অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের উপায় খুঁজছে। এ বিষয়ে আঞ্চলিক অংশীদার, যেমন তুরস্কের সঙ্গে সহযোগিতা করে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুতকারী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের অনানুষ্ঠানিক কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা চলছে ওয়াশিংটনে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর তথা স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ওয়াশিংটনের কাছে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করার একাধিক উপায় আছে। এসব গোষ্ঠীর মধ্যে একটিকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র চিহ্নিত সেই গোষ্ঠী হলো হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। বাশার আল-আসাদ বিরোধী সশস্ত্র লড়াইয়ে এই গোষ্ঠীই সবার আগে ছিল।
ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে আমরা এসব আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী (অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন) নিজেই সিরিয়ার ভেতরে প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগে যুক্ত আছেন এবং আমরা এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।’
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সরকার এবং পশ্চিমা দেশগুলো সিরিয়ার প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। এই গোষ্ঠীটি আগে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুরস্ক ও জাতিসংঘের কাছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং গত চার দিনে দুবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন মিলার। তুরস্ক উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন করেছে এবং কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিচ্ছে—যারা এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্র এইচটিএস নেতা আহমদ আল-শারার—যিনি আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামেও পরিচিত—সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবে কি না? মিলার এ বিষয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গেলেও একে পুরোপুরি নাকচ করেননি। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমরা সব প্রাসঙ্গিক পক্ষের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যোগাযোগের সক্ষমতা রাখি।’
যুক্তরাষ্ট্র ২০১৩ সালে জোলানিকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে বলেছিল, ইরাকের আল-কায়েদা তাঁকে আসাদের শাসন উৎখাত এবং সিরিয়ায় ইসলামি শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দিয়েছিল। ইরাক যুদ্ধ থেকে সরে এসে জোলানি পরে আল-নুসরা ফ্রন্ট গঠন করেন। পরে আল-নুসরা ফ্রন্টই হায়াত তাহরির আল-শামে পরিণত হয়।
গত রোববার আসাদের সরকারের পতন দেশটিতে ইরান ও রাশিয়ার প্রভাব বিস্তারের সক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধ এবং ৫০ বছরের পারিবারিক শাসনের পর আসাদ রাশিয়ায় পালিয়ে গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তাঁর শীর্ষ উপদেষ্টারা এই ঘটনাকে সিরিয়ার জনগণের জন্য একটি ঐতিহাসিক সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে তারা সতর্ক করেছেন যে, দেশটি এখন ঝুঁকি এবং অনিশ্চিত সময়ের মুখোমুখি।
গত চার বছরে বাইডেন প্রশাসনের অধীনে সিরিয়া সংক্রান্ত মার্কিন নীতিমালা মূলত আড়ালে পড়ে গিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র গৃহযুদ্ধকে একটি স্থবির বিষয় হিসেবে দেখেছিল এবং রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ও গাজা সংঘর্ষের মতো আরও জরুরি ইস্যুতে মনোযোগ দিয়েছিল। যাই হোক, আসাদ সরকারের পতন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে এক নতুন পথ খুলে দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্র হায়াত তাহরির আল-শামকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করলেও ২০১৬ সালের পর জোলানি তাঁর দলকে আল-কায়েদা থেকে বিচ্ছিন্ন করেন এবং নিজেদের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। বাশার আল-আসাদের পতনের পর তিনি যথেষ্ট পরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছেন।
এই বিষয়টি ইঙ্গিত করে যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘গোষ্ঠীটি বর্তমানে সঠিক কথা বলছে, তবে সিরিয়ায় কী ঘটবে তা বলা এখনো খুব তড়িঘড়ি হয়ে যাবে।’ এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মি বিষয়ক দূত রজার কারস্টেন্সও বৈরুতে অবস্থান করছেন। তিনি ১২ বছর আগে সিরিয়ায় আটক মার্কিন সাংবাদিক অস্টিন টাইসকে খুঁজে বের করার জন্য নিবিড় প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের উপায় খুঁজছে। এ বিষয়ে আঞ্চলিক অংশীদার, যেমন তুরস্কের সঙ্গে সহযোগিতা করে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুতকারী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের অনানুষ্ঠানিক কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা চলছে ওয়াশিংটনে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর তথা স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ওয়াশিংটনের কাছে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করার একাধিক উপায় আছে। এসব গোষ্ঠীর মধ্যে একটিকে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র চিহ্নিত সেই গোষ্ঠী হলো হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। বাশার আল-আসাদ বিরোধী সশস্ত্র লড়াইয়ে এই গোষ্ঠীই সবার আগে ছিল।
ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে আমরা এসব আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী (অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন) নিজেই সিরিয়ার ভেতরে প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগে যুক্ত আছেন এবং আমরা এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।’
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সরকার এবং পশ্চিমা দেশগুলো সিরিয়ার প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। এই গোষ্ঠীটি আগে আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুরস্ক ও জাতিসংঘের কাছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং গত চার দিনে দুবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন মিলার। তুরস্ক উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন করেছে এবং কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিচ্ছে—যারা এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্র এইচটিএস নেতা আহমদ আল-শারার—যিনি আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামেও পরিচিত—সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবে কি না? মিলার এ বিষয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গেলেও একে পুরোপুরি নাকচ করেননি। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমরা সব প্রাসঙ্গিক পক্ষের সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে যোগাযোগের সক্ষমতা রাখি।’
যুক্তরাষ্ট্র ২০১৩ সালে জোলানিকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে বলেছিল, ইরাকের আল-কায়েদা তাঁকে আসাদের শাসন উৎখাত এবং সিরিয়ায় ইসলামি শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব দিয়েছিল। ইরাক যুদ্ধ থেকে সরে এসে জোলানি পরে আল-নুসরা ফ্রন্ট গঠন করেন। পরে আল-নুসরা ফ্রন্টই হায়াত তাহরির আল-শামে পরিণত হয়।
গত রোববার আসাদের সরকারের পতন দেশটিতে ইরান ও রাশিয়ার প্রভাব বিস্তারের সক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধ এবং ৫০ বছরের পারিবারিক শাসনের পর আসাদ রাশিয়ায় পালিয়ে গেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তাঁর শীর্ষ উপদেষ্টারা এই ঘটনাকে সিরিয়ার জনগণের জন্য একটি ঐতিহাসিক সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে তারা সতর্ক করেছেন যে, দেশটি এখন ঝুঁকি এবং অনিশ্চিত সময়ের মুখোমুখি।
গত চার বছরে বাইডেন প্রশাসনের অধীনে সিরিয়া সংক্রান্ত মার্কিন নীতিমালা মূলত আড়ালে পড়ে গিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র গৃহযুদ্ধকে একটি স্থবির বিষয় হিসেবে দেখেছিল এবং রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ও গাজা সংঘর্ষের মতো আরও জরুরি ইস্যুতে মনোযোগ দিয়েছিল। যাই হোক, আসাদ সরকারের পতন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে এক নতুন পথ খুলে দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্র হায়াত তাহরির আল-শামকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করলেও ২০১৬ সালের পর জোলানি তাঁর দলকে আল-কায়েদা থেকে বিচ্ছিন্ন করেন এবং নিজেদের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। বাশার আল-আসাদের পতনের পর তিনি যথেষ্ট পরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছেন।
এই বিষয়টি ইঙ্গিত করে যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘গোষ্ঠীটি বর্তমানে সঠিক কথা বলছে, তবে সিরিয়ায় কী ঘটবে তা বলা এখনো খুব তড়িঘড়ি হয়ে যাবে।’ এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মি বিষয়ক দূত রজার কারস্টেন্সও বৈরুতে অবস্থান করছেন। তিনি ১২ বছর আগে সিরিয়ায় আটক মার্কিন সাংবাদিক অস্টিন টাইসকে খুঁজে বের করার জন্য নিবিড় প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা তথা দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ইংরেজিকে অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শনিবার ট্রাম্প এই বিষয়ে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যেখানে ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
৩৮ মিনিট আগেস্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো ঘোষণা করেছেন যে, তাঁর দেশ ইউক্রেনকে আর কোনো সামরিক বা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে না। গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার এক খোলা চিঠিতে ফিকো স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তাঁর সরকার ইউক্রেনকে এমন কোনো সহায়তা দেবে না, যা দেশটিকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম করবে।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত এক বৈঠকের পর যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দেখা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ডাউনিং স্ট্রিটে এক বৈঠকে শেষে স্টারমার জানালেন, জেলেনস্কি ‘যুক্তরাজ্যের পূর্ণ সমর্থন’ পাচ্ছেন। প্রত্যুত্তরে জেলেনস্কি...
১ ঘণ্টা আগেআমাদের মসজিদ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে, কিন্তু আমাদের বিশ্বাস ভাঙেনি। আমরা এখনো ধ্বংসস্তূপে, তাঁবুর নিচে তারাবির নামাজ পড়ব। আমরা আমাদের সব আশা নিয়ে দু’আ করব, কোরআন তিলাওয়াতে সান্ত্বনা খুঁজব, এই বিশ্বাস নিয়ে যে, আমাদের সব কষ্টের প্রতিদান আল্লাহ দেবেন।
২ ঘণ্টা আগে