ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররম। এ মাসের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা। ধর্মীয় ও ঐতিহ্যগত কারণে দিনটির তাৎপর্য অনেক। পৃথিবীর শুরু থেকে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি জড়িত রয়েছে এ দিনের সঙ্গে।
মহররম মর্যাদাপূর্ণ মাস
রাসুল (সা.)-এর আবির্ভাবের আগে থেকেই আরবেরা মহররমকে সম্মান করত। তারা এ মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ ও অন্যায়-অত্যাচার করাকে পাপ মনে করত। ইসলামও এ মাসকে সম্মান প্রদর্শন করতে এবং এ মাসের প্রতি যত্নবান হতে বলেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস ১২টি, আসমান ও জমিন সৃষ্টির দিন থেকে—এর মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান।’ (সুরা তাওবা: ৩৬) সম্মানিত চার মাসের মধ্যে মহররম অন্যতম। হাদিসে একে ‘শাহরুল্লাহ’ তথা ‘আল্লাহর মাস’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। (মুসলিম: ২৮১২)
আশুরার ঐতিহাসিক ঘটনাবলি
আশুরার তাৎপর্য পৃথিবীর শুরু থেকেই বিদ্যমান। বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা এদিনেই সংঘটিত হয়েছে। কারবালায় ঘটে যাওয়া বেদনাদায়ক ঘটনা আশুরায় সর্বশেষ সংযোজন। নুহ (আ.) দীর্ঘ ৯৫০ বছর মানুষকে আল্লাহর পথে দাওয়াত দিয়েছেন। তাঁর সম্প্রদায় ইমান গ্রহণ না করায় মহান আল্লাহ মহাপ্লাবন দিয়ে তাদের ধ্বংস করেন। নুহ (আ.) তাঁর অল্পসংখ্যক ইমানদার অনুসারীদের নিয়ে নৌকায় আরোহণ করেন। ছয় মাস পর আশুরার দিনে তাঁর নৌকা জুদি পাহাড়ে অবতরণ করলে তাঁরা মুক্তি লাভ করেন। (ইবনে কাসির: ৪ / ৩২৪)
পবিত্র কোরআনে মুসা (আ.) ও ফিরাউনের এক নির্ধারিত সময়ে উন্মুক্ত প্রান্তরে মুখোমুখি হওয়ার বিষয় বর্ণিত হয়েছে। ফিরাউন সারা দেশের জাদুকরদের একত্র করে। জাদুকরেরা অসংখ্য রশি ছেড়ে দেয়। সেগুলো সাপ হয়ে মুসা (আ.)-এর দিকে এগিয়ে যায়। মুসা (আ.) তাঁর হাতের লাঠি ছেড়ে দিলে তা বড় সাপ হয়ে তাদের সব সাপকে গ্রাস করে নেয়। আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.)-কে বিজয় দান করেন। এদিনটিও ছিল আশুরার দিন। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ৫ / ৩০০)
এদিনেই ইয়াকুব (আ.) বহু শোকতাপ করার পর হারানো পুত্র ইউসুফ (আ.)-কে ফিরে পান। (তাফসিরে রুহুল মাআনি: ১৩ / ৫৭)
কারবালার ময়দানের মর্মস্পর্শী ও হৃদয়বিদারক ঘটনার অবতারণাও হয় ৬১ হিজরির ১০ মহররম আশুরার দিনে (৬৮০ খ্রিষ্টাব্দের ১০ অক্টোবর)। নবী (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হুসাইন (রা.) ইয়াজিদের সৈন্য পাষণ্ড সিমারের হাতে শাহাদাতবরণ করেন।
আশুরার দিনে তওবা কবুল হয়
আশুরায় মহান আল্লাহ অনেক প্রিয় বান্দার কষ্টকর অবস্থার অবসান ঘটিয়েছেন, অনেকের তওবা কবুল করেছেন এবং অনেকের তওবা কবুল করবেন। আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘যদি তুমি রমজান মাসের পরে মাসজুড়ে রোজা রাখতে চাও তাহলে মহররম মাস রোজা রাখো। কারণ, সেটি আল্লাহর মাস। তাতে আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের তওবা কবুল করেছেন এবং অন্য সম্প্রদায়ের তওবা কবুল করবেন।’ (তিরমিজি: ৭৪১)
হাদিসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘তা হলো আশুরার দিন। মহান আল্লাহ এদিনে আদম (আ.)-এর তওবা কবুল করেছেন, ইউনুস (আ.)-এর সম্প্রদায়ের তওবা কবুল করেছেন এবং অন্যদের তওবা কবুল করবেন’। (আত-তাইসির বিশারহিল জামি আস-সগির: ১ / ৭৫৮)
আশুরার রোজার ফজিলত
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) মদিনায় হিজরত করার পর ইহুদিদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখলেন। তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমরা এই দিনে রোজা রাখো কেন’? তারা উত্তরে বলল, ‘এটি পুণ্যময় দিন। আল্লাহ তাআলা এই দিনে বনি ইসরাইলকে তাদের শত্রুর কবল থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। মুসা (আ.) কৃতজ্ঞতা প্রকাশে এই দিনে রোজা রেখেছিলেন। (তাই আমরাও এ দিনে রোজা রাখি)।’ তখন নবী (সা.) বললেন, ‘আমি তোমাদের চেয়ে মুসা (আ.)-এর অধিক কাছের মানুষ।’ এরপর নবী (সা.) নিজেও এই দিনে রোজা রাখলেন এবং অন্যদেরও রোজা রাখতে বললেন। (বুখারি: ১৯০০)
আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আশুরার রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে তা পালনকারীর বিগত এক বছরের পাপের কাফফারা হিসেবে গণ্য হবে’। (মুসলিম: ২৮০৩)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো এবং এর পূর্বে ও পরে অতিরিক্ত একটি রোজা রেখে ইহুদিদের ব্যতিক্রম করো।’ (আল-বায়হাকি আল-কুবরা, হাদিস: ৮১৮৯) এখানে রোজা পালনের পদ্ধতির মধ্যেও অন্যদের সামঞ্জস্য হওয়াকে রাসুল (সা.) পছন্দ করেননি। বোঝা যায়, একজন মুসলমানের ইবাদত-বন্দেগি, চাল-চলন, রীতি-নীতি ও জীবন-জীবিকা সবকিছুতেই স্বতন্ত্র হওয়া উচিত।
ভালো খাবারের ব্যবস্থা করলে বরকত হয়
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আশুরার দিনে যে ব্যক্তি নিজের পরিবারের সদস্যদের খাওয়া-পরার জন্য হাত খুলে ব্যয় করবে, আল্লাহ সারা বছর তাকে সচ্ছলতা দান করবেন।’ (মিশকাত: ১৯২৬) ইমাম বায়হাকি (রহ.) বলেন, হাদিসটির সনদে দুর্বলতা থাকলেও বিভিন্ন সনদের কারণে শক্তিশালী হওয়ার অবকাশ রয়েছে। (বায়হাকি: ৩৭৯৫)
আশুরার তাৎপর্য শুধু কারবালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয়। বরং আশুরার তাৎপর্য ও উদ্যাপন কারবালার ঘটনার অনেক আগে থেকেই স্বীকৃত। তবে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা যুগে যুগে মুসলিম জাতিকে আত্মত্যাগের মাধ্যমে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে প্রেরণা জোগায়।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররম। এ মাসের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা। ধর্মীয় ও ঐতিহ্যগত কারণে দিনটির তাৎপর্য অনেক। পৃথিবীর শুরু থেকে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি জড়িত রয়েছে এ দিনের সঙ্গে।
মহররম মর্যাদাপূর্ণ মাস
রাসুল (সা.)-এর আবির্ভাবের আগে থেকেই আরবেরা মহররমকে সম্মান করত। তারা এ মাসে যুদ্ধ-বিগ্রহ ও অন্যায়-অত্যাচার করাকে পাপ মনে করত। ইসলামও এ মাসকে সম্মান প্রদর্শন করতে এবং এ মাসের প্রতি যত্নবান হতে বলেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস ১২টি, আসমান ও জমিন সৃষ্টির দিন থেকে—এর মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান।’ (সুরা তাওবা: ৩৬) সম্মানিত চার মাসের মধ্যে মহররম অন্যতম। হাদিসে একে ‘শাহরুল্লাহ’ তথা ‘আল্লাহর মাস’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। (মুসলিম: ২৮১২)
আশুরার ঐতিহাসিক ঘটনাবলি
আশুরার তাৎপর্য পৃথিবীর শুরু থেকেই বিদ্যমান। বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা এদিনেই সংঘটিত হয়েছে। কারবালায় ঘটে যাওয়া বেদনাদায়ক ঘটনা আশুরায় সর্বশেষ সংযোজন। নুহ (আ.) দীর্ঘ ৯৫০ বছর মানুষকে আল্লাহর পথে দাওয়াত দিয়েছেন। তাঁর সম্প্রদায় ইমান গ্রহণ না করায় মহান আল্লাহ মহাপ্লাবন দিয়ে তাদের ধ্বংস করেন। নুহ (আ.) তাঁর অল্পসংখ্যক ইমানদার অনুসারীদের নিয়ে নৌকায় আরোহণ করেন। ছয় মাস পর আশুরার দিনে তাঁর নৌকা জুদি পাহাড়ে অবতরণ করলে তাঁরা মুক্তি লাভ করেন। (ইবনে কাসির: ৪ / ৩২৪)
পবিত্র কোরআনে মুসা (আ.) ও ফিরাউনের এক নির্ধারিত সময়ে উন্মুক্ত প্রান্তরে মুখোমুখি হওয়ার বিষয় বর্ণিত হয়েছে। ফিরাউন সারা দেশের জাদুকরদের একত্র করে। জাদুকরেরা অসংখ্য রশি ছেড়ে দেয়। সেগুলো সাপ হয়ে মুসা (আ.)-এর দিকে এগিয়ে যায়। মুসা (আ.) তাঁর হাতের লাঠি ছেড়ে দিলে তা বড় সাপ হয়ে তাদের সব সাপকে গ্রাস করে নেয়। আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.)-কে বিজয় দান করেন। এদিনটিও ছিল আশুরার দিন। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ৫ / ৩০০)
এদিনেই ইয়াকুব (আ.) বহু শোকতাপ করার পর হারানো পুত্র ইউসুফ (আ.)-কে ফিরে পান। (তাফসিরে রুহুল মাআনি: ১৩ / ৫৭)
কারবালার ময়দানের মর্মস্পর্শী ও হৃদয়বিদারক ঘটনার অবতারণাও হয় ৬১ হিজরির ১০ মহররম আশুরার দিনে (৬৮০ খ্রিষ্টাব্দের ১০ অক্টোবর)। নবী (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হুসাইন (রা.) ইয়াজিদের সৈন্য পাষণ্ড সিমারের হাতে শাহাদাতবরণ করেন।
আশুরার দিনে তওবা কবুল হয়
আশুরায় মহান আল্লাহ অনেক প্রিয় বান্দার কষ্টকর অবস্থার অবসান ঘটিয়েছেন, অনেকের তওবা কবুল করেছেন এবং অনেকের তওবা কবুল করবেন। আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘যদি তুমি রমজান মাসের পরে মাসজুড়ে রোজা রাখতে চাও তাহলে মহররম মাস রোজা রাখো। কারণ, সেটি আল্লাহর মাস। তাতে আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের তওবা কবুল করেছেন এবং অন্য সম্প্রদায়ের তওবা কবুল করবেন।’ (তিরমিজি: ৭৪১)
হাদিসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘তা হলো আশুরার দিন। মহান আল্লাহ এদিনে আদম (আ.)-এর তওবা কবুল করেছেন, ইউনুস (আ.)-এর সম্প্রদায়ের তওবা কবুল করেছেন এবং অন্যদের তওবা কবুল করবেন’। (আত-তাইসির বিশারহিল জামি আস-সগির: ১ / ৭৫৮)
আশুরার রোজার ফজিলত
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) মদিনায় হিজরত করার পর ইহুদিদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখলেন। তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমরা এই দিনে রোজা রাখো কেন’? তারা উত্তরে বলল, ‘এটি পুণ্যময় দিন। আল্লাহ তাআলা এই দিনে বনি ইসরাইলকে তাদের শত্রুর কবল থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। মুসা (আ.) কৃতজ্ঞতা প্রকাশে এই দিনে রোজা রেখেছিলেন। (তাই আমরাও এ দিনে রোজা রাখি)।’ তখন নবী (সা.) বললেন, ‘আমি তোমাদের চেয়ে মুসা (আ.)-এর অধিক কাছের মানুষ।’ এরপর নবী (সা.) নিজেও এই দিনে রোজা রাখলেন এবং অন্যদেরও রোজা রাখতে বললেন। (বুখারি: ১৯০০)
আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আশুরার রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে তা পালনকারীর বিগত এক বছরের পাপের কাফফারা হিসেবে গণ্য হবে’। (মুসলিম: ২৮০৩)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো এবং এর পূর্বে ও পরে অতিরিক্ত একটি রোজা রেখে ইহুদিদের ব্যতিক্রম করো।’ (আল-বায়হাকি আল-কুবরা, হাদিস: ৮১৮৯) এখানে রোজা পালনের পদ্ধতির মধ্যেও অন্যদের সামঞ্জস্য হওয়াকে রাসুল (সা.) পছন্দ করেননি। বোঝা যায়, একজন মুসলমানের ইবাদত-বন্দেগি, চাল-চলন, রীতি-নীতি ও জীবন-জীবিকা সবকিছুতেই স্বতন্ত্র হওয়া উচিত।
ভালো খাবারের ব্যবস্থা করলে বরকত হয়
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আশুরার দিনে যে ব্যক্তি নিজের পরিবারের সদস্যদের খাওয়া-পরার জন্য হাত খুলে ব্যয় করবে, আল্লাহ সারা বছর তাকে সচ্ছলতা দান করবেন।’ (মিশকাত: ১৯২৬) ইমাম বায়হাকি (রহ.) বলেন, হাদিসটির সনদে দুর্বলতা থাকলেও বিভিন্ন সনদের কারণে শক্তিশালী হওয়ার অবকাশ রয়েছে। (বায়হাকি: ৩৭৯৫)
আশুরার তাৎপর্য শুধু কারবালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয়। বরং আশুরার তাৎপর্য ও উদ্যাপন কারবালার ঘটনার অনেক আগে থেকেই স্বীকৃত। তবে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা যুগে যুগে মুসলিম জাতিকে আত্মত্যাগের মাধ্যমে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে প্রেরণা জোগায়।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রত্যেক মুসলমানের চূড়ান্ত লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও একান্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে জান্নাতের মেহমান হওয়া। কেননা জান্নাত অনন্ত সুখ, শান্তি ও অসংখ্য নিয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তাআলা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস: ২৫)
২১ ঘণ্টা আগেসংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অ্যাস্ট্রোনমি সোসাইটির বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস জমাদিউল আউয়ালের চাঁদ দেখা যাবে আগামী ৩ নভেম্বর। এই চাঁদ দেখার সঙ্গে রমজান শুরুর ব্যাপারে পূর্বাভাস পান জ্যোতির্বিদেরা।
২ দিন আগেপ্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের জন্য মহান আল্লাহর পরীক্ষা। দুর্যোগের সময় মুমিনের বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে কোরআন-হাদিসে এসেছে। এখানে কয়েকটি করণীয় বিষয় তুলে ধরা হলো—
২ দিন আগেমোহরে নবুয়ত। শাব্দিক অর্থ নবুয়তের সিলমোহর। সিরাত বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহরে নবুয়ত হলো হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দুই কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে ঘাড় মোবারকের নিচে অবস্থিত গোশতের টুকরা, যা তাঁর রিসালাত ও নবুয়তের প্রমাণ।
৩ দিন আগে