মাহমুদ হাসান ফাহিম
দোয়া ইবাদতের মূল। দোয়াকারীকে আল্লাহ তাআলা ভালোবাসেন। অনেকের অভিযোগ, ‘দোয়া করি কিন্তু কবুল হয় না।’ বস্তুত দোয়া কবুল হওয়ারও কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমাকে ডাকো। আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন: ৬০)
দোয়া কবুলের বেশ কিছু শর্ত আছে; সেগুলো পূর্ণরূপে পাওয়া গেলে দোয়া কবুল হওয়ার বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। যথা:
১. নিষ্ঠার সঙ্গে দোয়া করা: আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ও আন্তরিকতা নিয়ে তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক না করে, নিজ অক্ষমতা এবং দুর্বলতা স্বীকার করে দোয়া করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা একনিষ্ঠচিত্তে কাছে দোয়া করো।’ (সুরা গাফির: ১৪)
২. তওবা করা: অন্যায় স্বীকার করে তা থেকে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাওয়া দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম আলামত। (সুরা কাসাস: ১৬; সুরা নুহ: ১০-১২)
৩. আল্লাহর আনুগত্যে ত্রুটি না করা: আনুগত্যের ত্রুটি দোয়া কবুল না হওয়ার একটি কারণ। (সুরা আম্বিয়া: ৮৯-৯০)
৪. বিনম্রচিত্তে দোয়া করা: বিনম্রচিত্তে একনিষ্ঠভাবে দোয়া করতে হবে। বিক্ষিপ্তচিত্ত নিয়ে দোয়া করলে সাড়া পাওয়া যায় না। (সহিহ মুসলিম: ২৭২২)
৫. অভাব প্রদর্শন করে দোয়া করা: সর্বশক্তিমান আল্লাহর সামনে দুর্বলতা, অভাব প্রদর্শন এবং তাঁর সামনে মিনতি করে নিচুস্বরে দোয়া করা। (সুরা আরাফ: ৫৫)
৬. খাদ্য, পানীয় ও পোশাক হালাল হওয়া: হাদিসে এক ব্যক্তির কথা এসেছে, যে আকাশের দিকে দুই হাত তুলে বলে, হে আমার প্রতিপালক! হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য, পানীয় হারাম, পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম এবং শরীর গঠিত হয়েছে হারামে। তার দোয়া কীভাবে কবুল হবে।’ (সহিহ মুসলিম: ১০১৫)
এ ছাড়া গুনাহের কাজে দোয়া না করা, আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন না করা এবং তাড়াহুড়া না করা। (সহিহ মুসলিম: ২৭৪৫)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
দোয়া ইবাদতের মূল। দোয়াকারীকে আল্লাহ তাআলা ভালোবাসেন। অনেকের অভিযোগ, ‘দোয়া করি কিন্তু কবুল হয় না।’ বস্তুত দোয়া কবুল হওয়ারও কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমাকে ডাকো। আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন: ৬০)
দোয়া কবুলের বেশ কিছু শর্ত আছে; সেগুলো পূর্ণরূপে পাওয়া গেলে দোয়া কবুল হওয়ার বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। যথা:
১. নিষ্ঠার সঙ্গে দোয়া করা: আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস ও আন্তরিকতা নিয়ে তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক না করে, নিজ অক্ষমতা এবং দুর্বলতা স্বীকার করে দোয়া করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা একনিষ্ঠচিত্তে কাছে দোয়া করো।’ (সুরা গাফির: ১৪)
২. তওবা করা: অন্যায় স্বীকার করে তা থেকে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাওয়া দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম আলামত। (সুরা কাসাস: ১৬; সুরা নুহ: ১০-১২)
৩. আল্লাহর আনুগত্যে ত্রুটি না করা: আনুগত্যের ত্রুটি দোয়া কবুল না হওয়ার একটি কারণ। (সুরা আম্বিয়া: ৮৯-৯০)
৪. বিনম্রচিত্তে দোয়া করা: বিনম্রচিত্তে একনিষ্ঠভাবে দোয়া করতে হবে। বিক্ষিপ্তচিত্ত নিয়ে দোয়া করলে সাড়া পাওয়া যায় না। (সহিহ মুসলিম: ২৭২২)
৫. অভাব প্রদর্শন করে দোয়া করা: সর্বশক্তিমান আল্লাহর সামনে দুর্বলতা, অভাব প্রদর্শন এবং তাঁর সামনে মিনতি করে নিচুস্বরে দোয়া করা। (সুরা আরাফ: ৫৫)
৬. খাদ্য, পানীয় ও পোশাক হালাল হওয়া: হাদিসে এক ব্যক্তির কথা এসেছে, যে আকাশের দিকে দুই হাত তুলে বলে, হে আমার প্রতিপালক! হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য, পানীয় হারাম, পোশাক-পরিচ্ছদ হারাম এবং শরীর গঠিত হয়েছে হারামে। তার দোয়া কীভাবে কবুল হবে।’ (সহিহ মুসলিম: ১০১৫)
এ ছাড়া গুনাহের কাজে দোয়া না করা, আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন না করা এবং তাড়াহুড়া না করা। (সহিহ মুসলিম: ২৭৪৫)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেজ্ঞানগর্ভ ও উপদেশে ভরা কোরআন জীবনের জন্য অপরিহার্য একটি গাইড বই। মানুষ কোথায় কখন কী করবে, কেন করবে, কীভাবে করবে—তা বলে দেওয়া হয়েছে কোরআনে। কোরআন তথা আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের হিদায়াতের বাইরে কোনো সঠিক জীবনদর্শন নেই, কোনো ধর্মদর্শন নেই, কোনো মুক্তির পথ নেই। মানবজাতির সূচনালগ্নেই কথাটি জানিয়ে দেওয়া
১ দিন আগেএকজন মুমিনের কাছে রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। মহানবী (সা.) এ পবিত্র মাসকে বেশ গুরুত্ব দিতেন। অন্যান্য কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে অধিক পরিমাণে ইবাদতে মশগুল হতেন। সাহাবিদের অভ্যাসও ছিল একই রকম। গুরুত্ব বিবেচনায় রমজানের প্রস্তুতিও শুরু হতো বেশ আগে থেকেই। রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকেই মহানবী (সা.) অধীর আগ
১ দিন আগেহাজার বছরের মুসলিম ঐতিহ্যের স্মারক টুপি। ইসলামের সূচনাকাল থেকেই টুপি পরিধানের চল রয়েছে। ফিকহের দৃষ্টিকোণে টুপি পরা সুন্নত। মহানবী (সা.) সর্বদা টুপি পরতেন, হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তার প্রমাণ মেলে। সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী যুগের সব অনুসরণীয় মুসলিম টুপি পরেছেন। শালীনতা ও সৌন্দর্যের আবরণ টুপি মুসলমানদের
১ দিন আগে