ইসমাঈল সিদ্দিকী
খাদ্য ও পানীয় মানুষের দেহ-মন সুস্থ এবং সতেজ রাখার প্রধান উপকরণ। শরীর গঠন, বর্ধন ও টিকে থাকার মূল উপাদান। আল্লাহ প্রদত্ত এ নেয়ামতের দাবি হচ্ছে, দাতার কৃতজ্ঞতা আদায় করা, বিনয়ের সঙ্গে পানাহার করা এবং অপচয় থেকে বিরত থাকা। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘খাও এবং পান করো; কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা আরাফ: ৩১) খাওয়ার অনেকগুলো আদব রয়েছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি আদবের কথা তুলে ধরা হলো—
বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘অবশ্যই শয়তান (মুসলিমের) খাবার খেতে সক্ষম হয়; যদি খাওয়ার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ না বলা হয়।’ (মুসলিম: ২০১৭)
দস্তরখান বিছানো: হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) পায়াবিশিষ্ট বড় পাত্রে খাবার খেতেন না। হজরত কাতাদা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, তাহলে কিসের ওপর খানা খেতেন? তিনি বললেন, ‘চামড়ার দস্তরখানের ওপর।’ (বুখারি: ৫৩৮৬)
ডান হাতে খাওয়া: রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকে যেন ডান হাতে আহার করে, ডান হাতে পান করে, ডান হাতে গ্রহণ করে এবং ডান হাতে দান করে। কারণ শয়তান বাম হাতে খায়, বাম হাতে পান করে, বাম হাতে দেয় এবং বাম হাতে গ্রহণ করে।’ (ইবনে মাজাহ: ৩২৬৬)
খাবারের ত্রুটি না ধরা: আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। তাঁর পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না।’ (বুখারি: ৫১৯৮)
খাবার তুলে নেওয়া: জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের আহারকালে যদি লুকমা পড়ে যায়, তাহলে ময়লা ফেলে তা ভক্ষণ করো। শয়তানের জন্য ফেলে রেখো না।’ (ইবনে মাজাহ: ৩৪০৩)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
খাদ্য ও পানীয় মানুষের দেহ-মন সুস্থ এবং সতেজ রাখার প্রধান উপকরণ। শরীর গঠন, বর্ধন ও টিকে থাকার মূল উপাদান। আল্লাহ প্রদত্ত এ নেয়ামতের দাবি হচ্ছে, দাতার কৃতজ্ঞতা আদায় করা, বিনয়ের সঙ্গে পানাহার করা এবং অপচয় থেকে বিরত থাকা। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘খাও এবং পান করো; কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা আরাফ: ৩১) খাওয়ার অনেকগুলো আদব রয়েছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি আদবের কথা তুলে ধরা হলো—
বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘অবশ্যই শয়তান (মুসলিমের) খাবার খেতে সক্ষম হয়; যদি খাওয়ার শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ না বলা হয়।’ (মুসলিম: ২০১৭)
দস্তরখান বিছানো: হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) পায়াবিশিষ্ট বড় পাত্রে খাবার খেতেন না। হজরত কাতাদা (রা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, তাহলে কিসের ওপর খানা খেতেন? তিনি বললেন, ‘চামড়ার দস্তরখানের ওপর।’ (বুখারি: ৫৩৮৬)
ডান হাতে খাওয়া: রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকে যেন ডান হাতে আহার করে, ডান হাতে পান করে, ডান হাতে গ্রহণ করে এবং ডান হাতে দান করে। কারণ শয়তান বাম হাতে খায়, বাম হাতে পান করে, বাম হাতে দেয় এবং বাম হাতে গ্রহণ করে।’ (ইবনে মাজাহ: ৩২৬৬)
খাবারের ত্রুটি না ধরা: আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) কখনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। তাঁর পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না।’ (বুখারি: ৫১৯৮)
খাবার তুলে নেওয়া: জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের আহারকালে যদি লুকমা পড়ে যায়, তাহলে ময়লা ফেলে তা ভক্ষণ করো। শয়তানের জন্য ফেলে রেখো না।’ (ইবনে মাজাহ: ৩৪০৩)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইবাদতের নিয়তে করা সব কাজই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। আর নেক আমল মানুষের জীবনের প্রকৃত সম্পদ। এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে জান্নাত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারাই জান্নাতের অধিকারী, তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা বাকারা: ৮২)
২ ঘণ্টা আগেভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
১ দিন আগেজুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
২ দিন আগে