ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন। ঈদের নামাজের মতোই আনন্দ-উৎসবে ছোট-বড় সবাই জুমার নামাজ আদায়ে মসজিদে সমবেত হয়। জুমার নামাজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতীক হিসেবে মুসলিম ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। এ নামাজ আদায় অন্যতম একটি ফরজ ইবাদত। নানাবিধ বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ জুমার নামাজ। এখানে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ বিধান তুলে ধরা হলো—
যাদের ওপর জুমা ফরজ
স্বাধীন, সুস্থ ব্যক্তি যে স্বাভাবিকভাবে মসজিদে যেতে পারে, প্রাপ্তবয়স্ক, পুরুষ, নিজ ঘরে অবস্থানকারী ও বিবেকবান ব্যক্তির ওপর জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। বন্দী, দাস-দাসী, নারী, মুসাফির, অসুস্থ, নাবালেগ ও পাগলের ওপর জুমার নামাজ ফরজ নয়। তারিক ইবনে শিহাব (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার নামাজ প্রত্যেক মুসলমানের ওপর জামাতের সঙ্গে আদায় করা ফরজ। তবে চার শ্রেণির ব্যক্তির ওপর জুমা ফরজ নয়। তারা হলো, পরাধীন দাস, নারী, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তি।’ (আবু দাউদ: ১০৬৯)
জুমার দিনে পরিচ্ছন্নতা
সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোনো পুরুষ যদি জুমার দিন গোসল করে, সাধ্যমতো পবিত্রতা অর্জন করে, তেল ব্যবহার করে অথবা ঘরে যে সুগন্ধি আছে তা ব্যবহার করে জুমার নামাজে যায় এবং (মসজিদে) বসার জন্য দুজনকে আলাদা করে না তথা ভিড় ঠেলে সামনে যায় না, এরপর যথাসাধ্য নামাজ আদায় করে এবং ইমাম যখন কথা বলে তখন চুপ থাকে, তাহলে তার জন্য এই জুমা ও আগামী জুমা পর্যন্ত গুনাহ মাফ করা হয়।’ (বুখারি: ৮৩৪)
উত্তম পোশাক পরিধান
আবু সাইদ খুদরি (রা.) ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে, উত্তম পোশাক পরিধান করে এবং সুগন্ধি থাকলে ব্যবহার করে জুমার জন্য বের হয়, এরপর মুসল্লিদের ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে আগানোর চেষ্টা না করে প্রয়োজনীয় নামাজ আদায় করে, এরপর ইমাম যখন বের হন তখন চুপ থাকে যতক্ষণ না নামাজ শেষ হয়, তাহলে তার এ জুমা ও আগের জুমার মধ্যে কৃত গুনাহ ক্ষমা করা হয়।’ (আবু দাউদ: ৩৪৩)
আগে-পরের সুন্নাত নামাজ
জুমার আগে চার রাকাত ও পরে চার রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা—যা রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের আমল থেকে প্রমাণিত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করবে সে যেন এরপর চার রাকাত আদায় করে।’ (মুসলিম: ২০৭৫; তিরমিজি: ৫২৩)
নামাজের আগে খুতবা
জুমার নামাজের আগে আরবি ভাষায় দুইটি খুতবা প্রদান করতে হয়। কোরআন, হাদিস ও সাহাবায়ে কেরামের আমলে কোথাও আরবি ছাড়া অন্য ভাষায় জুমা ও ঈদের খুতবা দেওয়ার প্রমাণ নেই। বরং সাহাবায়ে কেরাম (রা.)-এর সময়ে অনেক এলাকার কিছু অথবা সব শ্রোতাই অনারব ছিল। তারপরও তারা আরবি ছাড়া অন্য ভাষায় কোনো খুতবা দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেননি। তবে জুমার নামাজে যেহেতু অনেক মুসল্লির সমাগম হয়, তাই দাওয়াতের উদ্দেশ্যে খুতবার আগে খতিবগণ মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। ইমাম মিম্বারের ওপর দাঁড়িয়ে ও মুসল্লিদের দিকে মুখ করে খুতবা দেবেন। মুসল্লিরা মনোযোগসহ খুতবা শ্রবণ করবেন। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘নবী (সা.) দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন। তারপর বসতেন। আবার দাঁড়াতেন যেমন তোমরা করে থাকো।’ (বুখারি: ৮৭৮; মুসলিম: ২০৩১)
দুই আজান এক ইকামত
জুমার দিন দুইবার আজান দিতে হয়। জুমার সময় হওয়ার পর প্রথম আজান এমন সময় দেওয়া উচিত যেন মুসল্লিগণ মসজিদে এসে স্থিতিশীলতার সঙ্গে সুন্নত নামাজ আদায় করতে পারেন। আর দ্বিতীয় আজান ইমাম মিম্বারে বসার পর খুতবার পূর্ব-মুহুর্তে মসজিদের ভেতর ইমামের সামনে দিতে হয়। আর জামাত শুরুর আগে ইকামত দেওয়া হয়। সায়েব ইবনে ইয়াজিদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.), আবু বকর (রা.) ও ওমর (রা.)-এর যুগে জুমার প্রথম আজান ইমাম মিম্বারে বসার পর দেওয়া হতো। ওসমান (রা.)-এর খেলাফতকালে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তিনি আরেকটি আজান দেওয়ার হুকুম দিলেন। এই আজান উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে দেওয়া হতো।’ (বুখারি: ৮৭৯; তিরমিজি: ৫১৬; ইবনে মাজাহ: ১১৩৫) এর পর থেকে এই আমল চালু হয়। সব সাহাবিই এই আমলের ওপর ঐকমত্য পোষণ করেন।
কোন সুরা পাঠ করবেন
জুমার নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা আলা ও দ্বিতীয় রাকাতে সুরা গাশিয়াহ অথবা প্রথম রাকাতে সুরা জুমা দ্বিতীয় রাকাতে সুরা মুনাফিকুন পাঠ করা সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার নামাজে এসব সুরা পাঠ করতেন। নুমান ইবনে বশির (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) দুই ঈদ ও জুমার নামাজে সুরা আলা ও সুরা গাশিয়াহ পাঠ করতেন। (মুসলিম: ২০৬৫) অন্য বর্ণনায় পাওয়া যায়, ইবনে আবু রাফে বলেন, খলিফা মারওয়ান আবু হুরায়রা (রা.)-কে মদিনার দায়িত্ব দিয়ে মক্কায় গেলেন। আবু হুরায়রা (রা.) আমাদের জুমার নামাজ পড়ালেন। নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা জুমা দ্বিতীয় রাকাতে সুরা মুনাফিকুন পাঠ করলেন। ইবনে আবু রাফে বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললাম, আপনি এই দুই সুরা পাঠ করলেন, যা আলি (রা.) কুফায় পাঠ করতেন। আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জুমার দিনে এই দুই সুরা পাঠ করতে শুনেছি। (মুসলিম: ২০৬৩; তিরমিজি: ৫১৯; আবু দাউদ: ১১২৬)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন। ঈদের নামাজের মতোই আনন্দ-উৎসবে ছোট-বড় সবাই জুমার নামাজ আদায়ে মসজিদে সমবেত হয়। জুমার নামাজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতীক হিসেবে মুসলিম ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। এ নামাজ আদায় অন্যতম একটি ফরজ ইবাদত। নানাবিধ বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ জুমার নামাজ। এখানে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ বিধান তুলে ধরা হলো—
যাদের ওপর জুমা ফরজ
স্বাধীন, সুস্থ ব্যক্তি যে স্বাভাবিকভাবে মসজিদে যেতে পারে, প্রাপ্তবয়স্ক, পুরুষ, নিজ ঘরে অবস্থানকারী ও বিবেকবান ব্যক্তির ওপর জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। বন্দী, দাস-দাসী, নারী, মুসাফির, অসুস্থ, নাবালেগ ও পাগলের ওপর জুমার নামাজ ফরজ নয়। তারিক ইবনে শিহাব (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার নামাজ প্রত্যেক মুসলমানের ওপর জামাতের সঙ্গে আদায় করা ফরজ। তবে চার শ্রেণির ব্যক্তির ওপর জুমা ফরজ নয়। তারা হলো, পরাধীন দাস, নারী, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তি।’ (আবু দাউদ: ১০৬৯)
জুমার দিনে পরিচ্ছন্নতা
সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোনো পুরুষ যদি জুমার দিন গোসল করে, সাধ্যমতো পবিত্রতা অর্জন করে, তেল ব্যবহার করে অথবা ঘরে যে সুগন্ধি আছে তা ব্যবহার করে জুমার নামাজে যায় এবং (মসজিদে) বসার জন্য দুজনকে আলাদা করে না তথা ভিড় ঠেলে সামনে যায় না, এরপর যথাসাধ্য নামাজ আদায় করে এবং ইমাম যখন কথা বলে তখন চুপ থাকে, তাহলে তার জন্য এই জুমা ও আগামী জুমা পর্যন্ত গুনাহ মাফ করা হয়।’ (বুখারি: ৮৩৪)
উত্তম পোশাক পরিধান
আবু সাইদ খুদরি (রা.) ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে, উত্তম পোশাক পরিধান করে এবং সুগন্ধি থাকলে ব্যবহার করে জুমার জন্য বের হয়, এরপর মুসল্লিদের ঘাড় ডিঙিয়ে সামনের কাতারে আগানোর চেষ্টা না করে প্রয়োজনীয় নামাজ আদায় করে, এরপর ইমাম যখন বের হন তখন চুপ থাকে যতক্ষণ না নামাজ শেষ হয়, তাহলে তার এ জুমা ও আগের জুমার মধ্যে কৃত গুনাহ ক্ষমা করা হয়।’ (আবু দাউদ: ৩৪৩)
আগে-পরের সুন্নাত নামাজ
জুমার আগে চার রাকাত ও পরে চার রাকাত নামাজ আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা—যা রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের আমল থেকে প্রমাণিত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করবে সে যেন এরপর চার রাকাত আদায় করে।’ (মুসলিম: ২০৭৫; তিরমিজি: ৫২৩)
নামাজের আগে খুতবা
জুমার নামাজের আগে আরবি ভাষায় দুইটি খুতবা প্রদান করতে হয়। কোরআন, হাদিস ও সাহাবায়ে কেরামের আমলে কোথাও আরবি ছাড়া অন্য ভাষায় জুমা ও ঈদের খুতবা দেওয়ার প্রমাণ নেই। বরং সাহাবায়ে কেরাম (রা.)-এর সময়ে অনেক এলাকার কিছু অথবা সব শ্রোতাই অনারব ছিল। তারপরও তারা আরবি ছাড়া অন্য ভাষায় কোনো খুতবা দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেননি। তবে জুমার নামাজে যেহেতু অনেক মুসল্লির সমাগম হয়, তাই দাওয়াতের উদ্দেশ্যে খুতবার আগে খতিবগণ মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। ইমাম মিম্বারের ওপর দাঁড়িয়ে ও মুসল্লিদের দিকে মুখ করে খুতবা দেবেন। মুসল্লিরা মনোযোগসহ খুতবা শ্রবণ করবেন। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘নবী (সা.) দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন। তারপর বসতেন। আবার দাঁড়াতেন যেমন তোমরা করে থাকো।’ (বুখারি: ৮৭৮; মুসলিম: ২০৩১)
দুই আজান এক ইকামত
জুমার দিন দুইবার আজান দিতে হয়। জুমার সময় হওয়ার পর প্রথম আজান এমন সময় দেওয়া উচিত যেন মুসল্লিগণ মসজিদে এসে স্থিতিশীলতার সঙ্গে সুন্নত নামাজ আদায় করতে পারেন। আর দ্বিতীয় আজান ইমাম মিম্বারে বসার পর খুতবার পূর্ব-মুহুর্তে মসজিদের ভেতর ইমামের সামনে দিতে হয়। আর জামাত শুরুর আগে ইকামত দেওয়া হয়। সায়েব ইবনে ইয়াজিদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.), আবু বকর (রা.) ও ওমর (রা.)-এর যুগে জুমার প্রথম আজান ইমাম মিম্বারে বসার পর দেওয়া হতো। ওসমান (রা.)-এর খেলাফতকালে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তিনি আরেকটি আজান দেওয়ার হুকুম দিলেন। এই আজান উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে দেওয়া হতো।’ (বুখারি: ৮৭৯; তিরমিজি: ৫১৬; ইবনে মাজাহ: ১১৩৫) এর পর থেকে এই আমল চালু হয়। সব সাহাবিই এই আমলের ওপর ঐকমত্য পোষণ করেন।
কোন সুরা পাঠ করবেন
জুমার নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা আলা ও দ্বিতীয় রাকাতে সুরা গাশিয়াহ অথবা প্রথম রাকাতে সুরা জুমা দ্বিতীয় রাকাতে সুরা মুনাফিকুন পাঠ করা সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সা.) জুমার নামাজে এসব সুরা পাঠ করতেন। নুমান ইবনে বশির (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) দুই ঈদ ও জুমার নামাজে সুরা আলা ও সুরা গাশিয়াহ পাঠ করতেন। (মুসলিম: ২০৬৫) অন্য বর্ণনায় পাওয়া যায়, ইবনে আবু রাফে বলেন, খলিফা মারওয়ান আবু হুরায়রা (রা.)-কে মদিনার দায়িত্ব দিয়ে মক্কায় গেলেন। আবু হুরায়রা (রা.) আমাদের জুমার নামাজ পড়ালেন। নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা জুমা দ্বিতীয় রাকাতে সুরা মুনাফিকুন পাঠ করলেন। ইবনে আবু রাফে বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললাম, আপনি এই দুই সুরা পাঠ করলেন, যা আলি (রা.) কুফায় পাঠ করতেন। আবু হুরায়রা (রা.) বললেন, আমি রাসুল (সা.)-কে জুমার দিনে এই দুই সুরা পাঠ করতে শুনেছি। (মুসলিম: ২০৬৩; তিরমিজি: ৫১৯; আবু দাউদ: ১১২৬)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রত্যেক মুসলমানের চূড়ান্ত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও একান্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে জান্নাতের মেহমান হওয়া। কেননা জান্নাত অনন্ত সুখ, শান্তি ও অসংখ্য নিয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তাআলা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস: ২৫)
১৮ ঘণ্টা আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়ালের চাঁদ দেখা যাবে আগামী ৩ নভেম্বর। এই চাঁদ দেখার সঙ্গে রমজান শুরুর ব্যাপারে পূর্বাভাস পান জ্যোতির্বিদেরা।
১ দিন আগেপ্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য মহান আল্লাহর পরীক্ষা। দুর্যোগের সময় মুমিনের বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে এসেছে। এখানে কয়েকটি করণীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
২ দিন আগেমোহরে নবুয়ত। শাব্দিক অর্থ নবুয়তের সিলমোহর। সিরাত বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহরে নবুয়ত হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ঘাড় মোবারকের নিচে অবস্থিত গোশতের টুকরা, যা তাঁর রিসালাত ও নবুয়তের প্রমাণ।
৩ দিন আগে