মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: নামাজে কখন সাহু সিজদা দিতে হয়? সাহু সিজদা আদায়ের নিয়ম কী? বিস্তারিত জানতে চাই। রহমান মুনশি, ফেনী
উত্তর: সিজদাতুস সাহু বা সাহু সিজদা অর্থ ভুলের সিজদা। নামাজে ভুলে কোনো ওয়াজিব ছেড়ে দিলে সিজদায়ে সাহু দেওয়া ওয়াজিব। মূলত ওয়াজিব ছুটে যাওয়াটাই সাহু সিজদা ওয়াজিব হওয়ার কারণ। সাহু সিজদার বিধান এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
নামাজের কোনো ওয়াজিব আমল কেউ ইচ্ছা করে ছেড়ে দিলে, গুনাহগার হবে এবং নামাজও নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ওই নামাজ আবার আদায় করতে হবে। তখন সিজদায়ে সাহুর মাধ্যমে নামাজ পূর্ণ হবে না। তবে নামাজের কোনো ওয়াজিব কাজ ভুলক্রমে ছুটে গেলে, সিজদায়ে সাহু দেওয়া ওয়াজিব। (বুখারি: ৩৮৬; আবু দাউদ: ৮৭৪; আল-মুজামুল আওসাত: ৭৮০৮)
যেমন, ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাত বা যেকোনো এক রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়তে ভুলে গেলে বা নফল ও বিতরের যেকোনো রাকাতে ভুলক্রমে সুরা ফাতিহা পড়া না হলে, সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। (মুসলিম: ৮৯৩)
ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে কেরাত পড়া ভুলে গেলে, শেষ দুই রাকাতে তা পড়ে নেবে। তবে সাহু সিজদা দেবে, নামাজের তারতিব বা ধারাবাহিকতা লঙ্ঘনের কারণে। (মুসলিম: ৮৯৫; ইবনে আবি শায়বা: ১ / ৪০৯)
সাহু সিজদার পদ্ধতি হলো, যার ওপর তা ওয়াজিব হয়েছে, সে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ে ডান দিকে এক সালাম ফেরাবে। এরপর তাকবির বলে নামাজের মতো দুটি সিজদা করে বসে যাবে এবং তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাবে। সালাম ফেরানোর আগে সিজদা করলে নামাজ হয়ে যাবে। তবে তা মাকরুহে তানজিহি। (বুখারি: ১১৫০-১১৫৩; তিরমিজি: ৩৬১)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: নামাজে কখন সাহু সিজদা দিতে হয়? সাহু সিজদা আদায়ের নিয়ম কী? বিস্তারিত জানতে চাই। রহমান মুনশি, ফেনী
উত্তর: সিজদাতুস সাহু বা সাহু সিজদা অর্থ ভুলের সিজদা। নামাজে ভুলে কোনো ওয়াজিব ছেড়ে দিলে সিজদায়ে সাহু দেওয়া ওয়াজিব। মূলত ওয়াজিব ছুটে যাওয়াটাই সাহু সিজদা ওয়াজিব হওয়ার কারণ। সাহু সিজদার বিধান এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
নামাজের কোনো ওয়াজিব আমল কেউ ইচ্ছা করে ছেড়ে দিলে, গুনাহগার হবে এবং নামাজও নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ওই নামাজ আবার আদায় করতে হবে। তখন সিজদায়ে সাহুর মাধ্যমে নামাজ পূর্ণ হবে না। তবে নামাজের কোনো ওয়াজিব কাজ ভুলক্রমে ছুটে গেলে, সিজদায়ে সাহু দেওয়া ওয়াজিব। (বুখারি: ৩৮৬; আবু দাউদ: ৮৭৪; আল-মুজামুল আওসাত: ৭৮০৮)
যেমন, ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাত বা যেকোনো এক রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়তে ভুলে গেলে বা নফল ও বিতরের যেকোনো রাকাতে ভুলক্রমে সুরা ফাতিহা পড়া না হলে, সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। (মুসলিম: ৮৯৩)
ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে কেরাত পড়া ভুলে গেলে, শেষ দুই রাকাতে তা পড়ে নেবে। তবে সাহু সিজদা দেবে, নামাজের তারতিব বা ধারাবাহিকতা লঙ্ঘনের কারণে। (মুসলিম: ৮৯৫; ইবনে আবি শায়বা: ১ / ৪০৯)
সাহু সিজদার পদ্ধতি হলো, যার ওপর তা ওয়াজিব হয়েছে, সে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ে ডান দিকে এক সালাম ফেরাবে। এরপর তাকবির বলে নামাজের মতো দুটি সিজদা করে বসে যাবে এবং তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাবে। সালাম ফেরানোর আগে সিজদা করলে নামাজ হয়ে যাবে। তবে তা মাকরুহে তানজিহি। (বুখারি: ১১৫০-১১৫৩; তিরমিজি: ৩৬১)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি ইশমাম আহমেদ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রত্যেক মুসলমানের চূড়ান্ত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও একান্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে জান্নাতের মেহমান হওয়া। কেননা জান্নাত অনন্ত সুখ, শান্তি ও অসংখ্য নিয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তাআলা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস: ২৫)
১৩ ঘণ্টা আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়ালের চাঁদ দেখা যাবে আগামী ৩ নভেম্বর। এই চাঁদ দেখার সঙ্গে রমজান শুরুর ব্যাপারে পূর্বাভাস পান জ্যোতির্বিদেরা।
১ দিন আগেপ্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য মহান আল্লাহর পরীক্ষা। দুর্যোগের সময় মুমিনের বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে এসেছে। এখানে কয়েকটি করণীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
২ দিন আগেমোহরে নবুয়ত। শাব্দিক অর্থ নবুয়তের সিলমোহর। সিরাত বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহরে নবুয়ত হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ঘাড় মোবারকের নিচে অবস্থিত গোশতের টুকরা, যা তাঁর রিসালাত ও নবুয়তের প্রমাণ।
৩ দিন আগে