জিন্নাত আরা ঋতু
ত্বকের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। সৌন্দর্যচর্চায় এখন ট্রেন্ডিংয়ে কোরিয়ান স্কিন কেয়ার। বিশেষ করে কোরিয়ান গ্লাস স্কিন অনেকের কাছে আকাঙ্ক্ষিত। কোরীয় মেয়েদের মতো ত্বক পেতে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে কোরিয়ান স্কিন কেয়ার পণ্যও। তবে বংশগত, আবহাওয়া, খাদ্যাভ্যাসের ভিন্নতার কারণে কোরীয় ও বাঙালিদের ত্বকের ধরন ভিন্ন। তাহলে পরিচর্যায় কি মিলতে পারে কোরিয়ান গ্লাস স্কিন? এ নিয়ে জানাচ্ছেন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ (জুনিয়র কনসালট্যান্ট) ডা. লিনিয়া সানজীন।
কোরিয়ান গ্লাস স্কিন কী?
কোরিয়ান গ্লাস স্কিন বলতে মূলত পরিচ্ছন্ন, মসৃণ, উজ্জ্বল ও হাইড্রেটেড ত্বক বোঝায়। পরিচ্ছন্ন, মসৃণ ত্বকে আলো পড়লে দর্পণের মতো চকচক করে, এটিকেই বলে গ্লাস স্কিন। এমন স্কিন টেক্সচার পেতে বিশেষ কিছু সৌন্দর্য পণ্য ব্যবহার ও নিয়ম মানতে হয়। এর জন্য ত্বক অবশ্যই হাইড্রেটেড ও সতেজ রাখা প্রয়োজন।
কোরীয় মতো বাঙালিরাও কি গ্লাস স্কিন পেতে পারে?
বাঙালি ও কোরীয়দের ত্বকের গঠন, আবহাওয়া ও খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বংশগত কারণে ত্বকের প্রকৃতি কিছুটা ভিন্ন হয়। তবে সঠিক সৌন্দর্য চর্চা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে বাঙালিরাও গ্লাস স্কিনের মতো ফলাফল পেতে পারেন।
গ্লাস স্কিন ফেশিয়াল কতটুকু কার্যকারী?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্লাস স্কিন ফেশিয়াল বিজ্ঞাপন প্রায়ই চোখে পড়ে। অনেক সময় তাৎক্ষণিক ফল দেখানো হয়। তবে এটি স্থায়ী নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু উপাদান দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো হয়। তবে ত্বক চকচকে রাখতে নিয়মিত ও সঠিক সৌন্দর্য চর্চার রুটিন বজায় রাখা প্রয়োজন।
গ্লাস স্কিন পেতে যা করবেন
ত্বক সুস্থ রাখার প্রথম শর্ত পরিচ্ছন্ন রাখা। গ্লাস স্কিন পেতে ডাবল ক্লিনজিং করতে হবে। প্রথমে ওয়েল বেজড ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন, এরপর ফোম বা জেল ক্লিনজার ব্যবহার করুন। সপ্তাহে অন্তত এক থেকে দু’বার ত্বক এক্সফোলিয়েটিং কতে হবে। এতে মৃত কোষ দূর হবে। অবশ্যই ত্বকে টোনার ও এসেন্স ব্যবহার করবেন। এতে ত্বক হাইড্রেটেড (সতেজ) থাকে। পরবর্তীতে সেরাম ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই ত্বকের সমস্যা ও ধরন অনুযায়ী সেরাম নির্বাচন করা উচিত।
যে ধরনের সেরাম গ্লাস স্কিন পেতে সাহায্য করে
হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সেরাম: এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে এবং ত্বককে প্লাম্প ও হাইড্রেটেড রাখে, যা গ্লাস স্কিন পেতে কার্যকরী।
ভিটামিন সি সেরাম: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ও দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
নিয়াসিনামাইড সেরাম: ত্বকের টেক্সচার উন্নত করে এবং পোরগুলো ছোট রাখতে সাহায্য করে, ফলে ত্বক মসৃণ ও চকচকে দেখায়।
পেপটাইড সেরাম: এটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং বয়সের ছাপ কমাতে কার্যকরী।
ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিনের প্রয়োজনীয়তা
গ্লাস স্কিন পেতে পরিচর্যার রুটিনে ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন গুরুত্বপূর্ণ। ময়েশ্চারাইজার ত্বক সতেজ রাখে। সানস্ক্রিন সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহারে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ, রোদে পোড়া দাগ পড়ে না, ত্বক বাহ্যিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।
খাদ্যাভ্যাস
খাদ্যতালিকায় অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো, বাদাম, সবুজ শাক–সবজি, ফল, মিষ্টি আলু, গাজর ও টমেটো রাখুন। এগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে। অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
ত্বকের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। সৌন্দর্যচর্চায় এখন ট্রেন্ডিংয়ে কোরিয়ান স্কিন কেয়ার। বিশেষ করে কোরিয়ান গ্লাস স্কিন অনেকের কাছে আকাঙ্ক্ষিত। কোরীয় মেয়েদের মতো ত্বক পেতে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে কোরিয়ান স্কিন কেয়ার পণ্যও। তবে বংশগত, আবহাওয়া, খাদ্যাভ্যাসের ভিন্নতার কারণে কোরীয় ও বাঙালিদের ত্বকের ধরন ভিন্ন। তাহলে পরিচর্যায় কি মিলতে পারে কোরিয়ান গ্লাস স্কিন? এ নিয়ে জানাচ্ছেন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ (জুনিয়র কনসালট্যান্ট) ডা. লিনিয়া সানজীন।
কোরিয়ান গ্লাস স্কিন কী?
কোরিয়ান গ্লাস স্কিন বলতে মূলত পরিচ্ছন্ন, মসৃণ, উজ্জ্বল ও হাইড্রেটেড ত্বক বোঝায়। পরিচ্ছন্ন, মসৃণ ত্বকে আলো পড়লে দর্পণের মতো চকচক করে, এটিকেই বলে গ্লাস স্কিন। এমন স্কিন টেক্সচার পেতে বিশেষ কিছু সৌন্দর্য পণ্য ব্যবহার ও নিয়ম মানতে হয়। এর জন্য ত্বক অবশ্যই হাইড্রেটেড ও সতেজ রাখা প্রয়োজন।
কোরীয় মতো বাঙালিরাও কি গ্লাস স্কিন পেতে পারে?
বাঙালি ও কোরীয়দের ত্বকের গঠন, আবহাওয়া ও খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বংশগত কারণে ত্বকের প্রকৃতি কিছুটা ভিন্ন হয়। তবে সঠিক সৌন্দর্য চর্চা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে বাঙালিরাও গ্লাস স্কিনের মতো ফলাফল পেতে পারেন।
গ্লাস স্কিন ফেশিয়াল কতটুকু কার্যকারী?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্লাস স্কিন ফেশিয়াল বিজ্ঞাপন প্রায়ই চোখে পড়ে। অনেক সময় তাৎক্ষণিক ফল দেখানো হয়। তবে এটি স্থায়ী নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু উপাদান দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো হয়। তবে ত্বক চকচকে রাখতে নিয়মিত ও সঠিক সৌন্দর্য চর্চার রুটিন বজায় রাখা প্রয়োজন।
গ্লাস স্কিন পেতে যা করবেন
ত্বক সুস্থ রাখার প্রথম শর্ত পরিচ্ছন্ন রাখা। গ্লাস স্কিন পেতে ডাবল ক্লিনজিং করতে হবে। প্রথমে ওয়েল বেজড ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন, এরপর ফোম বা জেল ক্লিনজার ব্যবহার করুন। সপ্তাহে অন্তত এক থেকে দু’বার ত্বক এক্সফোলিয়েটিং কতে হবে। এতে মৃত কোষ দূর হবে। অবশ্যই ত্বকে টোনার ও এসেন্স ব্যবহার করবেন। এতে ত্বক হাইড্রেটেড (সতেজ) থাকে। পরবর্তীতে সেরাম ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই ত্বকের সমস্যা ও ধরন অনুযায়ী সেরাম নির্বাচন করা উচিত।
যে ধরনের সেরাম গ্লাস স্কিন পেতে সাহায্য করে
হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সেরাম: এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে এবং ত্বককে প্লাম্প ও হাইড্রেটেড রাখে, যা গ্লাস স্কিন পেতে কার্যকরী।
ভিটামিন সি সেরাম: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ও দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
নিয়াসিনামাইড সেরাম: ত্বকের টেক্সচার উন্নত করে এবং পোরগুলো ছোট রাখতে সাহায্য করে, ফলে ত্বক মসৃণ ও চকচকে দেখায়।
পেপটাইড সেরাম: এটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং বয়সের ছাপ কমাতে কার্যকরী।
ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিনের প্রয়োজনীয়তা
গ্লাস স্কিন পেতে পরিচর্যার রুটিনে ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন গুরুত্বপূর্ণ। ময়েশ্চারাইজার ত্বক সতেজ রাখে। সানস্ক্রিন সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহারে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ, রোদে পোড়া দাগ পড়ে না, ত্বক বাহ্যিক ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।
খাদ্যাভ্যাস
খাদ্যতালিকায় অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো, বাদাম, সবুজ শাক–সবজি, ফল, মিষ্টি আলু, গাজর ও টমেটো রাখুন। এগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে। অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
তরুণদের মধ্যে যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে তাদের বলা হচ্ছে জেন জি বা জেনারেশন জেড। একাডেমিক পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে করোনা চলাকালীন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ শুরু করে এই প্রজন্ম। কিন্তু তাদের নিয়ে সবার যে প্রত্যাশা এরই মধ্যে তাতে ধুলো পড়তে শুরু করেছে।
১ দিন আগেআমন্ত্রণ নয়, রাজশাহী আপনাকে নিমন্ত্রণ জানাচ্ছে। ছাতিমের সুগন্ধ ছাড়িয়ে রাজশাহী এখন ম-ম করছে হাঁসের মাংস ভুনার সুগন্ধে। সাদা ভাত আর গরম-গরম মাংস ভুনা। বিকেলে বাটার মোড়ের জিলাপির সঙ্গে নিমকি দিয়ে হালকা নাশতা। আলোর শহর রাজশাহী ঘুরে দেখার পর সন্ধ্যায় সিঅ্যান্ডবি মোড়ে গরম-গরম রসগোল্লার সঙ্গে পুরি।
২ দিন আগেশুধু কলাপাড়া বললে অনেকে হয়তো জায়গাটা চিনবেন না। কিন্তু কুয়াকাটার কথা বললে চিনবেন প্রায় সবাই। কুয়াকাটা সৈকতের জন্য কলাপাড়া এখন সুপরিচিত। এখানে আছে এক বিখ্যাত খাবার। জগার মিষ্টি।
২ দিন আগেঢাকা শহরের গলিগুলো এখন খাবারের ঘ্রাণে উতলা থাকে। এদিক-ওদিক তাকালেই দেখবেন, কোথাও না কোথাও একটি লাইভ বেকারি। এতে বেক করা হচ্ছে পাউরুটি, বিভিন্ন ধরনের কেক-বিস্কুট কিংবা বাটার বান। কৌতূহল নিয়ে এক পিস কিনে মুখে পুরে দিতে পারেন। এগুলোর দামও যে খুব আহামরি, তা কিন্তু নয়।
২ দিন আগে