অনলাইন ডেস্ক
জার্মানি ও ইরানের নাগরিক নাহিদ তাগাভি তেহরানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার বিবিসি জানিয়েছে, তাগাভির মেয়ে মরিয়ম ক্লারেন তাঁর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এক্স মাধ্যমে মায়ের সঙ্গে বিমানবন্দরে একটি ছবি পোস্ট করে তাগাভির মেয়ে মরিয়ম লিখেছেন, ‘শেষ হয়ে গেছে। নাহিদ এখন মুক্ত! ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বন্দী থাকার পর আমার মা...মুক্তি পেয়েছেন এবং এখন জার্মানিতে ফিরে এসেছেন।’
৭০ বছর বয়সী তাগাভিকে ২০২০ সালের অক্টোবরে ইরানের রাজধানী তেহরানে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের বছর আগস্ট মাসে তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযোগ ছিল—জাতীয় নিরাপত্তা ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে তাগাভি একটি দল গঠন করেছেন এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছেন। তবে তাগাভি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, অভিযোগটি সম্ভবত নারীদের অধিকার সম্পর্কিত একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাগাভির বিচার প্রক্রিয়াকে চরমভাবে অন্যায্য বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
বিমানবন্দরে তোলা মা-মেয়ের সেই আলিঙ্গনের ছবিতে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘একটি আনন্দময় মুহূর্ত, নাহিদ তাগাভি অবশেষে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারলেন।’
তাগাভির মুক্তির বিষয়ে ইরানি বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে বন্দী থাকাকালীন তাগাভির স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি ঘটে। সেখানে পরিস্থিতি ছিল ‘নিষ্ঠুর এবং অমানবিক’। চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল ‘অপর্যাপ্ত’।
কারাগারের মধ্যে তাগাভি প্রায় সাত মাস একাকী ছিলেন। এই সময়টুকু তিনি মেঝেতে শুয়ে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন।
মেয়ে মরিয়ম জানিয়েছেন, তাগাভি হার্নিয়েটেড ডিস্ক, অস্টিওপোরোসিস, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে তাকে জরুরি চিকিৎসার জন্য সাময়িক মুক্তি দেওয়া হলেও চার মাস পর আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, রোববার তাগাভি জার্মানিতে ফিরে গেছেন। সংস্থাটির এক বিবৃতিতে তাঁর মেয়ে বলেছেন, ‘আমাদের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে একই সঙ্গে আমরা সেই চার বছরের জন্য শোক প্রকাশ করছি, যা আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইভিন কারাগারের বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা তো আছেই।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইরানকে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা সব অরাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তাগাভির মুক্তি এমন এক সময়ে এল, যখন জামশিদ শর্মাহদ নামে আরেক জার্মান-ইরানি নাগরিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বার্লিন এবং তেহরানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই উত্তেজনার জের ধরে গত অক্টোবরের শেষদিকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানের তিনটি কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
শর্মাহদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিলেন ইরানের আদালত। কিন্তু পরে তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানি বিচার বিভাগের বিবৃতি এবং তাঁর পরিবারের অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
জার্মানি ও ইরানের নাগরিক নাহিদ তাগাভি তেহরানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। সোমবার বিবিসি জানিয়েছে, তাগাভির মেয়ে মরিয়ম ক্লারেন তাঁর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এক্স মাধ্যমে মায়ের সঙ্গে বিমানবন্দরে একটি ছবি পোস্ট করে তাগাভির মেয়ে মরিয়ম লিখেছেন, ‘শেষ হয়ে গেছে। নাহিদ এখন মুক্ত! ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বন্দী থাকার পর আমার মা...মুক্তি পেয়েছেন এবং এখন জার্মানিতে ফিরে এসেছেন।’
৭০ বছর বয়সী তাগাভিকে ২০২০ সালের অক্টোবরে ইরানের রাজধানী তেহরানে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের বছর আগস্ট মাসে তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযোগ ছিল—জাতীয় নিরাপত্তা ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে তাগাভি একটি দল গঠন করেছেন এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছেন। তবে তাগাভি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, অভিযোগটি সম্ভবত নারীদের অধিকার সম্পর্কিত একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাগাভির বিচার প্রক্রিয়াকে চরমভাবে অন্যায্য বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
বিমানবন্দরে তোলা মা-মেয়ের সেই আলিঙ্গনের ছবিতে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘একটি আনন্দময় মুহূর্ত, নাহিদ তাগাভি অবশেষে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারলেন।’
তাগাভির মুক্তির বিষয়ে ইরানি বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি। অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে বন্দী থাকাকালীন তাগাভির স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি ঘটে। সেখানে পরিস্থিতি ছিল ‘নিষ্ঠুর এবং অমানবিক’। চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল ‘অপর্যাপ্ত’।
কারাগারের মধ্যে তাগাভি প্রায় সাত মাস একাকী ছিলেন। এই সময়টুকু তিনি মেঝেতে শুয়ে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন।
মেয়ে মরিয়ম জানিয়েছেন, তাগাভি হার্নিয়েটেড ডিস্ক, অস্টিওপোরোসিস, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে তাকে জরুরি চিকিৎসার জন্য সাময়িক মুক্তি দেওয়া হলেও চার মাস পর আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, রোববার তাগাভি জার্মানিতে ফিরে গেছেন। সংস্থাটির এক বিবৃতিতে তাঁর মেয়ে বলেছেন, ‘আমাদের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে একই সঙ্গে আমরা সেই চার বছরের জন্য শোক প্রকাশ করছি, যা আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইভিন কারাগারের বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা তো আছেই।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইরানকে দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা সব অরাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তাগাভির মুক্তি এমন এক সময়ে এল, যখন জামশিদ শর্মাহদ নামে আরেক জার্মান-ইরানি নাগরিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বার্লিন এবং তেহরানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এই উত্তেজনার জের ধরে গত অক্টোবরের শেষদিকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানের তিনটি কনস্যুলেট বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
শর্মাহদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিলেন ইরানের আদালত। কিন্তু পরে তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানি বিচার বিভাগের বিবৃতি এবং তাঁর পরিবারের অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
যদি শেষ মুহূর্তে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে, তবে আজ মঙ্গলবারই গাজায় যুদ্ধবিরতি ও একটি জিম্মি-বন্দী বিনিময় চুক্তি ঘোষণা করা হতে পারে। ইসরায়েল সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্র দেশটির সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টকে এমনটাই জানিয়েছে...
৩১ মিনিট আগেদ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকদিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজাদারি মামলা পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ মার্কিন কৌসুঁলি জ্যাক স্মিথ। গত শুক্রবার পদত্যাগের আগে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে জো বাইডেনের কাছে হ
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আজ মঙ্গলবার গাজার পুনর্গঠন ও শাসনব্যবস্থা নিয়ে পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন মার্কিন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। এই বিষয়টি এমন এক সময়ে সামনে এল যখন, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছে
৩ ঘণ্টা আগেতৃতীয় কারণ হলো, এখন পর্যন্ত বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি এই বিষয়ে স্টারমারের ওপর চাপ তৈরি করতে পারেনি। কেমি ব্যাডেনক গত শনিবার রাতে কেয়ার স্টারমারের কাছে টিউলিপকে বরখাস্ত করার আহ্বান জানালেও তিনি বা ছায়া ট্রেজারি মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে যথেষ্ট দ্রুত পদক্ষেপ নেননি। তবে এখন বিরোধী দল বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে
৬ ঘণ্টা আগে