সৌদি আরব
মুসলমানদের তীর্থস্থান সৌদি আরবের ইফতারি খুব বৈচিত্র্যময়। বালিলাহ বা সেদ্ধ ছোলা, বাসবুসা বা সুজির কেক, বিভিন্ন ধরনের স্যুপ, ভিমতো বা আঙুরের জুস, তমিজ, অর্থাৎ বড় রুটি, খবুজ বা ছোট রুটি, নানা ধরনের হালুয়া, বোরাক বা মাংসের পিঠা, লাবান ইত্যাদি খাওয়া হয় সৌদি আরবে। এ ছাড়া মানডি খেয়ে থাকেন অনেকে; এটি ভাত ও মুরগির মাংসের সমন্বয়ে তৈরি। সৌদি আরবে খাবসা বেশ জনপ্রিয়। মুরগি কিংবা ভেড়ার মাংস দিয়ে এটি তৈরি হয়।
ইন্দোনেশিয়া
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ইফতার আয়োজনে কোলাক খুব জনপ্রিয়। নারকেল দুধ, চিনি, কলা, মিষ্টি আলু দিয়ে এটি তৈরি হয়। দেশটির মানুষ মসলা ছাড়া খাবার খেতে অভ্যস্ত। ইফতারে তাঁরা হালকা খাবার খান। ফল তাঁদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে—বিভিন্ন ধরনের জুস, ফ্রুট ককটেল, ডাবের পানি ইত্যাদি। ভারী খাবারের মধ্যে থাকে সেদ্ধ চাল দিয়ে তৈরি কিস্যাক, সামুদ্রিক মাছ দিয়ে তৈরি সোতো পাং কং, সবজি দিয়ে তৈরি পাকাথ ইত্যাদি।
পাকিস্তান
দেশটির ঐতিহ্যবাহী খাবার রুটি ও মাংস। ইফতারে এটি খুব সাধারণ খাবার। এর সঙ্গে থাকে দাহি ভাল্লা, নামাক পাড়া, জিলাপি, টিক্কা সমুচা, পাকোড়া, চিকেন রোল, তন্দুরি কাটলেট, সুফিয়ানি বিরিয়ানি, গোলাপি কাবাব, রুহ আফজা দিয়ে বানানো শরবত ইত্যাদি।
জাপান
এশিয়ার দেশ জাপানের মুসলমানরা স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করেন। উদন নুডলস, নাপা বাঁধাকপি, লম্বা সবুজ পেঁয়াজ নেগি, জাপানি তোফু এবং পাতলা করে কাটা গরুর মাংস দিয়ে বানানো খাবার খেয়ে থাকেন তাঁরা।
এ ছাড়া জাপানে ইফতারে আরেকটি জনপ্রিয় খাবার হলো কাটসু কারি। এটি মসলা, আলু, গাজর ও ব্রকলি দিয়ে তৈরি করা হয়। তৈরির পর জেসমিন চালে রান্না করা ভাত ও কাটসু স্টাইলে ভাজা চিকেন কাটলেট দিয়ে খাওয়া হয়।
ভারত
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ইফতারিতে রয়েছে বৈচিত্র্য। যেমন হায়দরাবাদে ইফতারে জনপ্রিয় খাবার হালিম। অন্যদিকে তামিলনাড়ু ও কেরালায় ননবো কাঞ্জি জনপ্রিয়। এটি চাল, সবজি ও মাংস দিয়ে তৈরি। কলকাতায় আবার বিভিন্ন ধরনের কাবাবের চল আছে।
এ ছাড়া ভারতের ইফতারি মেনুতে বটি কাবাব, খাসির মগজের কাটলেট, চিকেন শর্মা, কিমা সমুচা, খাসির লেগ রোস্ট, লাহোরি মাটন ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়।
মালয়েশিয়া
ইফতারে মালয়দের জনপ্রিয় খাবার নাসি লেমাক। নাসি লেমাক ডিশে থাকে ভাত, ঝোলসহ মুরগি, সেদ্ধ ডিম, নারকেলের দুধের কারি ও ছোট মাছের শুকনো ফ্রাই।
এ ছাড়া ইফতারে মালয়েশিয়ানরা রোটি জন খেয়ে থাকেন। এটি পেঁয়াজ, মাংসের কিমা, ব্রেড, ডিম ও সস দিয়ে বানানো হয়। মালয়েশিয়ার ইফতার আয়োজনে আরও থাকে আখের রস ও সয়াবিনের দুধ দিয়ে তৈরি খাবার বারবুকা পুয়াসা।
আরব আমিরাত
আরব আমিরাতে হারিরা নামের একপ্রকার খাবারের প্রচলন আছে। দুবাইয়ে এটি বেশ প্রসিদ্ধ। হারিরা হলো ভেড়ার মাংস ও মসুর ডাল দিয়ে তৈরি বিশেষ একধরনের স্যুপ। এ ছাড়া এখানে মালকুফ বা মাংস ও সবজির রোল বেশ জনপ্রিয়। ভেড়ার মাংস দিয়ে তৈরি ওউজি ও মাছ দিয়ে তৈরি কউশা মাহসি দুবাইয়ের ইফতার আয়োজনে স্থান পায়। মিষ্টান্ন হিসেবে জনপ্রিয় কুনাফেহ। এটি হলো চিজ দিয়ে তৈরি পেস্ট্রি।
তুরস্ক
ইফতার আয়োজনে তুরস্কে থাকে পাইড নামের রুটি, মসলা দিয়ে রান্না করা গরুর মাংস পাস্তিরমাহ, ফলমূল, সবজি ইত্যাদি। তুর্কিরা ইফতারে মধু পান করতে পছন্দ করেন। এটি তাঁদের সংস্কৃতি না হলেও অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। জলপাই ও পনির দিয়ে তৈরি মিষ্টিজাতীয় খাবারও থাকে তুর্কিদের ইফতারে।
সূত্র: আরব নিউজ ও অন্যান্য,
সৌদি আরব
মুসলমানদের তীর্থস্থান সৌদি আরবের ইফতারি খুব বৈচিত্র্যময়। বালিলাহ বা সেদ্ধ ছোলা, বাসবুসা বা সুজির কেক, বিভিন্ন ধরনের স্যুপ, ভিমতো বা আঙুরের জুস, তমিজ, অর্থাৎ বড় রুটি, খবুজ বা ছোট রুটি, নানা ধরনের হালুয়া, বোরাক বা মাংসের পিঠা, লাবান ইত্যাদি খাওয়া হয় সৌদি আরবে। এ ছাড়া মানডি খেয়ে থাকেন অনেকে; এটি ভাত ও মুরগির মাংসের সমন্বয়ে তৈরি। সৌদি আরবে খাবসা বেশ জনপ্রিয়। মুরগি কিংবা ভেড়ার মাংস দিয়ে এটি তৈরি হয়।
ইন্দোনেশিয়া
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ইফতার আয়োজনে কোলাক খুব জনপ্রিয়। নারকেল দুধ, চিনি, কলা, মিষ্টি আলু দিয়ে এটি তৈরি হয়। দেশটির মানুষ মসলা ছাড়া খাবার খেতে অভ্যস্ত। ইফতারে তাঁরা হালকা খাবার খান। ফল তাঁদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে—বিভিন্ন ধরনের জুস, ফ্রুট ককটেল, ডাবের পানি ইত্যাদি। ভারী খাবারের মধ্যে থাকে সেদ্ধ চাল দিয়ে তৈরি কিস্যাক, সামুদ্রিক মাছ দিয়ে তৈরি সোতো পাং কং, সবজি দিয়ে তৈরি পাকাথ ইত্যাদি।
পাকিস্তান
দেশটির ঐতিহ্যবাহী খাবার রুটি ও মাংস। ইফতারে এটি খুব সাধারণ খাবার। এর সঙ্গে থাকে দাহি ভাল্লা, নামাক পাড়া, জিলাপি, টিক্কা সমুচা, পাকোড়া, চিকেন রোল, তন্দুরি কাটলেট, সুফিয়ানি বিরিয়ানি, গোলাপি কাবাব, রুহ আফজা দিয়ে বানানো শরবত ইত্যাদি।
জাপান
এশিয়ার দেশ জাপানের মুসলমানরা স্বাস্থ্যকর খাবার পছন্দ করেন। উদন নুডলস, নাপা বাঁধাকপি, লম্বা সবুজ পেঁয়াজ নেগি, জাপানি তোফু এবং পাতলা করে কাটা গরুর মাংস দিয়ে বানানো খাবার খেয়ে থাকেন তাঁরা।
এ ছাড়া জাপানে ইফতারে আরেকটি জনপ্রিয় খাবার হলো কাটসু কারি। এটি মসলা, আলু, গাজর ও ব্রকলি দিয়ে তৈরি করা হয়। তৈরির পর জেসমিন চালে রান্না করা ভাত ও কাটসু স্টাইলে ভাজা চিকেন কাটলেট দিয়ে খাওয়া হয়।
ভারত
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ইফতারিতে রয়েছে বৈচিত্র্য। যেমন হায়দরাবাদে ইফতারে জনপ্রিয় খাবার হালিম। অন্যদিকে তামিলনাড়ু ও কেরালায় ননবো কাঞ্জি জনপ্রিয়। এটি চাল, সবজি ও মাংস দিয়ে তৈরি। কলকাতায় আবার বিভিন্ন ধরনের কাবাবের চল আছে।
এ ছাড়া ভারতের ইফতারি মেনুতে বটি কাবাব, খাসির মগজের কাটলেট, চিকেন শর্মা, কিমা সমুচা, খাসির লেগ রোস্ট, লাহোরি মাটন ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়।
মালয়েশিয়া
ইফতারে মালয়দের জনপ্রিয় খাবার নাসি লেমাক। নাসি লেমাক ডিশে থাকে ভাত, ঝোলসহ মুরগি, সেদ্ধ ডিম, নারকেলের দুধের কারি ও ছোট মাছের শুকনো ফ্রাই।
এ ছাড়া ইফতারে মালয়েশিয়ানরা রোটি জন খেয়ে থাকেন। এটি পেঁয়াজ, মাংসের কিমা, ব্রেড, ডিম ও সস দিয়ে বানানো হয়। মালয়েশিয়ার ইফতার আয়োজনে আরও থাকে আখের রস ও সয়াবিনের দুধ দিয়ে তৈরি খাবার বারবুকা পুয়াসা।
আরব আমিরাত
আরব আমিরাতে হারিরা নামের একপ্রকার খাবারের প্রচলন আছে। দুবাইয়ে এটি বেশ প্রসিদ্ধ। হারিরা হলো ভেড়ার মাংস ও মসুর ডাল দিয়ে তৈরি বিশেষ একধরনের স্যুপ। এ ছাড়া এখানে মালকুফ বা মাংস ও সবজির রোল বেশ জনপ্রিয়। ভেড়ার মাংস দিয়ে তৈরি ওউজি ও মাছ দিয়ে তৈরি কউশা মাহসি দুবাইয়ের ইফতার আয়োজনে স্থান পায়। মিষ্টান্ন হিসেবে জনপ্রিয় কুনাফেহ। এটি হলো চিজ দিয়ে তৈরি পেস্ট্রি।
তুরস্ক
ইফতার আয়োজনে তুরস্কে থাকে পাইড নামের রুটি, মসলা দিয়ে রান্না করা গরুর মাংস পাস্তিরমাহ, ফলমূল, সবজি ইত্যাদি। তুর্কিরা ইফতারে মধু পান করতে পছন্দ করেন। এটি তাঁদের সংস্কৃতি না হলেও অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। জলপাই ও পনির দিয়ে তৈরি মিষ্টিজাতীয় খাবারও থাকে তুর্কিদের ইফতারে।
সূত্র: আরব নিউজ ও অন্যান্য,
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে