সানজিদা সামরিন, ঢাকা
ধুতিটা কর্মক্ষেত্রের উপযোগী নহে অথচ পায়জামাটা বিজাতীয় এইজন্য তিনি এমন একটা আপস করিবার চেষ্টা করিলেন, যেটাতে ধুতিও ক্ষুণ্ন হইল, পায়জামাও প্রসন্ন হইল না। অর্থাৎ, তিনি পায়জামার উপর একখণ্ড কাপড় পাট করিয়া একটা স্বতন্ত্র কৃত্রিম মালকোঁচা জুড়িয়া দিলেন।... জ্যোতিদাদা অম্লানবদনে এই কাপড় পরিয়া মধ্যাহ্নের প্রখর আলোকে গাড়িতে গিয়া উঠিতেন—আত্মীয় এবং বান্ধব, দ্বারী এবং সারথি সকলেই অবাক হইয়া তাকাইত, তিনি ভ্রূক্ষেপমাত্র করিতেন না।
[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ফিউশনধর্মী পোশাক নিয়ে ‘জীবনস্মৃতি’তে এ কথা লিখেছিলেন।]
ঠাকুরবাড়িতে নারী-পুরুষ সবার পোশাক নিয়ে বরাবরই নিরীক্ষা হয়েছে। আজকালকার যুগে যেটাকে ভেঙে বলা হয় কাস্টমাইজেশন ও ফিউশন; সেটা ওই যুগে ঠাকুরবাড়ির পুত্র-কন্যা-বউয়েরাও করে নিয়েছিলেন নিজেদের মতো করে।
পুরুষদের পোশাক-ভাবনা
রবীন্দ্রনাথের ওপরের উদ্ধৃতিতে জানা গেল, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ধুতি ও পায়জামার সংমিশ্রণে এক অভিনব পোশাক তৈরি করিয়ে নিয়েছিলেন, যা দেখতে পায়জামার মতো হলেও ধুতির মতো কুঁচি ছিল। তিনি এই দুই ধরনের পোশাককে ফিউশন করে সহজে পরার ও মানানসই পোশাক তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন সেই স্বদেশি যুগে। তিনি যেমন পায়জামাতে ধুতির কুঁচি জুড়েছিলেন, তেমনি সোলার টুপির সঙ্গে পাগড়ির মিশ্রণও ঘটাতে দ্বিধা করেননি।
পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ফিউশনধর্মী পোশাক পরেছিলেন স্বয়ং রবিঠাকুরও। বলা ভালো, ফ্যাশনের দিক থেকে জ্যোতিরিন্দ্রনাথকে তিনি গুরু মানতেন। রবীন্দ্রনাথের পোশাক-ভাবনা সে সময় স্বদেশি রাজনীতিতে যুক্ত তরুণদের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। পোশাকের ব্যাপারে সে আমল থেকেই বেশ সাহসী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বড় বড় নিমন্ত্রণেও বিদেশি ধাঁচের পোশাক উপেক্ষা করে ধুতি, পাঞ্জাবি, চাদর ও চটি পরতেন কবি। যেতেন আগাগোড়া দেশি সাজে। সাদা থান ধুতি কোঁচা দিয়ে পরিপাটি করে পরতেন রবীন্দ্রনাথ। পায়ে গলাতেন নাগরা জুতো।
পরবর্তী সময়ে ঠাকুরবাড়ির ছেলেরা জাপানি আলখাল্লার নকশায় লম্বা জোব্বা পরতে শুরু করলে রবীন্দ্রনাথও এই ঢিলেঢালা জোব্বাকে সাদরে তুলে নেন তাঁর পোশাকের আলমারিতে। নানা রঙের জোব্বা ছিল তাঁর। কালো, ঘন নীল, খয়েরি, বাদামি, কমলা, গেরুয়া বাসন্তী, মেঘ-ছাইরঙের জোব্বা পরতেন তিনি।
রবীন্দ্রনাথ ঋতুর সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক পরতে ভালোবাসতেন। এই যেমন ঝুম বর্ষায় তিনি পরতেন গাঢ় নীল রঙের জোব্বা আবার বসন্ত এলেই তাঁর জোব্বার রং হয়ে যেত বাসন্তী।
তবে ঠাকুরবাড়িতে এই ফিউশনধর্মী পোশাক যে কেবল জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বা রবীন্দ্রনাথই পরা শুরু করেছিলেন, তা নয়। দ্বারকানাথের আমল থেকে ঠাকুর পরিবারের পোশাক-আশাকে মিশ্র ঘরানা দেখা যায়। আঙরাখা, পাঞ্জাবি বা বাঙালি ফতুয়ার সঙ্গে কোঁচানো ধুতির বদলে তিনি অনেক সময় পরতেন পাতলা সুতির চুড়ি পায়জামা বা ঢোলা পায়জামা। কাঁধে থাকত উত্তরীয়। কলকাতার অন্যান্য বিলাসী বাবুর মতো ঠাকুরবাড়ির বিলাসী বাবুরাও তখন পরতেন কালোপেড়ে ধুতি ও কেতাদুরস্ত পাঞ্জাবি।
দেবেন্দ্রনাথও কিন্তু দারুণ ফ্যাশনেবল ছিলেন। চাপদাড়ি রাখাটা একেবারে ট্রেন্ডে পরিণত করেছিলেন তিনি। জামাকাপড় নিয়ে খুঁতখুঁতে ছিলেন একেবারে শেষকাল পর্যন্ত। কোনো জামাকাপড়ই খুব বেশি দিন পরতেন না। জামা থেকে চটি পর্যন্ত—সবই হতে হতো ঝকঝকে তকতকে। এমনকি স্নানের সময় গা রগড়ানোর জন্যও তিনি গামছা বা তোয়ালের পরিবর্তে ব্যবহার করতেন মসলিনের কাপড়।
এক প্যাঁচে শাড়ি ও নারীদের সজ্জা
শুরুতে অন্যান্য বাড়ির নারীদের মতোই ঠাকুরবাড়ির মেয়ে-বউয়েরা বাড়ির সদর দরজা পেরোননি। ফলে তাঁদের গায়ে জড়ানো থাকত কেবল শাড়ি। পেটিকোট ও ব্লাউজের ব্যবহার তখনো শুরু হয়নি। শীত এলে কেবল একটা চাদর পরা হতো শাড়ির ওপর। তবে বাড়িতে যখন পণ্ডিত ডেকে মেয়ে-বউদের পড়ানোর কথা ভাবলেন দেবেন্দ্রনাথ, তখন পোশাকের ব্যাপারটিও ভাবাল তাঁকে। তখন পোশাক যেন আবরু রক্ষার পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ হয়, সে কথা ভেবে বাড়ির স্কুলগামী মেয়েদের জন্য কামিজ, ঘাগড়া, দোপাট্টা সহযোগে পোশাক তৈরি করে দেওয়ার কথা ভাবলেন। সৌদামিনী দেবীও এ ধরনের পোশাক পরে স্কুলে পড়তে গিয়েছিলেন। তবে তখনো এসব পোশাক কেবল বাড়ির বয়সে ছোট মেয়েরাই পরত। একটু বড় হলেই আবার শাড়ি পরতে হতো। এসব শাড়ির মধ্য়ে ছিল বালুচরি, নীলাম্বরী, সুতি, মসলিন, ঢাকাই ইত্যাদি।
ঠাকুরবাড়ির মেয়েদের শাড়ি পরার ধরনে ও শাড়ি পরে যেন নিমন্ত্রণ বা ভদ্রসমাজে বের হওয়া যায়, সেদিক থেকে বড় ভূমিকা রাখেন ঠাকুরবাড়ির মেজ বউ জ্ঞানদানন্দিনী দেবী। তিনি পারসি নারীদের গুছিয়ে শাড়ি পরার ধরনে আকৃষ্ট হন। সে ধরনটিকে জ্ঞানদা সাদরে গ্রহণও করেন। তিনি পুরোপুরিই যে পারসি নারীদের মতো করে শাড়ি পরতেন, তা নয়। তার সঙ্গে নিজের সৃজনশীলতা যোগ করে এক অভিনব শাড়ি পরার ধরনের প্রবর্তন করেন। এ নতুন ধরনে শাড়ির সঙ্গে পরা হতো কুঁচিওয়ালা ব্লাউজ, পেটিকোট, জুতা ও মোজা। এই নতুন স্টাইলে শাড়ি পরে সেকালের বোম্বাই থেকে বাড়ি ফিরলে বাড়িসুদ্ধ তো বটেই, আশপাশের মেয়েরাও তা গ্রহণ করেন সাদরে।
শাড়ির সঙ্গে যেমন ব্লাউজ পরা শুরু হয়েছিল, তেমনি বাইরে বের হওয়ার সময় তখন অনেকে গাউন পরতেন। পাশাপাশি দেবেন্দ্রনাথের নকশা করা পোশাকগুলোও পরত বাড়ির বয়সে ছোট মেয়ে-বউয়েরা। রবীন্দ্রনাথের মেয়েরাও ছোটবেলায় ফ্রক পরত। দামি সিল্কের ফ্রকগুলোয় দেওয়া হতো কুঁচিওয়ালা লেইস। ঠাকুর পরিবারের মেয়েদের পোশাক নিয়ে যেমন ভেবেছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, তেমনি সৌদামিনী দেবীও দেখভাল করতেন মেয়েরা পরিপাটি হয়ে থাকছে কি না।
সূত্র: ঠাকুরবাড়ির রূপ-কথা, শান্তা শ্রীমানী ,ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল, চিত্রা দেব
ধুতিটা কর্মক্ষেত্রের উপযোগী নহে অথচ পায়জামাটা বিজাতীয় এইজন্য তিনি এমন একটা আপস করিবার চেষ্টা করিলেন, যেটাতে ধুতিও ক্ষুণ্ন হইল, পায়জামাও প্রসন্ন হইল না। অর্থাৎ, তিনি পায়জামার উপর একখণ্ড কাপড় পাট করিয়া একটা স্বতন্ত্র কৃত্রিম মালকোঁচা জুড়িয়া দিলেন।... জ্যোতিদাদা অম্লানবদনে এই কাপড় পরিয়া মধ্যাহ্নের প্রখর আলোকে গাড়িতে গিয়া উঠিতেন—আত্মীয় এবং বান্ধব, দ্বারী এবং সারথি সকলেই অবাক হইয়া তাকাইত, তিনি ভ্রূক্ষেপমাত্র করিতেন না।
[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ফিউশনধর্মী পোশাক নিয়ে ‘জীবনস্মৃতি’তে এ কথা লিখেছিলেন।]
ঠাকুরবাড়িতে নারী-পুরুষ সবার পোশাক নিয়ে বরাবরই নিরীক্ষা হয়েছে। আজকালকার যুগে যেটাকে ভেঙে বলা হয় কাস্টমাইজেশন ও ফিউশন; সেটা ওই যুগে ঠাকুরবাড়ির পুত্র-কন্যা-বউয়েরাও করে নিয়েছিলেন নিজেদের মতো করে।
পুরুষদের পোশাক-ভাবনা
রবীন্দ্রনাথের ওপরের উদ্ধৃতিতে জানা গেল, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ধুতি ও পায়জামার সংমিশ্রণে এক অভিনব পোশাক তৈরি করিয়ে নিয়েছিলেন, যা দেখতে পায়জামার মতো হলেও ধুতির মতো কুঁচি ছিল। তিনি এই দুই ধরনের পোশাককে ফিউশন করে সহজে পরার ও মানানসই পোশাক তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন সেই স্বদেশি যুগে। তিনি যেমন পায়জামাতে ধুতির কুঁচি জুড়েছিলেন, তেমনি সোলার টুপির সঙ্গে পাগড়ির মিশ্রণও ঘটাতে দ্বিধা করেননি।
পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ফিউশনধর্মী পোশাক পরেছিলেন স্বয়ং রবিঠাকুরও। বলা ভালো, ফ্যাশনের দিক থেকে জ্যোতিরিন্দ্রনাথকে তিনি গুরু মানতেন। রবীন্দ্রনাথের পোশাক-ভাবনা সে সময় স্বদেশি রাজনীতিতে যুক্ত তরুণদের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। পোশাকের ব্যাপারে সে আমল থেকেই বেশ সাহসী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বড় বড় নিমন্ত্রণেও বিদেশি ধাঁচের পোশাক উপেক্ষা করে ধুতি, পাঞ্জাবি, চাদর ও চটি পরতেন কবি। যেতেন আগাগোড়া দেশি সাজে। সাদা থান ধুতি কোঁচা দিয়ে পরিপাটি করে পরতেন রবীন্দ্রনাথ। পায়ে গলাতেন নাগরা জুতো।
পরবর্তী সময়ে ঠাকুরবাড়ির ছেলেরা জাপানি আলখাল্লার নকশায় লম্বা জোব্বা পরতে শুরু করলে রবীন্দ্রনাথও এই ঢিলেঢালা জোব্বাকে সাদরে তুলে নেন তাঁর পোশাকের আলমারিতে। নানা রঙের জোব্বা ছিল তাঁর। কালো, ঘন নীল, খয়েরি, বাদামি, কমলা, গেরুয়া বাসন্তী, মেঘ-ছাইরঙের জোব্বা পরতেন তিনি।
রবীন্দ্রনাথ ঋতুর সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক পরতে ভালোবাসতেন। এই যেমন ঝুম বর্ষায় তিনি পরতেন গাঢ় নীল রঙের জোব্বা আবার বসন্ত এলেই তাঁর জোব্বার রং হয়ে যেত বাসন্তী।
তবে ঠাকুরবাড়িতে এই ফিউশনধর্মী পোশাক যে কেবল জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বা রবীন্দ্রনাথই পরা শুরু করেছিলেন, তা নয়। দ্বারকানাথের আমল থেকে ঠাকুর পরিবারের পোশাক-আশাকে মিশ্র ঘরানা দেখা যায়। আঙরাখা, পাঞ্জাবি বা বাঙালি ফতুয়ার সঙ্গে কোঁচানো ধুতির বদলে তিনি অনেক সময় পরতেন পাতলা সুতির চুড়ি পায়জামা বা ঢোলা পায়জামা। কাঁধে থাকত উত্তরীয়। কলকাতার অন্যান্য বিলাসী বাবুর মতো ঠাকুরবাড়ির বিলাসী বাবুরাও তখন পরতেন কালোপেড়ে ধুতি ও কেতাদুরস্ত পাঞ্জাবি।
দেবেন্দ্রনাথও কিন্তু দারুণ ফ্যাশনেবল ছিলেন। চাপদাড়ি রাখাটা একেবারে ট্রেন্ডে পরিণত করেছিলেন তিনি। জামাকাপড় নিয়ে খুঁতখুঁতে ছিলেন একেবারে শেষকাল পর্যন্ত। কোনো জামাকাপড়ই খুব বেশি দিন পরতেন না। জামা থেকে চটি পর্যন্ত—সবই হতে হতো ঝকঝকে তকতকে। এমনকি স্নানের সময় গা রগড়ানোর জন্যও তিনি গামছা বা তোয়ালের পরিবর্তে ব্যবহার করতেন মসলিনের কাপড়।
এক প্যাঁচে শাড়ি ও নারীদের সজ্জা
শুরুতে অন্যান্য বাড়ির নারীদের মতোই ঠাকুরবাড়ির মেয়ে-বউয়েরা বাড়ির সদর দরজা পেরোননি। ফলে তাঁদের গায়ে জড়ানো থাকত কেবল শাড়ি। পেটিকোট ও ব্লাউজের ব্যবহার তখনো শুরু হয়নি। শীত এলে কেবল একটা চাদর পরা হতো শাড়ির ওপর। তবে বাড়িতে যখন পণ্ডিত ডেকে মেয়ে-বউদের পড়ানোর কথা ভাবলেন দেবেন্দ্রনাথ, তখন পোশাকের ব্যাপারটিও ভাবাল তাঁকে। তখন পোশাক যেন আবরু রক্ষার পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ হয়, সে কথা ভেবে বাড়ির স্কুলগামী মেয়েদের জন্য কামিজ, ঘাগড়া, দোপাট্টা সহযোগে পোশাক তৈরি করে দেওয়ার কথা ভাবলেন। সৌদামিনী দেবীও এ ধরনের পোশাক পরে স্কুলে পড়তে গিয়েছিলেন। তবে তখনো এসব পোশাক কেবল বাড়ির বয়সে ছোট মেয়েরাই পরত। একটু বড় হলেই আবার শাড়ি পরতে হতো। এসব শাড়ির মধ্য়ে ছিল বালুচরি, নীলাম্বরী, সুতি, মসলিন, ঢাকাই ইত্যাদি।
ঠাকুরবাড়ির মেয়েদের শাড়ি পরার ধরনে ও শাড়ি পরে যেন নিমন্ত্রণ বা ভদ্রসমাজে বের হওয়া যায়, সেদিক থেকে বড় ভূমিকা রাখেন ঠাকুরবাড়ির মেজ বউ জ্ঞানদানন্দিনী দেবী। তিনি পারসি নারীদের গুছিয়ে শাড়ি পরার ধরনে আকৃষ্ট হন। সে ধরনটিকে জ্ঞানদা সাদরে গ্রহণও করেন। তিনি পুরোপুরিই যে পারসি নারীদের মতো করে শাড়ি পরতেন, তা নয়। তার সঙ্গে নিজের সৃজনশীলতা যোগ করে এক অভিনব শাড়ি পরার ধরনের প্রবর্তন করেন। এ নতুন ধরনে শাড়ির সঙ্গে পরা হতো কুঁচিওয়ালা ব্লাউজ, পেটিকোট, জুতা ও মোজা। এই নতুন স্টাইলে শাড়ি পরে সেকালের বোম্বাই থেকে বাড়ি ফিরলে বাড়িসুদ্ধ তো বটেই, আশপাশের মেয়েরাও তা গ্রহণ করেন সাদরে।
শাড়ির সঙ্গে যেমন ব্লাউজ পরা শুরু হয়েছিল, তেমনি বাইরে বের হওয়ার সময় তখন অনেকে গাউন পরতেন। পাশাপাশি দেবেন্দ্রনাথের নকশা করা পোশাকগুলোও পরত বাড়ির বয়সে ছোট মেয়ে-বউয়েরা। রবীন্দ্রনাথের মেয়েরাও ছোটবেলায় ফ্রক পরত। দামি সিল্কের ফ্রকগুলোয় দেওয়া হতো কুঁচিওয়ালা লেইস। ঠাকুর পরিবারের মেয়েদের পোশাক নিয়ে যেমন ভেবেছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, তেমনি সৌদামিনী দেবীও দেখভাল করতেন মেয়েরা পরিপাটি হয়ে থাকছে কি না।
সূত্র: ঠাকুরবাড়ির রূপ-কথা, শান্তা শ্রীমানী ,ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল, চিত্রা দেব
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে