অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি অঞ্চল গাজায় নির্বিচারে ইসরায়েলি হামলা চলছে। গাজা ও পশ্চিম তীর মিলে নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে চার হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের সম্পূর্ণ হত্যাযজ্ঞের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এই ধ্বংসযজ্ঞে গণকবর হয়ে দাঁড়িয়েছে গাজার বাস্তবতা। এত শিশুর লাশ দেখে একজন কবর খননকারী বলেছেন, তিনি এখন খেতে ও ঘুমোতে পারেন না।
গাজায় ৬৩ বছর বয়সী কবর খননকারী সাদি বারাকা এই পেশায়ই কাটিয়েছেন জীবনের অধিকাংশ সময়। তবু এই কদিনে দেখা নৃশংসতা তাঁর কাছে তুলনার বাইরে। গত ৭ অক্টোবর থেকে বিপুলসংখ্যক লাশের সৎকার করার পর মানসিকভাবে অনেকটাই বিপর্যস্ত সাদি বারাকা কথা বলেছেন তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘গণকবর খোঁড়ার জন্য আমাদের বাধ্য করা হয়। প্রতিদিন এই সংখ্যক লাশ রাখার জন্য আর জায়গা নেই। ব্লকও (কবরে লাশের ওপরে সিমেন্টের স্ল্যাব) নেই। গাজায় সব শেষ হয়ে গেছে। আমি আজ পর্যন্ত শিশু, নারী ও বয়স্কদের বিরুদ্ধে এমন নৃশংসতা দেখিনি। এমনকি যে নাৎসি শাসনের কথা তারা বলে, তখনো না।’
সাদি বারাকা বলেন, ‘কেবল গতকালই আমি প্রায় ৬০০ শহীদের লাশ দাফন করেছি। গত পাঁচ বছরেও এত লাশ দাফন করিনি। আমি এমন বর্বরতা কখনোই দেখিনি। যাদের কবর দিয়েছি তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।’
বারাকার মতে, প্রতিটি গণকবর প্রায় ৬ মিটার (২০ ফুট) দীর্ঘ এবং এতে প্রায় ৪৫ জনকে সমাহিত করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় গণকবরে ১৩৭ জনকে দাফন করা হয়েছে। গণকবর খনন কেন প্রয়োজন হচ্ছে, এর জবাবে সাদি বারাকা বলেন, কোনো কাঁচামাল আর অবশিষ্ট নেই, গাজায় কিছুই অবশিষ্ট নেই। এমনকি পানিও পাওয়া যাচ্ছে না।
সারা দিন ধরে নারকীয় সব অভিজ্ঞতার কথা জানান বারাকা। তিনি বলেন, ‘এত বেশি শিশুর লাশ দেখেছি যে আমি ঘুমোতে পারি না। এই শিশুদের কী দোষ? আমরা সাহায্য বা খাদ্য চাই না; আমরা আবু আম্মারের (প্রয়াত ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত) সময় থেকে শান্তি খুঁজছি। আর এদিকে, নেতানিয়াহুর কেবল চাই রক্তপাত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মর্যাদা নিয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। একটি রাষ্ট্র ও সার্বভৌমত্ব চাই। বিশ্বের অন্য যে কারও মতো নাগরিক হতে চাই। যারা সাহায্য পাঠাচ্ছে, তারা আমাদের নিজ দেশে নাগরিক হিসেবে বসবাস করার অনুমতি দিক। আমি মনে করি সেটাই বেশি উপযুক্ত; ঠিক যেমনটি অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে হয়।’
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি অঞ্চল গাজায় নির্বিচারে ইসরায়েলি হামলা চলছে। গাজা ও পশ্চিম তীর মিলে নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে চার হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের সম্পূর্ণ হত্যাযজ্ঞের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এই ধ্বংসযজ্ঞে গণকবর হয়ে দাঁড়িয়েছে গাজার বাস্তবতা। এত শিশুর লাশ দেখে একজন কবর খননকারী বলেছেন, তিনি এখন খেতে ও ঘুমোতে পারেন না।
গাজায় ৬৩ বছর বয়সী কবর খননকারী সাদি বারাকা এই পেশায়ই কাটিয়েছেন জীবনের অধিকাংশ সময়। তবু এই কদিনে দেখা নৃশংসতা তাঁর কাছে তুলনার বাইরে। গত ৭ অক্টোবর থেকে বিপুলসংখ্যক লাশের সৎকার করার পর মানসিকভাবে অনেকটাই বিপর্যস্ত সাদি বারাকা কথা বলেছেন তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘গণকবর খোঁড়ার জন্য আমাদের বাধ্য করা হয়। প্রতিদিন এই সংখ্যক লাশ রাখার জন্য আর জায়গা নেই। ব্লকও (কবরে লাশের ওপরে সিমেন্টের স্ল্যাব) নেই। গাজায় সব শেষ হয়ে গেছে। আমি আজ পর্যন্ত শিশু, নারী ও বয়স্কদের বিরুদ্ধে এমন নৃশংসতা দেখিনি। এমনকি যে নাৎসি শাসনের কথা তারা বলে, তখনো না।’
সাদি বারাকা বলেন, ‘কেবল গতকালই আমি প্রায় ৬০০ শহীদের লাশ দাফন করেছি। গত পাঁচ বছরেও এত লাশ দাফন করিনি। আমি এমন বর্বরতা কখনোই দেখিনি। যাদের কবর দিয়েছি তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।’
বারাকার মতে, প্রতিটি গণকবর প্রায় ৬ মিটার (২০ ফুট) দীর্ঘ এবং এতে প্রায় ৪৫ জনকে সমাহিত করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় গণকবরে ১৩৭ জনকে দাফন করা হয়েছে। গণকবর খনন কেন প্রয়োজন হচ্ছে, এর জবাবে সাদি বারাকা বলেন, কোনো কাঁচামাল আর অবশিষ্ট নেই, গাজায় কিছুই অবশিষ্ট নেই। এমনকি পানিও পাওয়া যাচ্ছে না।
সারা দিন ধরে নারকীয় সব অভিজ্ঞতার কথা জানান বারাকা। তিনি বলেন, ‘এত বেশি শিশুর লাশ দেখেছি যে আমি ঘুমোতে পারি না। এই শিশুদের কী দোষ? আমরা সাহায্য বা খাদ্য চাই না; আমরা আবু আম্মারের (প্রয়াত ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত) সময় থেকে শান্তি খুঁজছি। আর এদিকে, নেতানিয়াহুর কেবল চাই রক্তপাত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মর্যাদা নিয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। একটি রাষ্ট্র ও সার্বভৌমত্ব চাই। বিশ্বের অন্য যে কারও মতো নাগরিক হতে চাই। যারা সাহায্য পাঠাচ্ছে, তারা আমাদের নিজ দেশে নাগরিক হিসেবে বসবাস করার অনুমতি দিক। আমি মনে করি সেটাই বেশি উপযুক্ত; ঠিক যেমনটি অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে হয়।’
অনুষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক কূটনীতির জন্য একটি সংবেদনশীল সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের ফলে বাণিজ্যযুদ্ধ, ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে আজ সবকিছু ভুলে যেন এক ছাদের নিচে জড়ো হয়েছেন বিশ্বনেতারা।
৪০ মিনিট আগেভারতের গুজরাটে ১০২৪ জন ‘বাংলাদেশিকে’ আটকের দাবি করেছে রাজ্য সরকার। স্থানীয় সময় আজ শনিবার ভোররাত ৩টা থেকে অভিযান চালিয়ে আহমেদাবাদ ও সুরাট থেকে তাঁদের আটক করে গুজরাট পুলিশ। তাদের দাবি, আটক ব্যক্তিরা অবৈধভাবে গুজরাটে বসবাস করছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেইরানের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত একটি এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই বিস্ফোরণে চার শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। আজ শনিবার এই বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের কারণ অজানা।
১ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে বছরখানেক আগে অভিযান শুরু করেছিল ইউক্রেন। অঞ্চলটির কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ারও দাবি করেছিল কিয়েভ। দীর্ঘ সময় লড়াইয়ের পর অবশেষে অঞ্চলটি কিয়েভের সেনাদের দখলমুক্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
১ ঘণ্টা আগে