ইসলামে পরার্থপরতার অনুপম শিক্ষা

নাঈমুল হাসান তানযীম
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪, ০৭: ২৮

ইসলাম হচ্ছে চিরসত্য এবং শাশ্বত সুন্দরের ধর্ম। পারস্পরিক কল্যাণকামনা, বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, নিজের প্রয়োজন সত্ত্বেও অন্যকে প্রাধান্য দেওয়া—এসব হচ্ছে ইসলামের চিরায়ত সৌন্দর্য। ইসলামের এসব মহান গুণ আমাদের মধ্য থেকে বিলুপ্তই হয়ে যাচ্ছে যেন। বিশেষ করে নিজের ওপর অপর ভাইকে প্রাধান্য দেওয়ার সুমহান যে বৈশিষ্ট্য দেখা যায় রাসুল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম (রা.)-এর জীবনে, তা আজ আমাদের ভেতর নেই বললেই চলে। অথচ সাহাবায়ে কেরাম (রা.)-এর ব্যাপারে কোরআনে এসেছে, ‘তারা (আনসার সাহাবিরা) নিজেদের ওপর (মুহাজিরদের) প্রাধান্য দেয়। যদিও নিজেদের প্রয়োজন ও অভাব থাকে।’ (সুরা হাশর: ০৯)

আল্লাহ তাআলা জান্নাতের বিশেষ কিছু নিয়ামত উল্লেখপূর্বক এসব নিয়ামতের অধিকারীদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলেছেন, ‘(তারাই এসব নিয়ামত লাভ করবে, যারা...) যারা মিসকিন, এতিম ও বন্দীদের খাবার দান করে তার প্রতি (নিজেদের) আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও। (আর বলে,) আমরা তো তোমাদের খাওয়াই কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে। তোমাদের থেকে আমরা কোনো প্রতিদান বা কৃতজ্ঞতা কামনা করি না।’ (সুরা দাহর: ৮-৯)

একবার এক নারী সাহাবি নবীজির জন্য সুন্দর কারুকার্য করা একটি নতুন কাপড় হাদিয়া এনে আরজ করলেন, ‘আমি এটি নিজের হাতে তৈরি করেছি। আপনি তা পরিধান করলে খুশি হব।’ রাসুল (সা.) কাপড়টি গ্রহণ করলেন। তাঁর কাপড়ের প্রয়োজনও ছিল। যখন তিনি তা লুঙ্গি হিসেবে পরিধান করে ঘরের বাইরে এলেন, তখন এক ব্যক্তি বলল, ‘খুব চমৎকার কাপড়। এটি আমাকে দিয়ে দিবেন কি?’ নবীজি তখন ঘরে ফিরে গিয়ে তা খুলে ভাঁজ করে লোকটির জন্য পাঠিয়ে দিলেন।.... (বুখারি: ১২৭৭)

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত