাদেশি কলকাতায় যাচ্ছেন। এতে বিক্রেতারাও বেশ খুশি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ অর্থাৎ উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার, দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট, মধ্য কলকাতার নিউমার্কেট, সদর স্ট্রিট, মির্জা গালিব স্ট্রিটে জমে উঠেছে ঈদবাজার। এ ছাড়া কলকাতার ধর্মতলা চত্বর, পার্ক সার্কাস, জাকারিয়া স্ট্রিট, বড়বাজার উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বাদ যাচ্ছে না কলকাতার শপিংমলগুলোও। কোয়েস্ট শপিংমল থেকে শুরু করে সাউথ সিটি শপিংমলের কোনোটিই ফাঁকা নেই।
এসব বাজারে আসা অনেক বাংলাদেশি পর্যটক এই প্রতিবেদককে বলছেন, ‘কলকাতার এই বাজার তো এখন আমাদের জন্যই।’
চলতি সপ্তাহের শেষ ছুটি আগামীকাল। তাই এর আগেই জমজমাট হয়ে উঠেছে গোটা কলকাতার ঈদবাজার। প্রচণ্ড গরমের কারণে কলকাতার নিউমার্কেট চত্বরের ব্যবসায়ীরা ভেবেছিলেন, এবার ঈদের বাজার গ্রাহকশূণ্যতা দেখা দিতে পারে। সব আশঙ্কা মিথ্যে করে দিয়ে এবারের ঈদের বাজার জমিয়ে তুলেছেন বাংলাদেশ থেকে আসা বহু পর্যটক। কলকাতার নিউমার্কেট চত্বরের ব্যবসায়ীদের কাছে এসব বাংলাদেশি পর্যটক শুধু খরিদ্দারই নন, তাঁদের আশার আলো।
বিশেষ করে করোনার পর এবারই প্রথম ঈদের বাজার কলকাতায় জমে উঠেছে জানিয়ে নিউমার্কেটের শাড়ি জামা কাপড়ের ব্যবসায়ী বসির বলেন, ‘আমরা ভাবতেই পারিনি এবারে এমন ব্যবসা হবে।’ খুলনা থেকে ঈদবাজার করতে আসা রাভেল বলেন, ‘কলকাতায় না এসে ঈদবাজার না করলে মন ভরে না। কলকাতার বাজার দর আগের থেকে একটু চড়া হলেও বিভিন্ন ডিজাইন ও কালারের পোশাকের জন্য কলকাতায় আমাদের আসতেই হয়।’
শুধু জামাকাপড় বললে ভুল হবে। বড়বাজার চত্বরে বিভিন্ন ইমিটেশন গয়নার দোকানেও প্রবল ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে মেহতা বিল্ডিংয়ের আশপাশের চত্বর, কটন স্ট্রিট ও গড়িয়াহাট চত্বরের ফুটপাত ব্যবসায়ীরাও খুশি। নিউমার্কেটের ক্রেতারাও এখন সস্তার গড়িয়াহাটে এসে কেনাকাটা করছেন।
কলকাতায় ভ্রমণ, ব্যবসা, কাজ বা চিকিৎসার জন্য আসা বাংলাদেশিরাই ঈদের কেনাকাটার এসব বাজারে ভিড় করছেন। গড়িয়াহাটের চুরিদার ব্যবসায়ী সুশান্ত মল্লিক বলেন, ‘এবারের ঈদবাজারে সুতি চুড়িদারের চাহিদা বেশ। এসব শাড়ি কিনছেন বাংলাদেশি পর্যটক থেকে শুরু করে মেদিনীপুর, বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি উত্তর-দক্ষিণ ও ২৪ পরগনার মুসলিম সম্প্রদায়। কলকাতায় ঈদবাজারে আসা সবার চাহিদা একই।’
কলকাতা নিউমার্কেট চত্বরের ট্রাভেল ব্যবসায়ী মহীসূর বলেন, ‘এই মুহূর্তে কলকাতায় প্রতিদিনই প্রায় তিন-চার হাজার বাংলাদেশি পর্যটক আসছেন। আগামী দু-একদিনের মধ্যে পর্যটক আসার এই ঢল আরও বাড়বে। ব্যবসা গত ১০-১২ দিনে যা হয়েছে তার দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
পোশাক ব্যবসার পাশাপাশি কলকাতার ট্রাভেল ব্যবসায়ীরাও বেশ খুশি। যদিও আরও বেশি বাংলাদেশি পর্যটকের আগমনের ব্যাপারে তাঁরা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরও সদর্থক ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন।
মধ্য কলকাতার নিউমার্কেট ও ধর্মতলা এলাকার ব্যবসা অনেকটাই নির্ভর করে বাংলাদেশ থেকে আসা পর্যটকদের ওপরে। এই এলাকার ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সভাপতি মনতোষ সাহা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি নানারকম অভিনব কর্মসূচি নিয়েছি, যেটা আমরা সবসময় করি। এরপরও অনেক সময় নিউমার্কেট চত্বরে অনেকের পকেটমানি হচ্ছে বা জিনিসপত্র খোয়া যাচ্ছে। তাই এরই মধ্যে কলকাতা সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি সংগঠনের উদ্যোগে বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।’
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেলা ১২টা থেকে ৩টা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভিড় হালকা হলেও বিকেল ৪ টা-সাড়ে ৪টার পর থেকে জমজমাট হয়ে ওঠে কলকাতার সমস্ত জামাকাপড়, জুতো, কসমেটিক্সের বাজার। এসব বাজার কলকাতার গড়িয়াহাট থেকে শ্যামবাজার ও ধর্মতলা পর্যন্ত বিস্তৃত। এসব বাজারের ব্যবসায়ীরা কলকাতার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে ক্রেতাদের জন্য শরবত ও ইফতারির ব্যবস্থাও রাখছেন।
সন্ধ্যার পর ঈদবাজারে হরেক রকমের খাবারের পসরা বসে জাকারিয়া স্ট্রিটে। সেখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি সুস্বাদু খাবারের লোভে অন্যান্য সম্প্রদায়ের সব মানুষ ভিড় করছে। এক কথায়, কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণে এখন ভোটের বাজারের চাইতেও ঈদের বাজার সরগরম।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি দাবি করেছেন, ইমরান খানের সরকার পতনের পেছনে সৌদি আরবের ভূমিকা ছিল। কারাবন্দী ইমরান খানের স্ত্রী এক বিরল ভিডিও বার্তায় এই দাবি করেছেন। পাশাপাশি, তিনি ভিডিওতে আগামী ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিক্ষোভ মিছিলে ইমরান খানের দল পাকিস
১২ ঘণ্টা আগেপোল্যান্ডে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঘাঁটি ‘পারমাণবিক সংঘাতের ঝুঁকি বাড়ানোর’ কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া। পাশাপাশি বলেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এখন রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ, রাশিয়া প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় এই ঘাঁটিতে হামলা চা
১২ ঘণ্টা আগেমার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএসের প্রতিবেদন থেকে
১২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান নিশ্চিত করেছেন, আগামী ২৪ নভেম্বর তাঁর দল রাজধানী ইসলামাবাদে যে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে তা স্থগিত করলে, তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে ‘প্রস্তাব’ এসেছে। পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতাদের কাছে পাকিস্তান সরকার এই প্রস্তাব দিয়েছে
১২ ঘণ্টা আগে