অনলাইন ডেস্ক
উত্তর গাজার মানুষ প্রতিদিন গড়ে মাত্র ২৪৫ ক্যালরির খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন যে পরিমাণ শক্তি ও পুষ্টির চাহিদা রয়েছে, তার মাত্র ১২ শতাংশ পূরণ করে এই ২৪৫ ক্যালরির খাবার। গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য দিয়েছে আন্তর্জাতিক এনজিও অক্সফাম।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অক্সফাম বলেছে যে, ‘সামান্য পরিমাণ সবজি এবং ফল এখনো সেখানে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু অভাবের কারণে চরম মাত্রায় দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশির ভাগ মানুষেরই নাগালের বাইরে রয়ে যাচ্ছে এসব খাবার। অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত পুষ্টি পণ্য এবং কেন্দ্র খুঁজে পাওয়াও এখন কঠিন বা অসম্ভব।’
অক্সফাম জানিয়েছে, শিশুরা ইতিমধ্যেই অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে। উত্তর গাজায় আটকে পড়া এক মা অক্সফামকে বলেন, ‘যুদ্ধের আগে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো ছিল। শরীর ছিল শক্তিশালী। এখন আমার এবং সন্তানদের দিকে দেখুন। খাবারের অভাবে আমরা শুকিয়ে গেছি। যা পাই সেটাই খাওয়ার চেষ্টা করি।’
আনুমানিক ৩ লাখ মানুষ এখনো আটকে আছে উত্তর গাজায়। অক্সফামের আশঙ্কা, খাবারের অভাব মানুষকে আরও বেশি করে রোগের ঝুঁকিতে ফেলছে। গাজায় হাসপাতাল, পানি এবং স্যানিটেশন পরিষেবার মতো বেসামরিক অবকাঠামোগুলো প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এতে খাবারের অভাবের ভয়াবহতা আরও বেড়েছে।
অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অমিতাভ বেহার বলেন, ‘বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষুধার্ত রাখার ব্যবস্থাটা ইসরায়েল ইচ্ছে করেই করেছে। দিনে মাত্র ২৪৫ ক্যালরি খাবার খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করাই শুধু নয়, আপনার সন্তানদের বা পরিবারের বয়স্ক মানুষদেরও একই কাজ করতে দেখতে হবে। বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর নেই পরিষ্কার পানি বা টয়লেটের সুযোগ। তাঁদের এটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে যে, চিকিৎসা সেবাও নেই সেখানে। সঙ্গে আছে ড্রোন ও বোমা হামলার সার্বক্ষণিক ভয়।’
গাজা উপত্যকার জন্য ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের (আইপিসি) সর্বশেষ বিশ্লেষণে ব্যবহৃত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে অক্সফাম বলেছে যে, গত অক্টোবর থেকে গাজার মানুষের জন্য সরবরাহ করা মোট খাবারের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ৪১ শতাংশ।
আইপিসির অনুসন্ধান থেকে অক্সফাম বলছে যে, উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন এবং প্রায় সবাই এখন চরম ক্ষুধার্ত। প্রায় ১১ লাখ মানুষ এখন ভয়াবহ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন।
অমিতাভ বেহার বলেন, ‘গণহত্যা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব উভয়কেই উপেক্ষা করছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে এবং অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র তখনই প্রায় ২২ লাখ মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যাবে, যারা ছয় মাস কষ্ট সহ্য করেছে। ইসরায়েল যেন ক্ষুধাকে আর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।’
উত্তর গাজার মানুষ প্রতিদিন গড়ে মাত্র ২৪৫ ক্যালরির খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন যে পরিমাণ শক্তি ও পুষ্টির চাহিদা রয়েছে, তার মাত্র ১২ শতাংশ পূরণ করে এই ২৪৫ ক্যালরির খাবার। গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য দিয়েছে আন্তর্জাতিক এনজিও অক্সফাম।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অক্সফাম বলেছে যে, ‘সামান্য পরিমাণ সবজি এবং ফল এখনো সেখানে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু অভাবের কারণে চরম মাত্রায় দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশির ভাগ মানুষেরই নাগালের বাইরে রয়ে যাচ্ছে এসব খাবার। অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত পুষ্টি পণ্য এবং কেন্দ্র খুঁজে পাওয়াও এখন কঠিন বা অসম্ভব।’
অক্সফাম জানিয়েছে, শিশুরা ইতিমধ্যেই অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে। উত্তর গাজায় আটকে পড়া এক মা অক্সফামকে বলেন, ‘যুদ্ধের আগে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো ছিল। শরীর ছিল শক্তিশালী। এখন আমার এবং সন্তানদের দিকে দেখুন। খাবারের অভাবে আমরা শুকিয়ে গেছি। যা পাই সেটাই খাওয়ার চেষ্টা করি।’
আনুমানিক ৩ লাখ মানুষ এখনো আটকে আছে উত্তর গাজায়। অক্সফামের আশঙ্কা, খাবারের অভাব মানুষকে আরও বেশি করে রোগের ঝুঁকিতে ফেলছে। গাজায় হাসপাতাল, পানি এবং স্যানিটেশন পরিষেবার মতো বেসামরিক অবকাঠামোগুলো প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এতে খাবারের অভাবের ভয়াবহতা আরও বেড়েছে।
অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অমিতাভ বেহার বলেন, ‘বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষুধার্ত রাখার ব্যবস্থাটা ইসরায়েল ইচ্ছে করেই করেছে। দিনে মাত্র ২৪৫ ক্যালরি খাবার খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করাই শুধু নয়, আপনার সন্তানদের বা পরিবারের বয়স্ক মানুষদেরও একই কাজ করতে দেখতে হবে। বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর নেই পরিষ্কার পানি বা টয়লেটের সুযোগ। তাঁদের এটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে যে, চিকিৎসা সেবাও নেই সেখানে। সঙ্গে আছে ড্রোন ও বোমা হামলার সার্বক্ষণিক ভয়।’
গাজা উপত্যকার জন্য ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের (আইপিসি) সর্বশেষ বিশ্লেষণে ব্যবহৃত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে অক্সফাম বলেছে যে, গত অক্টোবর থেকে গাজার মানুষের জন্য সরবরাহ করা মোট খাবারের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ৪১ শতাংশ।
আইপিসির অনুসন্ধান থেকে অক্সফাম বলছে যে, উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন এবং প্রায় সবাই এখন চরম ক্ষুধার্ত। প্রায় ১১ লাখ মানুষ এখন ভয়াবহ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন।
অমিতাভ বেহার বলেন, ‘গণহত্যা প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশ এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব উভয়কেই উপেক্ষা করছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে এবং অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র তখনই প্রায় ২২ লাখ মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যাবে, যারা ছয় মাস কষ্ট সহ্য করেছে। ইসরায়েল যেন ক্ষুধাকে আর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।’
‘গৌতম আদানির বিরুদ্ধে মার্কিন ঘুষ কেলেঙ্কারি মামলার পর শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতন। একদিনে ১,২৩০ কোটি ডলার বাজারমূল্য হারিয়েছে আদানি গ্রুপ। কীভাবে এই ঘটনা ভারতের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে, জানুন বিশ্লেষণে।’
৩ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের সঙ্গে বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়াকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বন্ধুরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়া। তারই অংশ হিসেবে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০ হাজার সেনা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে লড়াই করছে।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ঘুষ ও জালিয়াতির মামলা হয়েছে। ২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঘুষ দেওয়া এবং বিষয়টি গোপন রেখে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের কারণে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেইউক্রেনকে অ্যান্টি-পার্সোনেল ল্যান্ড মাইন বা স্থলমাইন দিতে রাজি হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ান সৈন্যদের মোকাবেলা করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এসব মাইন ইউক্রেনে পাঠানো হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে