মুহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া
বাংলায় প্রথম কখন ইসলামের আগমন ঘটে, তার সুনির্দিষ্ট প্রামাণ্য-তথ্য পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন ঐতিহাসিক বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের কিছুদিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম উপকূলে আরব বণিকদের বিভিন্ন কাফেলায় মুসলমানদেরও আগমন ঘটে। সমুদ্রপথে চীনের দিকে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে সাহাবি-তাবেয়িদের একটি দলের যাত্রাবিরতির বর্ণনাও পাওয়া যায়। ফলে ধারণা করা হয়, আরব ব্যবসায়ীদের হাত ধরেই এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের সূচনা হয়।
আরবদের আতিথেয়তা ছিল প্রবাদতুল্য। বাংলায় এসেও তাঁরা আতিথেয়তার মাধ্যমে মানুষকে কাছে টানেন। ধর্ম, বর্ণ ও ভাষার ভিন্নতা সত্ত্বেও তারা যখন বাংলার লোকজন নিয়ে একই দস্তরখানে খাবার খেতে বসতেন, বর্ণবাদের শিকার দরিদ্র লোকজন তখন অপার বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকত। একই ধর্মের হওয়ার পরেও উচ্চবর্ণের হিন্দুদের সঙ্গে বসে খাবার খাওয়া তো দূরের কথা, যেখানে তাদের ছায়া মাড়ানোই অন্যায় ছিল, সেখানে এই ভিনদেশি আরবরা তাদের একই দস্তরখানে নিয়ে খাচ্ছেন—এই অকৃত্রিম উদারতা বাংলার মানুষকে আরবদের ধর্ম ও সংস্কৃতির ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলে।
পরের শতকগুলোতে আরব, ইয়েমেন, ইরাক, ইরান, খোরাসান, মধ্য এশিয়া ও উত্তর ভারত থেকে অসংখ্য পীর-অলি ও সুফি-দরবেশ ইসলাম প্রচারের জন্য বাংলায় আগমন করেন। অবশ্য ১৩ শতকে বখতিয়ার খিলজির হাতে বাংলা বিজিত হওয়ার পর থেকে ১৭ শতক পর্যন্ত সময়টায় ইসলামের প্রচার হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে এর আগেও সুফি-সাধকের আগমনের কথা ইতিহাস থেকে জানা যায়। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বায়েজিদ বোস্তামি (রহ.)। খ্রিষ্টীয় নবম শতকের মধ্যভাগে তিনি চট্টগ্রামে আগমন করেন। কিছুদিন ইসলাম প্রচার করে আবার মাতৃভূমি ইরানে ফিরে যান।
এ ছাড়া শাহ সুলতান রুমি (রহ.)-এর (১০৫৩ খ্রি.) আগমনের কথা পাওয়া যায়। তিনি নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেন। বিক্রমপুর, ঢাকা ও পাবনায় ইসলাম প্রচার করেন বাবা আদম শহীদ (রহ.) (১০৯৯-১১৭৮ খ্রি.)। একইভাবে শাহ সুলতান বলখি মাহি সওয়ার (রহ.) সন্দ্বীপ, ঢাকা ও বগুড়ায় ইসলাম প্রচার করেন।
খ্রিষ্টীয় ১৩ ও ১৪ শতকে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের স্বর্ণযুগ বলা হয়। তখন বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকায় শাসকশ্রেণির সঙ্গে বহু পীর-দরবেশ এ দেশে আগমন করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শেখ ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকর (রহ.) (১১৭৪-১২৬৯ খ্রি.)। তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে ইসলাম প্রচার করেন। শেখ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা (রহ.) (মৃ. ১২৭৮ খ্রি.) সোনারগাঁও এবং এর আশপাশে ইসলাম প্রচার করেন। তিনিই প্রথম বাংলা অঞ্চলে হাদিসের পাঠদান শুরু করেন।
সৈয়দ শাহ তুরকান শহীদ (রহ.) (মৃ. ১২৮৮ খ্রি.) রাজশাহীতে প্রথম ইসলাম প্রচার করেন। সৈয়দ আহমদ তন্নুরি ওরফে মিরান শাহ (রহ.) (মৃ. ১৩০৩ খ্রি.) বৃহত্তর নোয়াখালীতে ইসলাম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সৈয়দ নাসিরউদ্দীন শাহ নেকমর্দান (রহ.) (মৃ. ১৩০২ খ্রি.) দিনাজপুর জেলার প্রাচীনতম ইসলাম প্রচারক। মখদুম শাহ দৌলাহ শহীদ (রহ.) (মৃ. ১৩০৭ খ্রি.) বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেন।
শাহ মাখদুম রুপোশ (রহ.) (১২১৮-১৩৩১ খ্রি.) বৃহত্তর রাজশাহীর প্রসিদ্ধ ইসলাম প্রচারক। শাহজালাল ইয়েমেনি (রহ.) (১২৭১-১৩৪১ খ্রি.) ও তাঁর ভাগনে শাহপরান (রহ.) বৃহত্তর সিলেটে ইসলামের প্রসারে অবিস্মরণীয় অবদান রাখেন। শাহরাস্তি বোগদাদি (রহ.) (১২৩৮-১৩৮৮ খ্রি.) চাঁদপুরে ইসলাম প্রচার করেন।
এ ছাড়া বাগেরহাট, যশোর ও খুলনায় ইসলাম প্রচার করেন খানজাহান আলী (রহ.) (১৩৬৯-১৪৫৯ খ্রি.)। তাঁর হাতে গড়া ষাটগম্বুজ মসজিদ আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। বৃহত্তর ফরিদপুর ও ঢাকায় ইসলাম প্রচার করেন শাহ আলী বোগদাদি (রহ.) (মৃ. ১৪৯৮ খ্রি.) ও খাজা শরফুদ্দিন চিশতি (রহ.) (মৃ. ১৫৮৯ খ্রি.)।
এমন অসংখ্য পীর-মাশায়েখ বাংলার মাটিতে শুয়ে আছেন, যাঁরা ইসলাম প্রচারের জন্য পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে হিজরত করে বাংলা অঞ্চলে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন, তাঁদের সংখ্যাও কম নয়।
সুফি-দরবেশদের ইসলাম প্রচারের পদ্ধতি ছিল গণমুখিতা ও মানবিকতার উৎকৃষ্ট দলিল। তাঁরা কোনো এলাকায় আগমন করলে শুরুতেই ইবাদতের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করতেন। সঙ্গে পুকুর খনন করতেন জনসাধারণের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণের জন্য। একটি খানকা তৈরি করতেন ভক্তদের আত্মিক সংশোধনের জন্য। প্রতিটি খানকায় থাকত একটি লঙ্গরখানা। আগত মেহমান ও দরিদ্র-অসহায়দের জন্য নিয়মিত খিচুড়ি রান্না হতো এখানে। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার এই খাবারে অংশ নেওয়ার অনুমতি ছিল। এমনকি খেয়েদেয়ে সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারত যে কেউ।
এ ছাড়া খানকার অধীনে থাকত গরিব-দুস্থদের জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র। ইসলামি শিক্ষার প্রসারের জন্য থাকত মাদ্রাসা। এগুলোর ব্যয় নির্বাহ করা হতো দানকৃত অর্থ বা লাখেরাজ সম্পত্তির আয় থেকে। তাঁদের সাদামাটা এ কাজ দাওয়াতের ক্ষেত্রে খুবই ফলপ্রসূ হয়েছিল। এর মাধ্যমে তাঁরা জনসাধারণের কাছে আসার সুযোগ পান এবং তাঁদের অনুভূতি ও মনোভাব বুঝতে সক্ষম হন।
বিশেষ করে বর্ণবাদের থাবায় নিষ্পেষিত অমুসলিম বাঙালিরা সুফি-দরবেশদের উদারতায় মুগ্ধ হয়। শুরু হয় খানকায় তাদের আসা-যাওয়া। এভাবে ধীরে ধীরে ইসলাম এ দেশের আপামর জনসাধারণের অন্তরে জায়গা করে নেয়।
লেখক: উচ্চতর ইসলামি আইনের শিক্ষার্থী, জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ, ঢাকা
বাংলায় প্রথম কখন ইসলামের আগমন ঘটে, তার সুনির্দিষ্ট প্রামাণ্য-তথ্য পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন ঐতিহাসিক বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের কিছুদিনের মধ্যেই চট্টগ্রাম উপকূলে আরব বণিকদের বিভিন্ন কাফেলায় মুসলমানদেরও আগমন ঘটে। সমুদ্রপথে চীনের দিকে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে সাহাবি-তাবেয়িদের একটি দলের যাত্রাবিরতির বর্ণনাও পাওয়া যায়। ফলে ধারণা করা হয়, আরব ব্যবসায়ীদের হাত ধরেই এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের সূচনা হয়।
আরবদের আতিথেয়তা ছিল প্রবাদতুল্য। বাংলায় এসেও তাঁরা আতিথেয়তার মাধ্যমে মানুষকে কাছে টানেন। ধর্ম, বর্ণ ও ভাষার ভিন্নতা সত্ত্বেও তারা যখন বাংলার লোকজন নিয়ে একই দস্তরখানে খাবার খেতে বসতেন, বর্ণবাদের শিকার দরিদ্র লোকজন তখন অপার বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকত। একই ধর্মের হওয়ার পরেও উচ্চবর্ণের হিন্দুদের সঙ্গে বসে খাবার খাওয়া তো দূরের কথা, যেখানে তাদের ছায়া মাড়ানোই অন্যায় ছিল, সেখানে এই ভিনদেশি আরবরা তাদের একই দস্তরখানে নিয়ে খাচ্ছেন—এই অকৃত্রিম উদারতা বাংলার মানুষকে আরবদের ধর্ম ও সংস্কৃতির ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলে।
পরের শতকগুলোতে আরব, ইয়েমেন, ইরাক, ইরান, খোরাসান, মধ্য এশিয়া ও উত্তর ভারত থেকে অসংখ্য পীর-অলি ও সুফি-দরবেশ ইসলাম প্রচারের জন্য বাংলায় আগমন করেন। অবশ্য ১৩ শতকে বখতিয়ার খিলজির হাতে বাংলা বিজিত হওয়ার পর থেকে ১৭ শতক পর্যন্ত সময়টায় ইসলামের প্রচার হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে এর আগেও সুফি-সাধকের আগমনের কথা ইতিহাস থেকে জানা যায়। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বায়েজিদ বোস্তামি (রহ.)। খ্রিষ্টীয় নবম শতকের মধ্যভাগে তিনি চট্টগ্রামে আগমন করেন। কিছুদিন ইসলাম প্রচার করে আবার মাতৃভূমি ইরানে ফিরে যান।
এ ছাড়া শাহ সুলতান রুমি (রহ.)-এর (১০৫৩ খ্রি.) আগমনের কথা পাওয়া যায়। তিনি নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেন। বিক্রমপুর, ঢাকা ও পাবনায় ইসলাম প্রচার করেন বাবা আদম শহীদ (রহ.) (১০৯৯-১১৭৮ খ্রি.)। একইভাবে শাহ সুলতান বলখি মাহি সওয়ার (রহ.) সন্দ্বীপ, ঢাকা ও বগুড়ায় ইসলাম প্রচার করেন।
খ্রিষ্টীয় ১৩ ও ১৪ শতকে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের স্বর্ণযুগ বলা হয়। তখন বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকায় শাসকশ্রেণির সঙ্গে বহু পীর-দরবেশ এ দেশে আগমন করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শেখ ফরিদ উদ্দিন গঞ্জেশকর (রহ.) (১১৭৪-১২৬৯ খ্রি.)। তিনি বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে ইসলাম প্রচার করেন। শেখ শরফুদ্দিন আবু তাওয়ামা (রহ.) (মৃ. ১২৭৮ খ্রি.) সোনারগাঁও এবং এর আশপাশে ইসলাম প্রচার করেন। তিনিই প্রথম বাংলা অঞ্চলে হাদিসের পাঠদান শুরু করেন।
সৈয়দ শাহ তুরকান শহীদ (রহ.) (মৃ. ১২৮৮ খ্রি.) রাজশাহীতে প্রথম ইসলাম প্রচার করেন। সৈয়দ আহমদ তন্নুরি ওরফে মিরান শাহ (রহ.) (মৃ. ১৩০৩ খ্রি.) বৃহত্তর নোয়াখালীতে ইসলাম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সৈয়দ নাসিরউদ্দীন শাহ নেকমর্দান (রহ.) (মৃ. ১৩০২ খ্রি.) দিনাজপুর জেলার প্রাচীনতম ইসলাম প্রচারক। মখদুম শাহ দৌলাহ শহীদ (রহ.) (মৃ. ১৩০৭ খ্রি.) বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেন।
শাহ মাখদুম রুপোশ (রহ.) (১২১৮-১৩৩১ খ্রি.) বৃহত্তর রাজশাহীর প্রসিদ্ধ ইসলাম প্রচারক। শাহজালাল ইয়েমেনি (রহ.) (১২৭১-১৩৪১ খ্রি.) ও তাঁর ভাগনে শাহপরান (রহ.) বৃহত্তর সিলেটে ইসলামের প্রসারে অবিস্মরণীয় অবদান রাখেন। শাহরাস্তি বোগদাদি (রহ.) (১২৩৮-১৩৮৮ খ্রি.) চাঁদপুরে ইসলাম প্রচার করেন।
এ ছাড়া বাগেরহাট, যশোর ও খুলনায় ইসলাম প্রচার করেন খানজাহান আলী (রহ.) (১৩৬৯-১৪৫৯ খ্রি.)। তাঁর হাতে গড়া ষাটগম্বুজ মসজিদ আজও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। বৃহত্তর ফরিদপুর ও ঢাকায় ইসলাম প্রচার করেন শাহ আলী বোগদাদি (রহ.) (মৃ. ১৪৯৮ খ্রি.) ও খাজা শরফুদ্দিন চিশতি (রহ.) (মৃ. ১৫৮৯ খ্রি.)।
এমন অসংখ্য পীর-মাশায়েখ বাংলার মাটিতে শুয়ে আছেন, যাঁরা ইসলাম প্রচারের জন্য পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে হিজরত করে বাংলা অঞ্চলে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন, তাঁদের সংখ্যাও কম নয়।
সুফি-দরবেশদের ইসলাম প্রচারের পদ্ধতি ছিল গণমুখিতা ও মানবিকতার উৎকৃষ্ট দলিল। তাঁরা কোনো এলাকায় আগমন করলে শুরুতেই ইবাদতের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করতেন। সঙ্গে পুকুর খনন করতেন জনসাধারণের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণের জন্য। একটি খানকা তৈরি করতেন ভক্তদের আত্মিক সংশোধনের জন্য। প্রতিটি খানকায় থাকত একটি লঙ্গরখানা। আগত মেহমান ও দরিদ্র-অসহায়দের জন্য নিয়মিত খিচুড়ি রান্না হতো এখানে। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার এই খাবারে অংশ নেওয়ার অনুমতি ছিল। এমনকি খেয়েদেয়ে সঙ্গে করে নিয়েও যেতে পারত যে কেউ।
এ ছাড়া খানকার অধীনে থাকত গরিব-দুস্থদের জন্য চিকিৎসাকেন্দ্র। ইসলামি শিক্ষার প্রসারের জন্য থাকত মাদ্রাসা। এগুলোর ব্যয় নির্বাহ করা হতো দানকৃত অর্থ বা লাখেরাজ সম্পত্তির আয় থেকে। তাঁদের সাদামাটা এ কাজ দাওয়াতের ক্ষেত্রে খুবই ফলপ্রসূ হয়েছিল। এর মাধ্যমে তাঁরা জনসাধারণের কাছে আসার সুযোগ পান এবং তাঁদের অনুভূতি ও মনোভাব বুঝতে সক্ষম হন।
বিশেষ করে বর্ণবাদের থাবায় নিষ্পেষিত অমুসলিম বাঙালিরা সুফি-দরবেশদের উদারতায় মুগ্ধ হয়। শুরু হয় খানকায় তাদের আসা-যাওয়া। এভাবে ধীরে ধীরে ইসলাম এ দেশের আপামর জনসাধারণের অন্তরে জায়গা করে নেয়।
লেখক: উচ্চতর ইসলামি আইনের শিক্ষার্থী, জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ, ঢাকা
প্রত্যেক মুসলমানের চূড়ান্ত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও একান্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে জান্নাতের মেহমান হওয়া। কেননা জান্নাত অনন্ত সুখ, শান্তি ও অসংখ্য নিয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তাআলা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস: ২৫)
২০ ঘণ্টা আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়ালের চাঁদ দেখা যাবে আগামী ৩ নভেম্বর। এই চাঁদ দেখার সঙ্গে রমজান শুরুর ব্যাপারে পূর্বাভাস পান জ্যোতির্বিদেরা।
১ দিন আগেপ্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য মহান আল্লাহর পরীক্ষা। দুর্যোগের সময় মুমিনের বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে এসেছে। এখানে কয়েকটি করণীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
২ দিন আগেমোহরে নবুয়ত। শাব্দিক অর্থ নবুয়তের সিলমোহর। সিরাত বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহরে নবুয়ত হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ঘাড় মোবারকের নিচে অবস্থিত গোশতের টুকরা, যা তাঁর রিসালাত ও নবুয়তের প্রমাণ।
৩ দিন আগে