মোস্তাফিজ মিঠু, ঢাকা
রোদের রং এখন সোনালি। পুরো প্রকৃতিতে সেই সোনালি রঙের আভা ধরা পড়ে স্পষ্টভাবে। ভোরের দিকে খানিক শীতল অনুভূতি জাগে। আবার সকাল হলেই তেজ বাড়ে সূর্যের। কখনো ঝরঝরিয়ে বৃষ্টি তো কখনো শনশন সমীরণ। মনে হয় বর্ষা আর গ্রীষ্ম দুই ঋতুকে একসঙ্গে, এক শরীরে ধারণ করতে চায় শরৎ। প্রকৃতির এই অপরূপ খেলা যখন চলতে থাকে, খোলা প্রান্তরে তখন দুলে ওঠে কাশফুল।
শরতের এ মায়া যেমন ছুঁয়ে যায় হৃদয়, তেমনি তার ছোঁয়া পড়ে পোশাকেও। ফ্যাশন হাউসগুলো উঠেপড়ে লেগে যায় পোশাকে তাকে ফুটিয়ে তুলতে। রং আর নকশায় যতখানি পারা যায় নিংড়ে নেয় তাকে। এত এত পোশাকের ভিড়ে শাড়ির জমিন আর আঁচলও সেজে ওঠে শরতের রূপে। তার রূপ আর রং ফুটে ওঠে তাতে। বারো হাতের শাড়ি যেন হয়ে ওঠে শিল্পীর মূর্ত বা বিমূর্ত ক্যানভাস। রং তখন আর নিছক রং থাকে না, হয়ে যায় একটি ঋতুর প্রতীক।
একসময় ধরে নেওয়া হতো, শরতের পোশাকের রং হবে সাদা আর নীল এবং কাপড় হবে সুতির। সে অনুযায়ী তৈরিও হতো নীল-সাদার সুতির শাড়ি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ফ্যাশনচিন্তায় বদল এসেছে বিস্তর। এখন আর নির্দিষ্ট রং বা নকশায় কোনো ঋতুর পোশাক বেঁধে রাখা যায় না। ফলে বদলেছে রঙের খেলা আর কাপড়ের ধরন।
হরেক রঙের শরতের শাড়ি
শরতের ঐতিহ্যগত আমেজ বয়ে আনে সাদা-নীল শাড়ি। কখনো নীল জমিনে ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘ। আবার কখনো শিল্পীর আঁচড়ে কাশফুলের ছোঁয়া। গাঢ় বা হালকা নীল অথবা আসমানি কিংবা ময়ূরকণ্ঠী নীলের জমিনে ফুটে ওঠে আরও হরেক মোটিফ। সঙ্গে সাদা কিংবা অফ হোয়াইটের মিশেল ও নকশার বৈচিত্র্য। এভাবেই ফ্যাশন হাউসগুলো সাজিয়েছে শরৎ-সংগ্রহ। এর বাইরেও শাড়িতে আছে ফিরোজা, ছাই, সোনালি, খয়েরি, সবুজ, হলুদ, কমলা, বেগুনি কিংবা গোলাপি রঙের মিশেল। এর সঙ্গে মোটিফ হিসেবে দেখা যাবে ফুল, জ্যামিতিক নকশা, পাখি কিংবা পাতার নকশা। জমিন বা পাড়ে ঐতিহ্যের ছোঁয়া কাশফুল থাকলেও এর নকশায় এসেছে পরিবর্তন।
যেহেতু গ্রীষ্ম আর বর্ষার আবহাওয়াগত অনুভব থেকে যায়, তাই হালকা নকশার দিকে বেশি নজর দিতে হয় ডিজাইনারদের। তাই একটু ভারী নকশার ক্ষেত্রে করা হয় হ্যান্ড পেইন্ট। এ ছাড়া ভ্যালু অ্যাডেড মিডিয়াম হিসেবে আছে টাইডাই, হ্যান্ডপেইন্ট, ব্লকপ্রিন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্ট ও ব্রাশ পেইন্টের ব্যবহার। নকশিকাঁথার ফোঁড়ে তৈরি চমৎকার নকশার শাড়িও মিলবে বাজারে। দেশের জনপ্রিয় প্রায় সব ফ্যাশন হাউসে পাওয়া যাবে হরেক রঙের শরতের শাড়ি।
বাহারি ধরনের কাপড়
শাড়ির ক্ষেত্রে বরাবরের মতো এগিয়ে আছে সুতি। পোশাকে আরাম পেতে এখন সুতির বিকল্প থাকলেও এই কাপড় পানির উচ্চ শোষণ ও বায়ু চলাচলের ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় বাজারে এর চাহিদার কমতি নেই। এ ছাড়া সুতি কাপড় সহজে পরিষ্কার করা যায়। আর বাসা, অফিস কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রঙের সুতি শাড়ি পরে যাওয়া যায় অনায়াসে। অন্যদিকে অনেক নারীর পছন্দের তালিকায় রয়েছে সিল্কের শাড়ি। কারও কারও ধারণা, গরমে অস্বস্তির কারণ হতে পারে এই কাপড়। কিন্তু সুতির বিকল্প হিসেবে সিল্কের শাড়ির জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েছে। শরতের হালকা গরমে স্বস্তি দেবে এ ধরনের শাড়ি। যাঁরা এ সবকিছু ছাপিয়ে কিন্তু আরামের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে অন্য ধরনের কাপড়কে প্রাধান্য দিতে চান, তাঁদের অন্যতম পছন্দ শিফন। শরতে সঠিক রং আর নকশার শিফন শাড়ি আনবে ক্লাসি লুক।
শাড়ির প্রতি নারীর মোহ চিরদিনের। ঠিক সংসারের মতোই অনেকে আগলে রাখেন শাড়ি। ফলে পূজাসহ যেকোনো উৎসবে শাড়ি যে নারীর পছন্দের প্রধান পোশাক হয়ে উঠবে, এ আর আশ্চর্য কি!
রোদের রং এখন সোনালি। পুরো প্রকৃতিতে সেই সোনালি রঙের আভা ধরা পড়ে স্পষ্টভাবে। ভোরের দিকে খানিক শীতল অনুভূতি জাগে। আবার সকাল হলেই তেজ বাড়ে সূর্যের। কখনো ঝরঝরিয়ে বৃষ্টি তো কখনো শনশন সমীরণ। মনে হয় বর্ষা আর গ্রীষ্ম দুই ঋতুকে একসঙ্গে, এক শরীরে ধারণ করতে চায় শরৎ। প্রকৃতির এই অপরূপ খেলা যখন চলতে থাকে, খোলা প্রান্তরে তখন দুলে ওঠে কাশফুল।
শরতের এ মায়া যেমন ছুঁয়ে যায় হৃদয়, তেমনি তার ছোঁয়া পড়ে পোশাকেও। ফ্যাশন হাউসগুলো উঠেপড়ে লেগে যায় পোশাকে তাকে ফুটিয়ে তুলতে। রং আর নকশায় যতখানি পারা যায় নিংড়ে নেয় তাকে। এত এত পোশাকের ভিড়ে শাড়ির জমিন আর আঁচলও সেজে ওঠে শরতের রূপে। তার রূপ আর রং ফুটে ওঠে তাতে। বারো হাতের শাড়ি যেন হয়ে ওঠে শিল্পীর মূর্ত বা বিমূর্ত ক্যানভাস। রং তখন আর নিছক রং থাকে না, হয়ে যায় একটি ঋতুর প্রতীক।
একসময় ধরে নেওয়া হতো, শরতের পোশাকের রং হবে সাদা আর নীল এবং কাপড় হবে সুতির। সে অনুযায়ী তৈরিও হতো নীল-সাদার সুতির শাড়ি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ফ্যাশনচিন্তায় বদল এসেছে বিস্তর। এখন আর নির্দিষ্ট রং বা নকশায় কোনো ঋতুর পোশাক বেঁধে রাখা যায় না। ফলে বদলেছে রঙের খেলা আর কাপড়ের ধরন।
হরেক রঙের শরতের শাড়ি
শরতের ঐতিহ্যগত আমেজ বয়ে আনে সাদা-নীল শাড়ি। কখনো নীল জমিনে ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘ। আবার কখনো শিল্পীর আঁচড়ে কাশফুলের ছোঁয়া। গাঢ় বা হালকা নীল অথবা আসমানি কিংবা ময়ূরকণ্ঠী নীলের জমিনে ফুটে ওঠে আরও হরেক মোটিফ। সঙ্গে সাদা কিংবা অফ হোয়াইটের মিশেল ও নকশার বৈচিত্র্য। এভাবেই ফ্যাশন হাউসগুলো সাজিয়েছে শরৎ-সংগ্রহ। এর বাইরেও শাড়িতে আছে ফিরোজা, ছাই, সোনালি, খয়েরি, সবুজ, হলুদ, কমলা, বেগুনি কিংবা গোলাপি রঙের মিশেল। এর সঙ্গে মোটিফ হিসেবে দেখা যাবে ফুল, জ্যামিতিক নকশা, পাখি কিংবা পাতার নকশা। জমিন বা পাড়ে ঐতিহ্যের ছোঁয়া কাশফুল থাকলেও এর নকশায় এসেছে পরিবর্তন।
যেহেতু গ্রীষ্ম আর বর্ষার আবহাওয়াগত অনুভব থেকে যায়, তাই হালকা নকশার দিকে বেশি নজর দিতে হয় ডিজাইনারদের। তাই একটু ভারী নকশার ক্ষেত্রে করা হয় হ্যান্ড পেইন্ট। এ ছাড়া ভ্যালু অ্যাডেড মিডিয়াম হিসেবে আছে টাইডাই, হ্যান্ডপেইন্ট, ব্লকপ্রিন্ট, স্ক্রিনপ্রিন্ট ও ব্রাশ পেইন্টের ব্যবহার। নকশিকাঁথার ফোঁড়ে তৈরি চমৎকার নকশার শাড়িও মিলবে বাজারে। দেশের জনপ্রিয় প্রায় সব ফ্যাশন হাউসে পাওয়া যাবে হরেক রঙের শরতের শাড়ি।
বাহারি ধরনের কাপড়
শাড়ির ক্ষেত্রে বরাবরের মতো এগিয়ে আছে সুতি। পোশাকে আরাম পেতে এখন সুতির বিকল্প থাকলেও এই কাপড় পানির উচ্চ শোষণ ও বায়ু চলাচলের ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় বাজারে এর চাহিদার কমতি নেই। এ ছাড়া সুতি কাপড় সহজে পরিষ্কার করা যায়। আর বাসা, অফিস কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রঙের সুতি শাড়ি পরে যাওয়া যায় অনায়াসে। অন্যদিকে অনেক নারীর পছন্দের তালিকায় রয়েছে সিল্কের শাড়ি। কারও কারও ধারণা, গরমে অস্বস্তির কারণ হতে পারে এই কাপড়। কিন্তু সুতির বিকল্প হিসেবে সিল্কের শাড়ির জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েছে। শরতের হালকা গরমে স্বস্তি দেবে এ ধরনের শাড়ি। যাঁরা এ সবকিছু ছাপিয়ে কিন্তু আরামের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে অন্য ধরনের কাপড়কে প্রাধান্য দিতে চান, তাঁদের অন্যতম পছন্দ শিফন। শরতে সঠিক রং আর নকশার শিফন শাড়ি আনবে ক্লাসি লুক।
শাড়ির প্রতি নারীর মোহ চিরদিনের। ঠিক সংসারের মতোই অনেকে আগলে রাখেন শাড়ি। ফলে পূজাসহ যেকোনো উৎসবে শাড়ি যে নারীর পছন্দের প্রধান পোশাক হয়ে উঠবে, এ আর আশ্চর্য কি!
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে