ডা. ফারজানা রহমান
প্রশ্ন: আমার মেয়ের বয়স ১৭। সে রাজধানীর একটি স্বনামধন্য স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ছে। আমি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর ধরে চাকরি করছি। আমার স্বামী সরকারি কর্মকর্তা। চাকরির কারণে মেয়েকে বেশি সময় দিতে না পারলেও তার সঙ্গে ছোট থেকেই আমি কোয়ালিটি টাইম কাটানোর চেষ্টা করেছি। তবু এখন মনে হয়, তার সঙ্গে আমার অনেক দূরত্ব। এ ছাড়া মেয়েটা আজকাল খুবই শান্ত হয়ে গেছে। পড়াশোনায়ও অমনোযোগী। তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, কোনো কারণ ছাড়াই তার কিছু ভালো লাগে না। খাওয়াদাওয়াতেও খুব একটা রুচি নেই। আমার মেয়ে সারাক্ষণ নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে বসে থাকে। আমি তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি এ ব্যাপারে। কিন্তু সে কিছুতেই আমার সঙ্গে সহজ হতে পারছে না। আমার মেয়ের কি মানসিক কোনো সমস্যা হচ্ছে? তাকে কি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত?
সানজিদা কাজী, ঢাকা
উত্তর: আপনি যেভাবে মেয়েকে সময় দেন বলে জানিয়েছেন, সেটা খুব ভালো লাগল। আরও কিছু তথ্য পেলে সুবিধা হতো। যেমন আপনাদের পরিবারে কারও কোনো মানসিক রোগের ইতিহাস আছে কি না, পরিবারের অন্য সবার মধ্যে সম্পর্ক কেমন। এ ছাড়া আরও কিছু বিষয় আছে। পরীক্ষা বা পড়াশোনার চাপ, কলেজে সহপাঠীদের সঙ্গে ঝামেলা, শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো সমস্যা, বুলিংয়ের শিকার হওয়া, কোনো মন্দ স্পর্শ অথবা কোনো সম্পর্ক, মাসিক বা থাইরয়েডের সমস্যা ইত্যাদি অনেক কারণেই এমনটি হতে পারে।
আপনি জানিয়েছেন, মেয়েটি আগের চেয়ে শান্ত হয়ে গেছে, আপনার সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়ছে, তার খাওয়ার রুচি কমে গেছে এবং পড়াশোনার ক্ষেত্রেও অমনোযোগী হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, বিষয়গুলো বিষণ্নতার পূর্ব লক্ষণ। এখনই সতর্ক হতে হবে। আপনার মেয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলতে পারেন। অথবা তার যদি কোনো প্রিয় বন্ধু বা যার সঙ্গে তার খুব ভালো সম্পর্ক, তাদের সঙ্গে সে যদি মন খুলে কিছু বলে, তাহলেও সে কিছুটা ভালো বোধ করবে। খুব ভালো হয়, যদি তাকে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ বা সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ওর সঠিক ইতিহাস নিয়ে, ওর সমস্যা চিহ্নিত করে, আসলে ওর মানসিক সমস্যা আছে কি না, থাকলে তা আগে নির্ণয় করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। আমি আশাবাদী, সঠিক ইতিহাস পেলে, ওর সঙ্গে সেশন শুরু করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ডা. ফারজানা রহমান, সহযোগী অধ্যাপক জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
প্রশ্ন: আমার মেয়ের বয়স ১৭। সে রাজধানীর একটি স্বনামধন্য স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ছে। আমি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর ধরে চাকরি করছি। আমার স্বামী সরকারি কর্মকর্তা। চাকরির কারণে মেয়েকে বেশি সময় দিতে না পারলেও তার সঙ্গে ছোট থেকেই আমি কোয়ালিটি টাইম কাটানোর চেষ্টা করেছি। তবু এখন মনে হয়, তার সঙ্গে আমার অনেক দূরত্ব। এ ছাড়া মেয়েটা আজকাল খুবই শান্ত হয়ে গেছে। পড়াশোনায়ও অমনোযোগী। তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, কোনো কারণ ছাড়াই তার কিছু ভালো লাগে না। খাওয়াদাওয়াতেও খুব একটা রুচি নেই। আমার মেয়ে সারাক্ষণ নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে বসে থাকে। আমি তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি এ ব্যাপারে। কিন্তু সে কিছুতেই আমার সঙ্গে সহজ হতে পারছে না। আমার মেয়ের কি মানসিক কোনো সমস্যা হচ্ছে? তাকে কি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত?
সানজিদা কাজী, ঢাকা
উত্তর: আপনি যেভাবে মেয়েকে সময় দেন বলে জানিয়েছেন, সেটা খুব ভালো লাগল। আরও কিছু তথ্য পেলে সুবিধা হতো। যেমন আপনাদের পরিবারে কারও কোনো মানসিক রোগের ইতিহাস আছে কি না, পরিবারের অন্য সবার মধ্যে সম্পর্ক কেমন। এ ছাড়া আরও কিছু বিষয় আছে। পরীক্ষা বা পড়াশোনার চাপ, কলেজে সহপাঠীদের সঙ্গে ঝামেলা, শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো সমস্যা, বুলিংয়ের শিকার হওয়া, কোনো মন্দ স্পর্শ অথবা কোনো সম্পর্ক, মাসিক বা থাইরয়েডের সমস্যা ইত্যাদি অনেক কারণেই এমনটি হতে পারে।
আপনি জানিয়েছেন, মেয়েটি আগের চেয়ে শান্ত হয়ে গেছে, আপনার সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়ছে, তার খাওয়ার রুচি কমে গেছে এবং পড়াশোনার ক্ষেত্রেও অমনোযোগী হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, বিষয়গুলো বিষণ্নতার পূর্ব লক্ষণ। এখনই সতর্ক হতে হবে। আপনার মেয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলতে পারেন। অথবা তার যদি কোনো প্রিয় বন্ধু বা যার সঙ্গে তার খুব ভালো সম্পর্ক, তাদের সঙ্গে সে যদি মন খুলে কিছু বলে, তাহলেও সে কিছুটা ভালো বোধ করবে। খুব ভালো হয়, যদি তাকে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ বা সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ওর সঠিক ইতিহাস নিয়ে, ওর সমস্যা চিহ্নিত করে, আসলে ওর মানসিক সমস্যা আছে কি না, থাকলে তা আগে নির্ণয় করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। আমি আশাবাদী, সঠিক ইতিহাস পেলে, ওর সঙ্গে সেশন শুরু করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন, ডা. ফারজানা রহমান, সহযোগী অধ্যাপক জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে