আমজাদ ইউনুস
সুপারিশ হলো অন্যের কোনো উপকার বা ক্ষতি দূর করার জন্য মধ্যস্থতা করা। ভালো কাজে অন্যের জন্য সুপারিশ করা একটি মহৎ কর্ম। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে সুপারিশকারীর জন্য সওয়াব ও প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
যেমনিভাবে বৈধ কাজের জন্য বৈধ পন্থায় সুপারিশ করলে সুপারিশকারী সওয়াবের অংশ পাবে, তেমনিভাবে অসৎ কাজের জন্য অবৈধ পন্থায় সুপারিশ করলে আজাবের অংশ পাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কেউ কোনো ভালো কাজের সুপারিশ করলে তাতে তার অংশ থাকবে এবং কেউ কোনো মন্দ কাজের সুপারিশ করলে তাতে তার অংশ থাকবে। আর আল্লাহ সবকিছুর ওপর নজর রাখেন।’ (সুরা নিসা: ৮৫)
আবু মুসা আশআরি (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কাছে কেউ কিছু চাইলে বা প্রয়োজনীয় কিছু চাওয়া হলে তিনি বলতেন, ‘তোমরা সুপারিশ করো, সওয়াব প্রাপ্ত হবে।’ (সহিহ বুখারি: ১৪৩২)
সুপারিশের বিনিময় গ্রহণ করা নিকৃষ্টতম ও জঘন্যতম গর্হিত অপরাধ। ইসলামে নিঃস্বার্থভাবে অন্যকে সাহায্য করতে উৎসাহিত করা হয়। সুপারিশের বিনিময়ে উপহার গ্রহণ করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। হাদিসে সুস্পষ্টভাবে সুপারিশ ও মধ্যস্থতার জন্য কোনো অর্থ বা উপহার গ্রহণ করাকে সুদের একটি বড় দরজা বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আবু ওমামা (রা.) সূত্রে বর্ণিত নবী (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি তার কোনো ভাইয়ের জন্য কোনো বিষয়ে সুপারিশ করার কারণে যদি সে তাকে কিছু উপহার দেয় এবং সে তা গ্রহণ করে তাহলে সে সুদের একটি বড় দরজা দিয়ে প্রবেশ করল।’ (আবু দাউদ: ৩৫৪১)
ফকিহদের মতে, ভালো কাজের জন্য সুপারিশ করা সুন্নত এবং কখনো তা ওয়াজিবও হতে পারে। সুপারিশের বিনিময়ে উপহার গ্রহণ তার সওয়াব নষ্ট করে দেয়, যেমন সুদ হালাল আয়কে নষ্ট করে দেয়। (আউনুল মাবুদ ৯ /৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
সুপারিশ হলো অন্যের কোনো উপকার বা ক্ষতি দূর করার জন্য মধ্যস্থতা করা। ভালো কাজে অন্যের জন্য সুপারিশ করা একটি মহৎ কর্ম। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে সুপারিশকারীর জন্য সওয়াব ও প্রতিদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
যেমনিভাবে বৈধ কাজের জন্য বৈধ পন্থায় সুপারিশ করলে সুপারিশকারী সওয়াবের অংশ পাবে, তেমনিভাবে অসৎ কাজের জন্য অবৈধ পন্থায় সুপারিশ করলে আজাবের অংশ পাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কেউ কোনো ভালো কাজের সুপারিশ করলে তাতে তার অংশ থাকবে এবং কেউ কোনো মন্দ কাজের সুপারিশ করলে তাতে তার অংশ থাকবে। আর আল্লাহ সবকিছুর ওপর নজর রাখেন।’ (সুরা নিসা: ৮৫)
আবু মুসা আশআরি (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কাছে কেউ কিছু চাইলে বা প্রয়োজনীয় কিছু চাওয়া হলে তিনি বলতেন, ‘তোমরা সুপারিশ করো, সওয়াব প্রাপ্ত হবে।’ (সহিহ বুখারি: ১৪৩২)
সুপারিশের বিনিময় গ্রহণ করা নিকৃষ্টতম ও জঘন্যতম গর্হিত অপরাধ। ইসলামে নিঃস্বার্থভাবে অন্যকে সাহায্য করতে উৎসাহিত করা হয়। সুপারিশের বিনিময়ে উপহার গ্রহণ করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। হাদিসে সুস্পষ্টভাবে সুপারিশ ও মধ্যস্থতার জন্য কোনো অর্থ বা উপহার গ্রহণ করাকে সুদের একটি বড় দরজা বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আবু ওমামা (রা.) সূত্রে বর্ণিত নবী (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি তার কোনো ভাইয়ের জন্য কোনো বিষয়ে সুপারিশ করার কারণে যদি সে তাকে কিছু উপহার দেয় এবং সে তা গ্রহণ করে তাহলে সে সুদের একটি বড় দরজা দিয়ে প্রবেশ করল।’ (আবু দাউদ: ৩৫৪১)
ফকিহদের মতে, ভালো কাজের জন্য সুপারিশ করা সুন্নত এবং কখনো তা ওয়াজিবও হতে পারে। সুপারিশের বিনিময়ে উপহার গ্রহণ তার সওয়াব নষ্ট করে দেয়, যেমন সুদ হালাল আয়কে নষ্ট করে দেয়। (আউনুল মাবুদ ৯ /৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
৭ ধরনের গুনাহকে বিধ্বংসী আখ্যা দিয়ে তা থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে উপদেশ দিয়েছেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। (রিয়াদুস সালেহিন: ১৮০২) কাজগুলো হলো—
১১ ঘণ্টা আগেসড়ককে মানুষের চলাচলের উপযোগী করা ইমানের পরিচায়ক। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান শাখা হলো, এ কথার স্বীকৃতি দেওয়া যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো, সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (
১ দিন আগেশীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় কম হয় এবং আবহাওয়া থাকে শীতল, যা রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী সময়। অপর দিকে শীতের রাত অনেক দীর্ঘ হয়, ফলে রাতের প্রথম প্রহরে ঘুমিয়ে নিয়ে শেষ প্রহরে আল্লাহর ইবাদত ও তাহাজ্জুদে মগ্ন হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া যায়। এ কারণে হাদিসে শীতকালকে ইবাদতের বসন্তক
২ দিন আগেআল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
৩ দিন আগে