অলকানন্দা রায়, ঢাকা
মায়া আর ভালোবাসায় জড়ানো শব্দটির নাম বাবা। বাবা যেন এক বটবৃক্ষ, সবুজে ছাওয়া। মায়া ছায়াঘেরা বাবা এক উপত্যকা। রাত পোহালেই বাবা দিবস। সবার মনে চলছে ভাবনা। কী উপহার দেওয়া যায় বাবাকে? কী পেলে বাবা খুশি হবেন সবচেয়ে বেশি? বাবার হাসিমাখা মুখ দেখতে কে না চায়?
উপহারের ধরনধারণ
বাবাকে একটু আনন্দ, একটু খুশি দিতে পারে এমন উপহারের পসরা নিয়ে প্রতিবছর সেজে ওঠে ফ্যাশন হাউসগুলো। শুধু ফ্যাশন হাউসইবা বলি কেন। চাইলে জামা, জুতা, ফতুয়া, চশমা, চায়ের মগ, ঘড়ি, কলম, নোটবুক, ব্যাগ আরও কত কিছুই তো উপহার দেওয়া যায় বাবাকে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে যায় বাবার জন্য কেনা জামা। ব্যক্তিত্ব, পছন্দ, রুচি অনুযায়ী বাবাকে জামা উপহার দেওয়া যেতে পারে আসছে বাবা দিবসে।
বাবার জামা
উপহার হিসেবে জামা দিতে হলে বাবার পছন্দ-অপছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তাঁর পছন্দের রং, কোন ধরনের কাপড়ে আরামবোধ করেন, কোন পোশাকে তাঁকে মানিয়ে যাবে ভ্রমণে, আড্ডায় কিংবা সারা দিনের কর্মব্যস্ততায়—এসব বিবেচনায় রেখে উপহার নির্বাচন করতে হবে বলে মনে করেন ফ্যাশন হাউস ‘দেশালে’র কর্ণধারদের একজন ইশরাত জাহান। তিনি বলেন, ‘এখন যেহেতু প্রচণ্ড গরম, ফলে এই আবহাওয়ায় পরার উপযোগী পোশাক নির্বাচন করাই ঠিক হবে। এই সময়ে পরার জন্য আরাম এবং স্বস্তি দেবে, সেই সঙ্গে বাবার সঙ্গে মানিয়ে যাবে এমন জামাটিই খুঁজে নিতে হবে।’ আর এসব দৃষ্টিকোণ থেকে দেশাল বাবা দিবসের জন্য বাজারে এনেছে আরামদায়ক সুতি, লিনেন, সিল্ক ও এন্ডি সিল্ক কাপড়ের শার্ট, ফতুয়া ও পাঞ্জাবি। এসব কাপড়ের নকশায় ব্যবহার করা হয়েছে সুতার কাজ, ব্লক, এমব্রয়ডারিসহ নানা রকমের ভ্যালু অ্যাডেড মিডিয়াম।
হঠাৎ চমকে দিন
বাবার ভালোবাসা ও শাসনে আমরা বেড়ে উঠি। জীবনে যত বাধা আসে, বিপদে পড়ি, বাবাই টেনে তোলেন আমাদের। তাই বাবার জন্য একটি দিন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এ দিনে বাবাকে না জানিয়ে হঠাৎ করে উপহার দিয়ে চমকে দিন। এমনই বলছিলেন ফ্যাশন হাউস কে ক্র্যাফটের কর্ণধার খালিদ মাহমুদ খান। তিনি বলেন, বাবার জামায় জমা থাকে মায়া। বাবার ব্যবহৃত অন্যান্য জিনিসের মতো জামার পরতে পরতে জমা হতে থাকে স্মৃতি। বাবার শত কাজের, আনন্দের, দুঃখের সাক্ষী হয় এক একটি জামা। সে হোক ফরমাল কিংবা সেমি ফরমাল বা নিছকই ঘরে পরার। বাবাদের ব্যক্তিত্ব, বয়স ও পছন্দের কথা মাথায় রেখে তাই কে ক্র্যাফট নানা রকম পোশাকের পসরা সাজিয়েছে।
বাবাদের বয়স ও পছন্দভেদে নানা রং, নকশা ও কাটের ফতুয়া, পাঞ্জাবি, ক্যাজুয়াল শার্ট কিংবা অফিসে পরার ফরমাল শার্টও পাওয়া যাবে কে ক্র্যাফটে। আবার বাবা-ছেলের মিলিয়ে পরার জন্যও রয়েছে একই রকমের পোশাক। পোশাক যেমনই হোক ফরমাল কিংবা ক্যাজুয়াল, সেটি হওয়া চাই বাবার পছন্দের। সেটি জেনে নেওয়ার ভার সন্তানদের। বাবা কোন রং ভালোবাসেন, সবুজ নাকি সাদা, নাকি নীল, ভালোবাসেন টি-শার্ট না পোলো শার্ট, নাকি হাফ হাতা শার্ট, তা জানা থাকলে পছন্দের পোশাকটি দ্রুত কিনে ফেলা সম্ভব। কথাগুলো বলছিলেন নিয়মিত বাবা দিবসে বাবাকে উপহার দেওয়া সদ্য পিতা হওয়া এনজিওকর্মী সজল আহমেদ। তিনি মনে করেন, বাবারা অল্পতেই খুব খুশি হন। তাঁদের ভালো লাগা-মন্দ লাগার কথাগুলো তাঁরা কখনোই সন্তানদের জানতে দিতে চান না। আর তাই সন্তানদের উচিত বাবার পছন্দ-অপছন্দগুলোর দিকে খেয়াল রাখা।
রং কেমন হবে
প্রশ্ন করা যেতে পারে, বাবারা কি সব সময় সাদা রঙের মানুষ? উত্তর, বিষয়টি তেমন নয়। কখনো গাঢ় রং হতে পারে, হতে পারে বিভিন্ন রঙের হালকা শেড। সেই হালকা রঙের মধ্যে সাদা ছাড়াও থাকতে পারে ঘিয়ে, আকাশি, হালকা সবুজ, বাদামি, নীলের অন্যান্য হালকা শেড, পার্পলসহ আরও অনেক রং। বলা যায়, যেকোনো সহনশীল রঙের জামাই বেছে নেওয়া যেতে পারে বাবাকে উপহার দেওয়ার জন্য। গরমে গাঢ় রং যে পরা যাবে না, বিষয়টি এমনও নয়। তবে গরমে কালো এবং কালচে রং যেহেতু আরামদায়ক নয়, তাই এগুলো এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে।
গরমে রঙের পাশাপাশি প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন পোশাকের কাপড়ের ওপর। ব্যস্ত আর বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকা বাবাদের জন্য নরম কাপড়, ঘাম শোষণ করে এবং তাপেও স্বস্তি দেয় এমন কাপড়ের জামা কিনুন। সে ক্ষেত্রে সুতি কাপড়ের জামার তুলনা হয় না। বাবা দিবসে বাবার জন্য আরামদায়ক জামা কিনতে পাওয়া যাবে দেশাল, কে ক্র্যাফট, আড়ং, রঙ বাংলাদেশ, বিশ্ব রঙ, অঞ্জন’স, সাদাকালো, যাত্রাসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে।
অবসরের জন্য নোটবুক
যাঁরা এখন অবসরে গেছেন কিংবা বেশির ভাগ সময় বাড়িতে থাকেন, তাঁদের জন্য নোটবুক কিনতে পারেন। তাঁদের উৎসাহিত করতে পারেন বিশাল কর্মময় জীবনের অভিজ্ঞতার কথাগুলো নোটবুকে লিখে রাখতে। সেগুলো যে শুধুই তাঁদের স্মৃতি, তা নয়; ঐতিহাসিক দলিলও বটে। হাতে তৈরি নোটবুক পাওয়া যাবে যথাশিল্পে। অনলাইনে অর্ডার করেও কেনা যাবে।
মায়া আর ভালোবাসায় জড়ানো শব্দটির নাম বাবা। বাবা যেন এক বটবৃক্ষ, সবুজে ছাওয়া। মায়া ছায়াঘেরা বাবা এক উপত্যকা। রাত পোহালেই বাবা দিবস। সবার মনে চলছে ভাবনা। কী উপহার দেওয়া যায় বাবাকে? কী পেলে বাবা খুশি হবেন সবচেয়ে বেশি? বাবার হাসিমাখা মুখ দেখতে কে না চায়?
উপহারের ধরনধারণ
বাবাকে একটু আনন্দ, একটু খুশি দিতে পারে এমন উপহারের পসরা নিয়ে প্রতিবছর সেজে ওঠে ফ্যাশন হাউসগুলো। শুধু ফ্যাশন হাউসইবা বলি কেন। চাইলে জামা, জুতা, ফতুয়া, চশমা, চায়ের মগ, ঘড়ি, কলম, নোটবুক, ব্যাগ আরও কত কিছুই তো উপহার দেওয়া যায় বাবাকে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে যায় বাবার জন্য কেনা জামা। ব্যক্তিত্ব, পছন্দ, রুচি অনুযায়ী বাবাকে জামা উপহার দেওয়া যেতে পারে আসছে বাবা দিবসে।
বাবার জামা
উপহার হিসেবে জামা দিতে হলে বাবার পছন্দ-অপছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তাঁর পছন্দের রং, কোন ধরনের কাপড়ে আরামবোধ করেন, কোন পোশাকে তাঁকে মানিয়ে যাবে ভ্রমণে, আড্ডায় কিংবা সারা দিনের কর্মব্যস্ততায়—এসব বিবেচনায় রেখে উপহার নির্বাচন করতে হবে বলে মনে করেন ফ্যাশন হাউস ‘দেশালে’র কর্ণধারদের একজন ইশরাত জাহান। তিনি বলেন, ‘এখন যেহেতু প্রচণ্ড গরম, ফলে এই আবহাওয়ায় পরার উপযোগী পোশাক নির্বাচন করাই ঠিক হবে। এই সময়ে পরার জন্য আরাম এবং স্বস্তি দেবে, সেই সঙ্গে বাবার সঙ্গে মানিয়ে যাবে এমন জামাটিই খুঁজে নিতে হবে।’ আর এসব দৃষ্টিকোণ থেকে দেশাল বাবা দিবসের জন্য বাজারে এনেছে আরামদায়ক সুতি, লিনেন, সিল্ক ও এন্ডি সিল্ক কাপড়ের শার্ট, ফতুয়া ও পাঞ্জাবি। এসব কাপড়ের নকশায় ব্যবহার করা হয়েছে সুতার কাজ, ব্লক, এমব্রয়ডারিসহ নানা রকমের ভ্যালু অ্যাডেড মিডিয়াম।
হঠাৎ চমকে দিন
বাবার ভালোবাসা ও শাসনে আমরা বেড়ে উঠি। জীবনে যত বাধা আসে, বিপদে পড়ি, বাবাই টেনে তোলেন আমাদের। তাই বাবার জন্য একটি দিন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এ দিনে বাবাকে না জানিয়ে হঠাৎ করে উপহার দিয়ে চমকে দিন। এমনই বলছিলেন ফ্যাশন হাউস কে ক্র্যাফটের কর্ণধার খালিদ মাহমুদ খান। তিনি বলেন, বাবার জামায় জমা থাকে মায়া। বাবার ব্যবহৃত অন্যান্য জিনিসের মতো জামার পরতে পরতে জমা হতে থাকে স্মৃতি। বাবার শত কাজের, আনন্দের, দুঃখের সাক্ষী হয় এক একটি জামা। সে হোক ফরমাল কিংবা সেমি ফরমাল বা নিছকই ঘরে পরার। বাবাদের ব্যক্তিত্ব, বয়স ও পছন্দের কথা মাথায় রেখে তাই কে ক্র্যাফট নানা রকম পোশাকের পসরা সাজিয়েছে।
বাবাদের বয়স ও পছন্দভেদে নানা রং, নকশা ও কাটের ফতুয়া, পাঞ্জাবি, ক্যাজুয়াল শার্ট কিংবা অফিসে পরার ফরমাল শার্টও পাওয়া যাবে কে ক্র্যাফটে। আবার বাবা-ছেলের মিলিয়ে পরার জন্যও রয়েছে একই রকমের পোশাক। পোশাক যেমনই হোক ফরমাল কিংবা ক্যাজুয়াল, সেটি হওয়া চাই বাবার পছন্দের। সেটি জেনে নেওয়ার ভার সন্তানদের। বাবা কোন রং ভালোবাসেন, সবুজ নাকি সাদা, নাকি নীল, ভালোবাসেন টি-শার্ট না পোলো শার্ট, নাকি হাফ হাতা শার্ট, তা জানা থাকলে পছন্দের পোশাকটি দ্রুত কিনে ফেলা সম্ভব। কথাগুলো বলছিলেন নিয়মিত বাবা দিবসে বাবাকে উপহার দেওয়া সদ্য পিতা হওয়া এনজিওকর্মী সজল আহমেদ। তিনি মনে করেন, বাবারা অল্পতেই খুব খুশি হন। তাঁদের ভালো লাগা-মন্দ লাগার কথাগুলো তাঁরা কখনোই সন্তানদের জানতে দিতে চান না। আর তাই সন্তানদের উচিত বাবার পছন্দ-অপছন্দগুলোর দিকে খেয়াল রাখা।
রং কেমন হবে
প্রশ্ন করা যেতে পারে, বাবারা কি সব সময় সাদা রঙের মানুষ? উত্তর, বিষয়টি তেমন নয়। কখনো গাঢ় রং হতে পারে, হতে পারে বিভিন্ন রঙের হালকা শেড। সেই হালকা রঙের মধ্যে সাদা ছাড়াও থাকতে পারে ঘিয়ে, আকাশি, হালকা সবুজ, বাদামি, নীলের অন্যান্য হালকা শেড, পার্পলসহ আরও অনেক রং। বলা যায়, যেকোনো সহনশীল রঙের জামাই বেছে নেওয়া যেতে পারে বাবাকে উপহার দেওয়ার জন্য। গরমে গাঢ় রং যে পরা যাবে না, বিষয়টি এমনও নয়। তবে গরমে কালো এবং কালচে রং যেহেতু আরামদায়ক নয়, তাই এগুলো এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে।
গরমে রঙের পাশাপাশি প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন পোশাকের কাপড়ের ওপর। ব্যস্ত আর বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকা বাবাদের জন্য নরম কাপড়, ঘাম শোষণ করে এবং তাপেও স্বস্তি দেয় এমন কাপড়ের জামা কিনুন। সে ক্ষেত্রে সুতি কাপড়ের জামার তুলনা হয় না। বাবা দিবসে বাবার জন্য আরামদায়ক জামা কিনতে পাওয়া যাবে দেশাল, কে ক্র্যাফট, আড়ং, রঙ বাংলাদেশ, বিশ্ব রঙ, অঞ্জন’স, সাদাকালো, যাত্রাসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে।
অবসরের জন্য নোটবুক
যাঁরা এখন অবসরে গেছেন কিংবা বেশির ভাগ সময় বাড়িতে থাকেন, তাঁদের জন্য নোটবুক কিনতে পারেন। তাঁদের উৎসাহিত করতে পারেন বিশাল কর্মময় জীবনের অভিজ্ঞতার কথাগুলো নোটবুকে লিখে রাখতে। সেগুলো যে শুধুই তাঁদের স্মৃতি, তা নয়; ঐতিহাসিক দলিলও বটে। হাতে তৈরি নোটবুক পাওয়া যাবে যথাশিল্পে। অনলাইনে অর্ডার করেও কেনা যাবে।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে