প্রফেসর ড. মো. সাজেদুল হক।
ফিশারিজকে বাংলায় মূলত মাৎস্যবিজ্ঞান বলা হয়। মাৎস্যবিজ্ঞান মূলত বায়োলজিক্যাল ও অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্সের অন্যতম শাখা। মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে মাৎস্য সেক্টরকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বর্তমানে প্রায় ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদান ও ডিগ্রি দেওয়া হয়। এ ছাড়া কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ফিশারিজ বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা
যে কেউ ফিশারিজে পড়তে চাইলে এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞান, গণিতসহ বিজ্ঞান বিষয়গুলোতে ভালো ফলাফল করতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ফিশারিজে পড়তে পারবেন। যেমন জেনারেল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (GST) অধীনে ২২-২৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়ে থাকে। অ্যাগ্রিকালচারাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা পরীক্ষা হয়। আবার গুচ্ছপদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা হয়ে থাকে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারিজ সংশ্লিষ্ট সাবজেক্ট রয়েছে।
কোথায় কোথায় ভর্তি হওয়া যায়
বর্তমানে ১৫টি বা এর বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারিজে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি চলমান। এর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব ফিশারিজ বিভাগ রয়েছে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটিতে ফিশারিজ সাবজেক্ট পড়ানো হয়। সব ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী ফিশারিজ সাবজেক্ট পড়ানো হয়। অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্স এবং ফিশারিজ একটা বড় সেক্টর। এখানে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারেন। তা ছাড়া বর্তমানে নতুন নতুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিশারিজ বিষয়টা প্রাধান্য পাচ্ছে।
কী কী বিষয়ে পড়ানো হয়
ফিশারিজ ফ্যাকাল্টি থেকে চার-পাঁচটি বিষয়ের ওপর ডিগ্রি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ‘মৎস্য চাষ’ বিভাগে কোথায়, কখন ও কীভাবে মৎস্য চাষ করা হবে এবং পুকুর, নদী-নালা, খাল-বিলে পোনা ছেড়ে লালন-পালন করে বড় করা যায় সে-সম্পর্কে জানা যায়। ‘বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস’ বিভাগে মাছের বংশবৃদ্ধি, গুণাগুণ বৃদ্ধি, প্রজননসংক্রান্ত বিষয়ে পড়ানো হয়। ‘ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট’ বিভাগে নদী-নালা, খাল-বিল, উন্মুক্ত জলাশয় সবকিছু কীভাবে সঠিক ব্যবস্থাপনা করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্পর্কে পড়ানো হয়। ‘ফিশারিজ টেকনোলজি’ বিভাগে মাছ ধরা থেকে শুরু করে মাছ আহরণ, পরে এর গুণাগুণ সংরক্ষণ, বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্যাকেজিং, গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ এবং রপ্তানি করা সংক্রান্ত বিষয়ে পড়ানো হয়। এ ছাড়া কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মেরিন ফিশারিজ’ নামে নতুন একটি বিভাগ চালু হয়েছে।
চাকরির সুযোগ কেমন
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য সময়োপযোগী এবং প্রয়োজনীয় গবেষণা, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রচুর পরিমাণ মাৎস্যবিজ্ঞানে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন জনবলের প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন সংস্থা বা অফিসে ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন এনজিওর নানা ধরনের আত্মনির্ভরশীল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের অন্যতম একটি হচ্ছে ফিশারিজ খাত। যেমন বিভিন্ন মাছের একক ও মিশ্র চাষ, নার্সারি ব্যবস্থাপনা, হাওরে মৎস্য ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন ইত্যাদি। এ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশেও ফিশারিজবিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
যেখানে ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের ফিশারিজবিষয়ক ঋণ প্রদানের সেকশনে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। একজন ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েট নিজেই তাঁর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। ব্যাংক থেকে ঋণের সুযোগও রয়েছে। প্রথমে স্বল্প পরিসরে উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পর সেই প্রচেষ্টাকে বৃহৎ পরিসরে বর্ধিত করে নিশ্চিতভাবেই অন্যদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাও ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটের পক্ষে সম্ভব। একজন ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েট যথাযোগ্য নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিতে পারেন। এ ছাড়া বিসিএসের মাধ্যমে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন হতে পারে। মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া ভালো ফলাফলের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
পড়ার খরচ কেমন
মাৎস্যবিজ্ঞানসহ কৃষি বিষয়গুলো প্র্যাকটিসভিত্তিক বিধায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো প্রচলন কম। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে টাকার পরিমাণ কমবেশি হয়। পাবলিকে ভর্তির সময় ১৫-২০ হাজার টাকা লাগে। এ ছাড়া পরীক্ষা ও সেমিস্টারের সময় ফি দিতে হয়। পুরো কোর্সে ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
ফিশারিজ শুধু চাকরির ক্ষেত্রেই নয়, গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্ট। ফিশারিজে দেশে-বিদেশে গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার জন্য ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, ন্যাচারাল সায়েন্স, ফুডস সায়েন্স, অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্স, মেরিন সায়েন্স, মেরিন ফিশারিজ ও কোস্টাল স্টাডিজ—এসব নামে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে পারবে। ফিশারিজ ‘অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্সে’ ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও জাপানে অনেক স্কলারশিপ রয়েছে। দেশের বাইরে মাৎস্যবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একজন ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েট যোগ দিতে পারেন। যেমন ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ইত্যাদি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তিসহ উচ্চশিক্ষা (যেমন এমএস ও পিএইচডি) গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
ফিশারিজকে বাংলায় মূলত মাৎস্যবিজ্ঞান বলা হয়। মাৎস্যবিজ্ঞান মূলত বায়োলজিক্যাল ও অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্সের অন্যতম শাখা। মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে মাৎস্য সেক্টরকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বর্তমানে প্রায় ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদান ও ডিগ্রি দেওয়া হয়। এ ছাড়া কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ফিশারিজ বিষয়ে পড়ার যোগ্যতা
যে কেউ ফিশারিজে পড়তে চাইলে এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞান, গণিতসহ বিজ্ঞান বিষয়গুলোতে ভালো ফলাফল করতে হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ফিশারিজে পড়তে পারবেন। যেমন জেনারেল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (GST) অধীনে ২২-২৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়ে থাকে। অ্যাগ্রিকালচারাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা পরীক্ষা হয়। আবার গুচ্ছপদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা হয়ে থাকে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারিজ সংশ্লিষ্ট সাবজেক্ট রয়েছে।
কোথায় কোথায় ভর্তি হওয়া যায়
বর্তমানে ১৫টি বা এর বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারিজে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি চলমান। এর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব ফিশারিজ বিভাগ রয়েছে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটিতে ফিশারিজ সাবজেক্ট পড়ানো হয়। সব ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী ফিশারিজ সাবজেক্ট পড়ানো হয়। অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্স এবং ফিশারিজ একটা বড় সেক্টর। এখানে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারেন। তা ছাড়া বর্তমানে নতুন নতুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিশারিজ বিষয়টা প্রাধান্য পাচ্ছে।
কী কী বিষয়ে পড়ানো হয়
ফিশারিজ ফ্যাকাল্টি থেকে চার-পাঁচটি বিষয়ের ওপর ডিগ্রি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ‘মৎস্য চাষ’ বিভাগে কোথায়, কখন ও কীভাবে মৎস্য চাষ করা হবে এবং পুকুর, নদী-নালা, খাল-বিলে পোনা ছেড়ে লালন-পালন করে বড় করা যায় সে-সম্পর্কে জানা যায়। ‘বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস’ বিভাগে মাছের বংশবৃদ্ধি, গুণাগুণ বৃদ্ধি, প্রজননসংক্রান্ত বিষয়ে পড়ানো হয়। ‘ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট’ বিভাগে নদী-নালা, খাল-বিল, উন্মুক্ত জলাশয় সবকিছু কীভাবে সঠিক ব্যবস্থাপনা করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্পর্কে পড়ানো হয়। ‘ফিশারিজ টেকনোলজি’ বিভাগে মাছ ধরা থেকে শুরু করে মাছ আহরণ, পরে এর গুণাগুণ সংরক্ষণ, বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকরণ, প্যাকেজিং, গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ এবং রপ্তানি করা সংক্রান্ত বিষয়ে পড়ানো হয়। এ ছাড়া কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মেরিন ফিশারিজ’ নামে নতুন একটি বিভাগ চালু হয়েছে।
চাকরির সুযোগ কেমন
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য সময়োপযোগী এবং প্রয়োজনীয় গবেষণা, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রচুর পরিমাণ মাৎস্যবিজ্ঞানে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন জনবলের প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন সংস্থা বা অফিসে ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন এনজিওর নানা ধরনের আত্মনির্ভরশীল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের অন্যতম একটি হচ্ছে ফিশারিজ খাত। যেমন বিভিন্ন মাছের একক ও মিশ্র চাষ, নার্সারি ব্যবস্থাপনা, হাওরে মৎস্য ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন ইত্যাদি। এ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশেও ফিশারিজবিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
যেখানে ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের ফিশারিজবিষয়ক ঋণ প্রদানের সেকশনে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। একজন ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েট নিজেই তাঁর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। ব্যাংক থেকে ঋণের সুযোগও রয়েছে। প্রথমে স্বল্প পরিসরে উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পর সেই প্রচেষ্টাকে বৃহৎ পরিসরে বর্ধিত করে নিশ্চিতভাবেই অন্যদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাও ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটের পক্ষে সম্ভব। একজন ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েট যথাযোগ্য নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিতে পারেন। এ ছাড়া বিসিএসের মাধ্যমে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন হতে পারে। মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া ভালো ফলাফলের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
পড়ার খরচ কেমন
মাৎস্যবিজ্ঞানসহ কৃষি বিষয়গুলো প্র্যাকটিসভিত্তিক বিধায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো প্রচলন কম। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে টাকার পরিমাণ কমবেশি হয়। পাবলিকে ভর্তির সময় ১৫-২০ হাজার টাকা লাগে। এ ছাড়া পরীক্ষা ও সেমিস্টারের সময় ফি দিতে হয়। পুরো কোর্সে ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
ফিশারিজ শুধু চাকরির ক্ষেত্রেই নয়, গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্ট। ফিশারিজে দেশে-বিদেশে গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার জন্য ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, ন্যাচারাল সায়েন্স, ফুডস সায়েন্স, অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্স, মেরিন সায়েন্স, মেরিন ফিশারিজ ও কোস্টাল স্টাডিজ—এসব নামে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে পারবে। ফিশারিজ ‘অ্যাগ্রিকালচারাল সায়েন্সে’ ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও জাপানে অনেক স্কলারশিপ রয়েছে। দেশের বাইরে মাৎস্যবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একজন ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েট যোগ দিতে পারেন। যেমন ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ইত্যাদি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তিসহ উচ্চশিক্ষা (যেমন এমএস ও পিএইচডি) গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
ইউনাইটেড ন্যাশন্স ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে (ডব্লিউএফপি) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির একটি শূন্য ২ জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রতিষ্ঠানটির কক্সবাজার অফিসে নিয়োগ পাবেন।
৯ ঘণ্টা আগেঅর্থ বিভাগের আওতাধীন জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিলের (এনএইচআরডিএফ) চার পদে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির জিএম (প্রশাসন ও ফাইন্যান্স) মোহাম্মদ জহিরুল কাইউম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেজনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আদমজী ইপিজেড মেডিকেল সেন্টার। প্রতিষ্ঠানটিতে ছয় ধরনের পদে ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও প্রার্থীরা ডাকযোগে আবেদন করতে পারবেন।
১০ ঘণ্টা আগেঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডে (ডেসকো) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির শূন্য পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগে